শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

রাজধানীর রমনা পার্কে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন কাপল ব্লগ করা এক দম্পতি। ফোনসেটে ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। তাতেই হলো বিপদ। তিন ধাপে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (ভাইরাল) এক দুর্বৃত্ত। এতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা।
মোবাইল ফোনসেট হারানোয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং ভিডিও-ছবি ভাইরাল ও টাকা আদায়ের ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। কিন্তু দুই মাসেও ফোনসেট উদ্ধার হয়নি এবং ওই দুর্বৃত্তও ধরা পড়েনি। মোবাইল খোয়া যাওয়ায় এমন বিপদে আরও অনেকে পড়ছেন। তবে বেশির ভাগই পুলিশ পর্যন্ত যান না। আবার অনেকের মোবাইলে থাকে গুরুত্বপূর্ণ নথি। মোবাইল হারালে তাঁরাও পড়েন বিপদে।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্য, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ১১ হাজারের বেশি মোবাইল ফোন চুরি হয়, ছিনতাই হয় বা হারায়। অর্ধেকের বেশি ভুক্তভোগীই এ নিয়ে থানায় আসেন না। যাঁরা জিডি করেন তাঁদের মোবাইল উদ্ধারের সংখ্যাও নামমাত্র। অন্য ব্যস্ততা থাকায় মোবাইল উদ্ধারে পুলিশের সময়ও কম। পুলিশ বলছে, খোয়া যাওয়া দামি মোবাইলের অর্ধেকের বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে। তাই এগুলোর হদিস পাওয়া যায় না। কম দামি মোবাইল আইএমইআই বদলে দেশেই বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চুরি ও ছিনতাই হওয়া ফোনসেট উদ্ধার করতে না পারা নিয়ে গত সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও আলোচনা হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম হারানো মোবাইল উদ্ধারে অভিযান জোরদার করতে এবং মোবাইল ছিনতাই/চুরি প্রতিরোধে টহল বাড়াতে পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন।
খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনসংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কাজ করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। জানতে চাইলে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোবাইল হারানো অর্ধেকের বেশি মানুষই থানায় জিডি করেন না। যাঁরা আসেন, তাঁদের মোবাইল ছিনতাই বা চুরি হলেও হারিয়ে গেছে দাবি করে জিডি করেন। জিডি করার কারণে গুরুত্ব কম থাকায় মোবাইল উদ্ধার হয় না। তিনি বলেন, মামলার সংখ্যা কমানোর জন্য থানার পুলিশ জিডি করতে উৎসাহ দিলেও মোবাইল ছিনতাই হলে মামলা করতে হবে। গত বছর সিআইডির কাছে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ আসে। এর মধ্যে ৪৭১টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। তিনি যাচাই ছাড়া পুরোনো মোবাইল না কেনারও পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে মোবাইল ফোন ছিনতাই ও চুরির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ৯ মার্চ ডিএমপির ৫০টি থানায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই মোবাইল ফোন হারানো নিয়ে এসব থানায় ৩৭১টি জিডি হয়। এ হিসাবে প্রতি মাসে মোবাইল খোয়া যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ হাজার ১৩০টি। আর বছরে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬০টি। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কর্মব্যস্ত দিনে মোবাইল হারানোর জিডি হয় আরও বেশি। ভুক্তভোগীদের অর্ধেকের বেশি জিডি না করায় মোবাইল খোয়া যাওয়ার প্রকৃত সংখ্যা জিডির দ্বিগুণের বেশি।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনসেটটি যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে, তবেই সহজে সেটি উদ্ধার করা সম্ভব, না হলে নয়।
পুলিশ বলছে, মোবাইল ছিনতাই, চুরি বা হারানো গেলে সেই মোবাইলে থাকা সবকিছু চলে যায় অপরাধীর হাতে, যা দিয়ে দুর্বৃত্তরা ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেল করে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে মোবাইল হারিয়ে এমন ঘটনারই শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের এক শিক্ষার্থী। শাহবাগ থানায় জিডি করেন। কিন্তু মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে টাকা চায় এক দুর্বৃত্ত। তিনি শাহবাগ থানায় হয়রানির মামলা করেন। কিন্তু ফল হয়নি। উল্টো ছবি ভাইরাল করার হুমকি পাচ্ছেন এখনো।
এমন চক্রের ২০ জনকে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, কুমিল্লা থেকে রাজিব নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছেন তাঁরা। রাজিবের কাজই হলো চোরাই মোবাইল কিনে সেখানে থাকা ছবি দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনো ছবি, ভিডিও বা ডকুমেন্ট মোবাইলে সংরক্ষণ না করাই ভালো। এতে মোবাইল হারালেও বাড়তি বিপদের ঝুঁকি থাকে না। তারপরও এমন কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে।
৮ মার্চ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হওয়া জিডি অনুযায়ী, সে দিন সবচেয়ে বেশি মোবাইল খোয়া যায় মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শাহবাগ ও খিলগাঁও থানা এলাকায়। সর্বোচ্চ মিরপুরে ২১টি। বাকি তিন থানায় ১৮ থেকে ২০টি। তবে অন্যান্য থানা এলাকায়ও গড়ে আটটি মোবাইল খোয়া গেছে।
পুলিশ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পর্শকাতর ও ব্যক্তিগত এবং প্রয়োজনীয় নথি মোবাইলে না রাখাই ভালো। হারানো মোবাইলে থাকা তথ্য উদ্ধারের বিষয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর জোহা হাসান বলেন, মোবাইলের কোনো তথ্য সংরক্ষণ করলে সেটা জিমেইলের সঙ্গে সংযুক্তি আছে এমন জায়গায় রাখা উচিত। এতে ওই ডিভাউস হারিয়ে গেলেও ই-মেইল আইডি দিয়ে সেটা উদ্ধার করা সম্ভব।
৩-৫ সেকেন্ডে আইএমইআই বদল
ডিবি পুলিশ জানায়, একটি চক্র চোরাই মোবাইলের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি নম্বর বা আইএমইআই নম্বর বদলে ফেলে বাজারে বিক্রি করে। আইএমইআই নম্বর বদল করায় হারানো মোবাইলের অবস্থান শনাক্ত করা যায় না। চক্রটি আইএমইআই নম্বর বদল করতে খুব দক্ষ। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ল্যাপটপের সঙ্গে সংযুক্ত করে মাত্র ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডেই তাঁরা আইএমইআই নম্বর বদলে ফেলে। সম্প্রতি রাজধানীতে এমন একটি চক্রের কয়েকজনকে আটক করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা অপরাধ।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি ও সম্প্রতি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত (অপরাধ ও অপারেশন) আনোয়ার হোসেন বলেন, হারানো ফোনসেট ফিরে পাওয়াসহ সাইবার অপরাধ ঠেকাতে একটি ‘সাইবার থানা’ স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল সিআইডি। সাইবারে অপরাধ কমাতে এমন একটি থানা চালুতে জোর দিচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর।
দামি মোবাইল পাচার হয় বিদেশে
ডিএমপি ও সিআইডির কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনসেটগুলো কয়েকটি হাত বদল হয়। খোয়া যাওয়া দামি মোবাইলের অর্ধেকের বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে, আন্তর্জাতিক চক্রের কাছে। সেগুলো পাচার হচ্ছে ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে। গোয়েন্দা পুলিশ চুরি হওয়া মোবাইল বিদেশে পাচার করা একাধিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে। সম্প্রতি বাড্ডা থেকে এমন একটি চক্রের ৯ জন ভারতীয়সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রাজা শাও, পঙ্কজ বিশ্বাস, উৎপল মাইটি, দীপঙ্কর ঘোষ, রাজু দাস, সুজন দাস, এস কে আজগর আলী, লারাইব আশ্রাব, সমরজিৎ দাস এবং বাংলাদেশি মুরাদ গাজী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেছেন, তাঁরা চোরাই ফোনসেট কিনে চক্রের মাধ্যমে ভারতের পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বিক্রি করেন। এসব মোবাইল মূলত অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্র আইফোন, স্যামসাংসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করছে। সেখান থেকে অন্য দেশে পাচার হচ্ছে। এ কারণে দেশে মোবাইল ফোন হারালে বা চুরি গেলে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অনাগ্রহের মধ্যে ব্যতিক্রম
অনেক জিডি হলেও মোবাইল ফেরত পাওয়া যায় হাতে গোনা। পুলিশের সূত্র বলছে, নানা কাজের ব্যস্ততায় হারানো মোবাইল খুঁজতে পুলিশের আগ্রহ কম থাকে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মিত কাজ এত বেশি থাকে যে হারানো মোবাইল খোঁজার সময় পান না।
অবশ্য এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও আছে। দেশের বিভিন্ন থানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মোবাইল উদ্ধারে সাফল্যও দেখিয়েছেন। তাঁদের একজন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মিল্টন কুমার দেব দাস। তাঁর দাবি, গত আট-নয় বছরে তিনি ৬ হাজারের বেশি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করেছেন। এই দক্ষতার জন্য অনেকে তাঁকে নামে চেনেন। কেউ কেউ ডাকেন ‘মিল্টন কেডি’ বলে। তিনি বলেন, যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি বা বিদেশে পাচার না হলে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যায়।

রাজধানীর রমনা পার্কে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন কাপল ব্লগ করা এক দম্পতি। ফোনসেটে ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। তাতেই হলো বিপদ। তিন ধাপে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (ভাইরাল) এক দুর্বৃত্ত। এতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা।
মোবাইল ফোনসেট হারানোয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং ভিডিও-ছবি ভাইরাল ও টাকা আদায়ের ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। কিন্তু দুই মাসেও ফোনসেট উদ্ধার হয়নি এবং ওই দুর্বৃত্তও ধরা পড়েনি। মোবাইল খোয়া যাওয়ায় এমন বিপদে আরও অনেকে পড়ছেন। তবে বেশির ভাগই পুলিশ পর্যন্ত যান না। আবার অনেকের মোবাইলে থাকে গুরুত্বপূর্ণ নথি। মোবাইল হারালে তাঁরাও পড়েন বিপদে।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্য, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ১১ হাজারের বেশি মোবাইল ফোন চুরি হয়, ছিনতাই হয় বা হারায়। অর্ধেকের বেশি ভুক্তভোগীই এ নিয়ে থানায় আসেন না। যাঁরা জিডি করেন তাঁদের মোবাইল উদ্ধারের সংখ্যাও নামমাত্র। অন্য ব্যস্ততা থাকায় মোবাইল উদ্ধারে পুলিশের সময়ও কম। পুলিশ বলছে, খোয়া যাওয়া দামি মোবাইলের অর্ধেকের বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে। তাই এগুলোর হদিস পাওয়া যায় না। কম দামি মোবাইল আইএমইআই বদলে দেশেই বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চুরি ও ছিনতাই হওয়া ফোনসেট উদ্ধার করতে না পারা নিয়ে গত সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও আলোচনা হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম হারানো মোবাইল উদ্ধারে অভিযান জোরদার করতে এবং মোবাইল ছিনতাই/চুরি প্রতিরোধে টহল বাড়াতে পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন।
খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনসংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কাজ করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। জানতে চাইলে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোবাইল হারানো অর্ধেকের বেশি মানুষই থানায় জিডি করেন না। যাঁরা আসেন, তাঁদের মোবাইল ছিনতাই বা চুরি হলেও হারিয়ে গেছে দাবি করে জিডি করেন। জিডি করার কারণে গুরুত্ব কম থাকায় মোবাইল উদ্ধার হয় না। তিনি বলেন, মামলার সংখ্যা কমানোর জন্য থানার পুলিশ জিডি করতে উৎসাহ দিলেও মোবাইল ছিনতাই হলে মামলা করতে হবে। গত বছর সিআইডির কাছে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ আসে। এর মধ্যে ৪৭১টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। তিনি যাচাই ছাড়া পুরোনো মোবাইল না কেনারও পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে মোবাইল ফোন ছিনতাই ও চুরির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ৯ মার্চ ডিএমপির ৫০টি থানায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই মোবাইল ফোন হারানো নিয়ে এসব থানায় ৩৭১টি জিডি হয়। এ হিসাবে প্রতি মাসে মোবাইল খোয়া যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ হাজার ১৩০টি। আর বছরে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬০টি। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কর্মব্যস্ত দিনে মোবাইল হারানোর জিডি হয় আরও বেশি। ভুক্তভোগীদের অর্ধেকের বেশি জিডি না করায় মোবাইল খোয়া যাওয়ার প্রকৃত সংখ্যা জিডির দ্বিগুণের বেশি।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনসেটটি যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে, তবেই সহজে সেটি উদ্ধার করা সম্ভব, না হলে নয়।
পুলিশ বলছে, মোবাইল ছিনতাই, চুরি বা হারানো গেলে সেই মোবাইলে থাকা সবকিছু চলে যায় অপরাধীর হাতে, যা দিয়ে দুর্বৃত্তরা ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেল করে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে মোবাইল হারিয়ে এমন ঘটনারই শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের এক শিক্ষার্থী। শাহবাগ থানায় জিডি করেন। কিন্তু মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে টাকা চায় এক দুর্বৃত্ত। তিনি শাহবাগ থানায় হয়রানির মামলা করেন। কিন্তু ফল হয়নি। উল্টো ছবি ভাইরাল করার হুমকি পাচ্ছেন এখনো।
এমন চক্রের ২০ জনকে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, কুমিল্লা থেকে রাজিব নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছেন তাঁরা। রাজিবের কাজই হলো চোরাই মোবাইল কিনে সেখানে থাকা ছবি দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনো ছবি, ভিডিও বা ডকুমেন্ট মোবাইলে সংরক্ষণ না করাই ভালো। এতে মোবাইল হারালেও বাড়তি বিপদের ঝুঁকি থাকে না। তারপরও এমন কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে।
৮ মার্চ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হওয়া জিডি অনুযায়ী, সে দিন সবচেয়ে বেশি মোবাইল খোয়া যায় মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শাহবাগ ও খিলগাঁও থানা এলাকায়। সর্বোচ্চ মিরপুরে ২১টি। বাকি তিন থানায় ১৮ থেকে ২০টি। তবে অন্যান্য থানা এলাকায়ও গড়ে আটটি মোবাইল খোয়া গেছে।
পুলিশ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পর্শকাতর ও ব্যক্তিগত এবং প্রয়োজনীয় নথি মোবাইলে না রাখাই ভালো। হারানো মোবাইলে থাকা তথ্য উদ্ধারের বিষয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর জোহা হাসান বলেন, মোবাইলের কোনো তথ্য সংরক্ষণ করলে সেটা জিমেইলের সঙ্গে সংযুক্তি আছে এমন জায়গায় রাখা উচিত। এতে ওই ডিভাউস হারিয়ে গেলেও ই-মেইল আইডি দিয়ে সেটা উদ্ধার করা সম্ভব।
৩-৫ সেকেন্ডে আইএমইআই বদল
ডিবি পুলিশ জানায়, একটি চক্র চোরাই মোবাইলের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি নম্বর বা আইএমইআই নম্বর বদলে ফেলে বাজারে বিক্রি করে। আইএমইআই নম্বর বদল করায় হারানো মোবাইলের অবস্থান শনাক্ত করা যায় না। চক্রটি আইএমইআই নম্বর বদল করতে খুব দক্ষ। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ল্যাপটপের সঙ্গে সংযুক্ত করে মাত্র ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডেই তাঁরা আইএমইআই নম্বর বদলে ফেলে। সম্প্রতি রাজধানীতে এমন একটি চক্রের কয়েকজনকে আটক করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা অপরাধ।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি ও সম্প্রতি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত (অপরাধ ও অপারেশন) আনোয়ার হোসেন বলেন, হারানো ফোনসেট ফিরে পাওয়াসহ সাইবার অপরাধ ঠেকাতে একটি ‘সাইবার থানা’ স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল সিআইডি। সাইবারে অপরাধ কমাতে এমন একটি থানা চালুতে জোর দিচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর।
দামি মোবাইল পাচার হয় বিদেশে
ডিএমপি ও সিআইডির কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনসেটগুলো কয়েকটি হাত বদল হয়। খোয়া যাওয়া দামি মোবাইলের অর্ধেকের বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে, আন্তর্জাতিক চক্রের কাছে। সেগুলো পাচার হচ্ছে ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে। গোয়েন্দা পুলিশ চুরি হওয়া মোবাইল বিদেশে পাচার করা একাধিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে। সম্প্রতি বাড্ডা থেকে এমন একটি চক্রের ৯ জন ভারতীয়সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রাজা শাও, পঙ্কজ বিশ্বাস, উৎপল মাইটি, দীপঙ্কর ঘোষ, রাজু দাস, সুজন দাস, এস কে আজগর আলী, লারাইব আশ্রাব, সমরজিৎ দাস এবং বাংলাদেশি মুরাদ গাজী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেছেন, তাঁরা চোরাই ফোনসেট কিনে চক্রের মাধ্যমে ভারতের পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বিক্রি করেন। এসব মোবাইল মূলত অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্র আইফোন, স্যামসাংসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করছে। সেখান থেকে অন্য দেশে পাচার হচ্ছে। এ কারণে দেশে মোবাইল ফোন হারালে বা চুরি গেলে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অনাগ্রহের মধ্যে ব্যতিক্রম
অনেক জিডি হলেও মোবাইল ফেরত পাওয়া যায় হাতে গোনা। পুলিশের সূত্র বলছে, নানা কাজের ব্যস্ততায় হারানো মোবাইল খুঁজতে পুলিশের আগ্রহ কম থাকে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মিত কাজ এত বেশি থাকে যে হারানো মোবাইল খোঁজার সময় পান না।
অবশ্য এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও আছে। দেশের বিভিন্ন থানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মোবাইল উদ্ধারে সাফল্যও দেখিয়েছেন। তাঁদের একজন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মিল্টন কুমার দেব দাস। তাঁর দাবি, গত আট-নয় বছরে তিনি ৬ হাজারের বেশি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করেছেন। এই দক্ষতার জন্য অনেকে তাঁকে নামে চেনেন। কেউ কেউ ডাকেন ‘মিল্টন কেডি’ বলে। তিনি বলেন, যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি বা বিদেশে পাচার না হলে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যায়।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

রাজধানীর রমনা পার্কে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন কাপল ব্লগ করা এক দম্পতি। ফোনসেটে ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। তাতেই হলো বিপদ। তিন ধাপে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (ভাইরাল) এক দুর্বৃত্ত। এতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা।
মোবাইল ফোনসেট হারানোয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং ভিডিও-ছবি ভাইরাল ও টাকা আদায়ের ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। কিন্তু দুই মাসেও ফোনসেট উদ্ধার হয়নি এবং ওই দুর্বৃত্তও ধরা পড়েনি। মোবাইল খোয়া যাওয়ায় এমন বিপদে আরও অনেকে পড়ছেন। তবে বেশির ভাগই পুলিশ পর্যন্ত যান না। আবার অনেকের মোবাইলে থাকে গুরুত্বপূর্ণ নথি। মোবাইল হারালে তাঁরাও পড়েন বিপদে।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্য, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ১১ হাজারের বেশি মোবাইল ফোন চুরি হয়, ছিনতাই হয় বা হারায়। অর্ধেকের বেশি ভুক্তভোগীই এ নিয়ে থানায় আসেন না। যাঁরা জিডি করেন তাঁদের মোবাইল উদ্ধারের সংখ্যাও নামমাত্র। অন্য ব্যস্ততা থাকায় মোবাইল উদ্ধারে পুলিশের সময়ও কম। পুলিশ বলছে, খোয়া যাওয়া দামি মোবাইলের অর্ধেকের বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে। তাই এগুলোর হদিস পাওয়া যায় না। কম দামি মোবাইল আইএমইআই বদলে দেশেই বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চুরি ও ছিনতাই হওয়া ফোনসেট উদ্ধার করতে না পারা নিয়ে গত সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও আলোচনা হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম হারানো মোবাইল উদ্ধারে অভিযান জোরদার করতে এবং মোবাইল ছিনতাই/চুরি প্রতিরোধে টহল বাড়াতে পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন।
খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনসংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কাজ করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। জানতে চাইলে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোবাইল হারানো অর্ধেকের বেশি মানুষই থানায় জিডি করেন না। যাঁরা আসেন, তাঁদের মোবাইল ছিনতাই বা চুরি হলেও হারিয়ে গেছে দাবি করে জিডি করেন। জিডি করার কারণে গুরুত্ব কম থাকায় মোবাইল উদ্ধার হয় না। তিনি বলেন, মামলার সংখ্যা কমানোর জন্য থানার পুলিশ জিডি করতে উৎসাহ দিলেও মোবাইল ছিনতাই হলে মামলা করতে হবে। গত বছর সিআইডির কাছে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ আসে। এর মধ্যে ৪৭১টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। তিনি যাচাই ছাড়া পুরোনো মোবাইল না কেনারও পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে মোবাইল ফোন ছিনতাই ও চুরির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ৯ মার্চ ডিএমপির ৫০টি থানায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই মোবাইল ফোন হারানো নিয়ে এসব থানায় ৩৭১টি জিডি হয়। এ হিসাবে প্রতি মাসে মোবাইল খোয়া যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ হাজার ১৩০টি। আর বছরে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬০টি। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কর্মব্যস্ত দিনে মোবাইল হারানোর জিডি হয় আরও বেশি। ভুক্তভোগীদের অর্ধেকের বেশি জিডি না করায় মোবাইল খোয়া যাওয়ার প্রকৃত সংখ্যা জিডির দ্বিগুণের বেশি।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনসেটটি যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে, তবেই সহজে সেটি উদ্ধার করা সম্ভব, না হলে নয়।
পুলিশ বলছে, মোবাইল ছিনতাই, চুরি বা হারানো গেলে সেই মোবাইলে থাকা সবকিছু চলে যায় অপরাধীর হাতে, যা দিয়ে দুর্বৃত্তরা ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেল করে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে মোবাইল হারিয়ে এমন ঘটনারই শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের এক শিক্ষার্থী। শাহবাগ থানায় জিডি করেন। কিন্তু মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে টাকা চায় এক দুর্বৃত্ত। তিনি শাহবাগ থানায় হয়রানির মামলা করেন। কিন্তু ফল হয়নি। উল্টো ছবি ভাইরাল করার হুমকি পাচ্ছেন এখনো।
এমন চক্রের ২০ জনকে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, কুমিল্লা থেকে রাজিব নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছেন তাঁরা। রাজিবের কাজই হলো চোরাই মোবাইল কিনে সেখানে থাকা ছবি দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনো ছবি, ভিডিও বা ডকুমেন্ট মোবাইলে সংরক্ষণ না করাই ভালো। এতে মোবাইল হারালেও বাড়তি বিপদের ঝুঁকি থাকে না। তারপরও এমন কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে।
৮ মার্চ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হওয়া জিডি অনুযায়ী, সে দিন সবচেয়ে বেশি মোবাইল খোয়া যায় মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শাহবাগ ও খিলগাঁও থানা এলাকায়। সর্বোচ্চ মিরপুরে ২১টি। বাকি তিন থানায় ১৮ থেকে ২০টি। তবে অন্যান্য থানা এলাকায়ও গড়ে আটটি মোবাইল খোয়া গেছে।
পুলিশ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পর্শকাতর ও ব্যক্তিগত এবং প্রয়োজনীয় নথি মোবাইলে না রাখাই ভালো। হারানো মোবাইলে থাকা তথ্য উদ্ধারের বিষয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর জোহা হাসান বলেন, মোবাইলের কোনো তথ্য সংরক্ষণ করলে সেটা জিমেইলের সঙ্গে সংযুক্তি আছে এমন জায়গায় রাখা উচিত। এতে ওই ডিভাউস হারিয়ে গেলেও ই-মেইল আইডি দিয়ে সেটা উদ্ধার করা সম্ভব।
৩-৫ সেকেন্ডে আইএমইআই বদল
ডিবি পুলিশ জানায়, একটি চক্র চোরাই মোবাইলের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি নম্বর বা আইএমইআই নম্বর বদলে ফেলে বাজারে বিক্রি করে। আইএমইআই নম্বর বদল করায় হারানো মোবাইলের অবস্থান শনাক্ত করা যায় না। চক্রটি আইএমইআই নম্বর বদল করতে খুব দক্ষ। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ল্যাপটপের সঙ্গে সংযুক্ত করে মাত্র ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডেই তাঁরা আইএমইআই নম্বর বদলে ফেলে। সম্প্রতি রাজধানীতে এমন একটি চক্রের কয়েকজনকে আটক করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা অপরাধ।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি ও সম্প্রতি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত (অপরাধ ও অপারেশন) আনোয়ার হোসেন বলেন, হারানো ফোনসেট ফিরে পাওয়াসহ সাইবার অপরাধ ঠেকাতে একটি ‘সাইবার থানা’ স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল সিআইডি। সাইবারে অপরাধ কমাতে এমন একটি থানা চালুতে জোর দিচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর।
দামি মোবাইল পাচার হয় বিদেশে
ডিএমপি ও সিআইডির কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনসেটগুলো কয়েকটি হাত বদল হয়। খোয়া যাওয়া দামি মোবাইলের অর্ধেকের বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে, আন্তর্জাতিক চক্রের কাছে। সেগুলো পাচার হচ্ছে ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে। গোয়েন্দা পুলিশ চুরি হওয়া মোবাইল বিদেশে পাচার করা একাধিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে। সম্প্রতি বাড্ডা থেকে এমন একটি চক্রের ৯ জন ভারতীয়সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রাজা শাও, পঙ্কজ বিশ্বাস, উৎপল মাইটি, দীপঙ্কর ঘোষ, রাজু দাস, সুজন দাস, এস কে আজগর আলী, লারাইব আশ্রাব, সমরজিৎ দাস এবং বাংলাদেশি মুরাদ গাজী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেছেন, তাঁরা চোরাই ফোনসেট কিনে চক্রের মাধ্যমে ভারতের পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বিক্রি করেন। এসব মোবাইল মূলত অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্র আইফোন, স্যামসাংসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করছে। সেখান থেকে অন্য দেশে পাচার হচ্ছে। এ কারণে দেশে মোবাইল ফোন হারালে বা চুরি গেলে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অনাগ্রহের মধ্যে ব্যতিক্রম
অনেক জিডি হলেও মোবাইল ফেরত পাওয়া যায় হাতে গোনা। পুলিশের সূত্র বলছে, নানা কাজের ব্যস্ততায় হারানো মোবাইল খুঁজতে পুলিশের আগ্রহ কম থাকে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মিত কাজ এত বেশি থাকে যে হারানো মোবাইল খোঁজার সময় পান না।
অবশ্য এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও আছে। দেশের বিভিন্ন থানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মোবাইল উদ্ধারে সাফল্যও দেখিয়েছেন। তাঁদের একজন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মিল্টন কুমার দেব দাস। তাঁর দাবি, গত আট-নয় বছরে তিনি ৬ হাজারের বেশি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করেছেন। এই দক্ষতার জন্য অনেকে তাঁকে নামে চেনেন। কেউ কেউ ডাকেন ‘মিল্টন কেডি’ বলে। তিনি বলেন, যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি বা বিদেশে পাচার না হলে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যায়।

রাজধানীর রমনা পার্কে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন কাপল ব্লগ করা এক দম্পতি। ফোনসেটে ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। তাতেই হলো বিপদ। তিন ধাপে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (ভাইরাল) এক দুর্বৃত্ত। এতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা।
মোবাইল ফোনসেট হারানোয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং ভিডিও-ছবি ভাইরাল ও টাকা আদায়ের ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। কিন্তু দুই মাসেও ফোনসেট উদ্ধার হয়নি এবং ওই দুর্বৃত্তও ধরা পড়েনি। মোবাইল খোয়া যাওয়ায় এমন বিপদে আরও অনেকে পড়ছেন। তবে বেশির ভাগই পুলিশ পর্যন্ত যান না। আবার অনেকের মোবাইলে থাকে গুরুত্বপূর্ণ নথি। মোবাইল হারালে তাঁরাও পড়েন বিপদে।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্য, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ১১ হাজারের বেশি মোবাইল ফোন চুরি হয়, ছিনতাই হয় বা হারায়। অর্ধেকের বেশি ভুক্তভোগীই এ নিয়ে থানায় আসেন না। যাঁরা জিডি করেন তাঁদের মোবাইল উদ্ধারের সংখ্যাও নামমাত্র। অন্য ব্যস্ততা থাকায় মোবাইল উদ্ধারে পুলিশের সময়ও কম। পুলিশ বলছে, খোয়া যাওয়া দামি মোবাইলের অর্ধেকের বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে। তাই এগুলোর হদিস পাওয়া যায় না। কম দামি মোবাইল আইএমইআই বদলে দেশেই বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চুরি ও ছিনতাই হওয়া ফোনসেট উদ্ধার করতে না পারা নিয়ে গত সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও আলোচনা হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম হারানো মোবাইল উদ্ধারে অভিযান জোরদার করতে এবং মোবাইল ছিনতাই/চুরি প্রতিরোধে টহল বাড়াতে পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন।
খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনসংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কাজ করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। জানতে চাইলে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোবাইল হারানো অর্ধেকের বেশি মানুষই থানায় জিডি করেন না। যাঁরা আসেন, তাঁদের মোবাইল ছিনতাই বা চুরি হলেও হারিয়ে গেছে দাবি করে জিডি করেন। জিডি করার কারণে গুরুত্ব কম থাকায় মোবাইল উদ্ধার হয় না। তিনি বলেন, মামলার সংখ্যা কমানোর জন্য থানার পুলিশ জিডি করতে উৎসাহ দিলেও মোবাইল ছিনতাই হলে মামলা করতে হবে। গত বছর সিআইডির কাছে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ আসে। এর মধ্যে ৪৭১টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। তিনি যাচাই ছাড়া পুরোনো মোবাইল না কেনারও পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে মোবাইল ফোন ছিনতাই ও চুরির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ৯ মার্চ ডিএমপির ৫০টি থানায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই মোবাইল ফোন হারানো নিয়ে এসব থানায় ৩৭১টি জিডি হয়। এ হিসাবে প্রতি মাসে মোবাইল খোয়া যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ হাজার ১৩০টি। আর বছরে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬০টি। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কর্মব্যস্ত দিনে মোবাইল হারানোর জিডি হয় আরও বেশি। ভুক্তভোগীদের অর্ধেকের বেশি জিডি না করায় মোবাইল খোয়া যাওয়ার প্রকৃত সংখ্যা জিডির দ্বিগুণের বেশি।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনসেটটি যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে, তবেই সহজে সেটি উদ্ধার করা সম্ভব, না হলে নয়।
পুলিশ বলছে, মোবাইল ছিনতাই, চুরি বা হারানো গেলে সেই মোবাইলে থাকা সবকিছু চলে যায় অপরাধীর হাতে, যা দিয়ে দুর্বৃত্তরা ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেল করে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে মোবাইল হারিয়ে এমন ঘটনারই শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের এক শিক্ষার্থী। শাহবাগ থানায় জিডি করেন। কিন্তু মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে টাকা চায় এক দুর্বৃত্ত। তিনি শাহবাগ থানায় হয়রানির মামলা করেন। কিন্তু ফল হয়নি। উল্টো ছবি ভাইরাল করার হুমকি পাচ্ছেন এখনো।
এমন চক্রের ২০ জনকে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, কুমিল্লা থেকে রাজিব নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছেন তাঁরা। রাজিবের কাজই হলো চোরাই মোবাইল কিনে সেখানে থাকা ছবি দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনো ছবি, ভিডিও বা ডকুমেন্ট মোবাইলে সংরক্ষণ না করাই ভালো। এতে মোবাইল হারালেও বাড়তি বিপদের ঝুঁকি থাকে না। তারপরও এমন কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে।
৮ মার্চ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হওয়া জিডি অনুযায়ী, সে দিন সবচেয়ে বেশি মোবাইল খোয়া যায় মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শাহবাগ ও খিলগাঁও থানা এলাকায়। সর্বোচ্চ মিরপুরে ২১টি। বাকি তিন থানায় ১৮ থেকে ২০টি। তবে অন্যান্য থানা এলাকায়ও গড়ে আটটি মোবাইল খোয়া গেছে।
পুলিশ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পর্শকাতর ও ব্যক্তিগত এবং প্রয়োজনীয় নথি মোবাইলে না রাখাই ভালো। হারানো মোবাইলে থাকা তথ্য উদ্ধারের বিষয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর জোহা হাসান বলেন, মোবাইলের কোনো তথ্য সংরক্ষণ করলে সেটা জিমেইলের সঙ্গে সংযুক্তি আছে এমন জায়গায় রাখা উচিত। এতে ওই ডিভাউস হারিয়ে গেলেও ই-মেইল আইডি দিয়ে সেটা উদ্ধার করা সম্ভব।
৩-৫ সেকেন্ডে আইএমইআই বদল
ডিবি পুলিশ জানায়, একটি চক্র চোরাই মোবাইলের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি নম্বর বা আইএমইআই নম্বর বদলে ফেলে বাজারে বিক্রি করে। আইএমইআই নম্বর বদল করায় হারানো মোবাইলের অবস্থান শনাক্ত করা যায় না। চক্রটি আইএমইআই নম্বর বদল করতে খুব দক্ষ। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ল্যাপটপের সঙ্গে সংযুক্ত করে মাত্র ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডেই তাঁরা আইএমইআই নম্বর বদলে ফেলে। সম্প্রতি রাজধানীতে এমন একটি চক্রের কয়েকজনকে আটক করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা অপরাধ।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি ও সম্প্রতি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত (অপরাধ ও অপারেশন) আনোয়ার হোসেন বলেন, হারানো ফোনসেট ফিরে পাওয়াসহ সাইবার অপরাধ ঠেকাতে একটি ‘সাইবার থানা’ স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল সিআইডি। সাইবারে অপরাধ কমাতে এমন একটি থানা চালুতে জোর দিচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর।
দামি মোবাইল পাচার হয় বিদেশে
ডিএমপি ও সিআইডির কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনসেটগুলো কয়েকটি হাত বদল হয়। খোয়া যাওয়া দামি মোবাইলের অর্ধেকের বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে, আন্তর্জাতিক চক্রের কাছে। সেগুলো পাচার হচ্ছে ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে। গোয়েন্দা পুলিশ চুরি হওয়া মোবাইল বিদেশে পাচার করা একাধিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে। সম্প্রতি বাড্ডা থেকে এমন একটি চক্রের ৯ জন ভারতীয়সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রাজা শাও, পঙ্কজ বিশ্বাস, উৎপল মাইটি, দীপঙ্কর ঘোষ, রাজু দাস, সুজন দাস, এস কে আজগর আলী, লারাইব আশ্রাব, সমরজিৎ দাস এবং বাংলাদেশি মুরাদ গাজী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেছেন, তাঁরা চোরাই ফোনসেট কিনে চক্রের মাধ্যমে ভারতের পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বিক্রি করেন। এসব মোবাইল মূলত অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্র আইফোন, স্যামসাংসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করছে। সেখান থেকে অন্য দেশে পাচার হচ্ছে। এ কারণে দেশে মোবাইল ফোন হারালে বা চুরি গেলে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অনাগ্রহের মধ্যে ব্যতিক্রম
অনেক জিডি হলেও মোবাইল ফেরত পাওয়া যায় হাতে গোনা। পুলিশের সূত্র বলছে, নানা কাজের ব্যস্ততায় হারানো মোবাইল খুঁজতে পুলিশের আগ্রহ কম থাকে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মিত কাজ এত বেশি থাকে যে হারানো মোবাইল খোঁজার সময় পান না।
অবশ্য এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও আছে। দেশের বিভিন্ন থানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মোবাইল উদ্ধারে সাফল্যও দেখিয়েছেন। তাঁদের একজন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মিল্টন কুমার দেব দাস। তাঁর দাবি, গত আট-নয় বছরে তিনি ৬ হাজারের বেশি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করেছেন। এই দক্ষতার জন্য অনেকে তাঁকে নামে চেনেন। কেউ কেউ ডাকেন ‘মিল্টন কেডি’ বলে। তিনি বলেন, যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি বা বিদেশে পাচার না হলে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যায়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর রমনা পার্কে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন কাপল ব্লগ করা এক দম্পতি। ফোনসেটে ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। তাতেই হলো বিপদ। তিন ধাপে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (ভাইরাল) এক দুর্বৃত্ত। এতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা।
১৩ মার্চ ২০২৪
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

রাজধানীর রমনা পার্কে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন কাপল ব্লগ করা এক দম্পতি। ফোনসেটে ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। তাতেই হলো বিপদ। তিন ধাপে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (ভাইরাল) এক দুর্বৃত্ত। এতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা।
১৩ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

রাজধানীর রমনা পার্কে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন কাপল ব্লগ করা এক দম্পতি। ফোনসেটে ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। তাতেই হলো বিপদ। তিন ধাপে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (ভাইরাল) এক দুর্বৃত্ত। এতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা।
১৩ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর রমনা পার্কে মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন কাপল ব্লগ করা এক দম্পতি। ফোনসেটে ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ছিল। তাতেই হলো বিপদ। তিন ধাপে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় (ভাইরাল) এক দুর্বৃত্ত। এতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা।
১৩ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে