তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে। কেউ কেউ রোহিঙ্গা নাগরিকদেরও বেআইনিভাবে নাগরিকত্ব সনদ দিচ্ছেন। অপরাধে জড়িয়ে পড়া কোনো কোনো জনপ্রতিনিধিকে শাস্তির আওতায় আনা হলেও সুফল মিলছে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, অপরাধে জড়িয়ে পড়া প্রতিনিধিদের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে সরকার। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত বা বরখাস্ত হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে সরকারি আদেশ স্থগিত করে দায়িত্বে ফিরছেন। এতে কিছুটা বিরূপ বার্তা যাচ্ছে সব মহলে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় কোনো কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে কাউকে কাউকে বরখাস্ত, গ্রেপ্তারসহ নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের অপরাধের ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নানা অনিয়ম-অন্যায়ের বিষয়ে শত শত অভিযোগ জমা পড়ছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১২ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানকে। জেলা প্রশাসকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওই ইউপি চেয়ারম্যান ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খাজনা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেননি। বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ রানা ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাগরী বেগমকে গত ৭ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগ সাময়িক বরখাস্ত করে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি অভিযোগ আসে স্থানীয় সরকার বিভাগে। এ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রতিটি জন্মনিবন্ধনে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। একটি ফৌজদারি মামলায় জেলহাজতে যাওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র মো. তাজকিন আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউপির চেয়ারম্যানকে সম্প্রতি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্রমতে, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬০ টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করেন ওই ইউপির ৯ সদস্য।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নানা অনিয়মের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হয়। সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আন্দারমানিক ইউপির চেয়ারম্যান কাজী সহিদুল ইসলামকে। আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে তিনি আবার স্বপদে ফিরেছেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর ত্রাণসামগ্রী ও অর্থ বিতরণ না করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ পৌর কাউন্সিলর, ১ জন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১০৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের একটি বড় অংশ আবার স্বপদে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪-এর ধারা (২৫)১ মামলাও করা হয়েছিল। তারপরও তাঁদের রুখতে পারেনি সরকার।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা (উত্তর) ইউপির সদস্য সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আটটি ফৌজদারি মামলা ছিল। ছয়টি মামলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। সে বছরের ২৩ এপ্রিল সেলিম মোল্লাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউপির সদস্য মোশারফ হোসেন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৮ সালে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ দেশের নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে এরই মধ্যে ৮-১০ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নূরে আলম সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যখন যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা নানা অনিয়ম-অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেকোনো অনিয়ম-অপরাধের বিষয়ে সরকার অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত রাজনৈতিক মদদ পেয়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁদের সুবিধা দিচ্ছে। ফলে তাঁরা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের উচিত, এই জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করা।’

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে। কেউ কেউ রোহিঙ্গা নাগরিকদেরও বেআইনিভাবে নাগরিকত্ব সনদ দিচ্ছেন। অপরাধে জড়িয়ে পড়া কোনো কোনো জনপ্রতিনিধিকে শাস্তির আওতায় আনা হলেও সুফল মিলছে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, অপরাধে জড়িয়ে পড়া প্রতিনিধিদের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে সরকার। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত বা বরখাস্ত হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে সরকারি আদেশ স্থগিত করে দায়িত্বে ফিরছেন। এতে কিছুটা বিরূপ বার্তা যাচ্ছে সব মহলে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় কোনো কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে কাউকে কাউকে বরখাস্ত, গ্রেপ্তারসহ নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের অপরাধের ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নানা অনিয়ম-অন্যায়ের বিষয়ে শত শত অভিযোগ জমা পড়ছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১২ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানকে। জেলা প্রশাসকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওই ইউপি চেয়ারম্যান ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খাজনা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেননি। বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ রানা ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাগরী বেগমকে গত ৭ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগ সাময়িক বরখাস্ত করে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি অভিযোগ আসে স্থানীয় সরকার বিভাগে। এ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রতিটি জন্মনিবন্ধনে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। একটি ফৌজদারি মামলায় জেলহাজতে যাওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র মো. তাজকিন আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউপির চেয়ারম্যানকে সম্প্রতি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্রমতে, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬০ টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করেন ওই ইউপির ৯ সদস্য।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নানা অনিয়মের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হয়। সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আন্দারমানিক ইউপির চেয়ারম্যান কাজী সহিদুল ইসলামকে। আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে তিনি আবার স্বপদে ফিরেছেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর ত্রাণসামগ্রী ও অর্থ বিতরণ না করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ পৌর কাউন্সিলর, ১ জন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১০৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের একটি বড় অংশ আবার স্বপদে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪-এর ধারা (২৫)১ মামলাও করা হয়েছিল। তারপরও তাঁদের রুখতে পারেনি সরকার।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা (উত্তর) ইউপির সদস্য সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আটটি ফৌজদারি মামলা ছিল। ছয়টি মামলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। সে বছরের ২৩ এপ্রিল সেলিম মোল্লাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউপির সদস্য মোশারফ হোসেন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৮ সালে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ দেশের নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে এরই মধ্যে ৮-১০ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নূরে আলম সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যখন যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা নানা অনিয়ম-অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেকোনো অনিয়ম-অপরাধের বিষয়ে সরকার অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত রাজনৈতিক মদদ পেয়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁদের সুবিধা দিচ্ছে। ফলে তাঁরা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের উচিত, এই জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করা।’
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে। কেউ কেউ রোহিঙ্গা নাগরিকদেরও বেআইনিভাবে নাগরিকত্ব সনদ দিচ্ছেন। অপরাধে জড়িয়ে পড়া কোনো কোনো জনপ্রতিনিধিকে শাস্তির আওতায় আনা হলেও সুফল মিলছে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, অপরাধে জড়িয়ে পড়া প্রতিনিধিদের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে সরকার। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত বা বরখাস্ত হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে সরকারি আদেশ স্থগিত করে দায়িত্বে ফিরছেন। এতে কিছুটা বিরূপ বার্তা যাচ্ছে সব মহলে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় কোনো কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে কাউকে কাউকে বরখাস্ত, গ্রেপ্তারসহ নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের অপরাধের ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নানা অনিয়ম-অন্যায়ের বিষয়ে শত শত অভিযোগ জমা পড়ছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১২ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানকে। জেলা প্রশাসকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওই ইউপি চেয়ারম্যান ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খাজনা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেননি। বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ রানা ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাগরী বেগমকে গত ৭ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগ সাময়িক বরখাস্ত করে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি অভিযোগ আসে স্থানীয় সরকার বিভাগে। এ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রতিটি জন্মনিবন্ধনে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। একটি ফৌজদারি মামলায় জেলহাজতে যাওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র মো. তাজকিন আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউপির চেয়ারম্যানকে সম্প্রতি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্রমতে, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬০ টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করেন ওই ইউপির ৯ সদস্য।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নানা অনিয়মের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হয়। সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আন্দারমানিক ইউপির চেয়ারম্যান কাজী সহিদুল ইসলামকে। আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে তিনি আবার স্বপদে ফিরেছেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর ত্রাণসামগ্রী ও অর্থ বিতরণ না করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ পৌর কাউন্সিলর, ১ জন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১০৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের একটি বড় অংশ আবার স্বপদে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪-এর ধারা (২৫)১ মামলাও করা হয়েছিল। তারপরও তাঁদের রুখতে পারেনি সরকার।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা (উত্তর) ইউপির সদস্য সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আটটি ফৌজদারি মামলা ছিল। ছয়টি মামলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। সে বছরের ২৩ এপ্রিল সেলিম মোল্লাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউপির সদস্য মোশারফ হোসেন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৮ সালে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ দেশের নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে এরই মধ্যে ৮-১০ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নূরে আলম সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যখন যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা নানা অনিয়ম-অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেকোনো অনিয়ম-অপরাধের বিষয়ে সরকার অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত রাজনৈতিক মদদ পেয়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁদের সুবিধা দিচ্ছে। ফলে তাঁরা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের উচিত, এই জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করা।’

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে। কেউ কেউ রোহিঙ্গা নাগরিকদেরও বেআইনিভাবে নাগরিকত্ব সনদ দিচ্ছেন। অপরাধে জড়িয়ে পড়া কোনো কোনো জনপ্রতিনিধিকে শাস্তির আওতায় আনা হলেও সুফল মিলছে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, অপরাধে জড়িয়ে পড়া প্রতিনিধিদের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে সরকার। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত বা বরখাস্ত হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে সরকারি আদেশ স্থগিত করে দায়িত্বে ফিরছেন। এতে কিছুটা বিরূপ বার্তা যাচ্ছে সব মহলে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় কোনো কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে কাউকে কাউকে বরখাস্ত, গ্রেপ্তারসহ নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের অপরাধের ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নানা অনিয়ম-অন্যায়ের বিষয়ে শত শত অভিযোগ জমা পড়ছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১২ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানকে। জেলা প্রশাসকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওই ইউপি চেয়ারম্যান ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খাজনা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেননি। বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ রানা ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাগরী বেগমকে গত ৭ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগ সাময়িক বরখাস্ত করে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি অভিযোগ আসে স্থানীয় সরকার বিভাগে। এ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রতিটি জন্মনিবন্ধনে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। একটি ফৌজদারি মামলায় জেলহাজতে যাওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র মো. তাজকিন আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউপির চেয়ারম্যানকে সম্প্রতি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্রমতে, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬০ টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করেন ওই ইউপির ৯ সদস্য।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নানা অনিয়মের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হয়। সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আন্দারমানিক ইউপির চেয়ারম্যান কাজী সহিদুল ইসলামকে। আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে তিনি আবার স্বপদে ফিরেছেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর ত্রাণসামগ্রী ও অর্থ বিতরণ না করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ পৌর কাউন্সিলর, ১ জন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১০৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের একটি বড় অংশ আবার স্বপদে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪-এর ধারা (২৫)১ মামলাও করা হয়েছিল। তারপরও তাঁদের রুখতে পারেনি সরকার।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা (উত্তর) ইউপির সদস্য সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আটটি ফৌজদারি মামলা ছিল। ছয়টি মামলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। সে বছরের ২৩ এপ্রিল সেলিম মোল্লাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউপির সদস্য মোশারফ হোসেন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৮ সালে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ দেশের নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে এরই মধ্যে ৮-১০ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নূরে আলম সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যখন যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা নানা অনিয়ম-অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেকোনো অনিয়ম-অপরাধের বিষয়ে সরকার অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত রাজনৈতিক মদদ পেয়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁদের সুবিধা দিচ্ছে। ফলে তাঁরা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের উচিত, এই জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করা।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুত
২৫ এপ্রিল ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুত
২৫ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুত
২৫ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুত
২৫ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে