গাজীপুর প্রতিনিধি
নিখোঁজের এক দিন পর গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে শরীরে স্কচটেপ প্যাঁচানো বস্তাবন্দী তিন বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার কোনাবাড়ী বাইপাইল মধ্যপাড়া এলাকার একটি গলি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল মঙ্গলবার শিশুটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জিএমপির কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিশু ও তার বড় বোন (৭) বাবা–মায়ের সঙ্গে মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকত। তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার সদর থানা এলাকায়।
আটক দুই কিশোর একই জেলার রাজারহাট থানার চকরাইহাট এলাকার বাসিন্দা। তারা উভয়ে পরিবারের সঙ্গে কোনাবাড়ী বাইপাইল মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকত। তাদের বাবাও শ্রমিক।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে তাদের বাবা–মা কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়াবাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। দুই বোনের মধ্যে নিহত শিশুটি ছিল ছোট। গতকাল সকাল থেকে শিশুটিকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিল না তার পরিবার। পরে সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা কোনাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আজ বুধবার সকালে তাঁদের বাসার পাশে রমিজ নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পাশের গলিতে পুরো শরীরে স্কচটেপ প্যাঁচানো বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ও পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
এ সময় মেয়ের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা–মা। ছোট্ট মেয়েকে হারিয়ে তাঁরা পাগলপ্রায়। শোকে তাঁরা মাটিতে গড়াগড়ি করে ও বুক চাপড়িয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তাঁদের আহাজারিতে আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
পুলিশ জানায়, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় শিশুটিকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তারা ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
নিহত শিশুর নানা ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই নরপশু আমার নিষ্পাপ নাতনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে বস্তাবন্দী করে ওই বাসার গলির ভেতর ফেলে রাখে।’
তিনি বলেন, ‘আমার নাতনিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাদের যেন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করা হয়। তাহলেই আমার নাতনির আত্মা শান্তি পাবে।’
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আব্বাসউদ্দীন খোকন বলেন, ‘গতকাল সকালে ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়। আজ সকালে জানতে পারি শিশুটির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার ভেতরে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। প্রথমে একজনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরেকজনকে আটক করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ–সংক্রান্তে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে গতকাল তুলে নিয়ে কোনো একসময় ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে রাতে লাশটি কসপেট পেঁচিয়ে বস্তায় ভরে গলিতে ফেলে দিয়েছে।’
নিখোঁজের এক দিন পর গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে শরীরে স্কচটেপ প্যাঁচানো বস্তাবন্দী তিন বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার কোনাবাড়ী বাইপাইল মধ্যপাড়া এলাকার একটি গলি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল মঙ্গলবার শিশুটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জিএমপির কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিশু ও তার বড় বোন (৭) বাবা–মায়ের সঙ্গে মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকত। তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার সদর থানা এলাকায়।
আটক দুই কিশোর একই জেলার রাজারহাট থানার চকরাইহাট এলাকার বাসিন্দা। তারা উভয়ে পরিবারের সঙ্গে কোনাবাড়ী বাইপাইল মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকত। তাদের বাবাও শ্রমিক।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে তাদের বাবা–মা কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়াবাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। দুই বোনের মধ্যে নিহত শিশুটি ছিল ছোট। গতকাল সকাল থেকে শিশুটিকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিল না তার পরিবার। পরে সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা কোনাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আজ বুধবার সকালে তাঁদের বাসার পাশে রমিজ নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পাশের গলিতে পুরো শরীরে স্কচটেপ প্যাঁচানো বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ও পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
এ সময় মেয়ের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা–মা। ছোট্ট মেয়েকে হারিয়ে তাঁরা পাগলপ্রায়। শোকে তাঁরা মাটিতে গড়াগড়ি করে ও বুক চাপড়িয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তাঁদের আহাজারিতে আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
পুলিশ জানায়, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় শিশুটিকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তারা ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
নিহত শিশুর নানা ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই নরপশু আমার নিষ্পাপ নাতনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে বস্তাবন্দী করে ওই বাসার গলির ভেতর ফেলে রাখে।’
তিনি বলেন, ‘আমার নাতনিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাদের যেন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করা হয়। তাহলেই আমার নাতনির আত্মা শান্তি পাবে।’
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আব্বাসউদ্দীন খোকন বলেন, ‘গতকাল সকালে ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়। আজ সকালে জানতে পারি শিশুটির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার ভেতরে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। প্রথমে একজনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরেকজনকে আটক করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ–সংক্রান্তে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে গতকাল তুলে নিয়ে কোনো একসময় ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে রাতে লাশটি কসপেট পেঁচিয়ে বস্তায় ভরে গলিতে ফেলে দিয়েছে।’
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
৩ দিন আগেধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
১০ দিন আগেসাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
১৯ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫