
ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায় বছরখানেক। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ল তাকাকো।
বিপর্যস্ত তাকাকো একদিন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে একজন নিপীড়কের হাত ধরে ফেলে। সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকারে করে। ভিড়ের মধ্যে ধরা পড়ে অপরাধী। তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে আদালতে কেবল মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। অথচ এর আগেও একই ধরনের অপরাধে সে দণ্ডিত ছিল।
জাপানসহ পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং এবং চীনের বাণিজ্যিক প্রদেশগুলোতে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি একটা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো এটি রীতিমতো টাকা কামানোর মাধ্যম হয়ে উঠেছে!
বিশেষ করে সকালবেলা যখন গণপরিবহনে কর্মজীবী মানুষের ভিড় অত্যন্ত বেশি থাকে তখনই ঘটে এসব ঘটনা। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ট্রেনে কোনো নারীকে অনুসরণ করে। সুযোগ বুঝে ভিড়ের মধ্যে ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। গোপনে অনুসরণ করা থেকে গায়ে স্পর্শ করার পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিও বিক্রি হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। বেশ কয়েকটি অনলাইন গ্রুপে প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় এসব ভিডিও। বিবিসি আই বছরব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে রোমহর্ষক এ চিত্র তুলে এনেছে।
চিকান ওয়েবসাইট
গণপরিবহনে নারীদের হেনস্তার ভিডিও ক্লিপ বিক্রি হয় অনলাইনে ১ ডলারের কিছু কমে। বিবিসির অনুসন্ধানে এমন অনেক ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—ডিংবুজু (আমার আর তর সইছে না), চিহান, জিশে ইত্যাদি। ৪ হাজার সদস্যের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান পায় অনুসন্ধানী দলটি। ভিডিও ক্লিপ কেনা–বেচার পাশাপাশি গণপরিবহনে কীভাবে নারীদের হেনস্তা করতে হবে—এ ব্যাপারে নানা পরামর্শও পাওয়া যায় এই গ্রুপে। এমনকি কোথায় নারীদের হেনস্তা করা হবে—সেটির লাইভ আপডেট পাওয়া যায়। অনুসন্ধানী দলটির কাছে একজন নারী অভিযোগ করেন, আংকেল কুই নামে এক ব্যক্তি তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। একপর্যায়ে একটি ক্লু পাওয়া যায়, এই আংকেল কুই চিকান ওয়েবসাইট এবং ভিডিও ব্যবসার পেছনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বড় বাজার
এ ধরনের অপকর্মে জড়িত একটি গ্রুপের একজন অ্যাডমিন বিবিসিকে জানায়, প্রতি মাসে প্রায় ১০০ ভিডিও আপলোড করা হয় তাদের তিনটি ওয়েবসাইটে। প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক আছে, যাদের বেশির ভাগই চীনের অধিবাসী। অ্যাডমিন জানান, প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ হাজার ইউয়ানের ব্যবসা আছে তাদের যা প্রায় ১ হাজার ডলারের বেশি।
নাটের গুরুর সন্ধানে
চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে বিবিসির সাংবাদিক একজন সংগীতশিল্পীর ছদ্মবেশে টেলিগ্রাম গ্রুপের নকটিস নামে একজন অ্যাডমিনের সঙ্গে পরিচিত হোন। বাস্তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর জানতে পারেন, তিনি জাপানে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকের শিক্ষার্থী। তার এক বন্ধু লুপাসও ওই গ্রুপের একজন অ্যাডমিন। তাদের দায়িত্ব হলো, ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করা, ওয়েবসাইট পরিচালনা করা। এ থেকে প্রায় মোট আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ কমিশন পায় তারা।
কিছুদিন পর জানা যায়, ডিংবুজু ওয়েবসাইটের প্রধান মাওমি, তিনি চীন থেকে পুরো কাজের দিকনির্দেশনা দেন। আরও জানা যায়, আংকেল কুই একক কোনো ব্যক্তি নয়। গ্রুপ দেখভালের জন্য এ রকম একাধিক লোক আছে।
কে এই মাওমি
নকটিস এবং লুপাসের থেকে জানা যায়, চীনে জন্ম নেওয়া মাওমি ছোটবেলায় সুপারম্যান এবং অ্যানিমে ভিডিও দেখত। ১৪ বছর বয়সে প্রথম যৌন নিপীড়নের ভিডিও দেখে। ধীরে ধীরে এতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই সে ওয়েবসাইটে এসব ভিডিওর ব্যবসা শুরু করে। চীনে ধরা পড়ার ভয়ে মাওমি জাপানে চলে আসে। জাপানিদের আচার–আচরণ রপ্ত করে। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মাওমির ব্যাংক কার্ড থেকে জানা যায়, তার প্রকৃত নাম তাং জহুরান। সে কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখভাল করে। তবে বিবিসির অনুসন্ধানী দল পরিচয় প্রকাশ করলে তাং জহুরান পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করে।
চিকান ক্লাব
জাপানের ইয়োকোহামায় জনমানবহীন এক এলাকার একটি দোকান। দোকানের সামনের অংশটি জাপানের মেট্রো স্টেশনের মতো। দোকানটিকে সাজানো হয়েছে ট্রেনের কামরার মতো করে। ভেতরে ট্রেনে ব্যবহৃত মিষ্টি ঘ্রাণের পরিষ্কারক, ওপরে ঝুলছে হাতল। রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, যেখানে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এমনকি ক্লাবের মেম্বারশিপ কার্ডও গণপরিবহনের টিকিটের মতোই। এখানে টাকার বিনিময়ে বিশেষ ভিডিও দেখতে আসেন লোকেরা। তাঁরা যাতে ট্রেনের মতো একটি আবহ পায় সে জন্যই এমন ব্যবস্থা। টাকা দিয়ে বিকৃত খেয়াল বা ফ্যান্টাসি উপভোগ করা যায় লাইভে। যারা এর গ্রাহক তাদের সাধারণত ‘চিকান’ নামে ডাকা হয়।
দোকানের মালিক হাশুদা সুহেই বিবিসির অনুসন্ধানী দলটিকে জানায়, জাপানে এভাবে বিকৃত খেয়াল মেটানোর বিষয়টি খুব সাধারণ। এ ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যেন বাস্তবে কোনো নারীকে ধর্ষণ বা হেনস্তা না করে, সে লক্ষ্যেই জাপানে এ ধরনের ক্লাব গড়ে উঠেছে। বৈধভাবেই চলছে এসব ক্লাব।
এরূপ কদর্য মানসিকতার এমন মহামারি কেন—এই প্রশ্নের জবাবে জাপানে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ সাইতো বিবিসিকে জানান, ব্যাপারটা হাশুদা যেভাবে ভাবছেন অতটা সরল নয়। শিকারের ওপর কর্তৃত্ব ফলানো এবং তার মানহানি থেকে অধিকাংশ চিকান আনন্দ পায়। তারা শিকারদের কখনোই তাদের সমান তো নয়ই, বস্তু হিসেবে বিবেচনা করে।
এ ছাড়া জাপানের সমাজ এখনো অত্যন্ত রক্ষণশীল। নারীদের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক রকমের পুরুষতান্ত্রিক। সাধারণত নারীরা নিপীড়নের ব্যাপারে মুখ খোলে না। আর এই নিপীড়কেরা নারীদের এই মৌনতার সুযোগ নেয়। প্রতিবাদকারী নারীদের অনেককেই হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। জাপানের আদালতও এ ধরনের মামলায় গুরুদণ্ড দেয় না।
ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম
পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় এ ধরনের অপকর্মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য বাড়ছে সচেতনতা। কিন্তু মূল আসামিদের ক্রমাগত রূপ বদলানো এবং তথ্যপ্রযুক্তিকে দক্ষ হওয়ার কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। গণপরিবহন বা মেট্রো স্টেশনের নারীদের হয়রানি বন্ধে প্রচারণা চলছে। স্কুল কলেজগুলোতেও চলছে সচেতনতা কার্যক্রম। সম্প্রতি জাপান এ ধরনের অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। পাশাপাশি যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করার বিষয়ে পার্লামেন্টে ঐকমত্য হয়েছে।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায় বছরখানেক। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ল তাকাকো।
বিপর্যস্ত তাকাকো একদিন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে একজন নিপীড়কের হাত ধরে ফেলে। সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকারে করে। ভিড়ের মধ্যে ধরা পড়ে অপরাধী। তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে আদালতে কেবল মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। অথচ এর আগেও একই ধরনের অপরাধে সে দণ্ডিত ছিল।
জাপানসহ পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং এবং চীনের বাণিজ্যিক প্রদেশগুলোতে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি একটা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো এটি রীতিমতো টাকা কামানোর মাধ্যম হয়ে উঠেছে!
বিশেষ করে সকালবেলা যখন গণপরিবহনে কর্মজীবী মানুষের ভিড় অত্যন্ত বেশি থাকে তখনই ঘটে এসব ঘটনা। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ট্রেনে কোনো নারীকে অনুসরণ করে। সুযোগ বুঝে ভিড়ের মধ্যে ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। গোপনে অনুসরণ করা থেকে গায়ে স্পর্শ করার পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিও বিক্রি হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। বেশ কয়েকটি অনলাইন গ্রুপে প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় এসব ভিডিও। বিবিসি আই বছরব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে রোমহর্ষক এ চিত্র তুলে এনেছে।
চিকান ওয়েবসাইট
গণপরিবহনে নারীদের হেনস্তার ভিডিও ক্লিপ বিক্রি হয় অনলাইনে ১ ডলারের কিছু কমে। বিবিসির অনুসন্ধানে এমন অনেক ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—ডিংবুজু (আমার আর তর সইছে না), চিহান, জিশে ইত্যাদি। ৪ হাজার সদস্যের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান পায় অনুসন্ধানী দলটি। ভিডিও ক্লিপ কেনা–বেচার পাশাপাশি গণপরিবহনে কীভাবে নারীদের হেনস্তা করতে হবে—এ ব্যাপারে নানা পরামর্শও পাওয়া যায় এই গ্রুপে। এমনকি কোথায় নারীদের হেনস্তা করা হবে—সেটির লাইভ আপডেট পাওয়া যায়। অনুসন্ধানী দলটির কাছে একজন নারী অভিযোগ করেন, আংকেল কুই নামে এক ব্যক্তি তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। একপর্যায়ে একটি ক্লু পাওয়া যায়, এই আংকেল কুই চিকান ওয়েবসাইট এবং ভিডিও ব্যবসার পেছনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বড় বাজার
এ ধরনের অপকর্মে জড়িত একটি গ্রুপের একজন অ্যাডমিন বিবিসিকে জানায়, প্রতি মাসে প্রায় ১০০ ভিডিও আপলোড করা হয় তাদের তিনটি ওয়েবসাইটে। প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক আছে, যাদের বেশির ভাগই চীনের অধিবাসী। অ্যাডমিন জানান, প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ হাজার ইউয়ানের ব্যবসা আছে তাদের যা প্রায় ১ হাজার ডলারের বেশি।
নাটের গুরুর সন্ধানে
চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে বিবিসির সাংবাদিক একজন সংগীতশিল্পীর ছদ্মবেশে টেলিগ্রাম গ্রুপের নকটিস নামে একজন অ্যাডমিনের সঙ্গে পরিচিত হোন। বাস্তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর জানতে পারেন, তিনি জাপানে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকের শিক্ষার্থী। তার এক বন্ধু লুপাসও ওই গ্রুপের একজন অ্যাডমিন। তাদের দায়িত্ব হলো, ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করা, ওয়েবসাইট পরিচালনা করা। এ থেকে প্রায় মোট আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ কমিশন পায় তারা।
কিছুদিন পর জানা যায়, ডিংবুজু ওয়েবসাইটের প্রধান মাওমি, তিনি চীন থেকে পুরো কাজের দিকনির্দেশনা দেন। আরও জানা যায়, আংকেল কুই একক কোনো ব্যক্তি নয়। গ্রুপ দেখভালের জন্য এ রকম একাধিক লোক আছে।
কে এই মাওমি
নকটিস এবং লুপাসের থেকে জানা যায়, চীনে জন্ম নেওয়া মাওমি ছোটবেলায় সুপারম্যান এবং অ্যানিমে ভিডিও দেখত। ১৪ বছর বয়সে প্রথম যৌন নিপীড়নের ভিডিও দেখে। ধীরে ধীরে এতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই সে ওয়েবসাইটে এসব ভিডিওর ব্যবসা শুরু করে। চীনে ধরা পড়ার ভয়ে মাওমি জাপানে চলে আসে। জাপানিদের আচার–আচরণ রপ্ত করে। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মাওমির ব্যাংক কার্ড থেকে জানা যায়, তার প্রকৃত নাম তাং জহুরান। সে কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখভাল করে। তবে বিবিসির অনুসন্ধানী দল পরিচয় প্রকাশ করলে তাং জহুরান পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করে।
চিকান ক্লাব
জাপানের ইয়োকোহামায় জনমানবহীন এক এলাকার একটি দোকান। দোকানের সামনের অংশটি জাপানের মেট্রো স্টেশনের মতো। দোকানটিকে সাজানো হয়েছে ট্রেনের কামরার মতো করে। ভেতরে ট্রেনে ব্যবহৃত মিষ্টি ঘ্রাণের পরিষ্কারক, ওপরে ঝুলছে হাতল। রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, যেখানে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এমনকি ক্লাবের মেম্বারশিপ কার্ডও গণপরিবহনের টিকিটের মতোই। এখানে টাকার বিনিময়ে বিশেষ ভিডিও দেখতে আসেন লোকেরা। তাঁরা যাতে ট্রেনের মতো একটি আবহ পায় সে জন্যই এমন ব্যবস্থা। টাকা দিয়ে বিকৃত খেয়াল বা ফ্যান্টাসি উপভোগ করা যায় লাইভে। যারা এর গ্রাহক তাদের সাধারণত ‘চিকান’ নামে ডাকা হয়।
দোকানের মালিক হাশুদা সুহেই বিবিসির অনুসন্ধানী দলটিকে জানায়, জাপানে এভাবে বিকৃত খেয়াল মেটানোর বিষয়টি খুব সাধারণ। এ ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যেন বাস্তবে কোনো নারীকে ধর্ষণ বা হেনস্তা না করে, সে লক্ষ্যেই জাপানে এ ধরনের ক্লাব গড়ে উঠেছে। বৈধভাবেই চলছে এসব ক্লাব।
এরূপ কদর্য মানসিকতার এমন মহামারি কেন—এই প্রশ্নের জবাবে জাপানে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ সাইতো বিবিসিকে জানান, ব্যাপারটা হাশুদা যেভাবে ভাবছেন অতটা সরল নয়। শিকারের ওপর কর্তৃত্ব ফলানো এবং তার মানহানি থেকে অধিকাংশ চিকান আনন্দ পায়। তারা শিকারদের কখনোই তাদের সমান তো নয়ই, বস্তু হিসেবে বিবেচনা করে।
এ ছাড়া জাপানের সমাজ এখনো অত্যন্ত রক্ষণশীল। নারীদের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক রকমের পুরুষতান্ত্রিক। সাধারণত নারীরা নিপীড়নের ব্যাপারে মুখ খোলে না। আর এই নিপীড়কেরা নারীদের এই মৌনতার সুযোগ নেয়। প্রতিবাদকারী নারীদের অনেককেই হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। জাপানের আদালতও এ ধরনের মামলায় গুরুদণ্ড দেয় না।
ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম
পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় এ ধরনের অপকর্মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য বাড়ছে সচেতনতা। কিন্তু মূল আসামিদের ক্রমাগত রূপ বদলানো এবং তথ্যপ্রযুক্তিকে দক্ষ হওয়ার কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। গণপরিবহন বা মেট্রো স্টেশনের নারীদের হয়রানি বন্ধে প্রচারণা চলছে। স্কুল কলেজগুলোতেও চলছে সচেতনতা কার্যক্রম। সম্প্রতি জাপান এ ধরনের অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। পাশাপাশি যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করার বিষয়ে পার্লামেন্টে ঐকমত্য হয়েছে।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায় বছরখানেক। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ল তাকাকো।
বিপর্যস্ত তাকাকো একদিন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে একজন নিপীড়কের হাত ধরে ফেলে। সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকারে করে। ভিড়ের মধ্যে ধরা পড়ে অপরাধী। তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে আদালতে কেবল মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। অথচ এর আগেও একই ধরনের অপরাধে সে দণ্ডিত ছিল।
জাপানসহ পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং এবং চীনের বাণিজ্যিক প্রদেশগুলোতে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি একটা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো এটি রীতিমতো টাকা কামানোর মাধ্যম হয়ে উঠেছে!
বিশেষ করে সকালবেলা যখন গণপরিবহনে কর্মজীবী মানুষের ভিড় অত্যন্ত বেশি থাকে তখনই ঘটে এসব ঘটনা। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ট্রেনে কোনো নারীকে অনুসরণ করে। সুযোগ বুঝে ভিড়ের মধ্যে ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। গোপনে অনুসরণ করা থেকে গায়ে স্পর্শ করার পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিও বিক্রি হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। বেশ কয়েকটি অনলাইন গ্রুপে প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় এসব ভিডিও। বিবিসি আই বছরব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে রোমহর্ষক এ চিত্র তুলে এনেছে।
চিকান ওয়েবসাইট
গণপরিবহনে নারীদের হেনস্তার ভিডিও ক্লিপ বিক্রি হয় অনলাইনে ১ ডলারের কিছু কমে। বিবিসির অনুসন্ধানে এমন অনেক ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—ডিংবুজু (আমার আর তর সইছে না), চিহান, জিশে ইত্যাদি। ৪ হাজার সদস্যের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান পায় অনুসন্ধানী দলটি। ভিডিও ক্লিপ কেনা–বেচার পাশাপাশি গণপরিবহনে কীভাবে নারীদের হেনস্তা করতে হবে—এ ব্যাপারে নানা পরামর্শও পাওয়া যায় এই গ্রুপে। এমনকি কোথায় নারীদের হেনস্তা করা হবে—সেটির লাইভ আপডেট পাওয়া যায়। অনুসন্ধানী দলটির কাছে একজন নারী অভিযোগ করেন, আংকেল কুই নামে এক ব্যক্তি তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। একপর্যায়ে একটি ক্লু পাওয়া যায়, এই আংকেল কুই চিকান ওয়েবসাইট এবং ভিডিও ব্যবসার পেছনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বড় বাজার
এ ধরনের অপকর্মে জড়িত একটি গ্রুপের একজন অ্যাডমিন বিবিসিকে জানায়, প্রতি মাসে প্রায় ১০০ ভিডিও আপলোড করা হয় তাদের তিনটি ওয়েবসাইটে। প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক আছে, যাদের বেশির ভাগই চীনের অধিবাসী। অ্যাডমিন জানান, প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ হাজার ইউয়ানের ব্যবসা আছে তাদের যা প্রায় ১ হাজার ডলারের বেশি।
নাটের গুরুর সন্ধানে
চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে বিবিসির সাংবাদিক একজন সংগীতশিল্পীর ছদ্মবেশে টেলিগ্রাম গ্রুপের নকটিস নামে একজন অ্যাডমিনের সঙ্গে পরিচিত হোন। বাস্তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর জানতে পারেন, তিনি জাপানে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকের শিক্ষার্থী। তার এক বন্ধু লুপাসও ওই গ্রুপের একজন অ্যাডমিন। তাদের দায়িত্ব হলো, ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করা, ওয়েবসাইট পরিচালনা করা। এ থেকে প্রায় মোট আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ কমিশন পায় তারা।
কিছুদিন পর জানা যায়, ডিংবুজু ওয়েবসাইটের প্রধান মাওমি, তিনি চীন থেকে পুরো কাজের দিকনির্দেশনা দেন। আরও জানা যায়, আংকেল কুই একক কোনো ব্যক্তি নয়। গ্রুপ দেখভালের জন্য এ রকম একাধিক লোক আছে।
কে এই মাওমি
নকটিস এবং লুপাসের থেকে জানা যায়, চীনে জন্ম নেওয়া মাওমি ছোটবেলায় সুপারম্যান এবং অ্যানিমে ভিডিও দেখত। ১৪ বছর বয়সে প্রথম যৌন নিপীড়নের ভিডিও দেখে। ধীরে ধীরে এতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই সে ওয়েবসাইটে এসব ভিডিওর ব্যবসা শুরু করে। চীনে ধরা পড়ার ভয়ে মাওমি জাপানে চলে আসে। জাপানিদের আচার–আচরণ রপ্ত করে। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মাওমির ব্যাংক কার্ড থেকে জানা যায়, তার প্রকৃত নাম তাং জহুরান। সে কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখভাল করে। তবে বিবিসির অনুসন্ধানী দল পরিচয় প্রকাশ করলে তাং জহুরান পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করে।
চিকান ক্লাব
জাপানের ইয়োকোহামায় জনমানবহীন এক এলাকার একটি দোকান। দোকানের সামনের অংশটি জাপানের মেট্রো স্টেশনের মতো। দোকানটিকে সাজানো হয়েছে ট্রেনের কামরার মতো করে। ভেতরে ট্রেনে ব্যবহৃত মিষ্টি ঘ্রাণের পরিষ্কারক, ওপরে ঝুলছে হাতল। রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, যেখানে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এমনকি ক্লাবের মেম্বারশিপ কার্ডও গণপরিবহনের টিকিটের মতোই। এখানে টাকার বিনিময়ে বিশেষ ভিডিও দেখতে আসেন লোকেরা। তাঁরা যাতে ট্রেনের মতো একটি আবহ পায় সে জন্যই এমন ব্যবস্থা। টাকা দিয়ে বিকৃত খেয়াল বা ফ্যান্টাসি উপভোগ করা যায় লাইভে। যারা এর গ্রাহক তাদের সাধারণত ‘চিকান’ নামে ডাকা হয়।
দোকানের মালিক হাশুদা সুহেই বিবিসির অনুসন্ধানী দলটিকে জানায়, জাপানে এভাবে বিকৃত খেয়াল মেটানোর বিষয়টি খুব সাধারণ। এ ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যেন বাস্তবে কোনো নারীকে ধর্ষণ বা হেনস্তা না করে, সে লক্ষ্যেই জাপানে এ ধরনের ক্লাব গড়ে উঠেছে। বৈধভাবেই চলছে এসব ক্লাব।
এরূপ কদর্য মানসিকতার এমন মহামারি কেন—এই প্রশ্নের জবাবে জাপানে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ সাইতো বিবিসিকে জানান, ব্যাপারটা হাশুদা যেভাবে ভাবছেন অতটা সরল নয়। শিকারের ওপর কর্তৃত্ব ফলানো এবং তার মানহানি থেকে অধিকাংশ চিকান আনন্দ পায়। তারা শিকারদের কখনোই তাদের সমান তো নয়ই, বস্তু হিসেবে বিবেচনা করে।
এ ছাড়া জাপানের সমাজ এখনো অত্যন্ত রক্ষণশীল। নারীদের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক রকমের পুরুষতান্ত্রিক। সাধারণত নারীরা নিপীড়নের ব্যাপারে মুখ খোলে না। আর এই নিপীড়কেরা নারীদের এই মৌনতার সুযোগ নেয়। প্রতিবাদকারী নারীদের অনেককেই হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। জাপানের আদালতও এ ধরনের মামলায় গুরুদণ্ড দেয় না।
ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম
পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় এ ধরনের অপকর্মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য বাড়ছে সচেতনতা। কিন্তু মূল আসামিদের ক্রমাগত রূপ বদলানো এবং তথ্যপ্রযুক্তিকে দক্ষ হওয়ার কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। গণপরিবহন বা মেট্রো স্টেশনের নারীদের হয়রানি বন্ধে প্রচারণা চলছে। স্কুল কলেজগুলোতেও চলছে সচেতনতা কার্যক্রম। সম্প্রতি জাপান এ ধরনের অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। পাশাপাশি যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করার বিষয়ে পার্লামেন্টে ঐকমত্য হয়েছে।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায় বছরখানেক। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ল তাকাকো।
বিপর্যস্ত তাকাকো একদিন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে একজন নিপীড়কের হাত ধরে ফেলে। সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকারে করে। ভিড়ের মধ্যে ধরা পড়ে অপরাধী। তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে আদালতে কেবল মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। অথচ এর আগেও একই ধরনের অপরাধে সে দণ্ডিত ছিল।
জাপানসহ পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং এবং চীনের বাণিজ্যিক প্রদেশগুলোতে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি একটা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো এটি রীতিমতো টাকা কামানোর মাধ্যম হয়ে উঠেছে!
বিশেষ করে সকালবেলা যখন গণপরিবহনে কর্মজীবী মানুষের ভিড় অত্যন্ত বেশি থাকে তখনই ঘটে এসব ঘটনা। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ট্রেনে কোনো নারীকে অনুসরণ করে। সুযোগ বুঝে ভিড়ের মধ্যে ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। গোপনে অনুসরণ করা থেকে গায়ে স্পর্শ করার পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিও বিক্রি হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। বেশ কয়েকটি অনলাইন গ্রুপে প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় এসব ভিডিও। বিবিসি আই বছরব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে রোমহর্ষক এ চিত্র তুলে এনেছে।
চিকান ওয়েবসাইট
গণপরিবহনে নারীদের হেনস্তার ভিডিও ক্লিপ বিক্রি হয় অনলাইনে ১ ডলারের কিছু কমে। বিবিসির অনুসন্ধানে এমন অনেক ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—ডিংবুজু (আমার আর তর সইছে না), চিহান, জিশে ইত্যাদি। ৪ হাজার সদস্যের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান পায় অনুসন্ধানী দলটি। ভিডিও ক্লিপ কেনা–বেচার পাশাপাশি গণপরিবহনে কীভাবে নারীদের হেনস্তা করতে হবে—এ ব্যাপারে নানা পরামর্শও পাওয়া যায় এই গ্রুপে। এমনকি কোথায় নারীদের হেনস্তা করা হবে—সেটির লাইভ আপডেট পাওয়া যায়। অনুসন্ধানী দলটির কাছে একজন নারী অভিযোগ করেন, আংকেল কুই নামে এক ব্যক্তি তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। একপর্যায়ে একটি ক্লু পাওয়া যায়, এই আংকেল কুই চিকান ওয়েবসাইট এবং ভিডিও ব্যবসার পেছনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বড় বাজার
এ ধরনের অপকর্মে জড়িত একটি গ্রুপের একজন অ্যাডমিন বিবিসিকে জানায়, প্রতি মাসে প্রায় ১০০ ভিডিও আপলোড করা হয় তাদের তিনটি ওয়েবসাইটে। প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক আছে, যাদের বেশির ভাগই চীনের অধিবাসী। অ্যাডমিন জানান, প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ হাজার ইউয়ানের ব্যবসা আছে তাদের যা প্রায় ১ হাজার ডলারের বেশি।
নাটের গুরুর সন্ধানে
চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে বিবিসির সাংবাদিক একজন সংগীতশিল্পীর ছদ্মবেশে টেলিগ্রাম গ্রুপের নকটিস নামে একজন অ্যাডমিনের সঙ্গে পরিচিত হোন। বাস্তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর জানতে পারেন, তিনি জাপানে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকের শিক্ষার্থী। তার এক বন্ধু লুপাসও ওই গ্রুপের একজন অ্যাডমিন। তাদের দায়িত্ব হলো, ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করা, ওয়েবসাইট পরিচালনা করা। এ থেকে প্রায় মোট আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ কমিশন পায় তারা।
কিছুদিন পর জানা যায়, ডিংবুজু ওয়েবসাইটের প্রধান মাওমি, তিনি চীন থেকে পুরো কাজের দিকনির্দেশনা দেন। আরও জানা যায়, আংকেল কুই একক কোনো ব্যক্তি নয়। গ্রুপ দেখভালের জন্য এ রকম একাধিক লোক আছে।
কে এই মাওমি
নকটিস এবং লুপাসের থেকে জানা যায়, চীনে জন্ম নেওয়া মাওমি ছোটবেলায় সুপারম্যান এবং অ্যানিমে ভিডিও দেখত। ১৪ বছর বয়সে প্রথম যৌন নিপীড়নের ভিডিও দেখে। ধীরে ধীরে এতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই সে ওয়েবসাইটে এসব ভিডিওর ব্যবসা শুরু করে। চীনে ধরা পড়ার ভয়ে মাওমি জাপানে চলে আসে। জাপানিদের আচার–আচরণ রপ্ত করে। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মাওমির ব্যাংক কার্ড থেকে জানা যায়, তার প্রকৃত নাম তাং জহুরান। সে কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখভাল করে। তবে বিবিসির অনুসন্ধানী দল পরিচয় প্রকাশ করলে তাং জহুরান পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করে।
চিকান ক্লাব
জাপানের ইয়োকোহামায় জনমানবহীন এক এলাকার একটি দোকান। দোকানের সামনের অংশটি জাপানের মেট্রো স্টেশনের মতো। দোকানটিকে সাজানো হয়েছে ট্রেনের কামরার মতো করে। ভেতরে ট্রেনে ব্যবহৃত মিষ্টি ঘ্রাণের পরিষ্কারক, ওপরে ঝুলছে হাতল। রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, যেখানে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এমনকি ক্লাবের মেম্বারশিপ কার্ডও গণপরিবহনের টিকিটের মতোই। এখানে টাকার বিনিময়ে বিশেষ ভিডিও দেখতে আসেন লোকেরা। তাঁরা যাতে ট্রেনের মতো একটি আবহ পায় সে জন্যই এমন ব্যবস্থা। টাকা দিয়ে বিকৃত খেয়াল বা ফ্যান্টাসি উপভোগ করা যায় লাইভে। যারা এর গ্রাহক তাদের সাধারণত ‘চিকান’ নামে ডাকা হয়।
দোকানের মালিক হাশুদা সুহেই বিবিসির অনুসন্ধানী দলটিকে জানায়, জাপানে এভাবে বিকৃত খেয়াল মেটানোর বিষয়টি খুব সাধারণ। এ ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যেন বাস্তবে কোনো নারীকে ধর্ষণ বা হেনস্তা না করে, সে লক্ষ্যেই জাপানে এ ধরনের ক্লাব গড়ে উঠেছে। বৈধভাবেই চলছে এসব ক্লাব।
এরূপ কদর্য মানসিকতার এমন মহামারি কেন—এই প্রশ্নের জবাবে জাপানে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ সাইতো বিবিসিকে জানান, ব্যাপারটা হাশুদা যেভাবে ভাবছেন অতটা সরল নয়। শিকারের ওপর কর্তৃত্ব ফলানো এবং তার মানহানি থেকে অধিকাংশ চিকান আনন্দ পায়। তারা শিকারদের কখনোই তাদের সমান তো নয়ই, বস্তু হিসেবে বিবেচনা করে।
এ ছাড়া জাপানের সমাজ এখনো অত্যন্ত রক্ষণশীল। নারীদের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক রকমের পুরুষতান্ত্রিক। সাধারণত নারীরা নিপীড়নের ব্যাপারে মুখ খোলে না। আর এই নিপীড়কেরা নারীদের এই মৌনতার সুযোগ নেয়। প্রতিবাদকারী নারীদের অনেককেই হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। জাপানের আদালতও এ ধরনের মামলায় গুরুদণ্ড দেয় না।
ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম
পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় এ ধরনের অপকর্মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য বাড়ছে সচেতনতা। কিন্তু মূল আসামিদের ক্রমাগত রূপ বদলানো এবং তথ্যপ্রযুক্তিকে দক্ষ হওয়ার কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। গণপরিবহন বা মেট্রো স্টেশনের নারীদের হয়রানি বন্ধে প্রচারণা চলছে। স্কুল কলেজগুলোতেও চলছে সচেতনতা কার্যক্রম। সম্প্রতি জাপান এ ধরনের অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। পাশাপাশি যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করার বিষয়ে পার্লামেন্টে ঐকমত্য হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায়
১৫ জুন ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায়
১৫ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায়
১৫ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায়
১৫ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে