গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় আদালতের নির্দেশে আড়াই মাস পর কবর থেকে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ তোলা হয়েছে। স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নিহত সাবিনা ইয়াসমীন (২০) নামে ওই গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে মামলার পর আদালত এই নির্দেশ দেন।
আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গোসাইরহাট ইউনিয়নের কাশিখন্ড এলাকার বাবার বাড়ির কবরস্থান থেকে দাফনের দুই মাস ২০ দিন পর সাবিনার মরদেহ তোলা হয়।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন, গোসাইরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাস গুপ্ত ও গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম সিকদার। পরে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মামলায় নিহতের স্বামী শাহাদাত হোসেন রাজিব সরদার, শাশুড়ি রোকেয়া বেগম, ননদ কাকলী বেগমসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিখন্ড এলাকার কাঞ্চন গাইনের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে একই এলাকার শাহাদাত হোসেন রাজিব সরদারের (২৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ মাসের মাথায় লাশ হয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হতে হয় সাবিনাকে। তাঁর গর্ভে ছিল ৩ মাসের বাচ্চা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাবিনার আত্মহত্যার কথা জানালেও সাবিনার বাবা-মার দাবি তাদের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে নিহতের স্বামী ও তাঁর পরিবার।
গত ৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সাবিনাকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী শাহাদাত হোসেন রাজিব সরদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বাবা কাঞ্চন গাইন।
গৃহবধূর বাবা কাঞ্চন গাইন বলেন, ‘বিয়ের তিন মাস পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ওই এলাকার ইউসুফ ঢালীকে নিয়ে সালিসে সমাধান করার চেষ্টা করি। কিন্তু যৌতুক না দেওয়ায় সাবিনার ওপর শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। প্রতিবেশীদের নিকট জানতে পারি ২৬ আগস্ট সকাল থেকেই সাবিনাকে বেধড়ক মারধর করে তাঁর স্বামী রাজিব। পরে সন্ধ্যা ৭টার সময় কাঞ্চনকে ফোন করে রাজিব আমার মেয়ের আত্মহত্যার কথা জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে গিয়ে দেখি মেয়ের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। পরে সাবিনাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর জেলা মর্গে পাঠায় গোসাইরহাট থানা-পুলিশ। থানায় হত্যা মামলা না নেওয়ায় আমার মেয়ের স্বামী শাহাদাত হোসেন রাজিব সরদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করি। আমি আমার মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার চাই।’
সালিস করা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. ইউসুফ ঢালী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে সাবিনাকে নির্যাতনের বিষয়ে সাবিনার বাবা কাঞ্চন গাইন আমার কাছে অভিযোগ দেয়। পরে আমি দুই পরিবারকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেই। কিন্তু পরে শুনি আবার সাবিনাকে মারধর করে মেরে ফেলেছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক করছে। আমি চাই দোষীদের উপযুক্ত সাজা হোক।’
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম সিকদার বলেন, ‘আদালতে নির্দেশে এসি মহোদয়ের দায়িত্বে এবং আমরা মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরে পাঠানো হচ্ছে।’
গোসাইরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাস গুপ্ত বলেন, ‘আদালতের একটি আদেশ অনুসারে আমরা কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করেছি। স্থানীয় জনগণ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য লিপিবদ্ধ করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় আদালতের নির্দেশে আড়াই মাস পর কবর থেকে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ তোলা হয়েছে। স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নিহত সাবিনা ইয়াসমীন (২০) নামে ওই গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে মামলার পর আদালত এই নির্দেশ দেন।
আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গোসাইরহাট ইউনিয়নের কাশিখন্ড এলাকার বাবার বাড়ির কবরস্থান থেকে দাফনের দুই মাস ২০ দিন পর সাবিনার মরদেহ তোলা হয়।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন, গোসাইরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাস গুপ্ত ও গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম সিকদার। পরে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মামলায় নিহতের স্বামী শাহাদাত হোসেন রাজিব সরদার, শাশুড়ি রোকেয়া বেগম, ননদ কাকলী বেগমসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিখন্ড এলাকার কাঞ্চন গাইনের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে একই এলাকার শাহাদাত হোসেন রাজিব সরদারের (২৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ মাসের মাথায় লাশ হয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হতে হয় সাবিনাকে। তাঁর গর্ভে ছিল ৩ মাসের বাচ্চা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাবিনার আত্মহত্যার কথা জানালেও সাবিনার বাবা-মার দাবি তাদের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে নিহতের স্বামী ও তাঁর পরিবার।
গত ৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সাবিনাকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী শাহাদাত হোসেন রাজিব সরদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বাবা কাঞ্চন গাইন।
গৃহবধূর বাবা কাঞ্চন গাইন বলেন, ‘বিয়ের তিন মাস পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ওই এলাকার ইউসুফ ঢালীকে নিয়ে সালিসে সমাধান করার চেষ্টা করি। কিন্তু যৌতুক না দেওয়ায় সাবিনার ওপর শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। প্রতিবেশীদের নিকট জানতে পারি ২৬ আগস্ট সকাল থেকেই সাবিনাকে বেধড়ক মারধর করে তাঁর স্বামী রাজিব। পরে সন্ধ্যা ৭টার সময় কাঞ্চনকে ফোন করে রাজিব আমার মেয়ের আত্মহত্যার কথা জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে গিয়ে দেখি মেয়ের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। পরে সাবিনাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর জেলা মর্গে পাঠায় গোসাইরহাট থানা-পুলিশ। থানায় হত্যা মামলা না নেওয়ায় আমার মেয়ের স্বামী শাহাদাত হোসেন রাজিব সরদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করি। আমি আমার মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার চাই।’
সালিস করা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. ইউসুফ ঢালী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে সাবিনাকে নির্যাতনের বিষয়ে সাবিনার বাবা কাঞ্চন গাইন আমার কাছে অভিযোগ দেয়। পরে আমি দুই পরিবারকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেই। কিন্তু পরে শুনি আবার সাবিনাকে মারধর করে মেরে ফেলেছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক করছে। আমি চাই দোষীদের উপযুক্ত সাজা হোক।’
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম সিকদার বলেন, ‘আদালতে নির্দেশে এসি মহোদয়ের দায়িত্বে এবং আমরা মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরে পাঠানো হচ্ছে।’
গোসাইরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাস গুপ্ত বলেন, ‘আদালতের একটি আদেশ অনুসারে আমরা কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করেছি। স্থানীয় জনগণ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য লিপিবদ্ধ করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে