Ajker Patrika

মালিক না পাওয়ায় চুরির ৫ গরু নিলামে, টাকা পেল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চুরি হওয়া গরু রাজধানীতে উদ্ধারের পর প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় পাঁচটি গরু নিলামে বিক্রি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম কোর্টে উন্মুক্ত নিলামে গরুগুলো বিক্রি করা হয়। এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।

এ সময়ে গরু চুরি ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—জাকির হোসেন (৪২), মো. বিল্লাল মিয়া (৩৮), ইউসুফ (৩২), মো. রিপন (২২), রজব আলী (২৭)। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কদমতলী থানার নুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি করে আনা আরও পাঁচটি গরু উদ্ধার করা হয়। 

সেই সঙ্গে এই ঘটনায় চক্রের প্রধান মো. সোহেল (৩০), মো. আলামিন (৪৫) ও মো. আলমগীর ওরফে মামুন (৩৫) পালিয়ে যায়। 

এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিএমএম কোর্টের জিআর শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন। উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানীর গাবতলী থেকে একটি ও কদমতলী থেকে চারটি গরু উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। পরে আজ বৃহস্পতিবার আদালত প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে মোট ৩৫ জন অংশ নেন। আইন অনুযায়ী পাঁচটি গরু সর্বোচ্চ দাম চার লাখ ১১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই দামের সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করে যা আসে, সেই দামে আদালত অংশগ্রহণকারীদের হাতে গরুগুলো তুলে দেন।’

বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চুরি হওয়া গরু রাজধানীতে উদ্ধারের পর প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় পাঁচটি গরু নিলামে বিক্রি করেছেন আদালতপুলিশ বলছে, রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানার গাবতলি এলাকা ও পুরান ঢাকার কদমতলীর থানা নুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি করে বিক্রির জন্য আনা ছয়টি গরু উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। গত ১২ মে পৃথক অভিযানে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া গরুগুলোর একটির মালিক পাওয়া যায়, বাকিগুলোর মালিকানা না পাওয়ায় আদালতে হাজির করে পুলিশ। এই ঘটনায় আছির উদ্দিন নামের এক গরু ব্যবসায়ী বাদী হয়ে দারুস সালাম থানায় একটি মামলা করেন।

এ দিকে মামলা সূত্রে জানা গেছে, মে মাসের ১১ তারিখ বাদী আছির উদ্দিন ও তাঁর অংশীদারি ব্যবসায়ী সিরাজগঞ্জের সদর থানার কালিয়া কান্দাপাড়া গরুর হাট থেকে একটি গরু কেনেন। গরু কেনা শেষে চা খেতে গেলে গরুটি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঢাকা আনার পথে গাবতলী এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় গরুটি উদ্ধার করেন তিনি। 

চুরি হওয়া গরুগুলো কোথায় যায়

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মান্দারপাড়া এলাকার আম্বর আলীর ছেলে মো. সোহেল এই চক্রের প্রধান। চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে এনে তাঁর কাছে বিক্রি করে। এ ছাড়া প্রথমে ঢাকার গরু এনে কদমতলীর নুরপুর এলাকার কসাই মো. মামুন ওরফে আলমগীরের কাছে রাখা হয়। সেখান থেকে গরুগুলো হাত বদল হয়। গত মেয়ে মাসের ১ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে এই চক্রটি অন্তত ১০টি গরু চুরি করেছিল বলে জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত