নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
ওসমানীনগরে এটিএম বুথে লুটের ঘটনায় দুই দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ডাকাত দল ও টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওসমানীনগর থানা-পুলিশ।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেডের একটি এটিএম বুথে গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ব্যাংক লুটের ঘটনার দিন রাতে ওসমানীনগর থানায় ব্যাংকটির শেরপুর নতুন বাজার শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ আশরাফুল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউসিবি শেরপুর শাখার নিচতলায় এই ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ রয়েছে। ঘটনার দিন রাত সোয়া ৩টার দিকে ওই বুথে মুখোশধারী চারজন প্রবেশ করে।
তারা বুথের নিরাপত্তাকর্মী জাকারিয়াকে (২৩) মারধর করে দুই হাত ও মুখ স্কচটেপ বেঁধে ও গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে। এরপর তারা এটিএম বুথের মেশিনটি শাবল দিয়ে ভেঙে মোট ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জাকারিয়া হাতের বাঁধন খুলে এটিএম বুথের দ্বিতীয় তলায় থাকা অপর নিরাপত্তাকর্মী সাহেল মিয়াকে ইশারা করেন।
সাহেল এসে জাকারিয়ার মুখের স্কচটেপ খুলে দেয়। তারপর জাকারিয়ার মুখ থেকে বিস্তারিত শুনে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, থানা-পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ আশরাফুল আমিন বলেন, এটিএম বুথের ভেতরে পাঁচটি ও বাইরে (বুথ সংলগ্ন) তিনটি সিসি ক্যামেরা সচল রয়েছে। মুখোশধারী চারজন বুথের ভেতর প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরায় কালি ছিটিয়ে দেয়। এতে ফুটেজ ঝাপসা হয়ে গেলে তারা বুথ ভেঙে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে বাইরে থাকা তিনটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ব্যাপারে তাঁর কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের এক নৈশপ্রহরী ভোর পৌনে ৪টার দিকে বুথের পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হেলমেট পরিহিত তিন যুবককে মোটরসাইকেলে বসে থাকতে দেখেন। পেছন থেকে আরও একজন দৌড়ে এসে মোটরসাইকেলে উঠলে চারজন মৌলভীবাজারের দিকে চলে যায়। এ সময় শেরপুর টোল প্লাজার সামনে পুলিশের একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
আবদুল সালাম নামের এক চাকরিজীবী বলেন, প্রায়ই রাত ১০টার পর বুথে গেলে ভেতর থেকে বুথ বন্ধ পাওয়া যায়। কেউ প্রয়োজনে ডাকলে তিনি বুথের দরজা খুলে দেন। ঘটনার রাতে নিরাপত্তাকর্মী ভেতর থেকে তাদের দেখার কথা। কোনো সন্দেহ হলে তিনি তার মুঠোফোন দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করতে পারতেন। চারজন মুখোশধারীকে দেখার পরেও রাতে বুথের দরজা খুলে দেওয়ার ব্যাপারটি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
সালাম আরও বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, ডাকাতেরা ওই নিরাপত্তাকর্মীর মুঠোফোনটিও ছিনিয়ে নেননি বা সিমকার্ডও অকেজো করেননি। বুথের নিরাপত্তাকর্মী স্থানীয় পূর্ব তাজপুরের বাসিন্দা হওয়ায় ডাকাতির ঘটনায় তিনিও সন্দেহের বাইরে নন।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ঘটনাটি অবশ্যই রহস্যজনক। পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেছি। তবে লুটের রহস্য উদ্ঘাটনসহ ডাকাতদের ধরতে ও টাকা উদ্ধার করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব।
ওসমানীনগরে এটিএম বুথে লুটের ঘটনায় দুই দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ডাকাত দল ও টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওসমানীনগর থানা-পুলিশ।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেডের একটি এটিএম বুথে গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ব্যাংক লুটের ঘটনার দিন রাতে ওসমানীনগর থানায় ব্যাংকটির শেরপুর নতুন বাজার শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ আশরাফুল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউসিবি শেরপুর শাখার নিচতলায় এই ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ রয়েছে। ঘটনার দিন রাত সোয়া ৩টার দিকে ওই বুথে মুখোশধারী চারজন প্রবেশ করে।
তারা বুথের নিরাপত্তাকর্মী জাকারিয়াকে (২৩) মারধর করে দুই হাত ও মুখ স্কচটেপ বেঁধে ও গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে। এরপর তারা এটিএম বুথের মেশিনটি শাবল দিয়ে ভেঙে মোট ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জাকারিয়া হাতের বাঁধন খুলে এটিএম বুথের দ্বিতীয় তলায় থাকা অপর নিরাপত্তাকর্মী সাহেল মিয়াকে ইশারা করেন।
সাহেল এসে জাকারিয়ার মুখের স্কচটেপ খুলে দেয়। তারপর জাকারিয়ার মুখ থেকে বিস্তারিত শুনে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, থানা-পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ আশরাফুল আমিন বলেন, এটিএম বুথের ভেতরে পাঁচটি ও বাইরে (বুথ সংলগ্ন) তিনটি সিসি ক্যামেরা সচল রয়েছে। মুখোশধারী চারজন বুথের ভেতর প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরায় কালি ছিটিয়ে দেয়। এতে ফুটেজ ঝাপসা হয়ে গেলে তারা বুথ ভেঙে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে বাইরে থাকা তিনটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ব্যাপারে তাঁর কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের এক নৈশপ্রহরী ভোর পৌনে ৪টার দিকে বুথের পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হেলমেট পরিহিত তিন যুবককে মোটরসাইকেলে বসে থাকতে দেখেন। পেছন থেকে আরও একজন দৌড়ে এসে মোটরসাইকেলে উঠলে চারজন মৌলভীবাজারের দিকে চলে যায়। এ সময় শেরপুর টোল প্লাজার সামনে পুলিশের একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
আবদুল সালাম নামের এক চাকরিজীবী বলেন, প্রায়ই রাত ১০টার পর বুথে গেলে ভেতর থেকে বুথ বন্ধ পাওয়া যায়। কেউ প্রয়োজনে ডাকলে তিনি বুথের দরজা খুলে দেন। ঘটনার রাতে নিরাপত্তাকর্মী ভেতর থেকে তাদের দেখার কথা। কোনো সন্দেহ হলে তিনি তার মুঠোফোন দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করতে পারতেন। চারজন মুখোশধারীকে দেখার পরেও রাতে বুথের দরজা খুলে দেওয়ার ব্যাপারটি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
সালাম আরও বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, ডাকাতেরা ওই নিরাপত্তাকর্মীর মুঠোফোনটিও ছিনিয়ে নেননি বা সিমকার্ডও অকেজো করেননি। বুথের নিরাপত্তাকর্মী স্থানীয় পূর্ব তাজপুরের বাসিন্দা হওয়ায় ডাকাতির ঘটনায় তিনিও সন্দেহের বাইরে নন।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ঘটনাটি অবশ্যই রহস্যজনক। পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেছি। তবে লুটের রহস্য উদ্ঘাটনসহ ডাকাতদের ধরতে ও টাকা উদ্ধার করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে