জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ক্রয়াদেশের ভিত্তিতে গাড়ি সংযোজন করে তা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সরবরাহ করা। ক্রয়াদেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়ার সুযোগ প্রগতির নেই। কিন্তু নিয়ম না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে প্রগতির একটি দামি গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন শিল্পমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মো. আব্দুল ওয়াহেদ।
শুধু তা-ই নয়, যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তার ব্যবহার করা ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-১৫৮১ নম্বরের পাজেরো এসইউভি গাড়িটির চালকের বেতন, জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ দেয় প্রগতি। এর আগে ৯৪ লাখ টাকা দামের একটি নতুন পাজেরো গাড়ি ব্যবহার করে বিক্রয় অযোগ্য করে ফেলেছেন তিনি। গাড়িটি বর্তমানে প্রগতির গ্যারেজে পড়ে আছে। এ ছাড়া প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) থাকাকালে প্রতিষ্ঠানটির একটি দামি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস আলমকে উপহার দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদ প্রগতির যে গাড়িটি ব্যবহার করেন, সেটির চালকের নাম মো. আসলাম। প্রগতি সূত্রে জানা গেছে, তাঁর মূল বেতন ২৬ হাজার ১০০ টাকা। তিনি এপ্রিল মাসে ডিউটির একটি তালিকা প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ চট্টগ্রাম অফিসে সরবরাহ করেন। সেখানে ১৯১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অতিরিক্ত ডিউটি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত ডিউটির জন্য মূল বেতনের সঙ্গে প্রতি মাসে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা প্রগতির ব্যয় হচ্ছে এই পিএসের পেছনে। চালক আসলাম আজকের পত্রিকার কাছে প্রগতির ওই গাড়িটি চালানোর তথ্য স্বীকার করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি প্রগতির কোনো গাড়ি ব্যবহার করি না। প্রগতির দুটি গাড়ি মন্ত্রীর দপ্তরে ব্যবহার হয়। অতিরিক্ত সচিব এস আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা।’
অতিরিক্ত সচিব এস আলম বলেন, ‘উপহার নয়, আমি যখন প্রগতির চেয়ারম্যান ছিলাম তখন গাড়িটি চার-পাঁচবার আমাকে লিফট দিয়েছে। আমি খারাপ কাজের লোক নই।’
শিল্পমন্ত্রীর পিএস অস্বীকার করলেও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ছয়টি গাড়ি অন্যত্র ব্যবহারের একটি তালিকা আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। এর মধ্যে তিনটি কিউএক্স জিপ ব্যবহার করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, শিল্পমন্ত্রী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী। আর শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদ ব্যবহার করেন একটি পাজেরো, যেটির চেচিস নম্বর PILSUVKH4W1100001 ও ইঞ্জিন নম্বর 4D56UCAG0038)। এ ছাড়া শিল্পমন্ত্রীর পুলিশ প্রটোকল একটি মিতসুবিশি পিকআপ ও শিল্প প্রতিমন্ত্রীর পিএস একটি মাহিন্দ্র গাড়ি ব্যবহার করেন। বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপপ্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গে
যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রগতির ছয়টি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ে ব্যবহার হতো। এর মধ্যে একটি গাড়ি প্রতিমন্ত্রী ফেরত দিয়েছেন। বাকি পাঁচটি শিল্পমন্ত্রী মহোদয়, উনার পিএস, প্রতিমন্ত্রীর পিএস, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের প্রটোকলে নিয়োজিত পুলিশ ব্যবহার করেন।’
আব্দুল ওয়াহেদ শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর পিএস হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি। তার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে প্রভাব খাটাতে থাকেন তিনি। মন্ত্রীর পিএস ছাড়াও প্রগতির এমডির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মে পর্যন্ত প্রগতির এমডি ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ।
প্রগতিতে তাঁর প্রভাব খাটানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে বেশ কিছু অভিযোগও জমা পড়েছে।
আব্দুল ওয়াহেদের যত বিতর্কিত কার্যক্রম
প্রগতির পরিচালক হিসেবে আছেন মো. ইয়াসির আরাফাত। প্রগতির ওয়েবসাইটে এই পরিচালকের পরিচয় দেওয়া আছে প্রযুক্তিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন ঠিকাদারি ব্যবসায়ী। শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে প্রগতির পরিচালক হন ইয়াসির আরাফাত। শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন করপোরেশনের কাজ আরাফাত বাগিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রগতির ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া সার্ভিস সেন্টারের জন্য আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ৩৫ জন মেকানিক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। এই কাজের জন্য একক দরদাতা হিসেবে ইয়াসির আরাফাতের প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরাফাত কনস্ট্রাকশনকে নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে প্রগতির পরিচালনা পর্ষদ।
প্রগতির কারখানা, সিবিএ, আমদানি-রপ্তানিসহ সব প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। অভিযোগ রয়েছে, এরপরও আব্দুল ওয়াহেদ ও আরাফাত প্রগতির হেড অফিস ঢাকায় স্থানান্তরের চেষ্টা করেন। ঢাকা অফিসের সংস্কারের নামে একটি সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ অনুমোদনের প্রস্তাব কোম্পানি বোর্ডে উপস্থাপন করেন। অথচ এই খাতে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ব্যয় যথেষ্ট ছিল বলে একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। মন্ত্রীর পিএসের প্রভাবে প্রস্তাবিত এই ব্যয় অনুমোদনও করেছে কোম্পানির বোর্ড। এখন ইয়াসির আরাফাতের মালিকানাধীন আরাফাত কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে কাজ করানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রগতির ঢাকা অফিসের জায়গাটিতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক ওয়ার্কশপসহ ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য ডিপিপি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন করে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্প কার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্টমহলে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘প্রগতির এক লোক ভুল বুঝিয়ে প্রগতির ঠিকাদার হিসেবে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম নেয়। কিন্তু পরে বুঝতে পেরে নামটি সরিয়ে নিই।’
ইয়াসির আরাফাত নাম সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি দাবি করলেও জনবল নিয়োগের ঠিকাদারি কাজটি তিনিই পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রগতির এমডি মোহাম্মদ আজাদ বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। আমাকে কেন জড়াচ্ছেন? এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
যোগাযোগ করা হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আব্দুল ওয়াহেদের বিষয়টি ইস্পাত করপোরেশনের চেয়ারম্যানের ওপর ছেড়ে দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইস্পাত করপোরেশন বিষয়টি দেখবে। প্রগতিতে কী ঘটছে, সেটি আমি জানি না।’
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ক্রয়াদেশের ভিত্তিতে গাড়ি সংযোজন করে তা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সরবরাহ করা। ক্রয়াদেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়ার সুযোগ প্রগতির নেই। কিন্তু নিয়ম না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে প্রগতির একটি দামি গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন শিল্পমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মো. আব্দুল ওয়াহেদ।
শুধু তা-ই নয়, যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তার ব্যবহার করা ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-১৫৮১ নম্বরের পাজেরো এসইউভি গাড়িটির চালকের বেতন, জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ দেয় প্রগতি। এর আগে ৯৪ লাখ টাকা দামের একটি নতুন পাজেরো গাড়ি ব্যবহার করে বিক্রয় অযোগ্য করে ফেলেছেন তিনি। গাড়িটি বর্তমানে প্রগতির গ্যারেজে পড়ে আছে। এ ছাড়া প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) থাকাকালে প্রতিষ্ঠানটির একটি দামি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস আলমকে উপহার দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদ প্রগতির যে গাড়িটি ব্যবহার করেন, সেটির চালকের নাম মো. আসলাম। প্রগতি সূত্রে জানা গেছে, তাঁর মূল বেতন ২৬ হাজার ১০০ টাকা। তিনি এপ্রিল মাসে ডিউটির একটি তালিকা প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ চট্টগ্রাম অফিসে সরবরাহ করেন। সেখানে ১৯১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অতিরিক্ত ডিউটি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত ডিউটির জন্য মূল বেতনের সঙ্গে প্রতি মাসে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা প্রগতির ব্যয় হচ্ছে এই পিএসের পেছনে। চালক আসলাম আজকের পত্রিকার কাছে প্রগতির ওই গাড়িটি চালানোর তথ্য স্বীকার করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি প্রগতির কোনো গাড়ি ব্যবহার করি না। প্রগতির দুটি গাড়ি মন্ত্রীর দপ্তরে ব্যবহার হয়। অতিরিক্ত সচিব এস আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা।’
অতিরিক্ত সচিব এস আলম বলেন, ‘উপহার নয়, আমি যখন প্রগতির চেয়ারম্যান ছিলাম তখন গাড়িটি চার-পাঁচবার আমাকে লিফট দিয়েছে। আমি খারাপ কাজের লোক নই।’
শিল্পমন্ত্রীর পিএস অস্বীকার করলেও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ছয়টি গাড়ি অন্যত্র ব্যবহারের একটি তালিকা আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। এর মধ্যে তিনটি কিউএক্স জিপ ব্যবহার করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, শিল্পমন্ত্রী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী। আর শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদ ব্যবহার করেন একটি পাজেরো, যেটির চেচিস নম্বর PILSUVKH4W1100001 ও ইঞ্জিন নম্বর 4D56UCAG0038)। এ ছাড়া শিল্পমন্ত্রীর পুলিশ প্রটোকল একটি মিতসুবিশি পিকআপ ও শিল্প প্রতিমন্ত্রীর পিএস একটি মাহিন্দ্র গাড়ি ব্যবহার করেন। বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপপ্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গে
যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রগতির ছয়টি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ে ব্যবহার হতো। এর মধ্যে একটি গাড়ি প্রতিমন্ত্রী ফেরত দিয়েছেন। বাকি পাঁচটি শিল্পমন্ত্রী মহোদয়, উনার পিএস, প্রতিমন্ত্রীর পিএস, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের প্রটোকলে নিয়োজিত পুলিশ ব্যবহার করেন।’
আব্দুল ওয়াহেদ শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর পিএস হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি। তার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে প্রভাব খাটাতে থাকেন তিনি। মন্ত্রীর পিএস ছাড়াও প্রগতির এমডির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মে পর্যন্ত প্রগতির এমডি ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ।
প্রগতিতে তাঁর প্রভাব খাটানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে বেশ কিছু অভিযোগও জমা পড়েছে।
আব্দুল ওয়াহেদের যত বিতর্কিত কার্যক্রম
প্রগতির পরিচালক হিসেবে আছেন মো. ইয়াসির আরাফাত। প্রগতির ওয়েবসাইটে এই পরিচালকের পরিচয় দেওয়া আছে প্রযুক্তিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন ঠিকাদারি ব্যবসায়ী। শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে প্রগতির পরিচালক হন ইয়াসির আরাফাত। শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন করপোরেশনের কাজ আরাফাত বাগিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রগতির ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া সার্ভিস সেন্টারের জন্য আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ৩৫ জন মেকানিক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। এই কাজের জন্য একক দরদাতা হিসেবে ইয়াসির আরাফাতের প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরাফাত কনস্ট্রাকশনকে নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে প্রগতির পরিচালনা পর্ষদ।
প্রগতির কারখানা, সিবিএ, আমদানি-রপ্তানিসহ সব প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। অভিযোগ রয়েছে, এরপরও আব্দুল ওয়াহেদ ও আরাফাত প্রগতির হেড অফিস ঢাকায় স্থানান্তরের চেষ্টা করেন। ঢাকা অফিসের সংস্কারের নামে একটি সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ অনুমোদনের প্রস্তাব কোম্পানি বোর্ডে উপস্থাপন করেন। অথচ এই খাতে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ব্যয় যথেষ্ট ছিল বলে একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। মন্ত্রীর পিএসের প্রভাবে প্রস্তাবিত এই ব্যয় অনুমোদনও করেছে কোম্পানির বোর্ড। এখন ইয়াসির আরাফাতের মালিকানাধীন আরাফাত কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে কাজ করানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রগতির ঢাকা অফিসের জায়গাটিতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক ওয়ার্কশপসহ ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য ডিপিপি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন করে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্প কার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্টমহলে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘প্রগতির এক লোক ভুল বুঝিয়ে প্রগতির ঠিকাদার হিসেবে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম নেয়। কিন্তু পরে বুঝতে পেরে নামটি সরিয়ে নিই।’
ইয়াসির আরাফাত নাম সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি দাবি করলেও জনবল নিয়োগের ঠিকাদারি কাজটি তিনিই পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রগতির এমডি মোহাম্মদ আজাদ বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। আমাকে কেন জড়াচ্ছেন? এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
যোগাযোগ করা হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আব্দুল ওয়াহেদের বিষয়টি ইস্পাত করপোরেশনের চেয়ারম্যানের ওপর ছেড়ে দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইস্পাত করপোরেশন বিষয়টি দেখবে। প্রগতিতে কী ঘটছে, সেটি আমি জানি না।’
জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ক্রয়াদেশের ভিত্তিতে গাড়ি সংযোজন করে তা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সরবরাহ করা। ক্রয়াদেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়ার সুযোগ প্রগতির নেই। কিন্তু নিয়ম না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে প্রগতির একটি দামি গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন শিল্পমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মো. আব্দুল ওয়াহেদ।
শুধু তা-ই নয়, যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তার ব্যবহার করা ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-১৫৮১ নম্বরের পাজেরো এসইউভি গাড়িটির চালকের বেতন, জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ দেয় প্রগতি। এর আগে ৯৪ লাখ টাকা দামের একটি নতুন পাজেরো গাড়ি ব্যবহার করে বিক্রয় অযোগ্য করে ফেলেছেন তিনি। গাড়িটি বর্তমানে প্রগতির গ্যারেজে পড়ে আছে। এ ছাড়া প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) থাকাকালে প্রতিষ্ঠানটির একটি দামি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস আলমকে উপহার দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদ প্রগতির যে গাড়িটি ব্যবহার করেন, সেটির চালকের নাম মো. আসলাম। প্রগতি সূত্রে জানা গেছে, তাঁর মূল বেতন ২৬ হাজার ১০০ টাকা। তিনি এপ্রিল মাসে ডিউটির একটি তালিকা প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ চট্টগ্রাম অফিসে সরবরাহ করেন। সেখানে ১৯১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অতিরিক্ত ডিউটি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত ডিউটির জন্য মূল বেতনের সঙ্গে প্রতি মাসে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা প্রগতির ব্যয় হচ্ছে এই পিএসের পেছনে। চালক আসলাম আজকের পত্রিকার কাছে প্রগতির ওই গাড়িটি চালানোর তথ্য স্বীকার করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি প্রগতির কোনো গাড়ি ব্যবহার করি না। প্রগতির দুটি গাড়ি মন্ত্রীর দপ্তরে ব্যবহার হয়। অতিরিক্ত সচিব এস আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা।’
অতিরিক্ত সচিব এস আলম বলেন, ‘উপহার নয়, আমি যখন প্রগতির চেয়ারম্যান ছিলাম তখন গাড়িটি চার-পাঁচবার আমাকে লিফট দিয়েছে। আমি খারাপ কাজের লোক নই।’
শিল্পমন্ত্রীর পিএস অস্বীকার করলেও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ছয়টি গাড়ি অন্যত্র ব্যবহারের একটি তালিকা আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। এর মধ্যে তিনটি কিউএক্স জিপ ব্যবহার করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, শিল্পমন্ত্রী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী। আর শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদ ব্যবহার করেন একটি পাজেরো, যেটির চেচিস নম্বর PILSUVKH4W1100001 ও ইঞ্জিন নম্বর 4D56UCAG0038)। এ ছাড়া শিল্পমন্ত্রীর পুলিশ প্রটোকল একটি মিতসুবিশি পিকআপ ও শিল্প প্রতিমন্ত্রীর পিএস একটি মাহিন্দ্র গাড়ি ব্যবহার করেন। বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপপ্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গে
যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রগতির ছয়টি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ে ব্যবহার হতো। এর মধ্যে একটি গাড়ি প্রতিমন্ত্রী ফেরত দিয়েছেন। বাকি পাঁচটি শিল্পমন্ত্রী মহোদয়, উনার পিএস, প্রতিমন্ত্রীর পিএস, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের প্রটোকলে নিয়োজিত পুলিশ ব্যবহার করেন।’
আব্দুল ওয়াহেদ শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর পিএস হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি। তার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে প্রভাব খাটাতে থাকেন তিনি। মন্ত্রীর পিএস ছাড়াও প্রগতির এমডির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মে পর্যন্ত প্রগতির এমডি ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ।
প্রগতিতে তাঁর প্রভাব খাটানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে বেশ কিছু অভিযোগও জমা পড়েছে।
আব্দুল ওয়াহেদের যত বিতর্কিত কার্যক্রম
প্রগতির পরিচালক হিসেবে আছেন মো. ইয়াসির আরাফাত। প্রগতির ওয়েবসাইটে এই পরিচালকের পরিচয় দেওয়া আছে প্রযুক্তিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন ঠিকাদারি ব্যবসায়ী। শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে প্রগতির পরিচালক হন ইয়াসির আরাফাত। শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন করপোরেশনের কাজ আরাফাত বাগিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রগতির ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া সার্ভিস সেন্টারের জন্য আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ৩৫ জন মেকানিক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। এই কাজের জন্য একক দরদাতা হিসেবে ইয়াসির আরাফাতের প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরাফাত কনস্ট্রাকশনকে নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে প্রগতির পরিচালনা পর্ষদ।
প্রগতির কারখানা, সিবিএ, আমদানি-রপ্তানিসহ সব প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। অভিযোগ রয়েছে, এরপরও আব্দুল ওয়াহেদ ও আরাফাত প্রগতির হেড অফিস ঢাকায় স্থানান্তরের চেষ্টা করেন। ঢাকা অফিসের সংস্কারের নামে একটি সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ অনুমোদনের প্রস্তাব কোম্পানি বোর্ডে উপস্থাপন করেন। অথচ এই খাতে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ব্যয় যথেষ্ট ছিল বলে একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। মন্ত্রীর পিএসের প্রভাবে প্রস্তাবিত এই ব্যয় অনুমোদনও করেছে কোম্পানির বোর্ড। এখন ইয়াসির আরাফাতের মালিকানাধীন আরাফাত কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে কাজ করানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রগতির ঢাকা অফিসের জায়গাটিতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক ওয়ার্কশপসহ ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য ডিপিপি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন করে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্প কার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্টমহলে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘প্রগতির এক লোক ভুল বুঝিয়ে প্রগতির ঠিকাদার হিসেবে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম নেয়। কিন্তু পরে বুঝতে পেরে নামটি সরিয়ে নিই।’
ইয়াসির আরাফাত নাম সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি দাবি করলেও জনবল নিয়োগের ঠিকাদারি কাজটি তিনিই পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রগতির এমডি মোহাম্মদ আজাদ বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। আমাকে কেন জড়াচ্ছেন? এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
যোগাযোগ করা হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আব্দুল ওয়াহেদের বিষয়টি ইস্পাত করপোরেশনের চেয়ারম্যানের ওপর ছেড়ে দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইস্পাত করপোরেশন বিষয়টি দেখবে। প্রগতিতে কী ঘটছে, সেটি আমি জানি না।’
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ক্রয়াদেশের ভিত্তিতে গাড়ি সংযোজন করে তা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সরবরাহ করা। ক্রয়াদেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়ার সুযোগ প্রগতির নেই। কিন্তু নিয়ম না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে প্রগতির একটি দামি গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন শিল্পমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মো. আব্দুল ওয়াহেদ।
শুধু তা-ই নয়, যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তার ব্যবহার করা ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-১৫৮১ নম্বরের পাজেরো এসইউভি গাড়িটির চালকের বেতন, জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ দেয় প্রগতি। এর আগে ৯৪ লাখ টাকা দামের একটি নতুন পাজেরো গাড়ি ব্যবহার করে বিক্রয় অযোগ্য করে ফেলেছেন তিনি। গাড়িটি বর্তমানে প্রগতির গ্যারেজে পড়ে আছে। এ ছাড়া প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) থাকাকালে প্রতিষ্ঠানটির একটি দামি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস আলমকে উপহার দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদ প্রগতির যে গাড়িটি ব্যবহার করেন, সেটির চালকের নাম মো. আসলাম। প্রগতি সূত্রে জানা গেছে, তাঁর মূল বেতন ২৬ হাজার ১০০ টাকা। তিনি এপ্রিল মাসে ডিউটির একটি তালিকা প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ চট্টগ্রাম অফিসে সরবরাহ করেন। সেখানে ১৯১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অতিরিক্ত ডিউটি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত ডিউটির জন্য মূল বেতনের সঙ্গে প্রতি মাসে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা প্রগতির ব্যয় হচ্ছে এই পিএসের পেছনে। চালক আসলাম আজকের পত্রিকার কাছে প্রগতির ওই গাড়িটি চালানোর তথ্য স্বীকার করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি প্রগতির কোনো গাড়ি ব্যবহার করি না। প্রগতির দুটি গাড়ি মন্ত্রীর দপ্তরে ব্যবহার হয়। অতিরিক্ত সচিব এস আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা।’
অতিরিক্ত সচিব এস আলম বলেন, ‘উপহার নয়, আমি যখন প্রগতির চেয়ারম্যান ছিলাম তখন গাড়িটি চার-পাঁচবার আমাকে লিফট দিয়েছে। আমি খারাপ কাজের লোক নই।’
শিল্পমন্ত্রীর পিএস অস্বীকার করলেও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ছয়টি গাড়ি অন্যত্র ব্যবহারের একটি তালিকা আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। এর মধ্যে তিনটি কিউএক্স জিপ ব্যবহার করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, শিল্পমন্ত্রী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী। আর শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদ ব্যবহার করেন একটি পাজেরো, যেটির চেচিস নম্বর PILSUVKH4W1100001 ও ইঞ্জিন নম্বর 4D56UCAG0038)। এ ছাড়া শিল্পমন্ত্রীর পুলিশ প্রটোকল একটি মিতসুবিশি পিকআপ ও শিল্প প্রতিমন্ত্রীর পিএস একটি মাহিন্দ্র গাড়ি ব্যবহার করেন। বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপপ্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গে
যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রগতির ছয়টি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ে ব্যবহার হতো। এর মধ্যে একটি গাড়ি প্রতিমন্ত্রী ফেরত দিয়েছেন। বাকি পাঁচটি শিল্পমন্ত্রী মহোদয়, উনার পিএস, প্রতিমন্ত্রীর পিএস, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের প্রটোকলে নিয়োজিত পুলিশ ব্যবহার করেন।’
আব্দুল ওয়াহেদ শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর পিএস হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি। তার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে প্রভাব খাটাতে থাকেন তিনি। মন্ত্রীর পিএস ছাড়াও প্রগতির এমডির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মে পর্যন্ত প্রগতির এমডি ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ।
প্রগতিতে তাঁর প্রভাব খাটানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে বেশ কিছু অভিযোগও জমা পড়েছে।
আব্দুল ওয়াহেদের যত বিতর্কিত কার্যক্রম
প্রগতির পরিচালক হিসেবে আছেন মো. ইয়াসির আরাফাত। প্রগতির ওয়েবসাইটে এই পরিচালকের পরিচয় দেওয়া আছে প্রযুক্তিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন ঠিকাদারি ব্যবসায়ী। শিল্পমন্ত্রীর পিএস আব্দুল ওয়াহেদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে প্রগতির পরিচালক হন ইয়াসির আরাফাত। শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন করপোরেশনের কাজ আরাফাত বাগিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রগতির ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া সার্ভিস সেন্টারের জন্য আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ৩৫ জন মেকানিক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। এই কাজের জন্য একক দরদাতা হিসেবে ইয়াসির আরাফাতের প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরাফাত কনস্ট্রাকশনকে নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে প্রগতির পরিচালনা পর্ষদ।
প্রগতির কারখানা, সিবিএ, আমদানি-রপ্তানিসহ সব প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। অভিযোগ রয়েছে, এরপরও আব্দুল ওয়াহেদ ও আরাফাত প্রগতির হেড অফিস ঢাকায় স্থানান্তরের চেষ্টা করেন। ঢাকা অফিসের সংস্কারের নামে একটি সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ অনুমোদনের প্রস্তাব কোম্পানি বোর্ডে উপস্থাপন করেন। অথচ এই খাতে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ব্যয় যথেষ্ট ছিল বলে একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। মন্ত্রীর পিএসের প্রভাবে প্রস্তাবিত এই ব্যয় অনুমোদনও করেছে কোম্পানির বোর্ড। এখন ইয়াসির আরাফাতের মালিকানাধীন আরাফাত কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে কাজ করানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রগতির ঢাকা অফিসের জায়গাটিতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক ওয়ার্কশপসহ ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য ডিপিপি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন করে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্প কার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্টমহলে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘প্রগতির এক লোক ভুল বুঝিয়ে প্রগতির ঠিকাদার হিসেবে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম নেয়। কিন্তু পরে বুঝতে পেরে নামটি সরিয়ে নিই।’
ইয়াসির আরাফাত নাম সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি দাবি করলেও জনবল নিয়োগের ঠিকাদারি কাজটি তিনিই পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রগতির এমডি মোহাম্মদ আজাদ বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। আমাকে কেন জড়াচ্ছেন? এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
যোগাযোগ করা হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আব্দুল ওয়াহেদের বিষয়টি ইস্পাত করপোরেশনের চেয়ারম্যানের ওপর ছেড়ে দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইস্পাত করপোরেশন বিষয়টি দেখবে। প্রগতিতে কী ঘটছে, সেটি আমি জানি না।’
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
১২ ঘণ্টা আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৫ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ক্রয়াদেশের ভিত্তিতে গাড়ি সংযোজন করে তা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সরবরাহ করা। ক্রয়াদেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়ার সুযোগ প্রগতির নেই। কিন্তু নি
২৮ আগস্ট ২০২৩জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
১২ ঘণ্টা আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৫ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ক্রয়াদেশের ভিত্তিতে গাড়ি সংযোজন করে তা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সরবরাহ করা। ক্রয়াদেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়ার সুযোগ প্রগতির নেই। কিন্তু নি
২৮ আগস্ট ২০২৩দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ ঘণ্টা আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৫ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বংশালের নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের স্ত্রী তাসলিমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পারিবারিক কলহ চলছিল। নজরুলের ধারণা ছিল, তাঁর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। পাশাপাশি সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও করতেন তিনি। এসব সন্দেহ থেকেই তাসলিমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন নজরুল।
গত রোববার রাতে বাসায় ফিরে নজরুল দেখেন, ফ্ল্যাটের তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করেন। পরে গামছা দিয়ে লাশ বেঁধে বিছানার চাদর ও ওড়না মুড়িয়ে ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। আলামত গোপনের জন্য রক্তমাখা তোশক উল্টে দেন, মেঝে ধুয়ে ফেলেন এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে ফেলেন।
পরদিন সকালে সন্তানদের জানান, তাদের মা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। বড় সন্তান দেয়ালে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ করে। এরপর নজরুল দুই সন্তানকে নানার বাড়ি পাঠানোর কথা বলে রাজধানীর আদাবরে ফুফুর বাসায় রেখে পালিয়ে যান।
তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন জানান, বোনের কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি সন্তানদের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় কলাবাগান থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ডিপ ফ্রিজ খুললে মাছ-মাংসের নিচে কাপড়ে মোড়ানো তাসলিমার লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় তাসলিমার ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় নজরুলের অবস্থান শনাক্ত করে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের সন্দেহই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।
বৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বংশালের নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের স্ত্রী তাসলিমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পারিবারিক কলহ চলছিল। নজরুলের ধারণা ছিল, তাঁর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। পাশাপাশি সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও করতেন তিনি। এসব সন্দেহ থেকেই তাসলিমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন নজরুল।
গত রোববার রাতে বাসায় ফিরে নজরুল দেখেন, ফ্ল্যাটের তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করেন। পরে গামছা দিয়ে লাশ বেঁধে বিছানার চাদর ও ওড়না মুড়িয়ে ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। আলামত গোপনের জন্য রক্তমাখা তোশক উল্টে দেন, মেঝে ধুয়ে ফেলেন এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে ফেলেন।
পরদিন সকালে সন্তানদের জানান, তাদের মা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। বড় সন্তান দেয়ালে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ করে। এরপর নজরুল দুই সন্তানকে নানার বাড়ি পাঠানোর কথা বলে রাজধানীর আদাবরে ফুফুর বাসায় রেখে পালিয়ে যান।
তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন জানান, বোনের কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি সন্তানদের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় কলাবাগান থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ডিপ ফ্রিজ খুললে মাছ-মাংসের নিচে কাপড়ে মোড়ানো তাসলিমার লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় তাসলিমার ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় নজরুলের অবস্থান শনাক্ত করে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের সন্দেহই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ক্রয়াদেশের ভিত্তিতে গাড়ি সংযোজন করে তা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সরবরাহ করা। ক্রয়াদেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়ার সুযোগ প্রগতির নেই। কিন্তু নি
২৮ আগস্ট ২০২৩দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
১২ ঘণ্টা আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ওবায়দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আবার মামলা করেন তিনি। তখন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অপমৃত্যু ও হত্যার মামলার একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।
ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার তদন্তে তাঁর মৃত্যুকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ওবায়দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আবার মামলা করেন তিনি। তখন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অপমৃত্যু ও হত্যার মামলার একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।
ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার তদন্তে তাঁর মৃত্যুকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ক্রয়াদেশের ভিত্তিতে গাড়ি সংযোজন করে তা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সরবরাহ করা। ক্রয়াদেশের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়ার সুযোগ প্রগতির নেই। কিন্তু নি
২৮ আগস্ট ২০২৩দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
১২ ঘণ্টা আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৫ দিন আগে