Ajker Patrika

বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করার নির্দেশ

চট্টগ্রাম: সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৩ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।

এর আগে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বাবুল আক্তারের বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও ভাই হাবিবুর রহমানকে এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাবুল আক্তারের বড় ছেলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। বাবুলের ছোট মেয়েও ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। ঘটনার তথ্য বের করতে এদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। কিন্তু বাবুল আক্তারের দেওয়া ঠিকানায় দুই সন্তান নেই। শ্বশুরের কাছেও এদের পাওয়া যায়নি। দুই সন্তানকে হাজির করতে বাবুলের ভাই ও বাবাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের হাজির করা হয়নি। ১৩ জুন দুই সাক্ষীকে হাজির করার কথা ছিল। তাও হাজির করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে দরখাস্ত দিয়েছি।

বাবুল আক্তারের শ্বশুর আবদুল ওয়াদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই নাতি আমার সঙ্গে নেই। এরা বাবুলের ভাই হাবিবের হেফাজতে রয়েছে। এদের নিজ হেফাজতে নেওয়ার জন্য ঢাকায় পারিবারিক আদালতে মামলা করেছি।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল সোয়া ৭টায় নগরীর জিইসি মোড়ে মিতু খুন হন। তিনি ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে জিইসির মোড় যাচ্ছিলেন। সে সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে দুর্বৃত্তরা মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।

ওই সময় বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তার হত্যা মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত