Ajker Patrika

গাজীপুরে দিনদুপুরে ডাকাতি, দুই সহোদরসহ গ্রেপ্তার ৯

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯: ২৪
গাজীপুরে দিনদুপুরে ডাকাতি, দুই সহোদরসহ গ্রেপ্তার ৯

ককটেল ফাটিয়ে দিনদুপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির এক মাস পর অস্ত্র, গুলি, ককটেলসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের দুই সহোদরসহ ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)। গতকাল সোমবার মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন তেতুইবাড়ী (সানসিটি) এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জিএমপির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আনোয়ার হোসেন, রুবেল, বাবুল বেপারী বাবু, জাকির হোসেন ফরাজী, সোলাইমান আকন, সাগর বাড়ই, মৃদুল বাড়ই, ইউসুফ আলী রানা ও বিধান হালদার।

ডাকাতদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, একটি তাজা গুলি, ১২টি অবিস্ফোরিত ককটেল, তিনটি চাপাতি, দুইটি মোটরসাইকেল, দুইটি হেলমেট, একটি অটোরিকশা, দুইটি পিস্তলের গুলির খালি খোসা, সাতটি কার্তুজের খোসা এবং একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে।

জিএমপির কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, গত ১৬ আগস্ট দুপুরে মহানগরের কাশিমপুর থানার এনায়েতপুরের আনার আলী জুট কারখানার সামনে ছয়-সাতজন ডাকাত মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় এসে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের ডিএসএম শাহেদ শরীফকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা লুটে নেওয়া হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার ডাকাত দলের সদস্য ইউসুফ আলী রানা (৩৫) এবং বিধান হালদারকে (৩১) কাশিমপুরের তেতুইবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানান, তাঁদের অপর সহযোগীরা রাত ৩টায় কাশিমপুর থানার লোহাকৈর এলাকার খান ব্রাদার্স খেলার মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতির জন্য মিলিত হবে। পরে পুলিশ রাত ১২টায় ওই খেলার মাঠের আশপাশের দোকানে অবস্থান নেয়। এ সময় ডাকাত দলের কয়েকজন মাঠে প্রবেশ করে। পুলিশ মাঠের চারপাশ ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাতরা তাদের কাছে থাকা চাপাতি, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরকদ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করে। পরে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাত সদস্য সোলাইমান আকন (৪০) এবং বিস্ফোরক দ্রব্যের আঘাতে পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজার আহত হন। এ সময় দৌড়ে পালানোর সময় ধাওয়া করে সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আহত পুলিশ সদস্যকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় কাশিমপুর থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ, কর্তব্যরত পুলিশের ওপর আক্রমণ, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, বিস্ফোরক মজুত ও বিস্ফোরণ ঘটানোর অপরাধে চারটি পৃথক মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নামে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, রংপুর জেলা এবং ঢাকার বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) জিয়াউল হক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মো. দেলোয়ার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবু তোরাব শামসুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) ইলতুৎ মিশ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ইব্রাহিম খান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মিডিয়া), মো. আলমগীর হোসেনসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত