Ajker Patrika

চোখে কাজল দেওয়ায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন, চিকিৎসক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, ১১: ১৫
চোখে কাজল দেওয়ায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন, চিকিৎসক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় চিকিৎসক নাহিদা আক্তার রেণুর (৩৪) বাসায় কাজ করত ১৪ বছরের কিশোরী তসলিমা আক্তার। গত রোববার মেঝে পরিষ্কারের সময় ড্রেসিং টেবিলের নিচে একটি কাজলের কৌটা দেখতে পায় তসলিমা। শখের বশে সেই কৌটো থেকে কিছু কাজল নিয়ে নিজের চোখে লাগায় ওই কিশোরী। এমন কাজ করে যে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হবে, সেটি হয়তো তার কল্পনায়ও ছিল না। অথচ সেটিই ঘটেছে ভাগ্যে।

নিজের কাজল গৃহকর্মীর চোখে দেখে আক্রোশে ফেটে পড়েন চিকিৎসক নাহিদা আক্তার রেণু। সঙ্গে সঙ্গেই বেত আর চড়-থাপ্পড় ও ঘুষি দিয়ে হামলে পড়েন ১৪ বছরের ওই ছোট কিশোরীর ওপর। রাগ মেটাতে মুখে দেন কয়েক দফা কিল-ঘুষি, গলা টিপে করেন শ্বাসরোধের চেষ্টাও। এই বর্বর অমানুষিক নির্যাতন থেকে কোনোমতে নিজেকে ছাড়িয়ে সেদিন প্রাণে বাঁচে তসলিমা।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আব্দুল গণির দায়ের করা মামলায় এমনসব গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে চিকিৎসক নাহিদার বিরুদ্ধে। পরে সেদিনই ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা-পুলিশ। অভিযুক্ত নাহিদা আক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েই ওই কিশোরীকে আমরা উদ্ধার করি। তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তাই চিকিৎসার জন্য বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছে। কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

রাজেশ বড়ুয়া বলেন, গত বছরের জুলাই মাস থেকে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে ওই বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত তসলিমা। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নানা নির্যাতন করা হতো তাঁর মেয়ের ওপর। প্রায় তিন মাস ধরে তিনি মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। গত বৃহস্পতিবার মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে ওই বাসায় গিয়েই নির্যাতনের বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত