ভোলা প্রতিনিধি
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গত ১০ বছরে ৭টি বিয়ে করেছেন মো. সোহেল মাতব্বর (৩৫) নামে এক যুবক। গত মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চম স্ত্রীর করা অভিযোগে ভোলার উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার।
গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মাতব্বর মাদারীপুরের শ্রীনার্থ গ্রামের ছবির মাতব্বরের ছেলে।
জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরে প্রতারণা করে ৭টি বিয়ে করেছেন সোহেল মাতব্বর। স্ত্রীদের মধ্যে দুজনকে তালাক দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর ৫ স্ত্রী রয়েছেন। চতুর্থ স্ত্রীর টাকায় বিদেশও ঘুরে আসেন তিনি। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান পঞ্চম স্ত্রী। তিনি স্বামীর প্রতারণার কথা পুলিশকে জানিয়ে দিয়ে মামলা দায়ের করায় সোহেল মাতব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর চতুর্থ স্ত্রীর বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভোলা সদর মডেল থানা-পুলিশ।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গত ১০ বছরে ৭ বিয়ে করেন সোহেল মাতব্বর। স্ত্রীদের মধ্যে দুজনকে তালাক দিয়েছেন। বর্তমানে ৫ স্ত্রী রয়েছে তাঁর। সবাই সোহেল মাতব্বরের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর সব স্ত্রীদের ডেকে আনা হয়। তাঁরা প্রত্যেকেই স্বামীর কাছে প্রতারিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।’
বিয়ের বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, প্রত্যেকটা বিয়ে করার সময় সোহেল মাতব্বর নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দিতেন। ২০১০ সালে তাঁর গ্রামের বাড়ি শ্রীনার্থে প্রথম বিয়ে করেন। সেই সংসারে তাঁর ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর সে ঢাকার উত্তরায় ফুটপাতে গেঞ্জি বিক্রি করতে শুরু করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে আরও ২টি বিয়ে করেন। ২০২০ সালের দিকে রাঙামাটি ঘুরতে গিয়ে বাসে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁকেও বিয়ে করেন। সেই স্ত্রীর টাকায় এক বছর আগে লিবিয়ায় ঘুরে আসেন সোহেল।
প্রত্যেক তরুণীর কাছ থেকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। চতুর্থ স্ত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লিবিয়ায় গিয়েছিলেন সোহেল। এরপর চলতি বছরের মে মাসে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে প্রেমের সম্পর্কে ১৬ বছরের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। পরে ঢাকার উত্তরায় সোহেল যে রুমে ভাড়া থাকত সেই রুমের এক যুবকের মাধ্যমে ভোলার এক তরুণীর ঠিকানা পান। দু’মাস প্রেমের সম্পর্কের পর চলতি বছরের মে মাসে ওই তরুণীকেও বিয়ে করেন।
সোহেলের প্রতারণার বিষয়টি কেউই বুঝতে পারতেন না। অভিনব কায়দায় প্রতারণা করতেন তিনি। এরই মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী ঢাকার উত্তরা আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। পরে তাঁর পঞ্চম স্ত্রী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন সোহেল ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে চতুর্থ বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন। এরপর তিনি ভোলা সদর মডেল থানা-পুলিশকে সোহেলের প্রতারণার বিষয়টি জানিয়ে মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে চতুর্থ স্ত্রীর বাড়ি থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরমান হোসেন বলেন, ‘পঞ্চম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সোহেলকে মঙ্গলবার নারী নির্যাতন আইনে ও প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
পরিদর্শক আরও বলেন, ‘সোহেলকে গ্রেপ্তারের খবরে তৃতীয় স্ত্রী তানিয়া বেগম ও চতুর্থ স্ত্রী রাশেদা আক্তার ভোলায় এসেছেন। ওই তিন স্ত্রী ছাড়াও সোহেলের গ্রামের বাড়িতে আরও দুজন স্ত্রী রয়েছেন। এই পাঁচজন ছাড়াও সোহেল আরও দু’জনকে দিয়ে করেছে। এসব বিয়ের বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে তাঁদের মধ্যে দুই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তালাক হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন।’
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গত ১০ বছরে ৭টি বিয়ে করেছেন মো. সোহেল মাতব্বর (৩৫) নামে এক যুবক। গত মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চম স্ত্রীর করা অভিযোগে ভোলার উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার।
গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মাতব্বর মাদারীপুরের শ্রীনার্থ গ্রামের ছবির মাতব্বরের ছেলে।
জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরে প্রতারণা করে ৭টি বিয়ে করেছেন সোহেল মাতব্বর। স্ত্রীদের মধ্যে দুজনকে তালাক দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর ৫ স্ত্রী রয়েছেন। চতুর্থ স্ত্রীর টাকায় বিদেশও ঘুরে আসেন তিনি। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান পঞ্চম স্ত্রী। তিনি স্বামীর প্রতারণার কথা পুলিশকে জানিয়ে দিয়ে মামলা দায়ের করায় সোহেল মাতব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর চতুর্থ স্ত্রীর বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভোলা সদর মডেল থানা-পুলিশ।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গত ১০ বছরে ৭ বিয়ে করেন সোহেল মাতব্বর। স্ত্রীদের মধ্যে দুজনকে তালাক দিয়েছেন। বর্তমানে ৫ স্ত্রী রয়েছে তাঁর। সবাই সোহেল মাতব্বরের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর সব স্ত্রীদের ডেকে আনা হয়। তাঁরা প্রত্যেকেই স্বামীর কাছে প্রতারিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।’
বিয়ের বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, প্রত্যেকটা বিয়ে করার সময় সোহেল মাতব্বর নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দিতেন। ২০১০ সালে তাঁর গ্রামের বাড়ি শ্রীনার্থে প্রথম বিয়ে করেন। সেই সংসারে তাঁর ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর সে ঢাকার উত্তরায় ফুটপাতে গেঞ্জি বিক্রি করতে শুরু করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে আরও ২টি বিয়ে করেন। ২০২০ সালের দিকে রাঙামাটি ঘুরতে গিয়ে বাসে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁকেও বিয়ে করেন। সেই স্ত্রীর টাকায় এক বছর আগে লিবিয়ায় ঘুরে আসেন সোহেল।
প্রত্যেক তরুণীর কাছ থেকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। চতুর্থ স্ত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লিবিয়ায় গিয়েছিলেন সোহেল। এরপর চলতি বছরের মে মাসে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে প্রেমের সম্পর্কে ১৬ বছরের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। পরে ঢাকার উত্তরায় সোহেল যে রুমে ভাড়া থাকত সেই রুমের এক যুবকের মাধ্যমে ভোলার এক তরুণীর ঠিকানা পান। দু’মাস প্রেমের সম্পর্কের পর চলতি বছরের মে মাসে ওই তরুণীকেও বিয়ে করেন।
সোহেলের প্রতারণার বিষয়টি কেউই বুঝতে পারতেন না। অভিনব কায়দায় প্রতারণা করতেন তিনি। এরই মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী ঢাকার উত্তরা আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। পরে তাঁর পঞ্চম স্ত্রী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন সোহেল ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে চতুর্থ বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন। এরপর তিনি ভোলা সদর মডেল থানা-পুলিশকে সোহেলের প্রতারণার বিষয়টি জানিয়ে মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে চতুর্থ স্ত্রীর বাড়ি থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরমান হোসেন বলেন, ‘পঞ্চম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সোহেলকে মঙ্গলবার নারী নির্যাতন আইনে ও প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
পরিদর্শক আরও বলেন, ‘সোহেলকে গ্রেপ্তারের খবরে তৃতীয় স্ত্রী তানিয়া বেগম ও চতুর্থ স্ত্রী রাশেদা আক্তার ভোলায় এসেছেন। ওই তিন স্ত্রী ছাড়াও সোহেলের গ্রামের বাড়িতে আরও দুজন স্ত্রী রয়েছেন। এই পাঁচজন ছাড়াও সোহেল আরও দু’জনকে দিয়ে করেছে। এসব বিয়ের বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে তাঁদের মধ্যে দুই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তালাক হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২২ দিন আগে