Ajker Patrika

শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিভাবকের ফোন: সহকারী প্রাথমিক শিক্ষককে পেটালেন সহকর্মীরা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩, ১১: ০৯
শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিভাবকের ফোন: সহকারী প্রাথমিক শিক্ষককে পেটালেন সহকর্মীরা

রাজবাড়ীতে আক্কাস আলী মিয়া নামের এক সহকারী প্রাথমিক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সময়মতো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের না পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিভাবকদের ফোন দেওয়াকে কেন্দ্র করে সহকর্মীরা তাঁকে মারধর করেছেন বলে দাবি আক্কাস আলীর। তিনি এখন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্কাস আলী মিয়া বলেন, ‘আমি প্রতিদিন যথা সময়ে বিদ‍্যালয়ে উপস্থিত হই। কিন্তু বিদ‍্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মানিক বিশ্বাসসহ অন্য শিক্ষকেরা সময়মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন না। এমনকি ক্লাসও নেন না।’ 

আক্কাস আলী মিয়া আরও বলেন, ‘আজ সকাল প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে বিদ‍্যালয়ে আমিই উপস্থিত ছিলাম। এ সময় আর কোনো শিক্ষককে না দেখতে পেয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোন দেন অভিভাবকেরা। কিন্তু অন্য শিক্ষকেরা বিদ‍্যালয়ে এসে মনে করেন আমি শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোন দিয়েছি। তাই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ওপর হামলা চালান। পরে আমি ৯৯৯-এ ফোন করি। ফোন পেয়ে রাজবাড়ী থানার উপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ে আসেন। তাঁর সামনেই শিক্ষক নেতা মানিক বিশ্বাসের ছেলে আমাকে মারধর করেন।’ 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানিক বিশ্বাস। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আক্কাছ আলী বিদ্যালয়ের জমি দখল করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এতে তিনি চড়াও হন। ওই সময় ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে তিনি হয়তো আহত হয়েছেন।’ 

গতকাল রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লতিফা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামীকাল আপনি স্কুলে আসেন। চা খেতে খেতে এ নিয়ে কথা বলব।’ 

গতকাল রাতেই মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আজ সকালে একজন অভিভাবক আমাকে ফোন করে বলেন বিদ‍্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই। এর একটু পরই জানতে পারি ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় এ নিয়ে থানায় জিডি করেছেন শিক্ষকেরা।’ 

রাত ১০টার দিকে রাজবাড়ী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ সকালে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিবেশ শান্ত করে। সেই সঙ্গে আহত শিক্ষক আক্কাস আলী মিয়াকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত