মাদারীপুর প্রতিনিধি
অনৈতিক কাজের ভিডিও মুছতে মাদারীপুরের কালকিনিতে এক বন্ধু হত্যা করল আরেক বন্ধুকে । এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম সরদারকে হত্যার এক সপ্তাহ পর তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদযাটন করল পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা জহিরুলের বন্ধু নুরুজ্জামান ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনে কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। পরে দুপুরে নুরুজ্জামান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি কালকিনি উপজেলার মহরদ্দিনচর এলাকার সালাম হাওলাদের ছেলে নুরুজ্জামান ইসলাম। সে নিহত জহিরুল ইসলামের বন্ধু।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘নিহত জহিরুল ও নুরুজ্জামান খুব ভালো বন্ধু ছিল। নুরুজ্জামান বিভিন্ন সময়ে জহিরুলের বাসায় যেতো। তারা বিভিন্ন সময়ে পতিতাদের সঙ্গে থাকত। কোনো এক সময়ে পতিতার সঙ্গে নুরুজ্জামানের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তার মুঠোফোনে ধারণ করে জহিরুল। সেই ভিডিও দিয়ে নুরুজ্জামানকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন জহিরুল। একপর্যায়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে জহিরুলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে নুরুজ্জামান। ঘটনার দিন গেল ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নুরুজ্জামান জহিরুলের বাসায় আসে। আনুমানিক রাত ৪ থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ঘুমিয়ে থাকা জহিরুলকে ধারালো দা দিয়ে পেছন থেকে ঘাড়ে কোপ দেয়। এবং বেশ কয়েকটি কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে পালিয়ে যায় নুরুজ্জামান।’
এসপি আরও বলেন, ‘পরের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে নিজ কক্ষে জহিরুল ইসলামে গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি নিহতের ভাই শাহীন সরদার বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরে জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদারীপুর ও কালকিনি থানা-পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল বুধবার ঢাকার শ্যামপুর এলাকা হতে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে জহিরুলের ব্যবহারকৃত মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়। নুরুজ্জামান পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।’
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘আমরা ঘটনার পরেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যার তদন্তে নামি এবং একটা ব্যাপার খেয়াল করি জহিরুল খুন হওয়ার পরে তার বন্ধু নুরুজ্জামান পলাতক ছিল। যে কি না ঘটনার আগের দিনও জহিরুলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা ঘটনার সঙ্গে নুরুজ্জামানের সম্পৃক্ততা পাই এবং তাকে গ্রেপ্তার করার পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জহিরুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপরেশন) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মনিরুজ্জামান ফকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) লিমন রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-কালকিনি সার্কেল) এএমএম ওয়াসিম ফিরোজ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-মামুন, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আসফাক রাসেল প্রমুখ।
অনৈতিক কাজের ভিডিও মুছতে মাদারীপুরের কালকিনিতে এক বন্ধু হত্যা করল আরেক বন্ধুকে । এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম সরদারকে হত্যার এক সপ্তাহ পর তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদযাটন করল পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা জহিরুলের বন্ধু নুরুজ্জামান ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনে কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। পরে দুপুরে নুরুজ্জামান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি কালকিনি উপজেলার মহরদ্দিনচর এলাকার সালাম হাওলাদের ছেলে নুরুজ্জামান ইসলাম। সে নিহত জহিরুল ইসলামের বন্ধু।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘নিহত জহিরুল ও নুরুজ্জামান খুব ভালো বন্ধু ছিল। নুরুজ্জামান বিভিন্ন সময়ে জহিরুলের বাসায় যেতো। তারা বিভিন্ন সময়ে পতিতাদের সঙ্গে থাকত। কোনো এক সময়ে পতিতার সঙ্গে নুরুজ্জামানের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তার মুঠোফোনে ধারণ করে জহিরুল। সেই ভিডিও দিয়ে নুরুজ্জামানকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন জহিরুল। একপর্যায়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে জহিরুলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে নুরুজ্জামান। ঘটনার দিন গেল ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নুরুজ্জামান জহিরুলের বাসায় আসে। আনুমানিক রাত ৪ থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ঘুমিয়ে থাকা জহিরুলকে ধারালো দা দিয়ে পেছন থেকে ঘাড়ে কোপ দেয়। এবং বেশ কয়েকটি কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে পালিয়ে যায় নুরুজ্জামান।’
এসপি আরও বলেন, ‘পরের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে নিজ কক্ষে জহিরুল ইসলামে গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি নিহতের ভাই শাহীন সরদার বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরে জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদারীপুর ও কালকিনি থানা-পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল বুধবার ঢাকার শ্যামপুর এলাকা হতে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে জহিরুলের ব্যবহারকৃত মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়। নুরুজ্জামান পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।’
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘আমরা ঘটনার পরেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যার তদন্তে নামি এবং একটা ব্যাপার খেয়াল করি জহিরুল খুন হওয়ার পরে তার বন্ধু নুরুজ্জামান পলাতক ছিল। যে কি না ঘটনার আগের দিনও জহিরুলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা ঘটনার সঙ্গে নুরুজ্জামানের সম্পৃক্ততা পাই এবং তাকে গ্রেপ্তার করার পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জহিরুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপরেশন) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মনিরুজ্জামান ফকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) লিমন রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-কালকিনি সার্কেল) এএমএম ওয়াসিম ফিরোজ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-মামুন, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আসফাক রাসেল প্রমুখ।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪