আশরাফ-উল-আলম ও সাজ্জাদ মাহমুদ খান, ঢাকা

গভীর রাতে মোবাইল ফোনে আসা কলে কাঁচা ঘুম ভাঙে আবদুল কাদেরের। অচেনা নম্বর, অজানা আশঙ্কা। তবু ফোন ধরেন তিনি। ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার রকেট অ্যাকাউন্টে সমস্যা, এখনই বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা একটি পাঁচ ডিজিটের নম্বর দিচ্ছি। সেই নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে আপনার কাছে যাওয়া কোড নম্বরটি দ্রুত বলুন।’ ঘুমের ঘোরেই তিনি কোড নম্বর দেন। ঘোর কাটতেই বুঝতে পারেন তাঁর ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের আশুলিয়া শাখার হিসাব থেকে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৯০ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার শিকার হওয়া অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো হাল ছাড়েননি আবদুল কাদের। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে এমন ১৪টি চক্রের হদিস, যাদের পরিচিত নাম ‘ওয়েলকাম পার্টি’। আর এদের পেছনে থাকা স্থানীয় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম।
আশুলিয়ার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কামাল বয়াতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর সহযোগী রিয়াদ ও নুরুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল ও ভাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি প্রতারক চক্রের নাম পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামি আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনজনের একজন তাঁর স্বীকারোক্তিতে এই প্রতারণার মদদদাতা হিসেবে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের নাম বলেন। তবে তিনি কীভাবে জড়িত, তার বিস্তারিত বিবরণ জবানবন্দিতে উল্লেখ নেই।
জানতে চাইলে দীপক মজুমদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি দেড় বছর এলাকায় যাই না। স্মার্টফোনও ব্যবহার করতে পারি না। এলাকায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে। তারা ফাঁসানোর জন্য এসব কাজ করছে।’
স্বীকারোক্তিতে ১৪ দলের নাম
জবানবন্দিতে তিনজনই স্বীকার করেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতারণার জন্য তিন থেকে চারজনকে নিয়ে একটি করে দল গঠন করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া কামাল বয়াতি জানান, তাঁর দলে সদস্যসংখ্যা আছেন চারজন। তাঁর দলের সদস্য নুরুজ্জামান মাতুব্বর ও রিয়াদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেবল রাসেল নামে একজন পলাতক আছেন। কামাল বয়াতি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ভাঙ্গার পাতরাইলে আরও একটি দল আছে, যার নেতা মেহেদী সজীব ও নাজিম কাজী। অন্য একটি দলের নেতা ইমারত, শহীদুল ও সম্রাট। আরেকটি দলে আছেন ভাঙ্গার মিয়াপাড়ার লাল্টু, মিনু ও ইজ্জাল ফকির। এ ছাড়া ইজ্জাল মাতবর, জাকির মেম্বার, বিলাল মাতুব্বর, মামুন সাইফুদ্দিন ব্যাপারী, রফিক ব্যাপারীরাও বড় দলনেতা।
আরেক আসামি নুরুজ্জামান মাতুব্বর গত ৩ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁর বাড়িও ভাঙ্গার পাতরাইল গ্রামে। তাঁকে সবাই মোবাইল ব্যাংক প্রতারণার ‘ওস্তাদ’ হিসেবে চেনে। তিনি জবানবন্দিতে এলাকার ধলা ফকির, বাদল জামাই রুবেল, নজরুল, কামাল, ঠান্ডু, রুবেল মুনশি, ফরাজি রুবেল, সবুজ ফরাজি, দীপক মজুমদার বিকাশ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন।
এদের আছে প্রশিক্ষক
জবানবন্দিতে তাঁরা স্বীকার করেন, রীতিমতো ট্রেনিং সেন্টার খুলে ভাঙ্গায় ওয়েলকাম পার্টির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ভাঙ্গার পাতরাইল গ্রামের মো. কাশেম শেখের ছেলে রিয়াদ হোসেন নামকরা প্রশিক্ষক। তিনি স্থানীয় ছেলেদের কথায় জাদু ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলেন। তিনি নিজেও রিয়াদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন।
প্রতারণার কৌশল
ভাঙ্গার মধ্য পাতরাইল গ্রামের কামাল বয়াতি সম্প্রতি ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের কাছে জবানবন্দি দেন। তিনি জবানবন্দিতে জানান, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনের ক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের সংশ্লিষ্ট অফিসের লোক বলে পরিচয় দেন। এরপর সুযোগ বুঝে হিসাবের গোপন নম্বর আদায় করে হিসাব থেকে টাকা সরিয়ে নেন।
হাতিয়ে নেওয়া টাকা তাঁরা নিজেদের হিসাব বা পরিচিত কোনো ব্যক্তির হিসাবে হস্তান্তর করেন।
ভাঙ্গার শিমুল বাজারের (চম্পারচর) দোকানি রফিকুল ইসলাম আশুলিয়া থানার এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে দুবার ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা জমা হয়েছে। কামাল বয়াতি তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনো এক আত্মীয় তাঁকে টাকা পাঠাচ্ছেন। পরে সেই টাকা তুলে কামাল বয়াতিকে দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন আদালতে বলেন, ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে তাঁরা মোবাইল সিম সংগ্রহ করেন। পুলিশ কামাল বয়াতির পাতরাইল গ্রামে একটি আস্তানা থেকে ১০টি মোবাইল ফোনসেট, ৪০টি সিম কার্ড ও বিকাশ, রকেটের মোবাইল নম্বরযুক্ত রেজিস্টার খাতা উদ্ধার করে।
কামাল বয়াতি তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, প্রতিদিন ৩–৪টি করে প্রতারণা করতে পারেন। এতে হিসাবপ্রতি তিন হাজার করে টাকা পান। তবে দলের নেতারা মাসে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা আয় করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া বেশির ভাগই ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। ভাঙ্গার পাতরাইলসহ কয়েকটি গ্রামে এদের তৎপরতা বেশি। এলাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের আশ্রয় দিয়ে থাকেন।
জানতে চাইলে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতারণা নিয়ে এই থানায় নিয়মিত মামলা হয়। আসামি গ্রেপ্তার হয়। তাঁরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবার একই অপরাধ করেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এলাকার মানুষ এ ধরনের অপরাধকে অপরাধই মনে করে না। এ একটি অদ্ভুত জগৎ, যেখানে প্রতারণাকে লোকে ব্যবসা মনে করে।

গভীর রাতে মোবাইল ফোনে আসা কলে কাঁচা ঘুম ভাঙে আবদুল কাদেরের। অচেনা নম্বর, অজানা আশঙ্কা। তবু ফোন ধরেন তিনি। ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার রকেট অ্যাকাউন্টে সমস্যা, এখনই বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা একটি পাঁচ ডিজিটের নম্বর দিচ্ছি। সেই নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে আপনার কাছে যাওয়া কোড নম্বরটি দ্রুত বলুন।’ ঘুমের ঘোরেই তিনি কোড নম্বর দেন। ঘোর কাটতেই বুঝতে পারেন তাঁর ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের আশুলিয়া শাখার হিসাব থেকে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৯০ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার শিকার হওয়া অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো হাল ছাড়েননি আবদুল কাদের। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে এমন ১৪টি চক্রের হদিস, যাদের পরিচিত নাম ‘ওয়েলকাম পার্টি’। আর এদের পেছনে থাকা স্থানীয় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম।
আশুলিয়ার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কামাল বয়াতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর সহযোগী রিয়াদ ও নুরুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল ও ভাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি প্রতারক চক্রের নাম পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামি আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনজনের একজন তাঁর স্বীকারোক্তিতে এই প্রতারণার মদদদাতা হিসেবে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের নাম বলেন। তবে তিনি কীভাবে জড়িত, তার বিস্তারিত বিবরণ জবানবন্দিতে উল্লেখ নেই।
জানতে চাইলে দীপক মজুমদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি দেড় বছর এলাকায় যাই না। স্মার্টফোনও ব্যবহার করতে পারি না। এলাকায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে। তারা ফাঁসানোর জন্য এসব কাজ করছে।’
স্বীকারোক্তিতে ১৪ দলের নাম
জবানবন্দিতে তিনজনই স্বীকার করেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতারণার জন্য তিন থেকে চারজনকে নিয়ে একটি করে দল গঠন করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া কামাল বয়াতি জানান, তাঁর দলে সদস্যসংখ্যা আছেন চারজন। তাঁর দলের সদস্য নুরুজ্জামান মাতুব্বর ও রিয়াদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেবল রাসেল নামে একজন পলাতক আছেন। কামাল বয়াতি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ভাঙ্গার পাতরাইলে আরও একটি দল আছে, যার নেতা মেহেদী সজীব ও নাজিম কাজী। অন্য একটি দলের নেতা ইমারত, শহীদুল ও সম্রাট। আরেকটি দলে আছেন ভাঙ্গার মিয়াপাড়ার লাল্টু, মিনু ও ইজ্জাল ফকির। এ ছাড়া ইজ্জাল মাতবর, জাকির মেম্বার, বিলাল মাতুব্বর, মামুন সাইফুদ্দিন ব্যাপারী, রফিক ব্যাপারীরাও বড় দলনেতা।
আরেক আসামি নুরুজ্জামান মাতুব্বর গত ৩ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁর বাড়িও ভাঙ্গার পাতরাইল গ্রামে। তাঁকে সবাই মোবাইল ব্যাংক প্রতারণার ‘ওস্তাদ’ হিসেবে চেনে। তিনি জবানবন্দিতে এলাকার ধলা ফকির, বাদল জামাই রুবেল, নজরুল, কামাল, ঠান্ডু, রুবেল মুনশি, ফরাজি রুবেল, সবুজ ফরাজি, দীপক মজুমদার বিকাশ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন।
এদের আছে প্রশিক্ষক
জবানবন্দিতে তাঁরা স্বীকার করেন, রীতিমতো ট্রেনিং সেন্টার খুলে ভাঙ্গায় ওয়েলকাম পার্টির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ভাঙ্গার পাতরাইল গ্রামের মো. কাশেম শেখের ছেলে রিয়াদ হোসেন নামকরা প্রশিক্ষক। তিনি স্থানীয় ছেলেদের কথায় জাদু ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলেন। তিনি নিজেও রিয়াদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন।
প্রতারণার কৌশল
ভাঙ্গার মধ্য পাতরাইল গ্রামের কামাল বয়াতি সম্প্রতি ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের কাছে জবানবন্দি দেন। তিনি জবানবন্দিতে জানান, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনের ক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের সংশ্লিষ্ট অফিসের লোক বলে পরিচয় দেন। এরপর সুযোগ বুঝে হিসাবের গোপন নম্বর আদায় করে হিসাব থেকে টাকা সরিয়ে নেন।
হাতিয়ে নেওয়া টাকা তাঁরা নিজেদের হিসাব বা পরিচিত কোনো ব্যক্তির হিসাবে হস্তান্তর করেন।
ভাঙ্গার শিমুল বাজারের (চম্পারচর) দোকানি রফিকুল ইসলাম আশুলিয়া থানার এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে দুবার ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা জমা হয়েছে। কামাল বয়াতি তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনো এক আত্মীয় তাঁকে টাকা পাঠাচ্ছেন। পরে সেই টাকা তুলে কামাল বয়াতিকে দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন আদালতে বলেন, ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে তাঁরা মোবাইল সিম সংগ্রহ করেন। পুলিশ কামাল বয়াতির পাতরাইল গ্রামে একটি আস্তানা থেকে ১০টি মোবাইল ফোনসেট, ৪০টি সিম কার্ড ও বিকাশ, রকেটের মোবাইল নম্বরযুক্ত রেজিস্টার খাতা উদ্ধার করে।
কামাল বয়াতি তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, প্রতিদিন ৩–৪টি করে প্রতারণা করতে পারেন। এতে হিসাবপ্রতি তিন হাজার করে টাকা পান। তবে দলের নেতারা মাসে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা আয় করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া বেশির ভাগই ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। ভাঙ্গার পাতরাইলসহ কয়েকটি গ্রামে এদের তৎপরতা বেশি। এলাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের আশ্রয় দিয়ে থাকেন।
জানতে চাইলে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতারণা নিয়ে এই থানায় নিয়মিত মামলা হয়। আসামি গ্রেপ্তার হয়। তাঁরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবার একই অপরাধ করেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এলাকার মানুষ এ ধরনের অপরাধকে অপরাধই মনে করে না। এ একটি অদ্ভুত জগৎ, যেখানে প্রতারণাকে লোকে ব্যবসা মনে করে।
আশরাফ-উল-আলম ও সাজ্জাদ মাহমুদ খান, ঢাকা

গভীর রাতে মোবাইল ফোনে আসা কলে কাঁচা ঘুম ভাঙে আবদুল কাদেরের। অচেনা নম্বর, অজানা আশঙ্কা। তবু ফোন ধরেন তিনি। ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার রকেট অ্যাকাউন্টে সমস্যা, এখনই বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা একটি পাঁচ ডিজিটের নম্বর দিচ্ছি। সেই নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে আপনার কাছে যাওয়া কোড নম্বরটি দ্রুত বলুন।’ ঘুমের ঘোরেই তিনি কোড নম্বর দেন। ঘোর কাটতেই বুঝতে পারেন তাঁর ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের আশুলিয়া শাখার হিসাব থেকে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৯০ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার শিকার হওয়া অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো হাল ছাড়েননি আবদুল কাদের। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে এমন ১৪টি চক্রের হদিস, যাদের পরিচিত নাম ‘ওয়েলকাম পার্টি’। আর এদের পেছনে থাকা স্থানীয় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম।
আশুলিয়ার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কামাল বয়াতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর সহযোগী রিয়াদ ও নুরুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল ও ভাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি প্রতারক চক্রের নাম পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামি আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনজনের একজন তাঁর স্বীকারোক্তিতে এই প্রতারণার মদদদাতা হিসেবে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের নাম বলেন। তবে তিনি কীভাবে জড়িত, তার বিস্তারিত বিবরণ জবানবন্দিতে উল্লেখ নেই।
জানতে চাইলে দীপক মজুমদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি দেড় বছর এলাকায় যাই না। স্মার্টফোনও ব্যবহার করতে পারি না। এলাকায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে। তারা ফাঁসানোর জন্য এসব কাজ করছে।’
স্বীকারোক্তিতে ১৪ দলের নাম
জবানবন্দিতে তিনজনই স্বীকার করেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতারণার জন্য তিন থেকে চারজনকে নিয়ে একটি করে দল গঠন করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া কামাল বয়াতি জানান, তাঁর দলে সদস্যসংখ্যা আছেন চারজন। তাঁর দলের সদস্য নুরুজ্জামান মাতুব্বর ও রিয়াদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেবল রাসেল নামে একজন পলাতক আছেন। কামাল বয়াতি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ভাঙ্গার পাতরাইলে আরও একটি দল আছে, যার নেতা মেহেদী সজীব ও নাজিম কাজী। অন্য একটি দলের নেতা ইমারত, শহীদুল ও সম্রাট। আরেকটি দলে আছেন ভাঙ্গার মিয়াপাড়ার লাল্টু, মিনু ও ইজ্জাল ফকির। এ ছাড়া ইজ্জাল মাতবর, জাকির মেম্বার, বিলাল মাতুব্বর, মামুন সাইফুদ্দিন ব্যাপারী, রফিক ব্যাপারীরাও বড় দলনেতা।
আরেক আসামি নুরুজ্জামান মাতুব্বর গত ৩ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁর বাড়িও ভাঙ্গার পাতরাইল গ্রামে। তাঁকে সবাই মোবাইল ব্যাংক প্রতারণার ‘ওস্তাদ’ হিসেবে চেনে। তিনি জবানবন্দিতে এলাকার ধলা ফকির, বাদল জামাই রুবেল, নজরুল, কামাল, ঠান্ডু, রুবেল মুনশি, ফরাজি রুবেল, সবুজ ফরাজি, দীপক মজুমদার বিকাশ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন।
এদের আছে প্রশিক্ষক
জবানবন্দিতে তাঁরা স্বীকার করেন, রীতিমতো ট্রেনিং সেন্টার খুলে ভাঙ্গায় ওয়েলকাম পার্টির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ভাঙ্গার পাতরাইল গ্রামের মো. কাশেম শেখের ছেলে রিয়াদ হোসেন নামকরা প্রশিক্ষক। তিনি স্থানীয় ছেলেদের কথায় জাদু ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলেন। তিনি নিজেও রিয়াদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন।
প্রতারণার কৌশল
ভাঙ্গার মধ্য পাতরাইল গ্রামের কামাল বয়াতি সম্প্রতি ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের কাছে জবানবন্দি দেন। তিনি জবানবন্দিতে জানান, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনের ক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের সংশ্লিষ্ট অফিসের লোক বলে পরিচয় দেন। এরপর সুযোগ বুঝে হিসাবের গোপন নম্বর আদায় করে হিসাব থেকে টাকা সরিয়ে নেন।
হাতিয়ে নেওয়া টাকা তাঁরা নিজেদের হিসাব বা পরিচিত কোনো ব্যক্তির হিসাবে হস্তান্তর করেন।
ভাঙ্গার শিমুল বাজারের (চম্পারচর) দোকানি রফিকুল ইসলাম আশুলিয়া থানার এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে দুবার ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা জমা হয়েছে। কামাল বয়াতি তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনো এক আত্মীয় তাঁকে টাকা পাঠাচ্ছেন। পরে সেই টাকা তুলে কামাল বয়াতিকে দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন আদালতে বলেন, ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে তাঁরা মোবাইল সিম সংগ্রহ করেন। পুলিশ কামাল বয়াতির পাতরাইল গ্রামে একটি আস্তানা থেকে ১০টি মোবাইল ফোনসেট, ৪০টি সিম কার্ড ও বিকাশ, রকেটের মোবাইল নম্বরযুক্ত রেজিস্টার খাতা উদ্ধার করে।
কামাল বয়াতি তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, প্রতিদিন ৩–৪টি করে প্রতারণা করতে পারেন। এতে হিসাবপ্রতি তিন হাজার করে টাকা পান। তবে দলের নেতারা মাসে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা আয় করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া বেশির ভাগই ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। ভাঙ্গার পাতরাইলসহ কয়েকটি গ্রামে এদের তৎপরতা বেশি। এলাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের আশ্রয় দিয়ে থাকেন।
জানতে চাইলে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতারণা নিয়ে এই থানায় নিয়মিত মামলা হয়। আসামি গ্রেপ্তার হয়। তাঁরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবার একই অপরাধ করেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এলাকার মানুষ এ ধরনের অপরাধকে অপরাধই মনে করে না। এ একটি অদ্ভুত জগৎ, যেখানে প্রতারণাকে লোকে ব্যবসা মনে করে।

গভীর রাতে মোবাইল ফোনে আসা কলে কাঁচা ঘুম ভাঙে আবদুল কাদেরের। অচেনা নম্বর, অজানা আশঙ্কা। তবু ফোন ধরেন তিনি। ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার রকেট অ্যাকাউন্টে সমস্যা, এখনই বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা একটি পাঁচ ডিজিটের নম্বর দিচ্ছি। সেই নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে আপনার কাছে যাওয়া কোড নম্বরটি দ্রুত বলুন।’ ঘুমের ঘোরেই তিনি কোড নম্বর দেন। ঘোর কাটতেই বুঝতে পারেন তাঁর ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের আশুলিয়া শাখার হিসাব থেকে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৯০ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার শিকার হওয়া অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো হাল ছাড়েননি আবদুল কাদের। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে এমন ১৪টি চক্রের হদিস, যাদের পরিচিত নাম ‘ওয়েলকাম পার্টি’। আর এদের পেছনে থাকা স্থানীয় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম।
আশুলিয়ার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কামাল বয়াতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর সহযোগী রিয়াদ ও নুরুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল ও ভাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি প্রতারক চক্রের নাম পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামি আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনজনের একজন তাঁর স্বীকারোক্তিতে এই প্রতারণার মদদদাতা হিসেবে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের নাম বলেন। তবে তিনি কীভাবে জড়িত, তার বিস্তারিত বিবরণ জবানবন্দিতে উল্লেখ নেই।
জানতে চাইলে দীপক মজুমদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি দেড় বছর এলাকায় যাই না। স্মার্টফোনও ব্যবহার করতে পারি না। এলাকায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে। তারা ফাঁসানোর জন্য এসব কাজ করছে।’
স্বীকারোক্তিতে ১৪ দলের নাম
জবানবন্দিতে তিনজনই স্বীকার করেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতারণার জন্য তিন থেকে চারজনকে নিয়ে একটি করে দল গঠন করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া কামাল বয়াতি জানান, তাঁর দলে সদস্যসংখ্যা আছেন চারজন। তাঁর দলের সদস্য নুরুজ্জামান মাতুব্বর ও রিয়াদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেবল রাসেল নামে একজন পলাতক আছেন। কামাল বয়াতি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ভাঙ্গার পাতরাইলে আরও একটি দল আছে, যার নেতা মেহেদী সজীব ও নাজিম কাজী। অন্য একটি দলের নেতা ইমারত, শহীদুল ও সম্রাট। আরেকটি দলে আছেন ভাঙ্গার মিয়াপাড়ার লাল্টু, মিনু ও ইজ্জাল ফকির। এ ছাড়া ইজ্জাল মাতবর, জাকির মেম্বার, বিলাল মাতুব্বর, মামুন সাইফুদ্দিন ব্যাপারী, রফিক ব্যাপারীরাও বড় দলনেতা।
আরেক আসামি নুরুজ্জামান মাতুব্বর গত ৩ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁর বাড়িও ভাঙ্গার পাতরাইল গ্রামে। তাঁকে সবাই মোবাইল ব্যাংক প্রতারণার ‘ওস্তাদ’ হিসেবে চেনে। তিনি জবানবন্দিতে এলাকার ধলা ফকির, বাদল জামাই রুবেল, নজরুল, কামাল, ঠান্ডু, রুবেল মুনশি, ফরাজি রুবেল, সবুজ ফরাজি, দীপক মজুমদার বিকাশ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন।
এদের আছে প্রশিক্ষক
জবানবন্দিতে তাঁরা স্বীকার করেন, রীতিমতো ট্রেনিং সেন্টার খুলে ভাঙ্গায় ওয়েলকাম পার্টির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ভাঙ্গার পাতরাইল গ্রামের মো. কাশেম শেখের ছেলে রিয়াদ হোসেন নামকরা প্রশিক্ষক। তিনি স্থানীয় ছেলেদের কথায় জাদু ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলেন। তিনি নিজেও রিয়াদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন।
প্রতারণার কৌশল
ভাঙ্গার মধ্য পাতরাইল গ্রামের কামাল বয়াতি সম্প্রতি ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের কাছে জবানবন্দি দেন। তিনি জবানবন্দিতে জানান, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনের ক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের সংশ্লিষ্ট অফিসের লোক বলে পরিচয় দেন। এরপর সুযোগ বুঝে হিসাবের গোপন নম্বর আদায় করে হিসাব থেকে টাকা সরিয়ে নেন।
হাতিয়ে নেওয়া টাকা তাঁরা নিজেদের হিসাব বা পরিচিত কোনো ব্যক্তির হিসাবে হস্তান্তর করেন।
ভাঙ্গার শিমুল বাজারের (চম্পারচর) দোকানি রফিকুল ইসলাম আশুলিয়া থানার এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে দুবার ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা জমা হয়েছে। কামাল বয়াতি তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনো এক আত্মীয় তাঁকে টাকা পাঠাচ্ছেন। পরে সেই টাকা তুলে কামাল বয়াতিকে দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন আদালতে বলেন, ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে তাঁরা মোবাইল সিম সংগ্রহ করেন। পুলিশ কামাল বয়াতির পাতরাইল গ্রামে একটি আস্তানা থেকে ১০টি মোবাইল ফোনসেট, ৪০টি সিম কার্ড ও বিকাশ, রকেটের মোবাইল নম্বরযুক্ত রেজিস্টার খাতা উদ্ধার করে।
কামাল বয়াতি তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, প্রতিদিন ৩–৪টি করে প্রতারণা করতে পারেন। এতে হিসাবপ্রতি তিন হাজার করে টাকা পান। তবে দলের নেতারা মাসে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা আয় করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া বেশির ভাগই ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। ভাঙ্গার পাতরাইলসহ কয়েকটি গ্রামে এদের তৎপরতা বেশি। এলাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের আশ্রয় দিয়ে থাকেন।
জানতে চাইলে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতারণা নিয়ে এই থানায় নিয়মিত মামলা হয়। আসামি গ্রেপ্তার হয়। তাঁরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবার একই অপরাধ করেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এলাকার মানুষ এ ধরনের অপরাধকে অপরাধই মনে করে না। এ একটি অদ্ভুত জগৎ, যেখানে প্রতারণাকে লোকে ব্যবসা মনে করে।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গভীর রাতে মোবাইল ফোনে আসা কলে কাঁচা ঘুম ভাঙে আবদুল কাদেরের। অচেনা নম্বর, অজানা আশঙ্কা। তবু ফোন ধরেন তিনি। ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার রকেট অ্যাকাউন্টে সমস্যা, এখনই বন্ধ হয়ে যাবে।
০৮ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

গভীর রাতে মোবাইল ফোনে আসা কলে কাঁচা ঘুম ভাঙে আবদুল কাদেরের। অচেনা নম্বর, অজানা আশঙ্কা। তবু ফোন ধরেন তিনি। ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার রকেট অ্যাকাউন্টে সমস্যা, এখনই বন্ধ হয়ে যাবে।
০৮ জুলাই ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গভীর রাতে মোবাইল ফোনে আসা কলে কাঁচা ঘুম ভাঙে আবদুল কাদেরের। অচেনা নম্বর, অজানা আশঙ্কা। তবু ফোন ধরেন তিনি। ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার রকেট অ্যাকাউন্টে সমস্যা, এখনই বন্ধ হয়ে যাবে।
০৮ জুলাই ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

গভীর রাতে মোবাইল ফোনে আসা কলে কাঁচা ঘুম ভাঙে আবদুল কাদেরের। অচেনা নম্বর, অজানা আশঙ্কা। তবু ফোন ধরেন তিনি। ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার রকেট অ্যাকাউন্টে সমস্যা, এখনই বন্ধ হয়ে যাবে।
০৮ জুলাই ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৪ দিন আগে