প্রতিনিধি
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বাণিজ্যিক বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পরেছে। একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল থ্রি ফেজ মিটার চুরি করে গ্রাহকদের মিটার ফেরত দেওয়ার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত এক মাসে প্রায় শতাধিক বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানায় মিটার চুরির কয়েকটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার (২১ জুন) রাতে সাটুরিয়ার নান্ধেশ্বরী শহীদ টিম্বার স মিলের থ্রি ফেজের বাণিজ্যিক মিটারটি চুরি হয়। শহীদ টিম্বারের মালিক সাংবাদিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, চোররা যাওয়ার সময় মোবাইল নম্বর (০১৯৮৭-২৩০৬৪৮) লিখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলেন। আমি টাকা না পাঠিয়ে মিলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখি, তখন আমার কাছে মিটার চুরির দৃশ্য ধরা পড়ে।
সাটুরিয়া পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন মিল কারখানা ও কৃষকের কৃষিকাজে ব্যবহৃত গভীর নলকূপ থেকে থ্রি ফেজের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করছে এক দল চোর। তাঁরা মিটার চুরি করে মিটারের বোর্ডে অথবা একটি কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে যাচ্ছে। লিখে যাওয়া মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দিলেই চুরি হওয়া মিটার পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় চলতি মাসে সাটুরিয়া থানায় ১৫টি চুরি মামলা করা হয়েছে। এরপরও প্রতি রাতেই তাঁরা কারও না কারও মিটার চুরি করছে।
সাটুরিয়া উপজেলার পল্লি বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতায় বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া মিটারের মালিকেরা হলেন, ১৮ মে উপজেলার দেলুয়া এলাকার আ. মালেকের ছেলে আক্তার হোসেন, কাউন্নারার আফসার উদ্দিনের ছেলে আতোয়ার রহমান, পুনাইলের আ. হাইয়ের ছেলে আলতাফ হোসেন, দেলুয়া এলাকার মেছেরের ছেলে ঠান্ডু, হরগজ মোড় এলাকার বিল্লালের রাইচ মিলের মিটার। এ ছাড়া ২৭ মে কান্দাপাড়া গণকল্যাণ ট্রাস্ট পোলট্রি ফার্মের মিটার, ৩০ মে জান্না গ্রামের নছু মৃধার ছেলে জলিল মৃধার মিটার, ২৯ এপ্রিল দিঘুলিয়া এলাকার বাছেদের ছেলে রেজাউল করিমের মিটার চুরি হয়েছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকগণ কল্যাণ ট্রাস্টের ল্যাব সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, `গত ১৮ মে আমার পোলট্রি হ্যাচারিতে লাগানো পল্লি বিদ্যুতের মিটারটি রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। ২৬ মে সকালে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে পুনরায় মিটারের সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু ২৭ মে দিবাগত রাতে আবারও বিদ্যুতের মিটারটি চুরি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে ২৭মে ও ২৯মে আলাদা আলাদাভাবে সাটুরিয়া থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।'
সাটুরিয়া পল্লি বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. ওবায়দুল্লাহ আল মাসুম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, `মিল কারখানার থ্রি ফেজ মিটার চুরির বিষয়ে মিল মালিকসহ আমরা উদ্বিগ্ন। প্রতিটি চুরির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে। তবে চোরেরা যে মিটার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে এই মিটার তাঁদের কোথাও বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। সেই জন্য তাঁরা চিরকুট লিখে মোবাইল নম্বর দিয়ে যাচ্ছে।'
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, `এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেয়েছি ইতিমধ্যে মাঠে একটি টিম কাজ করছে। চোরেরা চিরকুট লিখে ফেলে যাওয়া মোবাইল নম্বর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুসন্ধানের কাজ চলছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।' তবে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মিটার সংরক্ষণে সতর্ক দৃষ্টিসহ আরও তৎপর হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বাণিজ্যিক বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পরেছে। একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল থ্রি ফেজ মিটার চুরি করে গ্রাহকদের মিটার ফেরত দেওয়ার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত এক মাসে প্রায় শতাধিক বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানায় মিটার চুরির কয়েকটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার (২১ জুন) রাতে সাটুরিয়ার নান্ধেশ্বরী শহীদ টিম্বার স মিলের থ্রি ফেজের বাণিজ্যিক মিটারটি চুরি হয়। শহীদ টিম্বারের মালিক সাংবাদিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, চোররা যাওয়ার সময় মোবাইল নম্বর (০১৯৮৭-২৩০৬৪৮) লিখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলেন। আমি টাকা না পাঠিয়ে মিলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখি, তখন আমার কাছে মিটার চুরির দৃশ্য ধরা পড়ে।
সাটুরিয়া পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন মিল কারখানা ও কৃষকের কৃষিকাজে ব্যবহৃত গভীর নলকূপ থেকে থ্রি ফেজের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করছে এক দল চোর। তাঁরা মিটার চুরি করে মিটারের বোর্ডে অথবা একটি কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে যাচ্ছে। লিখে যাওয়া মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দিলেই চুরি হওয়া মিটার পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় চলতি মাসে সাটুরিয়া থানায় ১৫টি চুরি মামলা করা হয়েছে। এরপরও প্রতি রাতেই তাঁরা কারও না কারও মিটার চুরি করছে।
সাটুরিয়া উপজেলার পল্লি বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতায় বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া মিটারের মালিকেরা হলেন, ১৮ মে উপজেলার দেলুয়া এলাকার আ. মালেকের ছেলে আক্তার হোসেন, কাউন্নারার আফসার উদ্দিনের ছেলে আতোয়ার রহমান, পুনাইলের আ. হাইয়ের ছেলে আলতাফ হোসেন, দেলুয়া এলাকার মেছেরের ছেলে ঠান্ডু, হরগজ মোড় এলাকার বিল্লালের রাইচ মিলের মিটার। এ ছাড়া ২৭ মে কান্দাপাড়া গণকল্যাণ ট্রাস্ট পোলট্রি ফার্মের মিটার, ৩০ মে জান্না গ্রামের নছু মৃধার ছেলে জলিল মৃধার মিটার, ২৯ এপ্রিল দিঘুলিয়া এলাকার বাছেদের ছেলে রেজাউল করিমের মিটার চুরি হয়েছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকগণ কল্যাণ ট্রাস্টের ল্যাব সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, `গত ১৮ মে আমার পোলট্রি হ্যাচারিতে লাগানো পল্লি বিদ্যুতের মিটারটি রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। ২৬ মে সকালে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে পুনরায় মিটারের সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু ২৭ মে দিবাগত রাতে আবারও বিদ্যুতের মিটারটি চুরি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে ২৭মে ও ২৯মে আলাদা আলাদাভাবে সাটুরিয়া থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।'
সাটুরিয়া পল্লি বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. ওবায়দুল্লাহ আল মাসুম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, `মিল কারখানার থ্রি ফেজ মিটার চুরির বিষয়ে মিল মালিকসহ আমরা উদ্বিগ্ন। প্রতিটি চুরির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে। তবে চোরেরা যে মিটার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে এই মিটার তাঁদের কোথাও বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। সেই জন্য তাঁরা চিরকুট লিখে মোবাইল নম্বর দিয়ে যাচ্ছে।'
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, `এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেয়েছি ইতিমধ্যে মাঠে একটি টিম কাজ করছে। চোরেরা চিরকুট লিখে ফেলে যাওয়া মোবাইল নম্বর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুসন্ধানের কাজ চলছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।' তবে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মিটার সংরক্ষণে সতর্ক দৃষ্টিসহ আরও তৎপর হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৬ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৮ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৯ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১২ দিন আগে