সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর গত ১৩ মাসে ১ হাজার ১৩টি মামলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের মামলাসহ বিভিন্ন থানা মিলে গড়ে প্রতি মাসে এখানে অন্তত ৭০টি মামলা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত সময়ের তুলনায় চট্টগ্রামে সাইবার অপরাধের মামলার সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে অপরাধের ধরনেও পরিবর্তন এসেছে।
ট্রাইব্যুনালের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ মে সাতটি মামলা নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে মামলার সংখ্যা ১ হাজার ১৩। গত জুন মাসে ট্রাইব্যুনালে নতুন মামলা আসে ৭৮টি। এর মধ্যে সাইবার ট্রাইব্যুনালের মামলা ৫৯, আর বিভিন্ন থানা থেকে ট্রাইব্যুনালের মামলা এসেছে ১৯টি। আইসিটি (তথ্য ও প্রযুক্তি) ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এসব মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল ছিল না। মামলার জন্য মানুষকে ঢাকায় যেতে হতো। ঝামেলা এড়াতে তখন অনেকেরই মামলা করতে অনীহা ছিল। কিন্তু এখন চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালে সহজেই সবাই মামলা করতে পারছে। এখানে চট্টগ্রাম ছাড়াও কুমিল্লা, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন দূরবর্তী গন্তব্য থেকে মানুষজন মামলা করতে আসে। তাতে মামলার সংখ্যা বেশি হচ্ছে।
মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তবে মামলা বেশি হওয়া মানে যে অপরাধ বাড়ছে, তা-ও না। সাইবার অপরাধ আগেও ছিল, এখনো আছে। আগে এ অপরাধের বিষয়ে লোকজন সচেতন ছিল না। কিন্তু এখন সবাই সচেতন। বরং আমার মনে হয়, বর্তমানে অপরাধ কমছে। এখন ফেসবুকে লেখালেখিসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য ট্রাইব্যুনালে মামলা ও সাজা হচ্ছে।’ এগুলো বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মানুষজন দেখছে। তারা সচেতন হচ্ছে। অপরাধীরা সতর্ক হচ্ছে। তারা ভয় পাচ্ছে।
ট্রাইব্যুনাল-সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশেষ করে নারীদের আপত্তিকর ছবি, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, বিকৃত ছবি বা ভিডিও প্রকাশের অভিযোগে বেশি মামলা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালে প্রতি কার্যদিবসে কোনো সময় দু-একটি আবার কোনো সময় চার-পাঁচটি মামলার শুনানি হচ্ছে। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে একজন বিচারক রয়েছেন। পিপি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মামলাগুলো নিষ্পত্তির দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই করা আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, বর্তমানে সাইবার অপরাধের ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে। আগে ফেসবুকে কটূক্তি, মন্তব্য, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াসহ ঘুরেফিরে কয়েকটি অভিযোগে মামলা হতো। কিন্তু এখন মামলার ধরনে পরিবর্তন এসেছে। নতুন নতুন বিভিন্ন অ্যাপস দিয়ে বিভিন্নজনের আইডি হ্যাক হচ্ছে। গোপন অ্যাপস ব্যবহার করে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ অপরাধীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। গোপনে একে অন্যকে নজরদারি করতে পারছে। একজনের মোবাইল আরেকজনের নিয়ন্ত্রণে থাকছে। এভাবে নিত্যনতুন সাইবার অপরাধের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার বেশি হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে এসব অপরাধ আরও বাড়বে বলে মনে করেন গোলাম মাওলা মুরাদ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে হিডেন অ্যাপস ব্যবহার করে এক নারীর মোবাইলে নজরদারি করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
ওই মামলার নথি থেকে জানা যায়, আগে থেকেই গোপনে ভুক্তভোগীর মোবাইলে ইনস্টল করে দেওয়া হয় অ্যাপ। পরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেই তাঁর সবকিছু দেখতে পায় আরেকজন। গত ১৮ জুলাই এমন অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন রাঙামাটির বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারী।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর গত ১৩ মাসে ১ হাজার ১৩টি মামলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের মামলাসহ বিভিন্ন থানা মিলে গড়ে প্রতি মাসে এখানে অন্তত ৭০টি মামলা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত সময়ের তুলনায় চট্টগ্রামে সাইবার অপরাধের মামলার সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে অপরাধের ধরনেও পরিবর্তন এসেছে।
ট্রাইব্যুনালের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ মে সাতটি মামলা নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে মামলার সংখ্যা ১ হাজার ১৩। গত জুন মাসে ট্রাইব্যুনালে নতুন মামলা আসে ৭৮টি। এর মধ্যে সাইবার ট্রাইব্যুনালের মামলা ৫৯, আর বিভিন্ন থানা থেকে ট্রাইব্যুনালের মামলা এসেছে ১৯টি। আইসিটি (তথ্য ও প্রযুক্তি) ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এসব মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল ছিল না। মামলার জন্য মানুষকে ঢাকায় যেতে হতো। ঝামেলা এড়াতে তখন অনেকেরই মামলা করতে অনীহা ছিল। কিন্তু এখন চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালে সহজেই সবাই মামলা করতে পারছে। এখানে চট্টগ্রাম ছাড়াও কুমিল্লা, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন দূরবর্তী গন্তব্য থেকে মানুষজন মামলা করতে আসে। তাতে মামলার সংখ্যা বেশি হচ্ছে।
মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তবে মামলা বেশি হওয়া মানে যে অপরাধ বাড়ছে, তা-ও না। সাইবার অপরাধ আগেও ছিল, এখনো আছে। আগে এ অপরাধের বিষয়ে লোকজন সচেতন ছিল না। কিন্তু এখন সবাই সচেতন। বরং আমার মনে হয়, বর্তমানে অপরাধ কমছে। এখন ফেসবুকে লেখালেখিসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য ট্রাইব্যুনালে মামলা ও সাজা হচ্ছে।’ এগুলো বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মানুষজন দেখছে। তারা সচেতন হচ্ছে। অপরাধীরা সতর্ক হচ্ছে। তারা ভয় পাচ্ছে।
ট্রাইব্যুনাল-সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশেষ করে নারীদের আপত্তিকর ছবি, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, বিকৃত ছবি বা ভিডিও প্রকাশের অভিযোগে বেশি মামলা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালে প্রতি কার্যদিবসে কোনো সময় দু-একটি আবার কোনো সময় চার-পাঁচটি মামলার শুনানি হচ্ছে। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে একজন বিচারক রয়েছেন। পিপি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মামলাগুলো নিষ্পত্তির দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই করা আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, বর্তমানে সাইবার অপরাধের ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে। আগে ফেসবুকে কটূক্তি, মন্তব্য, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াসহ ঘুরেফিরে কয়েকটি অভিযোগে মামলা হতো। কিন্তু এখন মামলার ধরনে পরিবর্তন এসেছে। নতুন নতুন বিভিন্ন অ্যাপস দিয়ে বিভিন্নজনের আইডি হ্যাক হচ্ছে। গোপন অ্যাপস ব্যবহার করে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ অপরাধীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। গোপনে একে অন্যকে নজরদারি করতে পারছে। একজনের মোবাইল আরেকজনের নিয়ন্ত্রণে থাকছে। এভাবে নিত্যনতুন সাইবার অপরাধের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার বেশি হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে এসব অপরাধ আরও বাড়বে বলে মনে করেন গোলাম মাওলা মুরাদ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে হিডেন অ্যাপস ব্যবহার করে এক নারীর মোবাইলে নজরদারি করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
ওই মামলার নথি থেকে জানা যায়, আগে থেকেই গোপনে ভুক্তভোগীর মোবাইলে ইনস্টল করে দেওয়া হয় অ্যাপ। পরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেই তাঁর সবকিছু দেখতে পায় আরেকজন। গত ১৮ জুলাই এমন অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন রাঙামাটির বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারী।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে