আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

শুধু নামের মিল থাকায় ভয়ংকর কোনো অপরাধীর বদলে সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানছেন তাঁরা। কেউ কেউ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে মুক্তি পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায়ও আসছেন। তবু এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না। এর কারণ অনুসন্ধানে খোদ পুলিশি প্রতিবেদনই উঠে এসেছে রহস্যময় এক অনুসন্ধান স্লিপের ত্রুটির কথা। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ পুলিশ বা বিপি ফরমে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ছবি থাকে, তাহলে আর ভুল হবে না।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বা বিপি ফরম ৭৭ অনুসন্ধানী স্লিপ ধরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ওই ফরমে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সুনির্দিষ্ট করে শনাক্ত করা যায় না। যে কারণে আসামির নাম ও বাবার নামের আংশিক মিল থাকায় নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোনো পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে শনাক্তে পুলিশ তাঁর স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানার সংশ্লিষ্ট থানায় এই ফরম অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার বা আটক করে। তবে পুলিশ বলছে, ১৯৪৩ সালের পুলিশ প্রবিধানের ৩৭৯ ধারায় এই ফরম ডিজাইন করা। যেখানে কেবল আসামির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা থাকে। একই এলাকায় একই নামের একাধিক লোক থাকলে তখন তাঁদের শনাক্তে জটিলতা হয়।
বিগত চার বছরে এমন বিনা অপরাধে কারাভোগের কারণ খুঁজতে গিয়ে খোদ পুলিশের তদন্তেই উঠে এসেছে ‘ব্রিটিশ আমলের অনুসন্ধান স্লিপের’ কারণেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তাই সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্রিটিশ আমল থেকে প্রচলিত পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপের পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে পুলিশের তদন্ত কমিটি।
অপরাধ না করেও নামের মিল থাকায় ৫ বছর কারাভোগ
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের হাতে ২০০৫ সালে পল্লবী থানার একটি মাদকের মামলায় সাহাবুদ্দিন বিহারি ওরফে আরমান নামের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক থাকেন। ২০১২ সালের ১ অক্টোবর আরমানের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারে আদালতের নির্দেশনা আসে ডিএমপিতে। ডিএমপি সদর দপ্তর আরমানের নাম ঠিকানাসহ অনুসন্ধানী স্লিপ পাঠিয়ে পল্লবী থানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। তবে পল্লবী থানা-পুলিশ ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আরমান নামে মিরপুরে বেনারসিপল্লির নিরপরাধ এক কারিগরকে গ্রেপ্তার করে। কেবল নামের আংশিক মিল ও বাবার নাম মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি পাঁচ বছর কারাভোগ করেন।
পরে তাঁর মা বানু খাতুন ২০১৯ সালের ৭ জুলাই উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা করেন। এরপর নিরপরাধ ৪ বছর ১১ মাস ২২ দিন কারাভোগের পর ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি পান। উচ্চ আদালত বিষয়টি পুলিশ মহাপরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ দেন। আরমানকে বেআইনি আটকের ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আরমানের ঘটনাটি তদন্ত করতে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি করে পুলিশ সদর দপ্তর। কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এবং সদস্য পুলিশ পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। কমিটি ঘটনার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল অভিযুক্ত ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাতজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি প্রতিবেদন দেন।
বাপের নামের পরিবর্তে শ্বশুরের নাম
কমিটির দেওয়া ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০০৫ সালে ডিবির হাতে সাহাবুদ্দিন বিহারি ওরফে আরমানকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর বাবার নাম আড়াল করেন। পুলিশের কাছে তিনি নিজের বাবার নামের পরিবর্তে শ্বশুরের নাম মো. ইয়াছিন বলেন। তাঁর বাবার প্রকৃত নাম মঈন উদ্দিন ওরফে মহিউদ্দিন। সাহাবুদ্দিন বিহারি আরমানের নামের সঙ্গে বেনারসিপল্লির কারিগর আরমানের ও তার বাবার নামের মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আরমান প্রকৃত আসামি কি না, তা গ্রেপ্তারকারী পুলিশ সদস্যরা পেশাদারির সঙ্গে যাচাই করেননি। এ ছাড়া আসামি শনাক্তে ১৯৪৩ সালের পুলিশ আইন বা পিআরবি প্রবিধানের ৩৭৯ ধারায় ‘ফরম বিপি ৭৭’ এ যে ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা অপর্যাপ্ত বলে কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে। তাই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেও কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
৪ বছরে একই রকম ৯ জনের কারাভোগ
আরমান ছাড়াও গত চার বছরে একই রকম ৯ জন ব্যক্তি বিনা অপরাধে কারাভোগ করেছেন। তাঁরা হলেন টাঙ্গাইলের জাহালম, সিরাজগঞ্জের মানিক হাওলাদার, কুমিল্লার লেপ-তোশকের দোকানি মো. ইউনুছ, পটুয়াখালীর গলাচিপার বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক রাজিব মিয়া, ভোলার লালমোহনের দিনমজুর লিটন, চট্টগ্রামের মিনু এবং টেকনাফের হাসিনা বেগম। চলতি বছরের অক্টোবরে তদন্ত কমিটি পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে জানান, নিরপরাধ আরমানের কারাভোগের প্রধান কারণ পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপ ৭৭। ওই ফরমে আসামির পর্যাপ্ত তথ্য চাওয়া হয়নি। এ জন্যই নিরপরাধ মানুষ কেবল নামের মিল থাকায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গত ২৪ অক্টোবর আইজিপি ফরমটি সংশোধনের জন্য পিবিআইয়ের কমিটিকে এ বিষয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব দিতে বলেন। গত ৬ নভেম্বর পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার প্রস্তাবটি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠান। এরপর সেটি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।
আসামির ছবি সংযুক্ত
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান ফরমে আসামির কেবল বাবার নাম চাওয়া হয়, তবে প্রস্তাবিত ফরমে মাতার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুসন্ধানী স্লিপে আসামি গ্রেপ্তারের পর যে ছবি তোলা হয়, সেই ছবিও সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। আসামির নাম-ঠিকানার সঙ্গে ‘অনুসন্ধানী স্লিপ বা বিপি ৭৭ ফরমে’ তাঁর ছবি থাকলে একজনের পরিবর্তে আরেকজন গ্রেপ্তার হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রস্তাবিত ‘অনুসন্ধান স্লিপে’ আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি সংযুক্ত করলে নিরপরাধ মানুষ গ্রেপ্তার হবেন না বলেও প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটির করা প্রস্তাবিত বিপি ফরম যাতে কার্যকর হয় এবং ব্যবহারের জন্য তা মুদ্রণ ও সরবরাহ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পুলিশ সদর দপ্তর অনুরোধ জানিয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যে সকল ত্রুটি পেয়েছি। তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। তবে পুরোনো অনুসন্ধান স্লিপে আসামি শনাক্তে খুবই কম তথ্য চাওয়া হয়। যার জন্য শনাক্ত করতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। তবে ফরমে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ছবি থাকে, তাহলে আর ভুল হবে না। তাই আমরা এই ফরম পরিবর্তন করে নতুন ফরম করার প্রস্তাব দিয়েছি।’

শুধু নামের মিল থাকায় ভয়ংকর কোনো অপরাধীর বদলে সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানছেন তাঁরা। কেউ কেউ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে মুক্তি পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায়ও আসছেন। তবু এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না। এর কারণ অনুসন্ধানে খোদ পুলিশি প্রতিবেদনই উঠে এসেছে রহস্যময় এক অনুসন্ধান স্লিপের ত্রুটির কথা। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ পুলিশ বা বিপি ফরমে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ছবি থাকে, তাহলে আর ভুল হবে না।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বা বিপি ফরম ৭৭ অনুসন্ধানী স্লিপ ধরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ওই ফরমে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সুনির্দিষ্ট করে শনাক্ত করা যায় না। যে কারণে আসামির নাম ও বাবার নামের আংশিক মিল থাকায় নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোনো পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে শনাক্তে পুলিশ তাঁর স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানার সংশ্লিষ্ট থানায় এই ফরম অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার বা আটক করে। তবে পুলিশ বলছে, ১৯৪৩ সালের পুলিশ প্রবিধানের ৩৭৯ ধারায় এই ফরম ডিজাইন করা। যেখানে কেবল আসামির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা থাকে। একই এলাকায় একই নামের একাধিক লোক থাকলে তখন তাঁদের শনাক্তে জটিলতা হয়।
বিগত চার বছরে এমন বিনা অপরাধে কারাভোগের কারণ খুঁজতে গিয়ে খোদ পুলিশের তদন্তেই উঠে এসেছে ‘ব্রিটিশ আমলের অনুসন্ধান স্লিপের’ কারণেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তাই সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্রিটিশ আমল থেকে প্রচলিত পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপের পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে পুলিশের তদন্ত কমিটি।
অপরাধ না করেও নামের মিল থাকায় ৫ বছর কারাভোগ
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের হাতে ২০০৫ সালে পল্লবী থানার একটি মাদকের মামলায় সাহাবুদ্দিন বিহারি ওরফে আরমান নামের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক থাকেন। ২০১২ সালের ১ অক্টোবর আরমানের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারে আদালতের নির্দেশনা আসে ডিএমপিতে। ডিএমপি সদর দপ্তর আরমানের নাম ঠিকানাসহ অনুসন্ধানী স্লিপ পাঠিয়ে পল্লবী থানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। তবে পল্লবী থানা-পুলিশ ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আরমান নামে মিরপুরে বেনারসিপল্লির নিরপরাধ এক কারিগরকে গ্রেপ্তার করে। কেবল নামের আংশিক মিল ও বাবার নাম মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি পাঁচ বছর কারাভোগ করেন।
পরে তাঁর মা বানু খাতুন ২০১৯ সালের ৭ জুলাই উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা করেন। এরপর নিরপরাধ ৪ বছর ১১ মাস ২২ দিন কারাভোগের পর ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি পান। উচ্চ আদালত বিষয়টি পুলিশ মহাপরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ দেন। আরমানকে বেআইনি আটকের ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আরমানের ঘটনাটি তদন্ত করতে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি করে পুলিশ সদর দপ্তর। কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এবং সদস্য পুলিশ পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। কমিটি ঘটনার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল অভিযুক্ত ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাতজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি প্রতিবেদন দেন।
বাপের নামের পরিবর্তে শ্বশুরের নাম
কমিটির দেওয়া ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০০৫ সালে ডিবির হাতে সাহাবুদ্দিন বিহারি ওরফে আরমানকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর বাবার নাম আড়াল করেন। পুলিশের কাছে তিনি নিজের বাবার নামের পরিবর্তে শ্বশুরের নাম মো. ইয়াছিন বলেন। তাঁর বাবার প্রকৃত নাম মঈন উদ্দিন ওরফে মহিউদ্দিন। সাহাবুদ্দিন বিহারি আরমানের নামের সঙ্গে বেনারসিপল্লির কারিগর আরমানের ও তার বাবার নামের মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আরমান প্রকৃত আসামি কি না, তা গ্রেপ্তারকারী পুলিশ সদস্যরা পেশাদারির সঙ্গে যাচাই করেননি। এ ছাড়া আসামি শনাক্তে ১৯৪৩ সালের পুলিশ আইন বা পিআরবি প্রবিধানের ৩৭৯ ধারায় ‘ফরম বিপি ৭৭’ এ যে ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা অপর্যাপ্ত বলে কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে। তাই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেও কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
৪ বছরে একই রকম ৯ জনের কারাভোগ
আরমান ছাড়াও গত চার বছরে একই রকম ৯ জন ব্যক্তি বিনা অপরাধে কারাভোগ করেছেন। তাঁরা হলেন টাঙ্গাইলের জাহালম, সিরাজগঞ্জের মানিক হাওলাদার, কুমিল্লার লেপ-তোশকের দোকানি মো. ইউনুছ, পটুয়াখালীর গলাচিপার বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক রাজিব মিয়া, ভোলার লালমোহনের দিনমজুর লিটন, চট্টগ্রামের মিনু এবং টেকনাফের হাসিনা বেগম। চলতি বছরের অক্টোবরে তদন্ত কমিটি পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে জানান, নিরপরাধ আরমানের কারাভোগের প্রধান কারণ পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপ ৭৭। ওই ফরমে আসামির পর্যাপ্ত তথ্য চাওয়া হয়নি। এ জন্যই নিরপরাধ মানুষ কেবল নামের মিল থাকায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গত ২৪ অক্টোবর আইজিপি ফরমটি সংশোধনের জন্য পিবিআইয়ের কমিটিকে এ বিষয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব দিতে বলেন। গত ৬ নভেম্বর পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার প্রস্তাবটি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠান। এরপর সেটি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।
আসামির ছবি সংযুক্ত
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান ফরমে আসামির কেবল বাবার নাম চাওয়া হয়, তবে প্রস্তাবিত ফরমে মাতার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুসন্ধানী স্লিপে আসামি গ্রেপ্তারের পর যে ছবি তোলা হয়, সেই ছবিও সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। আসামির নাম-ঠিকানার সঙ্গে ‘অনুসন্ধানী স্লিপ বা বিপি ৭৭ ফরমে’ তাঁর ছবি থাকলে একজনের পরিবর্তে আরেকজন গ্রেপ্তার হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রস্তাবিত ‘অনুসন্ধান স্লিপে’ আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি সংযুক্ত করলে নিরপরাধ মানুষ গ্রেপ্তার হবেন না বলেও প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটির করা প্রস্তাবিত বিপি ফরম যাতে কার্যকর হয় এবং ব্যবহারের জন্য তা মুদ্রণ ও সরবরাহ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পুলিশ সদর দপ্তর অনুরোধ জানিয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যে সকল ত্রুটি পেয়েছি। তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। তবে পুরোনো অনুসন্ধান স্লিপে আসামি শনাক্তে খুবই কম তথ্য চাওয়া হয়। যার জন্য শনাক্ত করতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। তবে ফরমে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ছবি থাকে, তাহলে আর ভুল হবে না। তাই আমরা এই ফরম পরিবর্তন করে নতুন ফরম করার প্রস্তাব দিয়েছি।’
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

শুধু নামের মিল থাকায় ভয়ংকর কোনো অপরাধীর বদলে সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানছেন তাঁরা। কেউ কেউ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে মুক্তি পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায়ও আসছেন। তবু এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না। এর কারণ অনুসন্ধানে খোদ পুলিশি প্রতিবেদনই উঠে এসেছে রহস্যময় এক অনুসন্ধান স্লিপের ত্রুটির কথা। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ পুলিশ বা বিপি ফরমে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ছবি থাকে, তাহলে আর ভুল হবে না।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বা বিপি ফরম ৭৭ অনুসন্ধানী স্লিপ ধরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ওই ফরমে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সুনির্দিষ্ট করে শনাক্ত করা যায় না। যে কারণে আসামির নাম ও বাবার নামের আংশিক মিল থাকায় নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোনো পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে শনাক্তে পুলিশ তাঁর স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানার সংশ্লিষ্ট থানায় এই ফরম অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার বা আটক করে। তবে পুলিশ বলছে, ১৯৪৩ সালের পুলিশ প্রবিধানের ৩৭৯ ধারায় এই ফরম ডিজাইন করা। যেখানে কেবল আসামির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা থাকে। একই এলাকায় একই নামের একাধিক লোক থাকলে তখন তাঁদের শনাক্তে জটিলতা হয়।
বিগত চার বছরে এমন বিনা অপরাধে কারাভোগের কারণ খুঁজতে গিয়ে খোদ পুলিশের তদন্তেই উঠে এসেছে ‘ব্রিটিশ আমলের অনুসন্ধান স্লিপের’ কারণেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তাই সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্রিটিশ আমল থেকে প্রচলিত পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপের পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে পুলিশের তদন্ত কমিটি।
অপরাধ না করেও নামের মিল থাকায় ৫ বছর কারাভোগ
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের হাতে ২০০৫ সালে পল্লবী থানার একটি মাদকের মামলায় সাহাবুদ্দিন বিহারি ওরফে আরমান নামের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক থাকেন। ২০১২ সালের ১ অক্টোবর আরমানের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারে আদালতের নির্দেশনা আসে ডিএমপিতে। ডিএমপি সদর দপ্তর আরমানের নাম ঠিকানাসহ অনুসন্ধানী স্লিপ পাঠিয়ে পল্লবী থানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। তবে পল্লবী থানা-পুলিশ ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আরমান নামে মিরপুরে বেনারসিপল্লির নিরপরাধ এক কারিগরকে গ্রেপ্তার করে। কেবল নামের আংশিক মিল ও বাবার নাম মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি পাঁচ বছর কারাভোগ করেন।
পরে তাঁর মা বানু খাতুন ২০১৯ সালের ৭ জুলাই উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা করেন। এরপর নিরপরাধ ৪ বছর ১১ মাস ২২ দিন কারাভোগের পর ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি পান। উচ্চ আদালত বিষয়টি পুলিশ মহাপরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ দেন। আরমানকে বেআইনি আটকের ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আরমানের ঘটনাটি তদন্ত করতে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি করে পুলিশ সদর দপ্তর। কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এবং সদস্য পুলিশ পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। কমিটি ঘটনার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল অভিযুক্ত ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাতজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি প্রতিবেদন দেন।
বাপের নামের পরিবর্তে শ্বশুরের নাম
কমিটির দেওয়া ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০০৫ সালে ডিবির হাতে সাহাবুদ্দিন বিহারি ওরফে আরমানকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর বাবার নাম আড়াল করেন। পুলিশের কাছে তিনি নিজের বাবার নামের পরিবর্তে শ্বশুরের নাম মো. ইয়াছিন বলেন। তাঁর বাবার প্রকৃত নাম মঈন উদ্দিন ওরফে মহিউদ্দিন। সাহাবুদ্দিন বিহারি আরমানের নামের সঙ্গে বেনারসিপল্লির কারিগর আরমানের ও তার বাবার নামের মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আরমান প্রকৃত আসামি কি না, তা গ্রেপ্তারকারী পুলিশ সদস্যরা পেশাদারির সঙ্গে যাচাই করেননি। এ ছাড়া আসামি শনাক্তে ১৯৪৩ সালের পুলিশ আইন বা পিআরবি প্রবিধানের ৩৭৯ ধারায় ‘ফরম বিপি ৭৭’ এ যে ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা অপর্যাপ্ত বলে কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে। তাই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেও কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
৪ বছরে একই রকম ৯ জনের কারাভোগ
আরমান ছাড়াও গত চার বছরে একই রকম ৯ জন ব্যক্তি বিনা অপরাধে কারাভোগ করেছেন। তাঁরা হলেন টাঙ্গাইলের জাহালম, সিরাজগঞ্জের মানিক হাওলাদার, কুমিল্লার লেপ-তোশকের দোকানি মো. ইউনুছ, পটুয়াখালীর গলাচিপার বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক রাজিব মিয়া, ভোলার লালমোহনের দিনমজুর লিটন, চট্টগ্রামের মিনু এবং টেকনাফের হাসিনা বেগম। চলতি বছরের অক্টোবরে তদন্ত কমিটি পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে জানান, নিরপরাধ আরমানের কারাভোগের প্রধান কারণ পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপ ৭৭। ওই ফরমে আসামির পর্যাপ্ত তথ্য চাওয়া হয়নি। এ জন্যই নিরপরাধ মানুষ কেবল নামের মিল থাকায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গত ২৪ অক্টোবর আইজিপি ফরমটি সংশোধনের জন্য পিবিআইয়ের কমিটিকে এ বিষয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব দিতে বলেন। গত ৬ নভেম্বর পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার প্রস্তাবটি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠান। এরপর সেটি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।
আসামির ছবি সংযুক্ত
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান ফরমে আসামির কেবল বাবার নাম চাওয়া হয়, তবে প্রস্তাবিত ফরমে মাতার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুসন্ধানী স্লিপে আসামি গ্রেপ্তারের পর যে ছবি তোলা হয়, সেই ছবিও সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। আসামির নাম-ঠিকানার সঙ্গে ‘অনুসন্ধানী স্লিপ বা বিপি ৭৭ ফরমে’ তাঁর ছবি থাকলে একজনের পরিবর্তে আরেকজন গ্রেপ্তার হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রস্তাবিত ‘অনুসন্ধান স্লিপে’ আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি সংযুক্ত করলে নিরপরাধ মানুষ গ্রেপ্তার হবেন না বলেও প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটির করা প্রস্তাবিত বিপি ফরম যাতে কার্যকর হয় এবং ব্যবহারের জন্য তা মুদ্রণ ও সরবরাহ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পুলিশ সদর দপ্তর অনুরোধ জানিয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যে সকল ত্রুটি পেয়েছি। তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। তবে পুরোনো অনুসন্ধান স্লিপে আসামি শনাক্তে খুবই কম তথ্য চাওয়া হয়। যার জন্য শনাক্ত করতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। তবে ফরমে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ছবি থাকে, তাহলে আর ভুল হবে না। তাই আমরা এই ফরম পরিবর্তন করে নতুন ফরম করার প্রস্তাব দিয়েছি।’

শুধু নামের মিল থাকায় ভয়ংকর কোনো অপরাধীর বদলে সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানছেন তাঁরা। কেউ কেউ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে মুক্তি পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায়ও আসছেন। তবু এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না। এর কারণ অনুসন্ধানে খোদ পুলিশি প্রতিবেদনই উঠে এসেছে রহস্যময় এক অনুসন্ধান স্লিপের ত্রুটির কথা। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ পুলিশ বা বিপি ফরমে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ছবি থাকে, তাহলে আর ভুল হবে না।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বা বিপি ফরম ৭৭ অনুসন্ধানী স্লিপ ধরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ওই ফরমে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সুনির্দিষ্ট করে শনাক্ত করা যায় না। যে কারণে আসামির নাম ও বাবার নামের আংশিক মিল থাকায় নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোনো পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে শনাক্তে পুলিশ তাঁর স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানার সংশ্লিষ্ট থানায় এই ফরম অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার বা আটক করে। তবে পুলিশ বলছে, ১৯৪৩ সালের পুলিশ প্রবিধানের ৩৭৯ ধারায় এই ফরম ডিজাইন করা। যেখানে কেবল আসামির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা থাকে। একই এলাকায় একই নামের একাধিক লোক থাকলে তখন তাঁদের শনাক্তে জটিলতা হয়।
বিগত চার বছরে এমন বিনা অপরাধে কারাভোগের কারণ খুঁজতে গিয়ে খোদ পুলিশের তদন্তেই উঠে এসেছে ‘ব্রিটিশ আমলের অনুসন্ধান স্লিপের’ কারণেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তাই সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্রিটিশ আমল থেকে প্রচলিত পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপের পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে পুলিশের তদন্ত কমিটি।
অপরাধ না করেও নামের মিল থাকায় ৫ বছর কারাভোগ
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের হাতে ২০০৫ সালে পল্লবী থানার একটি মাদকের মামলায় সাহাবুদ্দিন বিহারি ওরফে আরমান নামের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক থাকেন। ২০১২ সালের ১ অক্টোবর আরমানের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারে আদালতের নির্দেশনা আসে ডিএমপিতে। ডিএমপি সদর দপ্তর আরমানের নাম ঠিকানাসহ অনুসন্ধানী স্লিপ পাঠিয়ে পল্লবী থানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। তবে পল্লবী থানা-পুলিশ ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আরমান নামে মিরপুরে বেনারসিপল্লির নিরপরাধ এক কারিগরকে গ্রেপ্তার করে। কেবল নামের আংশিক মিল ও বাবার নাম মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি পাঁচ বছর কারাভোগ করেন।
পরে তাঁর মা বানু খাতুন ২০১৯ সালের ৭ জুলাই উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা করেন। এরপর নিরপরাধ ৪ বছর ১১ মাস ২২ দিন কারাভোগের পর ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি পান। উচ্চ আদালত বিষয়টি পুলিশ মহাপরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ দেন। আরমানকে বেআইনি আটকের ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আরমানের ঘটনাটি তদন্ত করতে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি করে পুলিশ সদর দপ্তর। কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এবং সদস্য পুলিশ পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। কমিটি ঘটনার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল অভিযুক্ত ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাতজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি প্রতিবেদন দেন।
বাপের নামের পরিবর্তে শ্বশুরের নাম
কমিটির দেওয়া ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০০৫ সালে ডিবির হাতে সাহাবুদ্দিন বিহারি ওরফে আরমানকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর বাবার নাম আড়াল করেন। পুলিশের কাছে তিনি নিজের বাবার নামের পরিবর্তে শ্বশুরের নাম মো. ইয়াছিন বলেন। তাঁর বাবার প্রকৃত নাম মঈন উদ্দিন ওরফে মহিউদ্দিন। সাহাবুদ্দিন বিহারি আরমানের নামের সঙ্গে বেনারসিপল্লির কারিগর আরমানের ও তার বাবার নামের মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আরমান প্রকৃত আসামি কি না, তা গ্রেপ্তারকারী পুলিশ সদস্যরা পেশাদারির সঙ্গে যাচাই করেননি। এ ছাড়া আসামি শনাক্তে ১৯৪৩ সালের পুলিশ আইন বা পিআরবি প্রবিধানের ৩৭৯ ধারায় ‘ফরম বিপি ৭৭’ এ যে ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা অপর্যাপ্ত বলে কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে। তাই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেও কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
৪ বছরে একই রকম ৯ জনের কারাভোগ
আরমান ছাড়াও গত চার বছরে একই রকম ৯ জন ব্যক্তি বিনা অপরাধে কারাভোগ করেছেন। তাঁরা হলেন টাঙ্গাইলের জাহালম, সিরাজগঞ্জের মানিক হাওলাদার, কুমিল্লার লেপ-তোশকের দোকানি মো. ইউনুছ, পটুয়াখালীর গলাচিপার বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক রাজিব মিয়া, ভোলার লালমোহনের দিনমজুর লিটন, চট্টগ্রামের মিনু এবং টেকনাফের হাসিনা বেগম। চলতি বছরের অক্টোবরে তদন্ত কমিটি পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে জানান, নিরপরাধ আরমানের কারাভোগের প্রধান কারণ পুলিশের অনুসন্ধান স্লিপ ৭৭। ওই ফরমে আসামির পর্যাপ্ত তথ্য চাওয়া হয়নি। এ জন্যই নিরপরাধ মানুষ কেবল নামের মিল থাকায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গত ২৪ অক্টোবর আইজিপি ফরমটি সংশোধনের জন্য পিবিআইয়ের কমিটিকে এ বিষয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব দিতে বলেন। গত ৬ নভেম্বর পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার প্রস্তাবটি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠান। এরপর সেটি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।
আসামির ছবি সংযুক্ত
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান ফরমে আসামির কেবল বাবার নাম চাওয়া হয়, তবে প্রস্তাবিত ফরমে মাতার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুসন্ধানী স্লিপে আসামি গ্রেপ্তারের পর যে ছবি তোলা হয়, সেই ছবিও সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। আসামির নাম-ঠিকানার সঙ্গে ‘অনুসন্ধানী স্লিপ বা বিপি ৭৭ ফরমে’ তাঁর ছবি থাকলে একজনের পরিবর্তে আরেকজন গ্রেপ্তার হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রস্তাবিত ‘অনুসন্ধান স্লিপে’ আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি সংযুক্ত করলে নিরপরাধ মানুষ গ্রেপ্তার হবেন না বলেও প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটির করা প্রস্তাবিত বিপি ফরম যাতে কার্যকর হয় এবং ব্যবহারের জন্য তা মুদ্রণ ও সরবরাহ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পুলিশ সদর দপ্তর অনুরোধ জানিয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যে সকল ত্রুটি পেয়েছি। তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। তবে পুরোনো অনুসন্ধান স্লিপে আসামি শনাক্তে খুবই কম তথ্য চাওয়া হয়। যার জন্য শনাক্ত করতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। তবে ফরমে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ছবি থাকে, তাহলে আর ভুল হবে না। তাই আমরা এই ফরম পরিবর্তন করে নতুন ফরম করার প্রস্তাব দিয়েছি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

শুধু নামের মিল থাকায় ভয়ংকর কোনো অপরাধীর বদলে সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানছেন তাঁরা। কেউ কেউ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে মুক্তি পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায়ও আসছেন। তবু এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না। এর কারণ অনুসন্ধানে খোদ পুল
০২ ডিসেম্বর ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

শুধু নামের মিল থাকায় ভয়ংকর কোনো অপরাধীর বদলে সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানছেন তাঁরা। কেউ কেউ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে মুক্তি পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায়ও আসছেন। তবু এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না। এর কারণ অনুসন্ধানে খোদ পুল
০২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

শুধু নামের মিল থাকায় ভয়ংকর কোনো অপরাধীর বদলে সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানছেন তাঁরা। কেউ কেউ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে মুক্তি পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায়ও আসছেন। তবু এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না। এর কারণ অনুসন্ধানে খোদ পুল
০২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

শুধু নামের মিল থাকায় ভয়ংকর কোনো অপরাধীর বদলে সাধারণ মানুষকেও কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানছেন তাঁরা। কেউ কেউ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে মুক্তি পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায়ও আসছেন। তবু এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি থামছে না। এর কারণ অনুসন্ধানে খোদ পুল
০২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে