Ajker Patrika

নারীর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল, ৩ দিন পর স্ত্রী দাবি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
নারীর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল, ৩ দিন পর স্ত্রী দাবি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক নারীর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চেয়ারম্যান শুরু থেকে দাবি করেছিলেন এই ভিডিও সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে তাঁর মাথা লাগিয়ে এই ভিডিওটি তৈরি হয়েছে। 

ঘটনার তিন দিন পর এখন তিনি দাবি করছেন সেই নারী তাঁর বিবাহিত স্ত্রী। একটি কাবিননামাও তিনি সরাইল থানা-পুলিশের কাছে উপস্থাপন করেছেন। সেখানে পার্শ্ববর্তী আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নে কাজী অফিসে তাঁদের বিবাহ হয়েছে। যদিও তাঁদের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মাওলানা মোবারক হোসেন ২ / ৩ বছর আগেই মারা গেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরাইলে এক নারীর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের সঙ্গে গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে একটি আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও এক নারীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে দৃশ্য দেখা যায়। চেয়ারম্যানের এই কর্মকাণ্ডে বিব্রত হন স্থানীয়রা। 

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২ মার্চ তারিখে মরিয়ম বেগমের সঙ্গে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের পারিবারিকভাবে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ভিডিও সুপরিকল্পিতভাবে ধারণ করে একটি কুচক্রীমহল। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকজনকে প্রদর্শন করে এলাকায় মুখরোচক আলোচনার সৃষ্টি করে মহলটি। গোপনে ধারণকৃত পারিবারিক ওই ভিডিওটি গত ২০ জুন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আইডি থেকে ভাইরাল করা হয়। বিষয়টি ভুক্তভোগী পরিবারের দৃষ্টিগোচর হলে পরিবারের পক্ষ থেকে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এ ব্যাপারে সরাইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা আমাদের দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সংরক্ষণ, প্রচার ও সরবরাহ করায় পর্নোগ্রাফি আইনের ৮ ধারায় অপরাধ করেছেন। তাঁদের মোবাইলে এসব আলামত থাকায় তা জব্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত