মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে রাকিব বিশ্বাস (২১) নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সিঙ্গাইর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন—সিঙ্গাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের পাছপাড়া সানাইল এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. সুজন মিয়া (২০), একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাহিদ হোসেন (১৮) ও আরব আলীর ছেলে সানি ওরফে সামি (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাম্প অপারেটর মো. রাকিব বিশ্বাস বায়রা বাজার এলাকার মিজানুর রহমানের খাবার হোটেলের সামনে আসেন। এ সময় সুজন মিয়া, জাহিদ হোসেন ও সানি ওরফে সামি লোহার রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। একপর্যায়ে হামলাকারীদের মারধরের রাকিব নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
হামলার শিকার রাকিব বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ঢাকা সার্ভিসেস কোম্পানি লিমিটেডের গ্রামীণ পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই স্কিমের পাম্প অপারেটর হিসেবে সামান্য বেতনে চাকরি করি। আমার কর্মস্থল হিসেবে কোম্পানি বায়রা এলাকায় পোস্টিং দিয়েছেন। অভিযুক্ত সুজনসহ তার বন্ধুরা আমার কাছে মাঝেমধ্যে টাকা, পয়সা দাবি করত। কিন্তু ছোট্ট চাকরি হওয়ায় তাদের সব আবদার মেটাতে পারি না। এর আগে একবার চাঁদা না পেয়ে তারা আমাকে মারধর করেছিল। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ লাঠুর কাছে অভিযোগ করেছি। সেই জেরে তারা আমাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে খুব মারধর করেছে। মারধর করার সময় আমার পকেটে থাকা কোম্পানির মাল ক্রয় করা বাবদ ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক জয়-ই মামুন বলেন, ‘এর আগে রাকিবকে অভিযুক্ত সুজনসহ তার সহযোগীরা মারধর করেছে। তখন চেয়ারম্যান বিষয়টি মিটিয়ে দিয়েছিলেন বলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিইনি। এবার কোম্পানির পক্ষ থেকে অভিযুক্ত তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি।’
বায়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ লাঠু বলেন, ‘রাকিব খুব ভালো ছেলে। সে ওই কোম্পানিতে পাম্প অপারেটের হিসেবে আমার ইউনিয়নে কাজ করে। এর আগে অভিযুক্ত সুজন রাকিবকে চরথাপ্পর মেরেছিল। আমি শুনে শাসিয়ে দিয়েছিলাম। এবার ওই ছেলেকে লোহা ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে বলে শুনেছি। আমি ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. সুজন মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি আরও বলেন, ‘সুজন মিয়াসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পূর্বের অভিযোগগুলো সত্য কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মানিকগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে রাকিব বিশ্বাস (২১) নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সিঙ্গাইর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন—সিঙ্গাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের পাছপাড়া সানাইল এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. সুজন মিয়া (২০), একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাহিদ হোসেন (১৮) ও আরব আলীর ছেলে সানি ওরফে সামি (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাম্প অপারেটর মো. রাকিব বিশ্বাস বায়রা বাজার এলাকার মিজানুর রহমানের খাবার হোটেলের সামনে আসেন। এ সময় সুজন মিয়া, জাহিদ হোসেন ও সানি ওরফে সামি লোহার রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। একপর্যায়ে হামলাকারীদের মারধরের রাকিব নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
হামলার শিকার রাকিব বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ঢাকা সার্ভিসেস কোম্পানি লিমিটেডের গ্রামীণ পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই স্কিমের পাম্প অপারেটর হিসেবে সামান্য বেতনে চাকরি করি। আমার কর্মস্থল হিসেবে কোম্পানি বায়রা এলাকায় পোস্টিং দিয়েছেন। অভিযুক্ত সুজনসহ তার বন্ধুরা আমার কাছে মাঝেমধ্যে টাকা, পয়সা দাবি করত। কিন্তু ছোট্ট চাকরি হওয়ায় তাদের সব আবদার মেটাতে পারি না। এর আগে একবার চাঁদা না পেয়ে তারা আমাকে মারধর করেছিল। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ লাঠুর কাছে অভিযোগ করেছি। সেই জেরে তারা আমাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে খুব মারধর করেছে। মারধর করার সময় আমার পকেটে থাকা কোম্পানির মাল ক্রয় করা বাবদ ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক জয়-ই মামুন বলেন, ‘এর আগে রাকিবকে অভিযুক্ত সুজনসহ তার সহযোগীরা মারধর করেছে। তখন চেয়ারম্যান বিষয়টি মিটিয়ে দিয়েছিলেন বলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিইনি। এবার কোম্পানির পক্ষ থেকে অভিযুক্ত তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি।’
বায়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ লাঠু বলেন, ‘রাকিব খুব ভালো ছেলে। সে ওই কোম্পানিতে পাম্প অপারেটের হিসেবে আমার ইউনিয়নে কাজ করে। এর আগে অভিযুক্ত সুজন রাকিবকে চরথাপ্পর মেরেছিল। আমি শুনে শাসিয়ে দিয়েছিলাম। এবার ওই ছেলেকে লোহা ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে বলে শুনেছি। আমি ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. সুজন মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি আরও বলেন, ‘সুজন মিয়াসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পূর্বের অভিযোগগুলো সত্য কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২২ দিন আগে