বান্দরবান প্রতিনিধি
স্ত্রীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করার পর নিজে অপহরণ হয়েছেন, এমন নাটক সাজালেও শেষ রক্ষা পায়নি রেথোয়াইনু মারমা। আজ শুক্রবার সকালে স্ত্রীকে হত্যার একদিন পরই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। এর মাধ্যমে স্ত্রী হত্যার ঘটনায় সাজানো নাটকের কথাও স্বীকার করেন।
গত বুধবার গভীর রাতে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে থংজমা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে স্ত্রী পুইয়নু মারমাকে হত্যা করেন স্বামী রেথোয়াইনু মারমা। এরপর স্বামী রেথোয়াইনু মারমা আত্মগোপনে গেলেও সন্ত্রাসীরা তাঁকে অপহরণ করে বলে খবর প্রচার করেন নিজেই।
নিহত স্ত্রী পুইয়নু মারমা (২৭) এক সন্তানের জননী। বুধবার গভীর রাতের কোনো এক সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে স্বামী রেথোয়াইনু মারমা (৩৮) আত্মগোপনে চলে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী। তবে এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে তিনি রাতেই সটকে পড়েন। তখন তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শৈসা চিং মারমাকে মোবাইল ফোন করে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে বলে খবর দেয়। এ খবর আশপাশের লোকজন জানার পর রেথোয়াই মোবাইলটি বন্ধ করে দেয়। তখন লোকজন ধারণা করে সন্ত্রাসীরা তাঁকে অপহরণ করে নিয়েছে এবং স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যেতে বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা স্ত্রীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ফেলে যায়। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন রেথোয়াই ঘরে গিয়ে ঘরের মেঝেতে স্ত্রী পুইয়নুর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
তবে স্ত্রীকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে এটা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন সন্দেহ প্রকাশ করে। তাঁরা বলেন, রেথোয়াই ও পুইয়নু মারমার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁদের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁদের সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেছিল। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা বলে সন্ত্রাসীরা যদি স্ত্রীকে হত্যা করত, তাহলে কিছু আলামত পাওয়া যেত। কিন্তু হত্যার কোনো আলামত মেলেনি। তাঁরা সন্দেহ করে স্বামী নিজেই স্ত্রীকে হত্যা করে ঘটনা ভিন্ন খাতে সাজাতে নিজে স্ত্রীকে হত্যা ও তাকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে-এমন ঘটনা সাজিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে গেছে।
তবে ঘটনার পর স্থানীয়দের কথার প্রেক্ষিতে পুলিশ স্বামী রেথোয়াই মারমাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। স্থানীয়রাও স্বামীকে খুঁজতে থাকে। আজ শুক্রবার সকালে থংজমা পাড়ার একটি পাহাড় থেকে স্বামী রেথোয়াই মারমাকে এলাকার লোকজন আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার লোকজন স্বামী রেথোয়াইনুকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার সাংবাদিকদের রেথোয়াইনু মারমা গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আমরা স্বামী রেথোয়াইনু মারমাকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার রেথোয়াইনু পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
স্ত্রীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করার পর নিজে অপহরণ হয়েছেন, এমন নাটক সাজালেও শেষ রক্ষা পায়নি রেথোয়াইনু মারমা। আজ শুক্রবার সকালে স্ত্রীকে হত্যার একদিন পরই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। এর মাধ্যমে স্ত্রী হত্যার ঘটনায় সাজানো নাটকের কথাও স্বীকার করেন।
গত বুধবার গভীর রাতে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে থংজমা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে স্ত্রী পুইয়নু মারমাকে হত্যা করেন স্বামী রেথোয়াইনু মারমা। এরপর স্বামী রেথোয়াইনু মারমা আত্মগোপনে গেলেও সন্ত্রাসীরা তাঁকে অপহরণ করে বলে খবর প্রচার করেন নিজেই।
নিহত স্ত্রী পুইয়নু মারমা (২৭) এক সন্তানের জননী। বুধবার গভীর রাতের কোনো এক সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে স্বামী রেথোয়াইনু মারমা (৩৮) আত্মগোপনে চলে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী। তবে এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে তিনি রাতেই সটকে পড়েন। তখন তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শৈসা চিং মারমাকে মোবাইল ফোন করে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে বলে খবর দেয়। এ খবর আশপাশের লোকজন জানার পর রেথোয়াই মোবাইলটি বন্ধ করে দেয়। তখন লোকজন ধারণা করে সন্ত্রাসীরা তাঁকে অপহরণ করে নিয়েছে এবং স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যেতে বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা স্ত্রীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ফেলে যায়। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন রেথোয়াই ঘরে গিয়ে ঘরের মেঝেতে স্ত্রী পুইয়নুর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
তবে স্ত্রীকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে এটা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন সন্দেহ প্রকাশ করে। তাঁরা বলেন, রেথোয়াই ও পুইয়নু মারমার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁদের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁদের সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেছিল। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা বলে সন্ত্রাসীরা যদি স্ত্রীকে হত্যা করত, তাহলে কিছু আলামত পাওয়া যেত। কিন্তু হত্যার কোনো আলামত মেলেনি। তাঁরা সন্দেহ করে স্বামী নিজেই স্ত্রীকে হত্যা করে ঘটনা ভিন্ন খাতে সাজাতে নিজে স্ত্রীকে হত্যা ও তাকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে-এমন ঘটনা সাজিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে গেছে।
তবে ঘটনার পর স্থানীয়দের কথার প্রেক্ষিতে পুলিশ স্বামী রেথোয়াই মারমাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। স্থানীয়রাও স্বামীকে খুঁজতে থাকে। আজ শুক্রবার সকালে থংজমা পাড়ার একটি পাহাড় থেকে স্বামী রেথোয়াই মারমাকে এলাকার লোকজন আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার লোকজন স্বামী রেথোয়াইনুকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার সাংবাদিকদের রেথোয়াইনু মারমা গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আমরা স্বামী রেথোয়াইনু মারমাকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার রেথোয়াইনু পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২২ দিন আগে