Ajker Patrika

পিবিআই প্রধানের মামলায় বাবুল ও ইলিয়াসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১১: ৫৯
পিবিআই প্রধানের মামলায় বাবুল ও ইলিয়াসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র  

পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আকতার ও সাংবাদিক ইলিয়াসসহ চারজন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি দাখিল করা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের মামলার অভিযোগপত্রে এ কথা বলা হয়েছে।

গত ৯ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয় থেকে জানা গেছে।

মামলার অন্য দুই আসামি হলেন বাবুল আকতারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।

তাঁদের মধ্যে বাবুল আকতারকে গত বছরের ১০ নভেম্বর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি কারাগারে আছেন। বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া জামিনে আছেন।

এর আগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

বাদী বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নাম বেরিয়ে এলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে এবং পুলিশ-পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য জেলে থাকা বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা দেশ-বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আকতার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচনায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তাঁর ইউটিউবে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআই, বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন, যা দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছে।

এজাহারে ওই ভিডিওর বিভিন্ন অভিযোগ খণ্ডন করে বলা হয়, ইলিয়াস তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা, রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করেছেন। 

এজাহারে আরও বলা হয়, শুধু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু, তার বাবা আসামি আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও আসামি বাবুল আকতারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচনায় সাংবাদিক ইলিয়াস মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুক-ইউটিউবে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বঙ্গবন্ধু ও মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বহাল থাকছে

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদায় বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত