কুমিল্লা প্রতিনিধি
স্ত্রীর মর্যাদা, সন্তানের স্বীকৃতির দাবি এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৩ জুন সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন কুমিল্লার মহিলা লীগের নেত্রী নিশাত আহম্মেদ খান। মিনহাজুর রহমান নামে ইংল্যান্ডপ্রবাসী ও ইতালির নাগরিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন তিনি।
এবার তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া কাবিননামায় স্ত্রী সেজে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলেন প্রবাসী মিনহাজুর। আজ শনিবার নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মিনহাজুর রহমান বলেন, ভুয়া কাবিননামা তৈরির অভিযোগে মামলা করার পর সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. জাইদুল হোসাইন আদালতের বিচারকের কাছে এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে জেলহাজতে। নিশাত আহম্মেদ খান একসময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ২০২১ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। নিশাত ও তাঁর চক্রের পরিকল্পিত প্রতারণার শিকার হয়ে ঢাকা, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েও দেশে ফিরে এখন আবাসিক হোটেল ও স্বজনদের বাড়িতে রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁকে।
প্রবাসী মিনহাজুর রহমান আরও বলেন, তাঁর বাড়ি নগরীর রাজাপাড়া এলাকায়। ওই এলাকার শহীদুল হক স্বপনের মাধ্যমে আইনজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচয় দেওয়া নিশাতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ওই সময় তাঁর রূপগঞ্জের জমিজমা, কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটে পাঁচতলা বাড়ি ও ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাট দেখাশোনা ও ভাড়া সংগ্রহের জন্য একজন লোকের দরকার ছিল। এ সময় নিশাত তাঁকে সাহায্য করার আগ্রহ প্রকাশ করলে মিনহাজ তাঁকে মৌখিক চুক্তিতে সেই দায়িত্ব দেন।
মিনহাজ অভিযোগ করে বলেন, নিশাত অজ্ঞাতনামা একজনকে মিনহাজ সাজিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিবাহ রেজিস্ট্রি দেখান। ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট নগরীর অশোকতলা এলাকার নারীনেত্রী ফাহমিদা জেবিনের বাসায় পরস্পর যোগসাজশে কাজি মো. জাইদুল হোসাইনের মাধ্যমে উভয়ের (মিনহাজ-নিশাত) একই জন্মতারিখ দেখিয়ে (মিনহাজের পাসপোর্টে প্রকৃত জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬৮) ভুয়া কাবিননামা বানিয়েছেন। বিয়ে অনুষ্ঠানের যে তারিখ বলা হচ্ছে, সেই সময় তিনি ইংল্যান্ডে ছিলেন। ওই সময় নিশাত তাঁর ধানমন্ডির ফ্ল্যাটটি দখল করে সেখানে নিজে, তাঁর মা, দুই সন্তান ও এক মেয়ের স্বামীসহ বসবাস শুরু করেন।
মিনহাজ বলেন, এর আগে ২০১৭ নিশাত পাসপোর্টে নিজেকে মিনহাজের স্ত্রী বলে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণার শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের এপ্রিলে মিনহাজ দেশে আসেন। এরপর তিনি নিজের ফ্ল্যাটে গেলে নিশাত, তাঁর মেয়ে ও মেয়ের স্বামী তাঁকে সেখানে প্রবেশে বাধা দেন এবং তাঁকে হুমকি দেন। এ ঘটনার পর নিশাত কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটে মিনহাজের পাঁচতলা বাড়ির কেয়ারটেকারকে মারধর করে একটি ফ্ল্যাট দখল করেন। প্রতিবাদ করায় নিশাত বাড়ির কেয়ারটেকার জিলানী ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।
মিনহাজ অভিযোগ করেন, এই নারী ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য তাঁকে স্বামী দাবি করছেন। ভুয়া নিকাহনামায় নিশাত নিজেকে তালাকপ্রাপ্ত বললেও তিনি তালাকপ্রাপ্ত নন, তাঁর সন্তানাদি, জামাতা ও নাতি-নাতনি রয়েছে। এখন নিশাত তাঁকে (মিনহাজ) স্বামী দাবি করে বলছেন, তিনি মিনশাত রহমান স্বাধীন নামে এক সন্তানের মা এবং ওই সন্তানের বাবা তিনি। স্বাধীন নামের ওই শিশুর জন্ম-পরিচয় শনাক্তের জন্য তিনি ডিএনএ টেস্টের দাবি জানান।
মিনহাজ বলেন, ‘নিশাত একজন প্রতারক নারী। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। ভুয়া কাবিননামার বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান, এরই মধ্যে নিকাহ রেজিস্ট্রার ভুয়া কাবিননামা সৃষ্টির বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে কারাগারে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন, মিনহাজের বোন ফরিদা আক্তার, শাহনাজ রহমান, ভাবি মাসুদা বেগম, ভগ্নিপতি মতিউর রহমান প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিশাত আহম্মেদ খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। মিনহাজুর রহমান মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে, বিয়ের প্রমাণও আছে।’
এ ব্যাপারে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা লীগের সভাপতি সাবেক এমপি জোবেদা খাতুন পারুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিশাত আহম্মেদ খান এ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত কোনো কর্মকাণ্ডের দায়ভার দল নেবে না।’
স্ত্রীর মর্যাদা, সন্তানের স্বীকৃতির দাবি এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৩ জুন সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন কুমিল্লার মহিলা লীগের নেত্রী নিশাত আহম্মেদ খান। মিনহাজুর রহমান নামে ইংল্যান্ডপ্রবাসী ও ইতালির নাগরিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন তিনি।
এবার তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া কাবিননামায় স্ত্রী সেজে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলেন প্রবাসী মিনহাজুর। আজ শনিবার নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মিনহাজুর রহমান বলেন, ভুয়া কাবিননামা তৈরির অভিযোগে মামলা করার পর সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. জাইদুল হোসাইন আদালতের বিচারকের কাছে এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে জেলহাজতে। নিশাত আহম্মেদ খান একসময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ২০২১ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। নিশাত ও তাঁর চক্রের পরিকল্পিত প্রতারণার শিকার হয়ে ঢাকা, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েও দেশে ফিরে এখন আবাসিক হোটেল ও স্বজনদের বাড়িতে রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁকে।
প্রবাসী মিনহাজুর রহমান আরও বলেন, তাঁর বাড়ি নগরীর রাজাপাড়া এলাকায়। ওই এলাকার শহীদুল হক স্বপনের মাধ্যমে আইনজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচয় দেওয়া নিশাতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ওই সময় তাঁর রূপগঞ্জের জমিজমা, কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটে পাঁচতলা বাড়ি ও ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাট দেখাশোনা ও ভাড়া সংগ্রহের জন্য একজন লোকের দরকার ছিল। এ সময় নিশাত তাঁকে সাহায্য করার আগ্রহ প্রকাশ করলে মিনহাজ তাঁকে মৌখিক চুক্তিতে সেই দায়িত্ব দেন।
মিনহাজ অভিযোগ করে বলেন, নিশাত অজ্ঞাতনামা একজনকে মিনহাজ সাজিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিবাহ রেজিস্ট্রি দেখান। ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট নগরীর অশোকতলা এলাকার নারীনেত্রী ফাহমিদা জেবিনের বাসায় পরস্পর যোগসাজশে কাজি মো. জাইদুল হোসাইনের মাধ্যমে উভয়ের (মিনহাজ-নিশাত) একই জন্মতারিখ দেখিয়ে (মিনহাজের পাসপোর্টে প্রকৃত জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬৮) ভুয়া কাবিননামা বানিয়েছেন। বিয়ে অনুষ্ঠানের যে তারিখ বলা হচ্ছে, সেই সময় তিনি ইংল্যান্ডে ছিলেন। ওই সময় নিশাত তাঁর ধানমন্ডির ফ্ল্যাটটি দখল করে সেখানে নিজে, তাঁর মা, দুই সন্তান ও এক মেয়ের স্বামীসহ বসবাস শুরু করেন।
মিনহাজ বলেন, এর আগে ২০১৭ নিশাত পাসপোর্টে নিজেকে মিনহাজের স্ত্রী বলে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণার শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের এপ্রিলে মিনহাজ দেশে আসেন। এরপর তিনি নিজের ফ্ল্যাটে গেলে নিশাত, তাঁর মেয়ে ও মেয়ের স্বামী তাঁকে সেখানে প্রবেশে বাধা দেন এবং তাঁকে হুমকি দেন। এ ঘটনার পর নিশাত কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটে মিনহাজের পাঁচতলা বাড়ির কেয়ারটেকারকে মারধর করে একটি ফ্ল্যাট দখল করেন। প্রতিবাদ করায় নিশাত বাড়ির কেয়ারটেকার জিলানী ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।
মিনহাজ অভিযোগ করেন, এই নারী ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য তাঁকে স্বামী দাবি করছেন। ভুয়া নিকাহনামায় নিশাত নিজেকে তালাকপ্রাপ্ত বললেও তিনি তালাকপ্রাপ্ত নন, তাঁর সন্তানাদি, জামাতা ও নাতি-নাতনি রয়েছে। এখন নিশাত তাঁকে (মিনহাজ) স্বামী দাবি করে বলছেন, তিনি মিনশাত রহমান স্বাধীন নামে এক সন্তানের মা এবং ওই সন্তানের বাবা তিনি। স্বাধীন নামের ওই শিশুর জন্ম-পরিচয় শনাক্তের জন্য তিনি ডিএনএ টেস্টের দাবি জানান।
মিনহাজ বলেন, ‘নিশাত একজন প্রতারক নারী। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। ভুয়া কাবিননামার বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান, এরই মধ্যে নিকাহ রেজিস্ট্রার ভুয়া কাবিননামা সৃষ্টির বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে কারাগারে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন, মিনহাজের বোন ফরিদা আক্তার, শাহনাজ রহমান, ভাবি মাসুদা বেগম, ভগ্নিপতি মতিউর রহমান প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিশাত আহম্মেদ খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। মিনহাজুর রহমান মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে, বিয়ের প্রমাণও আছে।’
এ ব্যাপারে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা লীগের সভাপতি সাবেক এমপি জোবেদা খাতুন পারুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিশাত আহম্মেদ খান এ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত কোনো কর্মকাণ্ডের দায়ভার দল নেবে না।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে