নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণটিকার ক্যাম্পেইনের সময় রাজধানীর উত্তরখানের একটি কেন্দ্র থেকে ‘মডার্নার টিকা’ চুরি করেছিলেন একটি ফার্মেসির মালিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার। সেই টিকা তিনি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। পুলিশের ধারণা, তিনি প্রায় ৫০০ মানুষের কাছে এভাবে টিকা বিক্রি করেছেন। বুধবার রাতে দক্ষিণখানের ‘দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা’ নামের একটি ক্লিনিকে ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে দুই অ্যাম্পুল মডার্না ভ্যাকসিন এবং ২০টি খালি বাক্স জব্দ করা হয়। গতকাল তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, টিকা উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলে কারা থাকতে পারে, সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অধিদপ্তরের কারও সম্পৃক্ততা থাকলে তাও বের করা হবে।
টিকা চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ফার্মেসির মালিকসহ অজ্ঞাত আরও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে নেওয়ার পর বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত ২৩ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হকের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত বুধবার রাতে দক্ষিণখান চালাবনের হাজীপাড়া এলাকার দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে দুই অ্যাম্পুল টিকা এবং ২০টি খালি বাক্স জব্দ করে পুলিশ। সাধারণত প্রতি বাক্সে ১০টি করে অ্যাম্পুল থাকে। পুলিশের অভিযানের সময় এক দম্পতিকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, ওই ফার্মেসি থেকে আরও অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর সংখ্যা ৫০০-এর বেশি বলে পুলিশের ধারণা।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া বিজয় কৃষ্ণ এসব টিকার ডোজ ৫০০ টাকা করে বিক্রি করতেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ওই ক্লিনিকের পাশের এক দোকানি ও তাঁর স্ত্রীকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে।
প্রশ্ন হলো, সরকারি টিকা এই ফার্মেসি মালিকের কাছে কীভাবে গেল? তার জবাব দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি সবকিছু স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন টিকাদান কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সময় সেখান থেকেই তিনি টিকা সরিয়েছিলেন। পরে কোনো ডোজ ৫০০ টাকা, আবার কোনো ডোজ ১০০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) আমরা অনুরোধ করেছি, ওই এলাকায় যে কেন্দ্রগুলো ছিল, সেখানকার টিকার খালি ভায়াল ও ডোজের হিসাব মেলানোর জন্য। তদন্তে সেটাও লাগবে।’
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ডের উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুলের কেন্দ্রের দায়িত্ব ছিলেন অভিযুক্ত বিজয় কৃষ্ণ তালুকার। টিকা দেওয়ার দায়িত্বে ছিল দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিকের, যার মালিক বিজয় নিজে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় বাবু নামে পরিচিত। গণটিকার ক্যাম্পেইন চলার সময় প্রতিদিন ৩৫০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৫টি করে মডার্নার ভায়াল তাঁর কেন্দ্রে নিতেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে ৫-৭ ডোজ কম হতো। তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ভায়ালে ১৪ জনকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও বিজয় সব সময় কমবেশি করতেন। পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত থাকা ডোজগুলো রেখে কৌশলে বিক্রি করে দিতেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) নিজস্ব সংক্ষরণাগারে কঠোর নিরাপত্তায় সংরক্ষণে রাখা হয়। সেখান থেকে বরাদ্দ অনুযায়ী টিকাকেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়। করোনার টিকা কীভাবে ক্লিনিকে গেল জানতে চাইলে ইপিআইয়ের ব্যবস্থাপক ডা. মওলা বক্স চৌধুরী বলেন, ‘কীভাবে এই টিকা গেল তা এখনো বলতে পারছি না। আমরা অবশ্যই এটা নিয়ে তদন্ত করব। ঘটনার সঙ্গে যাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পেইনের আগের দিন টিকাগুলো সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রে পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে টিকাদানের দিন সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে সেগুলো পাঠানো হয়। সেখান থেকেও কোনো না কোনোভাবে এসব টিকা নেওয়া হতে পারে।

গণটিকার ক্যাম্পেইনের সময় রাজধানীর উত্তরখানের একটি কেন্দ্র থেকে ‘মডার্নার টিকা’ চুরি করেছিলেন একটি ফার্মেসির মালিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার। সেই টিকা তিনি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। পুলিশের ধারণা, তিনি প্রায় ৫০০ মানুষের কাছে এভাবে টিকা বিক্রি করেছেন। বুধবার রাতে দক্ষিণখানের ‘দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা’ নামের একটি ক্লিনিকে ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে দুই অ্যাম্পুল মডার্না ভ্যাকসিন এবং ২০টি খালি বাক্স জব্দ করা হয়। গতকাল তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, টিকা উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলে কারা থাকতে পারে, সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অধিদপ্তরের কারও সম্পৃক্ততা থাকলে তাও বের করা হবে।
টিকা চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ফার্মেসির মালিকসহ অজ্ঞাত আরও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে নেওয়ার পর বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত ২৩ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হকের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত বুধবার রাতে দক্ষিণখান চালাবনের হাজীপাড়া এলাকার দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে দুই অ্যাম্পুল টিকা এবং ২০টি খালি বাক্স জব্দ করে পুলিশ। সাধারণত প্রতি বাক্সে ১০টি করে অ্যাম্পুল থাকে। পুলিশের অভিযানের সময় এক দম্পতিকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, ওই ফার্মেসি থেকে আরও অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর সংখ্যা ৫০০-এর বেশি বলে পুলিশের ধারণা।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া বিজয় কৃষ্ণ এসব টিকার ডোজ ৫০০ টাকা করে বিক্রি করতেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ওই ক্লিনিকের পাশের এক দোকানি ও তাঁর স্ত্রীকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে।
প্রশ্ন হলো, সরকারি টিকা এই ফার্মেসি মালিকের কাছে কীভাবে গেল? তার জবাব দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি সবকিছু স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন টিকাদান কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সময় সেখান থেকেই তিনি টিকা সরিয়েছিলেন। পরে কোনো ডোজ ৫০০ টাকা, আবার কোনো ডোজ ১০০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) আমরা অনুরোধ করেছি, ওই এলাকায় যে কেন্দ্রগুলো ছিল, সেখানকার টিকার খালি ভায়াল ও ডোজের হিসাব মেলানোর জন্য। তদন্তে সেটাও লাগবে।’
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ডের উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুলের কেন্দ্রের দায়িত্ব ছিলেন অভিযুক্ত বিজয় কৃষ্ণ তালুকার। টিকা দেওয়ার দায়িত্বে ছিল দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিকের, যার মালিক বিজয় নিজে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় বাবু নামে পরিচিত। গণটিকার ক্যাম্পেইন চলার সময় প্রতিদিন ৩৫০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৫টি করে মডার্নার ভায়াল তাঁর কেন্দ্রে নিতেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে ৫-৭ ডোজ কম হতো। তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ভায়ালে ১৪ জনকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও বিজয় সব সময় কমবেশি করতেন। পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত থাকা ডোজগুলো রেখে কৌশলে বিক্রি করে দিতেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) নিজস্ব সংক্ষরণাগারে কঠোর নিরাপত্তায় সংরক্ষণে রাখা হয়। সেখান থেকে বরাদ্দ অনুযায়ী টিকাকেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়। করোনার টিকা কীভাবে ক্লিনিকে গেল জানতে চাইলে ইপিআইয়ের ব্যবস্থাপক ডা. মওলা বক্স চৌধুরী বলেন, ‘কীভাবে এই টিকা গেল তা এখনো বলতে পারছি না। আমরা অবশ্যই এটা নিয়ে তদন্ত করব। ঘটনার সঙ্গে যাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পেইনের আগের দিন টিকাগুলো সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রে পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে টিকাদানের দিন সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে সেগুলো পাঠানো হয়। সেখান থেকেও কোনো না কোনোভাবে এসব টিকা নেওয়া হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণটিকার ক্যাম্পেইনের সময় রাজধানীর উত্তরখানের একটি কেন্দ্র থেকে ‘মডার্নার টিকা’ চুরি করেছিলেন একটি ফার্মেসির মালিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার। সেই টিকা তিনি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। পুলিশের ধারণা, তিনি প্রায় ৫০০ মানুষের কাছে এভাবে টিকা বিক্রি করেছেন। বুধবার রাতে দক্ষিণখানের ‘দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা’ নামের একটি ক্লিনিকে ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে দুই অ্যাম্পুল মডার্না ভ্যাকসিন এবং ২০টি খালি বাক্স জব্দ করা হয়। গতকাল তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, টিকা উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলে কারা থাকতে পারে, সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অধিদপ্তরের কারও সম্পৃক্ততা থাকলে তাও বের করা হবে।
টিকা চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ফার্মেসির মালিকসহ অজ্ঞাত আরও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে নেওয়ার পর বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত ২৩ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হকের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত বুধবার রাতে দক্ষিণখান চালাবনের হাজীপাড়া এলাকার দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে দুই অ্যাম্পুল টিকা এবং ২০টি খালি বাক্স জব্দ করে পুলিশ। সাধারণত প্রতি বাক্সে ১০টি করে অ্যাম্পুল থাকে। পুলিশের অভিযানের সময় এক দম্পতিকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, ওই ফার্মেসি থেকে আরও অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর সংখ্যা ৫০০-এর বেশি বলে পুলিশের ধারণা।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া বিজয় কৃষ্ণ এসব টিকার ডোজ ৫০০ টাকা করে বিক্রি করতেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ওই ক্লিনিকের পাশের এক দোকানি ও তাঁর স্ত্রীকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে।
প্রশ্ন হলো, সরকারি টিকা এই ফার্মেসি মালিকের কাছে কীভাবে গেল? তার জবাব দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি সবকিছু স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন টিকাদান কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সময় সেখান থেকেই তিনি টিকা সরিয়েছিলেন। পরে কোনো ডোজ ৫০০ টাকা, আবার কোনো ডোজ ১০০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) আমরা অনুরোধ করেছি, ওই এলাকায় যে কেন্দ্রগুলো ছিল, সেখানকার টিকার খালি ভায়াল ও ডোজের হিসাব মেলানোর জন্য। তদন্তে সেটাও লাগবে।’
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ডের উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুলের কেন্দ্রের দায়িত্ব ছিলেন অভিযুক্ত বিজয় কৃষ্ণ তালুকার। টিকা দেওয়ার দায়িত্বে ছিল দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিকের, যার মালিক বিজয় নিজে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় বাবু নামে পরিচিত। গণটিকার ক্যাম্পেইন চলার সময় প্রতিদিন ৩৫০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৫টি করে মডার্নার ভায়াল তাঁর কেন্দ্রে নিতেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে ৫-৭ ডোজ কম হতো। তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ভায়ালে ১৪ জনকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও বিজয় সব সময় কমবেশি করতেন। পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত থাকা ডোজগুলো রেখে কৌশলে বিক্রি করে দিতেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) নিজস্ব সংক্ষরণাগারে কঠোর নিরাপত্তায় সংরক্ষণে রাখা হয়। সেখান থেকে বরাদ্দ অনুযায়ী টিকাকেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়। করোনার টিকা কীভাবে ক্লিনিকে গেল জানতে চাইলে ইপিআইয়ের ব্যবস্থাপক ডা. মওলা বক্স চৌধুরী বলেন, ‘কীভাবে এই টিকা গেল তা এখনো বলতে পারছি না। আমরা অবশ্যই এটা নিয়ে তদন্ত করব। ঘটনার সঙ্গে যাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পেইনের আগের দিন টিকাগুলো সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রে পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে টিকাদানের দিন সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে সেগুলো পাঠানো হয়। সেখান থেকেও কোনো না কোনোভাবে এসব টিকা নেওয়া হতে পারে।

গণটিকার ক্যাম্পেইনের সময় রাজধানীর উত্তরখানের একটি কেন্দ্র থেকে ‘মডার্নার টিকা’ চুরি করেছিলেন একটি ফার্মেসির মালিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার। সেই টিকা তিনি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। পুলিশের ধারণা, তিনি প্রায় ৫০০ মানুষের কাছে এভাবে টিকা বিক্রি করেছেন। বুধবার রাতে দক্ষিণখানের ‘দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা’ নামের একটি ক্লিনিকে ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে দুই অ্যাম্পুল মডার্না ভ্যাকসিন এবং ২০টি খালি বাক্স জব্দ করা হয়। গতকাল তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, টিকা উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলে কারা থাকতে পারে, সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অধিদপ্তরের কারও সম্পৃক্ততা থাকলে তাও বের করা হবে।
টিকা চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ফার্মেসির মালিকসহ অজ্ঞাত আরও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে নেওয়ার পর বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত ২৩ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হকের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত বুধবার রাতে দক্ষিণখান চালাবনের হাজীপাড়া এলাকার দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে দুই অ্যাম্পুল টিকা এবং ২০টি খালি বাক্স জব্দ করে পুলিশ। সাধারণত প্রতি বাক্সে ১০টি করে অ্যাম্পুল থাকে। পুলিশের অভিযানের সময় এক দম্পতিকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, ওই ফার্মেসি থেকে আরও অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর সংখ্যা ৫০০-এর বেশি বলে পুলিশের ধারণা।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া বিজয় কৃষ্ণ এসব টিকার ডোজ ৫০০ টাকা করে বিক্রি করতেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ওই ক্লিনিকের পাশের এক দোকানি ও তাঁর স্ত্রীকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে।
প্রশ্ন হলো, সরকারি টিকা এই ফার্মেসি মালিকের কাছে কীভাবে গেল? তার জবাব দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি সবকিছু স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন টিকাদান কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সময় সেখান থেকেই তিনি টিকা সরিয়েছিলেন। পরে কোনো ডোজ ৫০০ টাকা, আবার কোনো ডোজ ১০০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) আমরা অনুরোধ করেছি, ওই এলাকায় যে কেন্দ্রগুলো ছিল, সেখানকার টিকার খালি ভায়াল ও ডোজের হিসাব মেলানোর জন্য। তদন্তে সেটাও লাগবে।’
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ডের উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুলের কেন্দ্রের দায়িত্ব ছিলেন অভিযুক্ত বিজয় কৃষ্ণ তালুকার। টিকা দেওয়ার দায়িত্বে ছিল দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিকের, যার মালিক বিজয় নিজে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় বাবু নামে পরিচিত। গণটিকার ক্যাম্পেইন চলার সময় প্রতিদিন ৩৫০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৫টি করে মডার্নার ভায়াল তাঁর কেন্দ্রে নিতেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে ৫-৭ ডোজ কম হতো। তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ভায়ালে ১৪ জনকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও বিজয় সব সময় কমবেশি করতেন। পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত থাকা ডোজগুলো রেখে কৌশলে বিক্রি করে দিতেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) নিজস্ব সংক্ষরণাগারে কঠোর নিরাপত্তায় সংরক্ষণে রাখা হয়। সেখান থেকে বরাদ্দ অনুযায়ী টিকাকেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়। করোনার টিকা কীভাবে ক্লিনিকে গেল জানতে চাইলে ইপিআইয়ের ব্যবস্থাপক ডা. মওলা বক্স চৌধুরী বলেন, ‘কীভাবে এই টিকা গেল তা এখনো বলতে পারছি না। আমরা অবশ্যই এটা নিয়ে তদন্ত করব। ঘটনার সঙ্গে যাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পেইনের আগের দিন টিকাগুলো সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রে পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে টিকাদানের দিন সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে সেগুলো পাঠানো হয়। সেখান থেকেও কোনো না কোনোভাবে এসব টিকা নেওয়া হতে পারে।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গণটিকার ক্যাম্পেইনের সময় রাজধানীর উত্তরখানের একটি কেন্দ্র থেকে ‘মডার্নার টিকা’ চুরি করেছিলেন একটি ফার্মেসির মালিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার। সেই টিকা তিনি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে।
২০ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

গণটিকার ক্যাম্পেইনের সময় রাজধানীর উত্তরখানের একটি কেন্দ্র থেকে ‘মডার্নার টিকা’ চুরি করেছিলেন একটি ফার্মেসির মালিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার। সেই টিকা তিনি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে।
২০ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গণটিকার ক্যাম্পেইনের সময় রাজধানীর উত্তরখানের একটি কেন্দ্র থেকে ‘মডার্নার টিকা’ চুরি করেছিলেন একটি ফার্মেসির মালিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার। সেই টিকা তিনি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে।
২০ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

গণটিকার ক্যাম্পেইনের সময় রাজধানীর উত্তরখানের একটি কেন্দ্র থেকে ‘মডার্নার টিকা’ চুরি করেছিলেন একটি ফার্মেসির মালিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার। সেই টিকা তিনি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে।
২০ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে