শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

সাইবার অপরাধ দমন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত দুই-তিন বছর ধরে চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাইবার অপরাধ দমনে কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না তারা। উল্টো অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানি, আর্থিক জালিয়াতি, নারী পাচার এমনকি জঙ্গিবাদ প্রচারের মতো অপরাধ বেড়ে চলেছে।
সাইবার অপরাধ যে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা উঠে এসেছে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধানের দেওয়া বক্তব্যেও। সাইবার সহিংসতা নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রতিনিয়ত পুরোনো অপরাধ কমছে, সাইবার অপরাধ বাড়ছে। যার ফলে সাইবার জগৎ দেশের মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করছে। সাইবার ঝুঁকির কাছে আত্মসমর্পণ না করে ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনে পুলিশের সামনে চ্যালেঞ্জ—সাইবার অপরাধ ও সোশ্যাল মিডিয়া।
২০২১ সালে সারা দেশে আলোচিত অপরাধগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ই-কমার্স খাতে ডিজিটাল জালিয়াতি। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে বিনিয়োগসহ ঋণ প্রদানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছিল অনন্ত ২৬টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণা চালিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো প্রতিরোধ করতে পারেনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, যখন এই জালিয়াতি ধরা পড়েছে ততক্ষণে হাজার হাজার গ্রাহক পথে বসে গেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু ডিজিটাল জালিয়াতি না। গুজবের মাধ্যমে সহিংসতা, ধর্মীয় উগ্রবাদ, শিশু-নারী পাচার, নানা রকম সহিংসতার উৎপত্তি হচ্ছে সাইবারে। এখনই এসবের লাগাম না টানতে পারলে যেকোনো ইস্যুতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। তাই চলতি বছর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও দক্ষতা বাড়িয়ে সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে চায় পুলিশ। কমাতে চায় এ ধরনের অপরাধ। এরই মধ্যে সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ বিষয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিজিটাল-মাধ্যম ব্যবহার করে এমন প্রতারণা ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল না প্রশাসন। সেই লাগাম এখন টেনে ধরার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা নিয়ে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল তার মূলে ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভ। সেদিন ফেসবুকে মিনিট তিনেকের ওই লাইভ করেছিলেন ইবনে বতুতা রোহান জামিল ফাহিম নামের এক তরুণ। তাৎক্ষণিকভাবে ওই সাইবার তৎপরতা রুখে দিতে পারলে এমন সহিংস পরিস্থিতি দেখতে হতো না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ও স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার জুনায়েদ আলম বলেন, এ ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর আগেই জবাবদিহির আওতায় আনার সুযোগ আছে। তবে সেটার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সমৃদ্ধি থাকতে হয়। সেটা অর্জন করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রায় একই ধরনের কথা বলেছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদও। তিনি বলেন, সাইবারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হলে র্যাব-পুলিশকে প্রযুক্তিগত হালনাগাদ তথ্য ও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে থাকতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ই-কমার্সে ডিজিটাল জালিয়াতি ছাড়াও বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, আইসিটি অ্যাক্ট, টেলি-কমিউনিকেশন অ্যাক্টসহ এ ধরনের আইনে গত ২ বছরে মোট ৬ হাজার ১৫২টি মামলা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নারী পাচারও। পাচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক ও টিকটকের মতো অ্যাপসগুলো।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলছেন, সাইবারে ডার্কনেটের অপরাধগুলো আরও ভয়াবহ। খুন, হ্যাকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই, যা এখানে হচ্ছে না। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো বন্ধে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। বাড়াতে হবে প্রযুক্তিগত দক্ষতাও।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ অপতৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও অনলাইনে তৎপরতা আগের তুলনায় বেড়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে গঠিত কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, যত জঙ্গি সদস্য সংগ্রহ চলছে, তার ৭০ শতাংশ হচ্ছে অনলাইনকেন্দ্রিক। আর অনলাইনে নারীদের হয়রানির অভিযোগ তো আছেই।
পুলিশ সদর দপ্তর, সিআইডি ও ডিবির সাইবার-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ উসকে না দিতে সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তাঁরাও এমন অপরাধ দমনে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরেও পুলিশের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

সাইবার অপরাধ দমন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত দুই-তিন বছর ধরে চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাইবার অপরাধ দমনে কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না তারা। উল্টো অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানি, আর্থিক জালিয়াতি, নারী পাচার এমনকি জঙ্গিবাদ প্রচারের মতো অপরাধ বেড়ে চলেছে।
সাইবার অপরাধ যে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা উঠে এসেছে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধানের দেওয়া বক্তব্যেও। সাইবার সহিংসতা নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রতিনিয়ত পুরোনো অপরাধ কমছে, সাইবার অপরাধ বাড়ছে। যার ফলে সাইবার জগৎ দেশের মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করছে। সাইবার ঝুঁকির কাছে আত্মসমর্পণ না করে ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনে পুলিশের সামনে চ্যালেঞ্জ—সাইবার অপরাধ ও সোশ্যাল মিডিয়া।
২০২১ সালে সারা দেশে আলোচিত অপরাধগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ই-কমার্স খাতে ডিজিটাল জালিয়াতি। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে বিনিয়োগসহ ঋণ প্রদানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছিল অনন্ত ২৬টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণা চালিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো প্রতিরোধ করতে পারেনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, যখন এই জালিয়াতি ধরা পড়েছে ততক্ষণে হাজার হাজার গ্রাহক পথে বসে গেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু ডিজিটাল জালিয়াতি না। গুজবের মাধ্যমে সহিংসতা, ধর্মীয় উগ্রবাদ, শিশু-নারী পাচার, নানা রকম সহিংসতার উৎপত্তি হচ্ছে সাইবারে। এখনই এসবের লাগাম না টানতে পারলে যেকোনো ইস্যুতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। তাই চলতি বছর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও দক্ষতা বাড়িয়ে সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে চায় পুলিশ। কমাতে চায় এ ধরনের অপরাধ। এরই মধ্যে সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ বিষয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিজিটাল-মাধ্যম ব্যবহার করে এমন প্রতারণা ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল না প্রশাসন। সেই লাগাম এখন টেনে ধরার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা নিয়ে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল তার মূলে ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভ। সেদিন ফেসবুকে মিনিট তিনেকের ওই লাইভ করেছিলেন ইবনে বতুতা রোহান জামিল ফাহিম নামের এক তরুণ। তাৎক্ষণিকভাবে ওই সাইবার তৎপরতা রুখে দিতে পারলে এমন সহিংস পরিস্থিতি দেখতে হতো না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ও স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার জুনায়েদ আলম বলেন, এ ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর আগেই জবাবদিহির আওতায় আনার সুযোগ আছে। তবে সেটার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সমৃদ্ধি থাকতে হয়। সেটা অর্জন করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রায় একই ধরনের কথা বলেছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদও। তিনি বলেন, সাইবারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হলে র্যাব-পুলিশকে প্রযুক্তিগত হালনাগাদ তথ্য ও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে থাকতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ই-কমার্সে ডিজিটাল জালিয়াতি ছাড়াও বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, আইসিটি অ্যাক্ট, টেলি-কমিউনিকেশন অ্যাক্টসহ এ ধরনের আইনে গত ২ বছরে মোট ৬ হাজার ১৫২টি মামলা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নারী পাচারও। পাচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক ও টিকটকের মতো অ্যাপসগুলো।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলছেন, সাইবারে ডার্কনেটের অপরাধগুলো আরও ভয়াবহ। খুন, হ্যাকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই, যা এখানে হচ্ছে না। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো বন্ধে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। বাড়াতে হবে প্রযুক্তিগত দক্ষতাও।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ অপতৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও অনলাইনে তৎপরতা আগের তুলনায় বেড়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে গঠিত কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, যত জঙ্গি সদস্য সংগ্রহ চলছে, তার ৭০ শতাংশ হচ্ছে অনলাইনকেন্দ্রিক। আর অনলাইনে নারীদের হয়রানির অভিযোগ তো আছেই।
পুলিশ সদর দপ্তর, সিআইডি ও ডিবির সাইবার-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ উসকে না দিতে সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তাঁরাও এমন অপরাধ দমনে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরেও পুলিশের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

সাইবার অপরাধ দমন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত দুই-তিন বছর ধরে চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাইবার অপরাধ দমনে কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না তারা। উল্টো অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানি, আর্থিক জালিয়াতি, নারী পাচার এমনকি জঙ্গিবাদ প্রচারের মতো অপরাধ বেড়ে চলেছে।
সাইবার অপরাধ যে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা উঠে এসেছে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধানের দেওয়া বক্তব্যেও। সাইবার সহিংসতা নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রতিনিয়ত পুরোনো অপরাধ কমছে, সাইবার অপরাধ বাড়ছে। যার ফলে সাইবার জগৎ দেশের মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করছে। সাইবার ঝুঁকির কাছে আত্মসমর্পণ না করে ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনে পুলিশের সামনে চ্যালেঞ্জ—সাইবার অপরাধ ও সোশ্যাল মিডিয়া।
২০২১ সালে সারা দেশে আলোচিত অপরাধগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ই-কমার্স খাতে ডিজিটাল জালিয়াতি। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে বিনিয়োগসহ ঋণ প্রদানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছিল অনন্ত ২৬টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণা চালিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো প্রতিরোধ করতে পারেনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, যখন এই জালিয়াতি ধরা পড়েছে ততক্ষণে হাজার হাজার গ্রাহক পথে বসে গেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু ডিজিটাল জালিয়াতি না। গুজবের মাধ্যমে সহিংসতা, ধর্মীয় উগ্রবাদ, শিশু-নারী পাচার, নানা রকম সহিংসতার উৎপত্তি হচ্ছে সাইবারে। এখনই এসবের লাগাম না টানতে পারলে যেকোনো ইস্যুতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। তাই চলতি বছর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও দক্ষতা বাড়িয়ে সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে চায় পুলিশ। কমাতে চায় এ ধরনের অপরাধ। এরই মধ্যে সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ বিষয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিজিটাল-মাধ্যম ব্যবহার করে এমন প্রতারণা ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল না প্রশাসন। সেই লাগাম এখন টেনে ধরার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা নিয়ে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল তার মূলে ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভ। সেদিন ফেসবুকে মিনিট তিনেকের ওই লাইভ করেছিলেন ইবনে বতুতা রোহান জামিল ফাহিম নামের এক তরুণ। তাৎক্ষণিকভাবে ওই সাইবার তৎপরতা রুখে দিতে পারলে এমন সহিংস পরিস্থিতি দেখতে হতো না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ও স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার জুনায়েদ আলম বলেন, এ ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর আগেই জবাবদিহির আওতায় আনার সুযোগ আছে। তবে সেটার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সমৃদ্ধি থাকতে হয়। সেটা অর্জন করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রায় একই ধরনের কথা বলেছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদও। তিনি বলেন, সাইবারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হলে র্যাব-পুলিশকে প্রযুক্তিগত হালনাগাদ তথ্য ও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে থাকতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ই-কমার্সে ডিজিটাল জালিয়াতি ছাড়াও বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, আইসিটি অ্যাক্ট, টেলি-কমিউনিকেশন অ্যাক্টসহ এ ধরনের আইনে গত ২ বছরে মোট ৬ হাজার ১৫২টি মামলা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নারী পাচারও। পাচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক ও টিকটকের মতো অ্যাপসগুলো।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলছেন, সাইবারে ডার্কনেটের অপরাধগুলো আরও ভয়াবহ। খুন, হ্যাকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই, যা এখানে হচ্ছে না। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো বন্ধে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। বাড়াতে হবে প্রযুক্তিগত দক্ষতাও।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ অপতৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও অনলাইনে তৎপরতা আগের তুলনায় বেড়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে গঠিত কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, যত জঙ্গি সদস্য সংগ্রহ চলছে, তার ৭০ শতাংশ হচ্ছে অনলাইনকেন্দ্রিক। আর অনলাইনে নারীদের হয়রানির অভিযোগ তো আছেই।
পুলিশ সদর দপ্তর, সিআইডি ও ডিবির সাইবার-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ উসকে না দিতে সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তাঁরাও এমন অপরাধ দমনে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরেও পুলিশের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

সাইবার অপরাধ দমন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত দুই-তিন বছর ধরে চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাইবার অপরাধ দমনে কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না তারা। উল্টো অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানি, আর্থিক জালিয়াতি, নারী পাচার এমনকি জঙ্গিবাদ প্রচারের মতো অপরাধ বেড়ে চলেছে।
সাইবার অপরাধ যে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা উঠে এসেছে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধানের দেওয়া বক্তব্যেও। সাইবার সহিংসতা নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রতিনিয়ত পুরোনো অপরাধ কমছে, সাইবার অপরাধ বাড়ছে। যার ফলে সাইবার জগৎ দেশের মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করছে। সাইবার ঝুঁকির কাছে আত্মসমর্পণ না করে ইস্পাত কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনে পুলিশের সামনে চ্যালেঞ্জ—সাইবার অপরাধ ও সোশ্যাল মিডিয়া।
২০২১ সালে সারা দেশে আলোচিত অপরাধগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ই-কমার্স খাতে ডিজিটাল জালিয়াতি। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে বিনিয়োগসহ ঋণ প্রদানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছিল অনন্ত ২৬টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণা চালিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো প্রতিরোধ করতে পারেনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, যখন এই জালিয়াতি ধরা পড়েছে ততক্ষণে হাজার হাজার গ্রাহক পথে বসে গেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু ডিজিটাল জালিয়াতি না। গুজবের মাধ্যমে সহিংসতা, ধর্মীয় উগ্রবাদ, শিশু-নারী পাচার, নানা রকম সহিংসতার উৎপত্তি হচ্ছে সাইবারে। এখনই এসবের লাগাম না টানতে পারলে যেকোনো ইস্যুতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। তাই চলতি বছর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও দক্ষতা বাড়িয়ে সাইবার জগতের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে চায় পুলিশ। কমাতে চায় এ ধরনের অপরাধ। এরই মধ্যে সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ বিষয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিজিটাল-মাধ্যম ব্যবহার করে এমন প্রতারণা ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল না প্রশাসন। সেই লাগাম এখন টেনে ধরার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা নিয়ে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল তার মূলে ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভ। সেদিন ফেসবুকে মিনিট তিনেকের ওই লাইভ করেছিলেন ইবনে বতুতা রোহান জামিল ফাহিম নামের এক তরুণ। তাৎক্ষণিকভাবে ওই সাইবার তৎপরতা রুখে দিতে পারলে এমন সহিংস পরিস্থিতি দেখতে হতো না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ও স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার জুনায়েদ আলম বলেন, এ ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর আগেই জবাবদিহির আওতায় আনার সুযোগ আছে। তবে সেটার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সমৃদ্ধি থাকতে হয়। সেটা অর্জন করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রায় একই ধরনের কথা বলেছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদও। তিনি বলেন, সাইবারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হলে র্যাব-পুলিশকে প্রযুক্তিগত হালনাগাদ তথ্য ও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে থাকতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ই-কমার্সে ডিজিটাল জালিয়াতি ছাড়াও বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, আইসিটি অ্যাক্ট, টেলি-কমিউনিকেশন অ্যাক্টসহ এ ধরনের আইনে গত ২ বছরে মোট ৬ হাজার ১৫২টি মামলা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নারী পাচারও। পাচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক ও টিকটকের মতো অ্যাপসগুলো।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলছেন, সাইবারে ডার্কনেটের অপরাধগুলো আরও ভয়াবহ। খুন, হ্যাকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই, যা এখানে হচ্ছে না। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো বন্ধে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। বাড়াতে হবে প্রযুক্তিগত দক্ষতাও।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ অপতৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও অনলাইনে তৎপরতা আগের তুলনায় বেড়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে গঠিত কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, যত জঙ্গি সদস্য সংগ্রহ চলছে, তার ৭০ শতাংশ হচ্ছে অনলাইনকেন্দ্রিক। আর অনলাইনে নারীদের হয়রানির অভিযোগ তো আছেই।
পুলিশ সদর দপ্তর, সিআইডি ও ডিবির সাইবার-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ উসকে না দিতে সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তাঁরাও এমন অপরাধ দমনে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরেও পুলিশের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

সাইবার অপরাধ দমন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত দুই-তিন বছর ধরে চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাইবার অপরাধ দমনে কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না তারা।
১৯ জানুয়ারি ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সাইবার অপরাধ দমন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত দুই-তিন বছর ধরে চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাইবার অপরাধ দমনে কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না তারা।
১৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

সাইবার অপরাধ দমন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত দুই-তিন বছর ধরে চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাইবার অপরাধ দমনে কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না তারা।
১৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সাইবার অপরাধ দমন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত দুই-তিন বছর ধরে চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাইবার অপরাধ দমনে কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না তারা।
১৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে