আদালত প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২৭ বছর আগে প্রেমিককে অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় প্রেমিকা ও তাঁর মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা হলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের হারুয়ালছড়ি এলাকার প্রেমিকা মোস্তফা বেগম (২১) ও তাঁর মা মাসুমা খাতুন (৪০)।
অতিরিক্ত জেলা পিপি মো. লোকমান হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালত নারী বিবেচনায় আসামি দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। কারাদণ্ডের আদেশে এটি উল্লেখ করা হয়। আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নুরুল আবসারের সঙ্গে প্রতিবেশী মোস্তফা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সূত্রে মোস্তফা বেগমের মা ভুক্তভোগী আবসারের পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবসারের বাবা নুরুল ইসলাম তাঁর ছেলের সঙ্গে মোস্তফা বেগমের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরে ছেলেকে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও মেয়ে মিলে আবাসারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওমানে যাওয়ার কয়েক দিন আগে তাঁরা এ পরিকল্পনা নেন।
আসামিরা আবসারের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে ১৯৯৫ সালের ২২ জুলাই বিকেলে আবসারকে হারুয়ালছড়ির বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। আবসার সেখানে পৌঁছার পর মোস্তফা তাঁর হাতে থাকা মগ থেকে আবসারের মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। এর আগে মায়ের হাতে থাকা দা দিয়ে আবসারকে কোপানোর চেষ্টা করেন। আবসার সরে গিয়ে দা কেড়ে নিয়ে তা দূরে ছুড়ে ফেলে দেন। এর পরপরই মোস্তফা বেগম তাঁর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। এরপর মা মেয়ে পালিয়ে যান।
এরপর ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় আবসারের বাবা নুরুল ইসলাম রাঙ্গুনিয়া থানায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পরের বছর ৫ জানুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ১৯৯৯ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২৭ বছর আগে প্রেমিককে অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় প্রেমিকা ও তাঁর মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা হলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের হারুয়ালছড়ি এলাকার প্রেমিকা মোস্তফা বেগম (২১) ও তাঁর মা মাসুমা খাতুন (৪০)।
অতিরিক্ত জেলা পিপি মো. লোকমান হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালত নারী বিবেচনায় আসামি দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। কারাদণ্ডের আদেশে এটি উল্লেখ করা হয়। আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নুরুল আবসারের সঙ্গে প্রতিবেশী মোস্তফা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সূত্রে মোস্তফা বেগমের মা ভুক্তভোগী আবসারের পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবসারের বাবা নুরুল ইসলাম তাঁর ছেলের সঙ্গে মোস্তফা বেগমের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরে ছেলেকে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও মেয়ে মিলে আবাসারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওমানে যাওয়ার কয়েক দিন আগে তাঁরা এ পরিকল্পনা নেন।
আসামিরা আবসারের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে ১৯৯৫ সালের ২২ জুলাই বিকেলে আবসারকে হারুয়ালছড়ির বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। আবসার সেখানে পৌঁছার পর মোস্তফা তাঁর হাতে থাকা মগ থেকে আবসারের মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। এর আগে মায়ের হাতে থাকা দা দিয়ে আবসারকে কোপানোর চেষ্টা করেন। আবসার সরে গিয়ে দা কেড়ে নিয়ে তা দূরে ছুড়ে ফেলে দেন। এর পরপরই মোস্তফা বেগম তাঁর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। এরপর মা মেয়ে পালিয়ে যান।
এরপর ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় আবসারের বাবা নুরুল ইসলাম রাঙ্গুনিয়া থানায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পরের বছর ৫ জানুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ১৯৯৯ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে