Ajker Patrika

ভাড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, যাত্রীর মারধরে বাসচালকের মৃত্যু

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২২, ১২: ০৩
ভাড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, যাত্রীর মারধরে বাসচালকের মৃত্যু

সাভারের আশুলিয়ায় এক যাত্রী ও তাঁর লোকদের মারধরের শিকার হয়ে এক বাসচালক মারা গেছেন। চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানার পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর ইটখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে উদ্ধার করে বাসচালককে নারী ও শিশু হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

জানা গেছে, নিহত বাসচালকের নাম মো. আরিফ (২৬)। তিনি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বেশগ্রিপাড়ার মো. মোস্তফার ছেলে। আরিফ গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় ভাড়া থাকতেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনাবাড়ী থেকে কিরণমালা পরিবহনের একটি বাস মিরপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসের এক যাত্রী ভাড়া না দিয়েই ইটখোলা বাসস্ট্যান্ডে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে সেই যাত্রীর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বাসচালক আরিফ। পরে সেই যাত্রীর ডাকে চায়ের দোকানে বসে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে বাসচালককে মারধর শুরু করেন। এর পরই অচেতন হয়ে পড়েন আরিফ। পরে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

বাসচালকের সহকারী মো. খোকন বলেন, ‘ওই যাত্রী কোনাবাড়ী থেকে বাসে ওঠেন। এর পর থেকে ভাড়া চাইলেই তিনি পরে দেবেন, পরে দেবেন বলতে থাকেন। পরে ইটখোলা বাসস্ট্যান্ডে চলে এলেও তিনি ভাড়া দেননি। আমি ড্রাইভারকে বলি যে বাস থামান, একজন নামবে। পরে সেই যাত্রী নামে, কিন্তু তখনো ভাড়া দেয়নি। ওই যাত্রী নেমে রাস্তা থেকে ইট নেয় বাসে ঢিল ছোড়ার উদ্দেশ্যে। ততক্ষণে বাসচালক সিট থেকে নেমে এসে সেই যাত্রীর হাত ধরে বলেন, ভাই, ভাড়াটা দিয়ে যান। তখন সেই যাত্রী বাসচালককে মারধর শুরু করে। পরে বাসস্ট্যান্ডের পাশের চায়ের দোকান থেকে ওই যাত্রীর ডাকে আরও লোকজন এসে চালককে মারধর শুরু করেন। ড্রাইভার তখন দৌড়ে বাসে গিয়ে শুয়ে পড়েন। এর পরে প্রস্রাব করে দিয়ে অচেতন হয়ে যান। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করে নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।’ 

খোকন আরও বলেন, ‘আমাকেও ঘুষি মেরেছে তারা। পরে আমি প্রতিবন্ধী বুঝতে পেরে আমাকে আর মারেনি। আমাদের গাড়ির কোম্পানির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। শুনেছি তার পরিবারের লোকজনও আসছে। আমি আজকেই প্রথম এই ড্রাইভারের সঙ্গে ট্রিপে এসেছিলাম।’

আশুলিয়া থানার এসআই আল মামুন কবির বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে নারী ও শিশু কেন্দ্র হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। ঘটনাস্থলে গিয়েও প্রাথমিক তদন্ত করেছি। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

বগুড়ায় ইফতারের পর ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত