জবি প্রতিনিধি
সরকার বিরোধী স্লোগান ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার যুক্তিতে কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানালেও এখন কোন আইনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন পদক্ষেপ নিল তা জানতে চেয়েছে ওই শিক্ষার্থীদের পরিবার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে তাঁরা এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
তারা জানান, তাঁদের সন্তানদের সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা সেটা না করে পুলিশের অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে।
আজ প্রক্টর অফিসে আসেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলামের বড় ভাই ওহেদুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আইনে তাঁর ছোট ভাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে জানতে চান তিনি।
ওহেদুল বলেন, ‘আমার ভাই আমার সঙ্গেই মিরপুরের বাসায় থাকত। আসা যাওয়া দূর হয় বলে দুই মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে টু-লেট দেখে একটি মেসে তুলে দিই। ২৪ মার্চ ভোররাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে জানতে পারি তার নামে মামলা হয়েছে। এদিকে নতুন করে ২০২১ সালের যাত্রাবাড়ী থানার আরেকটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আমার ভাই ২০২১ সালে করোনার পুরো সময়টা গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে ছিল। সামনে যে তাকে নতুন কোনো মামলায় ফাঁসানো হবে না, তার নিশ্চয়তা কি?’
ওহেদুল আরও বলেন, ‘আমরা নিরীহ মানুষ। আমার ভাইটা নির্দোষ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার ভাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এমন ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত। আমার ভাইয়ের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সবার সহযোগিতা চাই।’
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে সদ্য ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রওশনুল ফেরদৌস রিফাতও একই মামলার আসামি। তাঁর বাবা নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল করিম কল্লোল। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আগ থেকেই তাঁর ছেলে ছাত্রলীগ করতেন এবং কখনো শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
মোরশেদুল করিম বলেন, ‘২০২১ সালে আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করছিল এলাকায়। অথচ সেই সময়ের এক মামলায়ও তাকে ফাঁসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সামনের দিনগুলো কীভাবে যাবে জানি না।’ জামিনের পর ছেলের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের পরিবার আমাদের কাছে আসছে। আমরা আশ্বস্ত করেছি, জামিন নিয়ে এলে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। পরবর্তীতে তাঁদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়টাও আমরা দেখব। তাদের নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আদালত যদি শিক্ষার্থীদের জামিন দেয় বা তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
সরকার বিরোধী স্লোগান ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার যুক্তিতে কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানালেও এখন কোন আইনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন পদক্ষেপ নিল তা জানতে চেয়েছে ওই শিক্ষার্থীদের পরিবার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে তাঁরা এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
তারা জানান, তাঁদের সন্তানদের সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা সেটা না করে পুলিশের অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে।
আজ প্রক্টর অফিসে আসেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলামের বড় ভাই ওহেদুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আইনে তাঁর ছোট ভাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে জানতে চান তিনি।
ওহেদুল বলেন, ‘আমার ভাই আমার সঙ্গেই মিরপুরের বাসায় থাকত। আসা যাওয়া দূর হয় বলে দুই মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে টু-লেট দেখে একটি মেসে তুলে দিই। ২৪ মার্চ ভোররাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে জানতে পারি তার নামে মামলা হয়েছে। এদিকে নতুন করে ২০২১ সালের যাত্রাবাড়ী থানার আরেকটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আমার ভাই ২০২১ সালে করোনার পুরো সময়টা গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে ছিল। সামনে যে তাকে নতুন কোনো মামলায় ফাঁসানো হবে না, তার নিশ্চয়তা কি?’
ওহেদুল আরও বলেন, ‘আমরা নিরীহ মানুষ। আমার ভাইটা নির্দোষ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার ভাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এমন ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত। আমার ভাইয়ের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সবার সহযোগিতা চাই।’
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে সদ্য ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রওশনুল ফেরদৌস রিফাতও একই মামলার আসামি। তাঁর বাবা নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল করিম কল্লোল। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আগ থেকেই তাঁর ছেলে ছাত্রলীগ করতেন এবং কখনো শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
মোরশেদুল করিম বলেন, ‘২০২১ সালে আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করছিল এলাকায়। অথচ সেই সময়ের এক মামলায়ও তাকে ফাঁসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সামনের দিনগুলো কীভাবে যাবে জানি না।’ জামিনের পর ছেলের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের পরিবার আমাদের কাছে আসছে। আমরা আশ্বস্ত করেছি, জামিন নিয়ে এলে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। পরবর্তীতে তাঁদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়টাও আমরা দেখব। তাদের নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আদালত যদি শিক্ষার্থীদের জামিন দেয় বা তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৬ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৭ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৮ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫