Ajker Patrika

দাগনভূঞায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককের যাবজ্জীবন

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
দাগনভূঞায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককের যাবজ্জীবন

ফেনীর দাগনভূঞায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মো. আবদুল করিম খান বাহাদুর (৬০) নামে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার এ রায় দেন।

একই সঙ্গে আসামির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি আবদুল করিম দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশীপুর গ্রামের মৃত হাজি আলতাফ আলীর ছেলে।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ সকাল ৯টার দিকে আসামি মো. আবদুল করিম খান বাহাদুর ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। ওই সময়ে বিদ্যালয়ে আর কোনো শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী ছিল না। পরে ওই ছাত্রীকে একা একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ওই শিক্ষক ওই ছাত্রীকে নানান হুমকি দেন। ওই দিনের পর ওই শিক্ষক আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

কিছুদিন পর ওই শিক্ষকের চাপ ও হুমকি সইতে না পেরে ওই ছাত্রী ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। পরিবার আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম খান বাহাদুরকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

দাগনভূঞা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোবারক হোসেন জানান, ২০১৯ সালে মে মাসে মামলাটি তদন্ত শেষে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। মামলায় বাদীসহ মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটি অসহায় পরিবারের মেয়ে। বাবা ও বড় ভাই নেই, যার কারণে বড় বোন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ জানান, আসামি আবদুল করিম খান বাহাদুর উপজেলার খুশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত