সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াসিন মিয়াকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানা কেশার পাড় গ্রামের শামশুল হকের ছেলে। তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় বসবাস করছেন। এই এলাকার আলীনগরের অঘোষিত রাজা ও পাহাড় খেকো হিসেবে তিনি পরিচিত বলে জানান স্থানীয়রা।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক বদিউল আলমসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জঙ্গল সলিমপুর এলাকা পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে ফেরার সময় তাঁদের গাড়িবহরের পেছনে থাকা ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ির গতিরোধ করেন এবং ইউপি সদস্য আরিফকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রকাশ্য মারধর করেন ইয়াছিন ও তাঁর অনুসারী বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। ভাঙচুর করেন ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারও। এ ঘটনার পরদিন শনিবার সকালে আরিফের ভাই আবদুল হালিম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা পর আজ সোমবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াসিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, গুম ও নাশকতাসহ সীতাকুণ্ড থানায় ৮ টিরও অধিক মামলা রয়েছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক আরও বলেন, সন্ত্রাসী ইয়াছিন গত কয়েক বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ছোট ভাই ফারুককে নিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। তিনি প্রথমদিকে বেশ কয়েক মাস অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এর কিছুদিন পর নোয়াখালী থেকে বেশ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এনে জঙ্গল সীলমপুরে আশ্রয় দেন এবং তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন পাহাড় দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও গুমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। ইয়াছিন সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় জঙ্গল সলিমপুরের দুর্গম পাহাড়ের একটি অংশ কেটে সেখানে প্লট বানিয়ে বিক্রি শুরু করেন। তাঁর দখল করা পাহাড়ের নাম দেন আলীনগর। আর সেখানে করা প্লট বিক্রির মাধ্যমে কোটিপতি বনে যাওয়ার পাশাপাশি ইয়াছিন হয়ে ওঠেন আলীনগরের স্বঘোষিত রাজা। আলীনগরকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সেখানে বহিরাগতের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। এ ছাড়াও সেখানে বসবাস করা লোকজনকে বাইরে যেতে নিতে হতো ইয়াছিন ও তাঁর ভাই ফারুকের অনুমতি।
সুমন বণিক আরও জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াছিন তাঁদের হাতে গ্রেপ্তার হলেও ইউপি সদস্যকে মারধরের মামলায় অভিযুক্ত আসামি ফারুক, সজীব, নুরুল ইসলাম, শাহজাহান ও আল আমিন সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম বেগম নাজমুন নাহারের আদালতে স্বেচ্ছায় জামিন নিতে যান। পরে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ের বেশ কিছু পাহাড় দখল করে নিজের অপরাধের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছিল সন্ত্রাসী ইয়াছিন। আর তাঁর রাজ্যে বহিরাগতের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গড়ে তুলেছেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। গত শুক্রবার জঙ্গল সলিমপুর এলাকা পরিদর্শন শেষে তাঁরা ফেরার পথে তাঁদের গাড়িবহরের পেছনে থাকা ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ির গতিরোধ করে ইউপি সদস্য আরিফকে নামিয়ে নেন। এ সময় আরিফকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ না করতে হুঁশিয়ারি দেন। যার প্রেক্ষিতে আজ বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াসিন মিয়াকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানা কেশার পাড় গ্রামের শামশুল হকের ছেলে। তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় বসবাস করছেন। এই এলাকার আলীনগরের অঘোষিত রাজা ও পাহাড় খেকো হিসেবে তিনি পরিচিত বলে জানান স্থানীয়রা।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক বদিউল আলমসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জঙ্গল সলিমপুর এলাকা পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে ফেরার সময় তাঁদের গাড়িবহরের পেছনে থাকা ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ির গতিরোধ করেন এবং ইউপি সদস্য আরিফকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রকাশ্য মারধর করেন ইয়াছিন ও তাঁর অনুসারী বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। ভাঙচুর করেন ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারও। এ ঘটনার পরদিন শনিবার সকালে আরিফের ভাই আবদুল হালিম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা পর আজ সোমবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াসিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, গুম ও নাশকতাসহ সীতাকুণ্ড থানায় ৮ টিরও অধিক মামলা রয়েছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক আরও বলেন, সন্ত্রাসী ইয়াছিন গত কয়েক বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ছোট ভাই ফারুককে নিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। তিনি প্রথমদিকে বেশ কয়েক মাস অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এর কিছুদিন পর নোয়াখালী থেকে বেশ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এনে জঙ্গল সীলমপুরে আশ্রয় দেন এবং তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন পাহাড় দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও গুমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। ইয়াছিন সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় জঙ্গল সলিমপুরের দুর্গম পাহাড়ের একটি অংশ কেটে সেখানে প্লট বানিয়ে বিক্রি শুরু করেন। তাঁর দখল করা পাহাড়ের নাম দেন আলীনগর। আর সেখানে করা প্লট বিক্রির মাধ্যমে কোটিপতি বনে যাওয়ার পাশাপাশি ইয়াছিন হয়ে ওঠেন আলীনগরের স্বঘোষিত রাজা। আলীনগরকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সেখানে বহিরাগতের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। এ ছাড়াও সেখানে বসবাস করা লোকজনকে বাইরে যেতে নিতে হতো ইয়াছিন ও তাঁর ভাই ফারুকের অনুমতি।
সুমন বণিক আরও জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াছিন তাঁদের হাতে গ্রেপ্তার হলেও ইউপি সদস্যকে মারধরের মামলায় অভিযুক্ত আসামি ফারুক, সজীব, নুরুল ইসলাম, শাহজাহান ও আল আমিন সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম বেগম নাজমুন নাহারের আদালতে স্বেচ্ছায় জামিন নিতে যান। পরে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ের বেশ কিছু পাহাড় দখল করে নিজের অপরাধের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছিল সন্ত্রাসী ইয়াছিন। আর তাঁর রাজ্যে বহিরাগতের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গড়ে তুলেছেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। গত শুক্রবার জঙ্গল সলিমপুর এলাকা পরিদর্শন শেষে তাঁরা ফেরার পথে তাঁদের গাড়িবহরের পেছনে থাকা ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ির গতিরোধ করে ইউপি সদস্য আরিফকে নামিয়ে নেন। এ সময় আরিফকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ না করতে হুঁশিয়ারি দেন। যার প্রেক্ষিতে আজ বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১০ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
২১ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
২৩ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫