নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন হতে চেয়েছিল। তার আগেই এর শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সোমবার ভোরে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে এই জঙ্গি সংগঠনের আমির মো. আনিসুর রহমান মাহমুদসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য দিয়েছে র্যাব।
আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব। এতে সংস্থাটির মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, জঙ্গি সংগঠনটির আমির আনিসুর রহমান মাহমুদ নিজের জায়গা-জমি, বাড়িঘর বিক্রি করে এই নিষিদ্ধ সংগঠনে দিয়েছিলেন। কুমিল্লার এই ব্যক্তি একসময় হরকাতুল জিহাদের বা হুজির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আজ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার তাঁর অন্য দুই সহযোগী হলেন কাজী সরাজ উদ্দিন সিরাজ (৩৪) ও মাহফুজুর রহমান বিজয় বাবুল ওরফে জাম্বুলি (২৮)।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, উগ্রবাদী বই ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন বানাতে চেয়েছিলেন শারক্বীয়ার আমির মো. আনিসুর রহমান মাহমুদ। দেশের বাইরে হামলার কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও দেশের মধ্যে হামলার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তাঁদের টার্গেট ছিল কিলিং মিশন। আর তাঁদের আইনের আওতায় আনতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করছিলেন আমির মাহমুদ।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার আনিসুর রহমান মাহমুদ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির ছিলেন। তিনি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের একটি সিএনজি রিফুয়েলিং পাম্পে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি একসময়ে হরকাতুল জিহাদের বা হুজির সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর সঙ্গে কুমিল্লার একটি রেস্টুরেন্টে আনসার আল ইসলামের রক্সি ও ফেলানীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর তাঁরা যাত্রাবাড়ীতে মিটিং করে নতুন একটি সংগঠন তৈরি ও বিস্তারের পরিকল্পনা করে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কার্যক্রম শুরু করেন।
আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ সম্পর্কে যা জানাল র্যাব
আনিসুর রহমান মাহমুদ কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়েছেন। তিনি ২০১৬ সাল থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতেন। ২০২০ সালে বান্দরবানের গহিন এলাকায় প্রশিক্ষণে যান। বান্দরবানে আসলাম নামক এক ব্যক্তির কাছে প্রায় এক মাস সামরিক বিভিন্ন কৌশল, অস্ত্র চালনা ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। আমির মাহমুদ কুমিল্লার প্রতাপপুরে তাঁর বাড়িসহ জমি এক ব্যক্তির কাছে ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। জমি বিক্রির টাকা সংগঠনে বিনিয়োগ করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সাড়ে তিন বিঘা জমি কেনেন। সেখানে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং পোলট্রি ফার্ম, চাষাবাদ ও গবাদিপশুর খামার করেন।
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আগের আমির ছিলেন মাইনুল ইসলাম ওরফে রক্সি। ২০২১ সালে রক্সি গ্রেপ্তার হলে মাহমুদ আমির নির্বাচিত হন। ওই বছরই মাহমুদের সঙ্গে কেএনএফ নেতা নাথান বম ও সেকেন্ড ইন কমান্ড বাংচুংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। পরবর্তী সময় কেএনএফের সঙ্গে তাঁরা প্রশিক্ষণের চুক্তি করেন।
জঙ্গি সংগঠনটি ১৭ লাখ টাকার বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল। এ ছাড়া প্রতি মাসে কেএনএফকে প্রশিক্ষণ বাবদ তিন থেকে চার লাখ টাকা দিত। এই টাকা তারা বিভিন্ন চাঁদার মাধ্যমে আয় করত।
আমির মাহমুদের নির্দেশনায় কেএনএফের প্রধান নাথান বমকে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় সংগঠনের অর্থায়নে একটি বাসা ভাড়া করে দেওয়া হয়। যেখানে নাথাম বম পরিবারসহ মাঝেমধ্যে অবস্থান করতেন।
বরখাস্ত মেজর জিয়ার সঙ্গে একাধিকবার দেখা হয় আমির মাহমুদের
খন্দকার আল মঈন বলেন, মাহমুদের সঙ্গে আনসার আল ইসলামের নেতাদের সুসম্পর্ক ছিল। আনসার আল ইসলামের শীর্ষ জঙ্গি বরখাস্তকৃত মেজর জিয়ার সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছিল। ২০২২ সালে কিশোরগঞ্জে আনসার আল ইসলামের সঙ্গেও এই জঙ্গি সংগঠনটি একটি চুক্তি করে। আনসার আল ইসলাম তাদের ১৫ লাখ টাকা দেয়।
পাহাড়ে র্যাবের অভিযান শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যায় আমির মাহমুদ। টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনের পর ৭ থেকে ১০ দিন আগে তিনি মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের একটি বাসাভাড়া নেন। সেখানে সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। নিরাপত্তার জন্য তিনি সব সময় তাঁর সঙ্গে দুজন সশস্ত্র দেহরক্ষী রাখতেন।
গ্রেপ্তার কাজী সরাজ ২০০৪ সালে হুজিতে যোগ দেন। হুজির কার্যক্রম স্তিমিত দেখে ২০১৪ সালে তিনি আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। পরবর্তীকালে ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার শাওনের মাধ্যমে তিনি জামাতুল আনসারে যোগ দেন। সংগঠনে যোগ দিয়ে পটুয়াখালী ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে বেশ কয়েকজনকে সংগঠনে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া মাহফুজুর সিলেটের জগন্নাথপুরে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। তিনি ২০১৮ সালে আগে গ্রেপ্তার শুরা সদস্য রণবীরের মাধ্যমে এই সংগঠনে যোগদান করেন এবং দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। তিনি সিলেট অঞ্চলে দাওয়াতি শাখার আঞ্চলিক প্রধান ছিলেন। তিনি প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে আনতেন। পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান শুরু হলে মাহফুজুর রহমান বাসা থেকে বের হয়ে সাত মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন ছিলেন।
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন হতে চেয়েছিল। তার আগেই এর শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সোমবার ভোরে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে এই জঙ্গি সংগঠনের আমির মো. আনিসুর রহমান মাহমুদসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য দিয়েছে র্যাব।
আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব। এতে সংস্থাটির মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, জঙ্গি সংগঠনটির আমির আনিসুর রহমান মাহমুদ নিজের জায়গা-জমি, বাড়িঘর বিক্রি করে এই নিষিদ্ধ সংগঠনে দিয়েছিলেন। কুমিল্লার এই ব্যক্তি একসময় হরকাতুল জিহাদের বা হুজির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আজ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার তাঁর অন্য দুই সহযোগী হলেন কাজী সরাজ উদ্দিন সিরাজ (৩৪) ও মাহফুজুর রহমান বিজয় বাবুল ওরফে জাম্বুলি (২৮)।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, উগ্রবাদী বই ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন বানাতে চেয়েছিলেন শারক্বীয়ার আমির মো. আনিসুর রহমান মাহমুদ। দেশের বাইরে হামলার কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও দেশের মধ্যে হামলার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তাঁদের টার্গেট ছিল কিলিং মিশন। আর তাঁদের আইনের আওতায় আনতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করছিলেন আমির মাহমুদ।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার আনিসুর রহমান মাহমুদ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির ছিলেন। তিনি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের একটি সিএনজি রিফুয়েলিং পাম্পে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি একসময়ে হরকাতুল জিহাদের বা হুজির সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর সঙ্গে কুমিল্লার একটি রেস্টুরেন্টে আনসার আল ইসলামের রক্সি ও ফেলানীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর তাঁরা যাত্রাবাড়ীতে মিটিং করে নতুন একটি সংগঠন তৈরি ও বিস্তারের পরিকল্পনা করে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কার্যক্রম শুরু করেন।
আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ সম্পর্কে যা জানাল র্যাব
আনিসুর রহমান মাহমুদ কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়েছেন। তিনি ২০১৬ সাল থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতেন। ২০২০ সালে বান্দরবানের গহিন এলাকায় প্রশিক্ষণে যান। বান্দরবানে আসলাম নামক এক ব্যক্তির কাছে প্রায় এক মাস সামরিক বিভিন্ন কৌশল, অস্ত্র চালনা ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। আমির মাহমুদ কুমিল্লার প্রতাপপুরে তাঁর বাড়িসহ জমি এক ব্যক্তির কাছে ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। জমি বিক্রির টাকা সংগঠনে বিনিয়োগ করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সাড়ে তিন বিঘা জমি কেনেন। সেখানে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং পোলট্রি ফার্ম, চাষাবাদ ও গবাদিপশুর খামার করেন।
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আগের আমির ছিলেন মাইনুল ইসলাম ওরফে রক্সি। ২০২১ সালে রক্সি গ্রেপ্তার হলে মাহমুদ আমির নির্বাচিত হন। ওই বছরই মাহমুদের সঙ্গে কেএনএফ নেতা নাথান বম ও সেকেন্ড ইন কমান্ড বাংচুংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। পরবর্তী সময় কেএনএফের সঙ্গে তাঁরা প্রশিক্ষণের চুক্তি করেন।
জঙ্গি সংগঠনটি ১৭ লাখ টাকার বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল। এ ছাড়া প্রতি মাসে কেএনএফকে প্রশিক্ষণ বাবদ তিন থেকে চার লাখ টাকা দিত। এই টাকা তারা বিভিন্ন চাঁদার মাধ্যমে আয় করত।
আমির মাহমুদের নির্দেশনায় কেএনএফের প্রধান নাথান বমকে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় সংগঠনের অর্থায়নে একটি বাসা ভাড়া করে দেওয়া হয়। যেখানে নাথাম বম পরিবারসহ মাঝেমধ্যে অবস্থান করতেন।
বরখাস্ত মেজর জিয়ার সঙ্গে একাধিকবার দেখা হয় আমির মাহমুদের
খন্দকার আল মঈন বলেন, মাহমুদের সঙ্গে আনসার আল ইসলামের নেতাদের সুসম্পর্ক ছিল। আনসার আল ইসলামের শীর্ষ জঙ্গি বরখাস্তকৃত মেজর জিয়ার সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছিল। ২০২২ সালে কিশোরগঞ্জে আনসার আল ইসলামের সঙ্গেও এই জঙ্গি সংগঠনটি একটি চুক্তি করে। আনসার আল ইসলাম তাদের ১৫ লাখ টাকা দেয়।
পাহাড়ে র্যাবের অভিযান শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যায় আমির মাহমুদ। টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনের পর ৭ থেকে ১০ দিন আগে তিনি মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের একটি বাসাভাড়া নেন। সেখানে সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। নিরাপত্তার জন্য তিনি সব সময় তাঁর সঙ্গে দুজন সশস্ত্র দেহরক্ষী রাখতেন।
গ্রেপ্তার কাজী সরাজ ২০০৪ সালে হুজিতে যোগ দেন। হুজির কার্যক্রম স্তিমিত দেখে ২০১৪ সালে তিনি আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। পরবর্তীকালে ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার শাওনের মাধ্যমে তিনি জামাতুল আনসারে যোগ দেন। সংগঠনে যোগ দিয়ে পটুয়াখালী ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে বেশ কয়েকজনকে সংগঠনে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া মাহফুজুর সিলেটের জগন্নাথপুরে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। তিনি ২০১৮ সালে আগে গ্রেপ্তার শুরা সদস্য রণবীরের মাধ্যমে এই সংগঠনে যোগদান করেন এবং দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। তিনি সিলেট অঞ্চলে দাওয়াতি শাখার আঞ্চলিক প্রধান ছিলেন। তিনি প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে আনতেন। পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান শুরু হলে মাহফুজুর রহমান বাসা থেকে বের হয়ে সাত মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন ছিলেন।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৩ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১২ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫