Ajker Patrika

সুপারি চুরির অপবাদে শিকলে বেঁধে শিশুকে ‘রাতভর নির্যাতন’

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২: ৩৬
Thumbnail image

ঝালকাঠির নলছিটিতে সুপারি চুরির অপবাদ দিয়ে শিকলে গাছের সঙ্গে বেঁধে ১১ বছরের এক শিশু ও তার বাবাকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় লতিফ খানের বিরুদ্ধে। 

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের এ ঘটনায় পুলিশ কোনো অভিযোগ এখনো পায়নি। বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লতিফ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ির আঙিনা থেকে সুপারি চুরির অভিযোগ তুলে একই গ্রামের বাবুল হাওলাদার ও ছেলেকে বাড়ি থেকে গতকাল রোববার তুলে নিয়ে যান লতিফ খান ও স্থানীয় কয়েকজন। পরে বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে শিশুটি ও তার বাবাকে মারধর করা হয়। রাত ১২টার দিকে শিশুর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। সারা রাত গাছের সঙ্গে তাদের বেঁধে রাখা হয়। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকা তোলপাড় শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে মুচলেকা নিয়ে বাবুল হাওলাদার ও তার ছেলেকে ছেড়ে দেন লতিফ খান। 

বাবুল হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলের বিরুদ্ধে সুপারি চুরির অভিযোগ তুলে সারা রাত আমাদের খোলা আকাশের নিচে গাছে সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। রাতে শীতে অনেক কষ্ট পেয়েছি আমরা। সকালে একটি সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।’ 

নির্যাতনের শিকার শিশুর মা শিউলি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে ও স্বামীকে রাতে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আমিও ঘটনাস্থলে যাই। তখন লতিফ খান আমাকে একটি চড় মরেন। আমার স্বামী ও ছেলেকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারধরের কারণে তাদের সারা শরীর কালো হয়ে ফুলে ওঠেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’ 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশুটির মা বলেন, ‘আমরা অসহায় মানুষ। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লতিফ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুটি সুপারি চুরি করায় তাকে বেঁধে রাখা হয়। তাকে মারধর করা হয়নি। চুরি করার পরেও শিশুর বাবা তার ছেলেকে শাসন না করায় তাকেও আনা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি এখনো জানি না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত