Ajker Patrika

শুটিংয়ের ডেলিভারি ম্যানের ড্যান্স ক্লাব, আড়ালে নারীপাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ৩৫
শুটিংয়ের ডেলিভারি ম্যানের ড্যান্স ক্লাব, আড়ালে নারীপাচার

ভাগ্য উন্নয়নের আশায় ২০০১ সালে কুমিল্লা থেকে রাজধানীতে আসেন কামরুল ইসলাম। শুরু করেন রিকশা চালানো। ২০১৬ সালে এফডিসি ও বিভিন্ন শুটিংস্পটে মালামাল ডেলিভারির মাধ্যমে আসা-যাওয়া শুরু তাঁর। এরপর নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন ‘ড্যান্স ক্লাব’। সেখানে তরুণীদের নাচ-গান শেখানোর আড়ালে ব্ল্যাকমেইল করে অনৈতিক কাজে বাধ্য করতেন। ক্লাবের মাধ্যমে অনেককে ভারতে পাচারও করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন নারী দেশটির কারাগারে রয়েছেন। ড্যান্স ক্লাব বা সেলুনে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে শতাধিক নারীকে ভারতে পাচার করেছেন কামরুল। 
 
আজ শনিবার দুপুরে র‍্যাব-৪ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান বাহিনির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, তেজগাঁও এবং চুয়াডাঙ্গা থেকে পাচার হওয়ার মুখে ২৩ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পৃথক নারী পাচারচক্রের প্রধান অভিযুক্তসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

 পৃথক নারী পাচারচক্রের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকাগ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভারতে নারী পাচার চক্রের মূলহোতা কামরুল ইসলাম জলিল ওরফে ডিজে কামরুল, রিপন মোল্লা, আসাদুজ্জামান সেলিম, নাইমুর রহমান। মধ্যপ্রাচ্যে নারী পাচার চক্রের বাকি সদস্যরা হলেন-নুর নবী ভুইয়া রানা, আবুল বাশার, আল ইমরান, মনিরুজ্জামান, শহিদ শিকদার, প্রমোদ চন্দ্র দাস ও টোকন। 

অভিযানে ৫৩টি পাসপোর্ট, ২০টি মোবাইল, বিদেশি মদ, ২৩ ক্যান বিয়ার, দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। 

 ‘কামরুল ড্যান্স কিংডম’ নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নারীপাচার করতেন কামরুল। ছবি: আজকের পত্রিকার‍্যাব মুখপাত্র কমান্ডার মঈন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ভারতে মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা কামরুল ইসলাম জলিল ওরফে ডিজে কামরুল ওরফে ড্যান্স কামরুল। এই চক্রে প্রায় ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে চক্রটি সক্রিয়। বিভিন্ন জেলা থেকে কমবয়সী নারীদের ফাঁদে ফেলে এবং প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে। 

নাচ ও গান শেখানোর কথা বলে প্রত্যন্ত এলাকার তরুণীদের প্রলুব্ধ করতেন কামরুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকাপ্রথমে চক্রটি নাচ বা ড্যান্স শেখানোর নামে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সুন্দরী মেয়েদের ঢাকায় নিয়ে আসত। পরে তাদের বেপোয়ারা জীবনযাপনে অভ্যস্ত করত। পরে তাদের ভারতে ভালো চাকরির লোভ দেখিয়ে পাচার করতো। এভাবে তিন বছরে শতাধিক মেয়েকে পাচার করেছে চক্রটি। 

র‍্যাবের মুখপাত্র জানান, এই চক্রের সঙ্গে ভারতীয় সিন্ডিকেটের যোগসাজশ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত