রাশেদ নিজাম ও শাহীন শাহ টেকনাফ (কক্সবাজার) থেকে

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ধরে গেলে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্ট, যেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। বাঁয়ে ঢুকলেই বাহারছড়া ইউনিয়ন, সেখানেই জাহাজপুরা পাহাড়। ওই পাহাড় পেরিয়ে পূর্ব দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং পাহাড়। এ দুই পাহাড়ের মাঝে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার গহিন এলাকা।
গত চার মাসে ওই এলাকায় অপহরণ হয়েছে ২১ জন। এর বাইরে টেকনাফে দুটি ঘটনায় অপহৃত হয়েছে ১৭ রোহিঙ্গা। এই ৩৮ জনের মধ্যে ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৬ জন ছাড়া পেয়েছেন মুক্তিপণ দিয়ে। টাকা না পাওয়ায় খুন হয়েছেন একজন। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি স্বীকার করে না পুলিশ।
ধারাবাহিক অপহরণের ঘটনায় ওই পাহাড়ি এলাকা এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্ক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, কয়েকটি গ্রুপ অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সশস্ত্র এসব দলে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি রোহিঙ্গারাও রয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটছে টাকা আদায়ের জন্য। বেশির ভাগ ঘটনাতেই মামলা হয়নি। 
গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অপহৃত হন আটজন। তাঁদের বাড়ি জাহাজপুরা গ্রামে। ২৬ জানুয়ারি শিলখালী বনসংলগ্ন ওই গ্রামে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক গেলে তাঁদের ছয়জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের বাড়ি আধা কিলোমিটারের মধ্যে। জড়ো হন উৎসুক অনেকে।
অপহৃত ব্যক্তিরা জানান, একজন কলেজছাত্রসহ তাঁরা আটজন পাহাড়ের পাদদেশে খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহৃত হন। তিন দিন পর ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিলে মুক্তি পান তাঁরা। এই আটজন হলেন রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আফসার, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রেদোয়ান, রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল ও করিম উল্লাহ এবং রুস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নুরুল আফসার বলেন, সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয় তাঁর পরিবার। সলিমউল্লাহ ১ লাখ ৯০ হাজার, মোহাম্মদউল্লাহ ৮০, নুরুল হক, রেদোয়ান ও মোস্তফা কামাল ৫০ হাজার করে এবং নুর মোহাম্মদ ২০ হাজার টাকায় ছাড়া পান। করিম উল্লাহর কাছে মোবাইল ফোন না থাকায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় মুক্তিপণ আদায় করতে পারেনি অপহরণকারীরা।
অপহৃত ব্যক্তিরা জানান, ভারী অস্ত্রধারী অপহরণকারীদের দলটিতে ২২ জন ছিল। তাদের তিনজন রোহিঙ্গা। তারা কালো ফুলহাতা টি-শার্ট, হ্যাট পরত। মুখে ছিল মাস্ক। সরদারকে মামা ডাকত। একবেলা খাবার দিত। টাকার জন্য সকাল-বিকেল দুই বেলা পেটানো হতো। প্রতিদিন এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে নিয়ে যেত। চারজনের পায়ে শিকল বেঁধে তালা মেরে ফেলে রাখা হতো। অপহরণ নিয়ে কোথায় কী সংবাদ এল, কী লাইভ হচ্ছে—পাহাড়ে বসেই দেখত অপহরণকারীরা। অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ কড়া বক্তব্য দিলে তাঁকে বেশি পেটানো হতো।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁরা মুক্তি পাওয়ার আগেই পুলিশের একটি দল পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছিল। তবে যে উঁচু জায়গায় তাঁদের রাখা হয়েছিল, পুলিশ সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। যে রাতে তাঁরা ফিরে আসেন, পরের দিন সকালে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাঁদের নিয়ে অপহরণের স্থানে গিয়েছিল।
তিনজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, মুক্তিপণ দিয়ে নয়, পুলিশ উদ্ধার করেছে না বলায় পুলিশ তাঁদের মারধর করে। তবে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান দাবি করেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
৯ জানুয়ারি হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং গ্রাম থেকে অপহৃত চারজনের একজন ফজলুল করিমের ছেলে আবদুল হাকিম। তিনি জানান, চোখ বেঁধে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথে দেড়-দুই ঘণ্টা হাঁটিয়ে তাঁকে নেওয়া হয় গহিনে। পরে হাত-পা বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন। মুক্তিপণ দিয়ে পরদিন রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। সশস্ত্র ওই দলটিতে রোহিঙ্গাসহ ৩০ জন ছিল।
একই সময়ে অপহরণের শিকার আবদুর রহমানও জানান, পুলিশের তৎপরতা বাড়লে এবং গণমাধ্যমে বেশি সংবাদ প্রকাশ হলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ত। খাবারের ব্যবস্থা করার ধরন দেখে মনে হয়েছে, অপহরণকারীদের পরিচিতরা ওই সব পাহাড়ের আশপাশের।
১৩ জানুয়ারি কাজ দেওয়ার কথা বলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুলের ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ছয় রোহিঙ্গাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিম্মি করা হয়। পরে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায় তারা। এ ঘটনায় চাকমারকুলের বাসিন্দা মো. বিল্লাল নামে এক অপহরণকারীকে আটকের তথ্য দিয়েছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম।
একের পর এক অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে ভুগছেন বলে জানান হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, দুপাশ থেকে একসঙ্গে সাঁড়াশি অভিযান চালালে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব। গহিন পাহাড়ে পুলিশ ভয়ে যেতে চায় না। অপহরণের ঘটনার সময় ছাড়া ওই সব এলাকায় পুলিশের নজরদারিও নেই। স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা মিলে শক্তিশালী অপহরণ চক্র তৈরি করেছে। কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাহাড়ের পূর্ব পাশের হ্নীলা, পশ্চিম পাশের বাহারছড়া ইউনিয়নে অপহরণ করছে।
কক্সবাজারের দুটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পেত ১০-১৪টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। প্রায় দেড় বছর আগে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে তারা পাহাড়ে অবস্থান নেয়। অর্থ জোগাতে তারা স্থানীয় লোকজনের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে নেমেছে। তবে এর নেতৃত্বে আছে স্থানীয় লোকজনই।
১২ জানুয়ারি নিখোঁজের পর ২১ জানুয়ারি টেকনাফে মোহাম্মদ নামে এক রাজমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়িও লেচুয়াপ্রাং গ্রামে। তাঁর বাবা বাদশা মিয়া জানান, দুই হাজার ইয়াবার জন্য তাঁর ছেলেকে খুন করেছে একটি চক্র। কয়েকজনকে চিহ্নিত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানায় বাহাড়ছড়া তদন্ত কেন্দ্র।
এদিকে ২৯ জানুয়ারি দুপুরে বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকায় কাঠ আনতে গিয়ে অপহৃত হন দক্ষিণ শিলখালী চৌকিদারপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে রহমত উল্লাহ (২৫) ও আলী আকবরের ছেলে আব্দুল হাফিজ (২০)। খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ স্থানীয় ইউপি সদস্য, কমিউনিটি পুলিশ, চৌকিদার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুই ঘণ্টা পর তাঁদের উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারীরা গহিন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, অপহরণের বেশির ভাগ ঘটনাই লেনদেনের কারণে হচ্ছে। হয় মাদক, নয়তো চোরাচালান; দেনা-পাওনার ঘটনায় আটকে রেখে টাকা আদায়ের কৌশল বের করেছে স্থানীয় লোকজন। কম টাকায় কাজে লাগানো যায় বলে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
জেলার শুধু একটি অংশে অপহরণের ঘটনা কেন–এমন প্রশ্নে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহজে লুকানো যায় বলে সন্ত্রাসীরা পাহাড় বেছে নিয়েছে। ড্রোন দিয়েও সেখানে অনুসন্ধান করেছি। কিন্তু অবস্থান শনাক্ত করা দুরূহ। কয়েকটি গ্রুপের দলনেতার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে পাহাড়ে স্থানীয় মানুষের সহায়তা এবং সচেতনতা ছাড়া পুলিশের একার পক্ষে সফল হওয়া কষ্টকর।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। স্থানীয়দের নিয়ে বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অপহরণ রোধে কাজ করছি। সবাই যদি বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন, তবে সন্ত্রাসীদের সহজেই আইনের আওতায় আনা যাবে।’

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ধরে গেলে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্ট, যেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। বাঁয়ে ঢুকলেই বাহারছড়া ইউনিয়ন, সেখানেই জাহাজপুরা পাহাড়। ওই পাহাড় পেরিয়ে পূর্ব দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং পাহাড়। এ দুই পাহাড়ের মাঝে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার গহিন এলাকা।
গত চার মাসে ওই এলাকায় অপহরণ হয়েছে ২১ জন। এর বাইরে টেকনাফে দুটি ঘটনায় অপহৃত হয়েছে ১৭ রোহিঙ্গা। এই ৩৮ জনের মধ্যে ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৬ জন ছাড়া পেয়েছেন মুক্তিপণ দিয়ে। টাকা না পাওয়ায় খুন হয়েছেন একজন। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি স্বীকার করে না পুলিশ।
ধারাবাহিক অপহরণের ঘটনায় ওই পাহাড়ি এলাকা এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্ক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, কয়েকটি গ্রুপ অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সশস্ত্র এসব দলে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি রোহিঙ্গারাও রয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটছে টাকা আদায়ের জন্য। বেশির ভাগ ঘটনাতেই মামলা হয়নি। 
গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অপহৃত হন আটজন। তাঁদের বাড়ি জাহাজপুরা গ্রামে। ২৬ জানুয়ারি শিলখালী বনসংলগ্ন ওই গ্রামে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক গেলে তাঁদের ছয়জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের বাড়ি আধা কিলোমিটারের মধ্যে। জড়ো হন উৎসুক অনেকে।
অপহৃত ব্যক্তিরা জানান, একজন কলেজছাত্রসহ তাঁরা আটজন পাহাড়ের পাদদেশে খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহৃত হন। তিন দিন পর ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিলে মুক্তি পান তাঁরা। এই আটজন হলেন রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আফসার, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রেদোয়ান, রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল ও করিম উল্লাহ এবং রুস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নুরুল আফসার বলেন, সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয় তাঁর পরিবার। সলিমউল্লাহ ১ লাখ ৯০ হাজার, মোহাম্মদউল্লাহ ৮০, নুরুল হক, রেদোয়ান ও মোস্তফা কামাল ৫০ হাজার করে এবং নুর মোহাম্মদ ২০ হাজার টাকায় ছাড়া পান। করিম উল্লাহর কাছে মোবাইল ফোন না থাকায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় মুক্তিপণ আদায় করতে পারেনি অপহরণকারীরা।
অপহৃত ব্যক্তিরা জানান, ভারী অস্ত্রধারী অপহরণকারীদের দলটিতে ২২ জন ছিল। তাদের তিনজন রোহিঙ্গা। তারা কালো ফুলহাতা টি-শার্ট, হ্যাট পরত। মুখে ছিল মাস্ক। সরদারকে মামা ডাকত। একবেলা খাবার দিত। টাকার জন্য সকাল-বিকেল দুই বেলা পেটানো হতো। প্রতিদিন এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে নিয়ে যেত। চারজনের পায়ে শিকল বেঁধে তালা মেরে ফেলে রাখা হতো। অপহরণ নিয়ে কোথায় কী সংবাদ এল, কী লাইভ হচ্ছে—পাহাড়ে বসেই দেখত অপহরণকারীরা। অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ কড়া বক্তব্য দিলে তাঁকে বেশি পেটানো হতো।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁরা মুক্তি পাওয়ার আগেই পুলিশের একটি দল পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছিল। তবে যে উঁচু জায়গায় তাঁদের রাখা হয়েছিল, পুলিশ সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। যে রাতে তাঁরা ফিরে আসেন, পরের দিন সকালে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাঁদের নিয়ে অপহরণের স্থানে গিয়েছিল।
তিনজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, মুক্তিপণ দিয়ে নয়, পুলিশ উদ্ধার করেছে না বলায় পুলিশ তাঁদের মারধর করে। তবে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান দাবি করেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
৯ জানুয়ারি হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং গ্রাম থেকে অপহৃত চারজনের একজন ফজলুল করিমের ছেলে আবদুল হাকিম। তিনি জানান, চোখ বেঁধে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথে দেড়-দুই ঘণ্টা হাঁটিয়ে তাঁকে নেওয়া হয় গহিনে। পরে হাত-পা বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন। মুক্তিপণ দিয়ে পরদিন রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। সশস্ত্র ওই দলটিতে রোহিঙ্গাসহ ৩০ জন ছিল।
একই সময়ে অপহরণের শিকার আবদুর রহমানও জানান, পুলিশের তৎপরতা বাড়লে এবং গণমাধ্যমে বেশি সংবাদ প্রকাশ হলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ত। খাবারের ব্যবস্থা করার ধরন দেখে মনে হয়েছে, অপহরণকারীদের পরিচিতরা ওই সব পাহাড়ের আশপাশের।
১৩ জানুয়ারি কাজ দেওয়ার কথা বলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুলের ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ছয় রোহিঙ্গাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিম্মি করা হয়। পরে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায় তারা। এ ঘটনায় চাকমারকুলের বাসিন্দা মো. বিল্লাল নামে এক অপহরণকারীকে আটকের তথ্য দিয়েছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম।
একের পর এক অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে ভুগছেন বলে জানান হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, দুপাশ থেকে একসঙ্গে সাঁড়াশি অভিযান চালালে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব। গহিন পাহাড়ে পুলিশ ভয়ে যেতে চায় না। অপহরণের ঘটনার সময় ছাড়া ওই সব এলাকায় পুলিশের নজরদারিও নেই। স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা মিলে শক্তিশালী অপহরণ চক্র তৈরি করেছে। কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাহাড়ের পূর্ব পাশের হ্নীলা, পশ্চিম পাশের বাহারছড়া ইউনিয়নে অপহরণ করছে।
কক্সবাজারের দুটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পেত ১০-১৪টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। প্রায় দেড় বছর আগে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে তারা পাহাড়ে অবস্থান নেয়। অর্থ জোগাতে তারা স্থানীয় লোকজনের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে নেমেছে। তবে এর নেতৃত্বে আছে স্থানীয় লোকজনই।
১২ জানুয়ারি নিখোঁজের পর ২১ জানুয়ারি টেকনাফে মোহাম্মদ নামে এক রাজমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়িও লেচুয়াপ্রাং গ্রামে। তাঁর বাবা বাদশা মিয়া জানান, দুই হাজার ইয়াবার জন্য তাঁর ছেলেকে খুন করেছে একটি চক্র। কয়েকজনকে চিহ্নিত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানায় বাহাড়ছড়া তদন্ত কেন্দ্র।
এদিকে ২৯ জানুয়ারি দুপুরে বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকায় কাঠ আনতে গিয়ে অপহৃত হন দক্ষিণ শিলখালী চৌকিদারপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে রহমত উল্লাহ (২৫) ও আলী আকবরের ছেলে আব্দুল হাফিজ (২০)। খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ স্থানীয় ইউপি সদস্য, কমিউনিটি পুলিশ, চৌকিদার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুই ঘণ্টা পর তাঁদের উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারীরা গহিন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, অপহরণের বেশির ভাগ ঘটনাই লেনদেনের কারণে হচ্ছে। হয় মাদক, নয়তো চোরাচালান; দেনা-পাওনার ঘটনায় আটকে রেখে টাকা আদায়ের কৌশল বের করেছে স্থানীয় লোকজন। কম টাকায় কাজে লাগানো যায় বলে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
জেলার শুধু একটি অংশে অপহরণের ঘটনা কেন–এমন প্রশ্নে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহজে লুকানো যায় বলে সন্ত্রাসীরা পাহাড় বেছে নিয়েছে। ড্রোন দিয়েও সেখানে অনুসন্ধান করেছি। কিন্তু অবস্থান শনাক্ত করা দুরূহ। কয়েকটি গ্রুপের দলনেতার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে পাহাড়ে স্থানীয় মানুষের সহায়তা এবং সচেতনতা ছাড়া পুলিশের একার পক্ষে সফল হওয়া কষ্টকর।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। স্থানীয়দের নিয়ে বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অপহরণ রোধে কাজ করছি। সবাই যদি বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন, তবে সন্ত্রাসীদের সহজেই আইনের আওতায় আনা যাবে।’
রাশেদ নিজাম ও শাহীন শাহ টেকনাফ (কক্সবাজার) থেকে

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ধরে গেলে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্ট, যেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। বাঁয়ে ঢুকলেই বাহারছড়া ইউনিয়ন, সেখানেই জাহাজপুরা পাহাড়। ওই পাহাড় পেরিয়ে পূর্ব দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং পাহাড়। এ দুই পাহাড়ের মাঝে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার গহিন এলাকা।
গত চার মাসে ওই এলাকায় অপহরণ হয়েছে ২১ জন। এর বাইরে টেকনাফে দুটি ঘটনায় অপহৃত হয়েছে ১৭ রোহিঙ্গা। এই ৩৮ জনের মধ্যে ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৬ জন ছাড়া পেয়েছেন মুক্তিপণ দিয়ে। টাকা না পাওয়ায় খুন হয়েছেন একজন। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি স্বীকার করে না পুলিশ।
ধারাবাহিক অপহরণের ঘটনায় ওই পাহাড়ি এলাকা এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্ক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, কয়েকটি গ্রুপ অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সশস্ত্র এসব দলে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি রোহিঙ্গারাও রয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটছে টাকা আদায়ের জন্য। বেশির ভাগ ঘটনাতেই মামলা হয়নি। 
গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অপহৃত হন আটজন। তাঁদের বাড়ি জাহাজপুরা গ্রামে। ২৬ জানুয়ারি শিলখালী বনসংলগ্ন ওই গ্রামে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক গেলে তাঁদের ছয়জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের বাড়ি আধা কিলোমিটারের মধ্যে। জড়ো হন উৎসুক অনেকে।
অপহৃত ব্যক্তিরা জানান, একজন কলেজছাত্রসহ তাঁরা আটজন পাহাড়ের পাদদেশে খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহৃত হন। তিন দিন পর ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিলে মুক্তি পান তাঁরা। এই আটজন হলেন রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আফসার, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রেদোয়ান, রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল ও করিম উল্লাহ এবং রুস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নুরুল আফসার বলেন, সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয় তাঁর পরিবার। সলিমউল্লাহ ১ লাখ ৯০ হাজার, মোহাম্মদউল্লাহ ৮০, নুরুল হক, রেদোয়ান ও মোস্তফা কামাল ৫০ হাজার করে এবং নুর মোহাম্মদ ২০ হাজার টাকায় ছাড়া পান। করিম উল্লাহর কাছে মোবাইল ফোন না থাকায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় মুক্তিপণ আদায় করতে পারেনি অপহরণকারীরা।
অপহৃত ব্যক্তিরা জানান, ভারী অস্ত্রধারী অপহরণকারীদের দলটিতে ২২ জন ছিল। তাদের তিনজন রোহিঙ্গা। তারা কালো ফুলহাতা টি-শার্ট, হ্যাট পরত। মুখে ছিল মাস্ক। সরদারকে মামা ডাকত। একবেলা খাবার দিত। টাকার জন্য সকাল-বিকেল দুই বেলা পেটানো হতো। প্রতিদিন এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে নিয়ে যেত। চারজনের পায়ে শিকল বেঁধে তালা মেরে ফেলে রাখা হতো। অপহরণ নিয়ে কোথায় কী সংবাদ এল, কী লাইভ হচ্ছে—পাহাড়ে বসেই দেখত অপহরণকারীরা। অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ কড়া বক্তব্য দিলে তাঁকে বেশি পেটানো হতো।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁরা মুক্তি পাওয়ার আগেই পুলিশের একটি দল পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছিল। তবে যে উঁচু জায়গায় তাঁদের রাখা হয়েছিল, পুলিশ সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। যে রাতে তাঁরা ফিরে আসেন, পরের দিন সকালে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাঁদের নিয়ে অপহরণের স্থানে গিয়েছিল।
তিনজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, মুক্তিপণ দিয়ে নয়, পুলিশ উদ্ধার করেছে না বলায় পুলিশ তাঁদের মারধর করে। তবে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান দাবি করেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
৯ জানুয়ারি হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং গ্রাম থেকে অপহৃত চারজনের একজন ফজলুল করিমের ছেলে আবদুল হাকিম। তিনি জানান, চোখ বেঁধে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথে দেড়-দুই ঘণ্টা হাঁটিয়ে তাঁকে নেওয়া হয় গহিনে। পরে হাত-পা বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন। মুক্তিপণ দিয়ে পরদিন রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। সশস্ত্র ওই দলটিতে রোহিঙ্গাসহ ৩০ জন ছিল।
একই সময়ে অপহরণের শিকার আবদুর রহমানও জানান, পুলিশের তৎপরতা বাড়লে এবং গণমাধ্যমে বেশি সংবাদ প্রকাশ হলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ত। খাবারের ব্যবস্থা করার ধরন দেখে মনে হয়েছে, অপহরণকারীদের পরিচিতরা ওই সব পাহাড়ের আশপাশের।
১৩ জানুয়ারি কাজ দেওয়ার কথা বলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুলের ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ছয় রোহিঙ্গাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিম্মি করা হয়। পরে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায় তারা। এ ঘটনায় চাকমারকুলের বাসিন্দা মো. বিল্লাল নামে এক অপহরণকারীকে আটকের তথ্য দিয়েছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম।
একের পর এক অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে ভুগছেন বলে জানান হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, দুপাশ থেকে একসঙ্গে সাঁড়াশি অভিযান চালালে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব। গহিন পাহাড়ে পুলিশ ভয়ে যেতে চায় না। অপহরণের ঘটনার সময় ছাড়া ওই সব এলাকায় পুলিশের নজরদারিও নেই। স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা মিলে শক্তিশালী অপহরণ চক্র তৈরি করেছে। কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাহাড়ের পূর্ব পাশের হ্নীলা, পশ্চিম পাশের বাহারছড়া ইউনিয়নে অপহরণ করছে।
কক্সবাজারের দুটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পেত ১০-১৪টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। প্রায় দেড় বছর আগে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে তারা পাহাড়ে অবস্থান নেয়। অর্থ জোগাতে তারা স্থানীয় লোকজনের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে নেমেছে। তবে এর নেতৃত্বে আছে স্থানীয় লোকজনই।
১২ জানুয়ারি নিখোঁজের পর ২১ জানুয়ারি টেকনাফে মোহাম্মদ নামে এক রাজমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়িও লেচুয়াপ্রাং গ্রামে। তাঁর বাবা বাদশা মিয়া জানান, দুই হাজার ইয়াবার জন্য তাঁর ছেলেকে খুন করেছে একটি চক্র। কয়েকজনকে চিহ্নিত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানায় বাহাড়ছড়া তদন্ত কেন্দ্র।
এদিকে ২৯ জানুয়ারি দুপুরে বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকায় কাঠ আনতে গিয়ে অপহৃত হন দক্ষিণ শিলখালী চৌকিদারপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে রহমত উল্লাহ (২৫) ও আলী আকবরের ছেলে আব্দুল হাফিজ (২০)। খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ স্থানীয় ইউপি সদস্য, কমিউনিটি পুলিশ, চৌকিদার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুই ঘণ্টা পর তাঁদের উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারীরা গহিন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, অপহরণের বেশির ভাগ ঘটনাই লেনদেনের কারণে হচ্ছে। হয় মাদক, নয়তো চোরাচালান; দেনা-পাওনার ঘটনায় আটকে রেখে টাকা আদায়ের কৌশল বের করেছে স্থানীয় লোকজন। কম টাকায় কাজে লাগানো যায় বলে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
জেলার শুধু একটি অংশে অপহরণের ঘটনা কেন–এমন প্রশ্নে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহজে লুকানো যায় বলে সন্ত্রাসীরা পাহাড় বেছে নিয়েছে। ড্রোন দিয়েও সেখানে অনুসন্ধান করেছি। কিন্তু অবস্থান শনাক্ত করা দুরূহ। কয়েকটি গ্রুপের দলনেতার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে পাহাড়ে স্থানীয় মানুষের সহায়তা এবং সচেতনতা ছাড়া পুলিশের একার পক্ষে সফল হওয়া কষ্টকর।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। স্থানীয়দের নিয়ে বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অপহরণ রোধে কাজ করছি। সবাই যদি বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন, তবে সন্ত্রাসীদের সহজেই আইনের আওতায় আনা যাবে।’

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ধরে গেলে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্ট, যেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। বাঁয়ে ঢুকলেই বাহারছড়া ইউনিয়ন, সেখানেই জাহাজপুরা পাহাড়। ওই পাহাড় পেরিয়ে পূর্ব দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং পাহাড়। এ দুই পাহাড়ের মাঝে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার গহিন এলাকা।
গত চার মাসে ওই এলাকায় অপহরণ হয়েছে ২১ জন। এর বাইরে টেকনাফে দুটি ঘটনায় অপহৃত হয়েছে ১৭ রোহিঙ্গা। এই ৩৮ জনের মধ্যে ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৬ জন ছাড়া পেয়েছেন মুক্তিপণ দিয়ে। টাকা না পাওয়ায় খুন হয়েছেন একজন। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি স্বীকার করে না পুলিশ।
ধারাবাহিক অপহরণের ঘটনায় ওই পাহাড়ি এলাকা এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্ক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, কয়েকটি গ্রুপ অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সশস্ত্র এসব দলে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি রোহিঙ্গারাও রয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটছে টাকা আদায়ের জন্য। বেশির ভাগ ঘটনাতেই মামলা হয়নি। 
গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অপহৃত হন আটজন। তাঁদের বাড়ি জাহাজপুরা গ্রামে। ২৬ জানুয়ারি শিলখালী বনসংলগ্ন ওই গ্রামে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক গেলে তাঁদের ছয়জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের বাড়ি আধা কিলোমিটারের মধ্যে। জড়ো হন উৎসুক অনেকে।
অপহৃত ব্যক্তিরা জানান, একজন কলেজছাত্রসহ তাঁরা আটজন পাহাড়ের পাদদেশে খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহৃত হন। তিন দিন পর ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিলে মুক্তি পান তাঁরা। এই আটজন হলেন রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আফসার, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রেদোয়ান, রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল ও করিম উল্লাহ এবং রুস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নুরুল আফসার বলেন, সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয় তাঁর পরিবার। সলিমউল্লাহ ১ লাখ ৯০ হাজার, মোহাম্মদউল্লাহ ৮০, নুরুল হক, রেদোয়ান ও মোস্তফা কামাল ৫০ হাজার করে এবং নুর মোহাম্মদ ২০ হাজার টাকায় ছাড়া পান। করিম উল্লাহর কাছে মোবাইল ফোন না থাকায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় মুক্তিপণ আদায় করতে পারেনি অপহরণকারীরা।
অপহৃত ব্যক্তিরা জানান, ভারী অস্ত্রধারী অপহরণকারীদের দলটিতে ২২ জন ছিল। তাদের তিনজন রোহিঙ্গা। তারা কালো ফুলহাতা টি-শার্ট, হ্যাট পরত। মুখে ছিল মাস্ক। সরদারকে মামা ডাকত। একবেলা খাবার দিত। টাকার জন্য সকাল-বিকেল দুই বেলা পেটানো হতো। প্রতিদিন এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে নিয়ে যেত। চারজনের পায়ে শিকল বেঁধে তালা মেরে ফেলে রাখা হতো। অপহরণ নিয়ে কোথায় কী সংবাদ এল, কী লাইভ হচ্ছে—পাহাড়ে বসেই দেখত অপহরণকারীরা। অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ কড়া বক্তব্য দিলে তাঁকে বেশি পেটানো হতো।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁরা মুক্তি পাওয়ার আগেই পুলিশের একটি দল পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছিল। তবে যে উঁচু জায়গায় তাঁদের রাখা হয়েছিল, পুলিশ সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। যে রাতে তাঁরা ফিরে আসেন, পরের দিন সকালে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাঁদের নিয়ে অপহরণের স্থানে গিয়েছিল।
তিনজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, মুক্তিপণ দিয়ে নয়, পুলিশ উদ্ধার করেছে না বলায় পুলিশ তাঁদের মারধর করে। তবে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান দাবি করেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
৯ জানুয়ারি হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং গ্রাম থেকে অপহৃত চারজনের একজন ফজলুল করিমের ছেলে আবদুল হাকিম। তিনি জানান, চোখ বেঁধে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথে দেড়-দুই ঘণ্টা হাঁটিয়ে তাঁকে নেওয়া হয় গহিনে। পরে হাত-পা বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন। মুক্তিপণ দিয়ে পরদিন রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। সশস্ত্র ওই দলটিতে রোহিঙ্গাসহ ৩০ জন ছিল।
একই সময়ে অপহরণের শিকার আবদুর রহমানও জানান, পুলিশের তৎপরতা বাড়লে এবং গণমাধ্যমে বেশি সংবাদ প্রকাশ হলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ত। খাবারের ব্যবস্থা করার ধরন দেখে মনে হয়েছে, অপহরণকারীদের পরিচিতরা ওই সব পাহাড়ের আশপাশের।
১৩ জানুয়ারি কাজ দেওয়ার কথা বলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুলের ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ছয় রোহিঙ্গাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিম্মি করা হয়। পরে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায় তারা। এ ঘটনায় চাকমারকুলের বাসিন্দা মো. বিল্লাল নামে এক অপহরণকারীকে আটকের তথ্য দিয়েছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম।
একের পর এক অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে ভুগছেন বলে জানান হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, দুপাশ থেকে একসঙ্গে সাঁড়াশি অভিযান চালালে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব। গহিন পাহাড়ে পুলিশ ভয়ে যেতে চায় না। অপহরণের ঘটনার সময় ছাড়া ওই সব এলাকায় পুলিশের নজরদারিও নেই। স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা মিলে শক্তিশালী অপহরণ চক্র তৈরি করেছে। কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাহাড়ের পূর্ব পাশের হ্নীলা, পশ্চিম পাশের বাহারছড়া ইউনিয়নে অপহরণ করছে।
কক্সবাজারের দুটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পেত ১০-১৪টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। প্রায় দেড় বছর আগে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে তারা পাহাড়ে অবস্থান নেয়। অর্থ জোগাতে তারা স্থানীয় লোকজনের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে নেমেছে। তবে এর নেতৃত্বে আছে স্থানীয় লোকজনই।
১২ জানুয়ারি নিখোঁজের পর ২১ জানুয়ারি টেকনাফে মোহাম্মদ নামে এক রাজমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়িও লেচুয়াপ্রাং গ্রামে। তাঁর বাবা বাদশা মিয়া জানান, দুই হাজার ইয়াবার জন্য তাঁর ছেলেকে খুন করেছে একটি চক্র। কয়েকজনকে চিহ্নিত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানায় বাহাড়ছড়া তদন্ত কেন্দ্র।
এদিকে ২৯ জানুয়ারি দুপুরে বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকায় কাঠ আনতে গিয়ে অপহৃত হন দক্ষিণ শিলখালী চৌকিদারপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে রহমত উল্লাহ (২৫) ও আলী আকবরের ছেলে আব্দুল হাফিজ (২০)। খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ স্থানীয় ইউপি সদস্য, কমিউনিটি পুলিশ, চৌকিদার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুই ঘণ্টা পর তাঁদের উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারীরা গহিন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, অপহরণের বেশির ভাগ ঘটনাই লেনদেনের কারণে হচ্ছে। হয় মাদক, নয়তো চোরাচালান; দেনা-পাওনার ঘটনায় আটকে রেখে টাকা আদায়ের কৌশল বের করেছে স্থানীয় লোকজন। কম টাকায় কাজে লাগানো যায় বলে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
জেলার শুধু একটি অংশে অপহরণের ঘটনা কেন–এমন প্রশ্নে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহজে লুকানো যায় বলে সন্ত্রাসীরা পাহাড় বেছে নিয়েছে। ড্রোন দিয়েও সেখানে অনুসন্ধান করেছি। কিন্তু অবস্থান শনাক্ত করা দুরূহ। কয়েকটি গ্রুপের দলনেতার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে পাহাড়ে স্থানীয় মানুষের সহায়তা এবং সচেতনতা ছাড়া পুলিশের একার পক্ষে সফল হওয়া কষ্টকর।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। স্থানীয়দের নিয়ে বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অপহরণ রোধে কাজ করছি। সবাই যদি বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন, তবে সন্ত্রাসীদের সহজেই আইনের আওতায় আনা যাবে।’

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ধরে গেলে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্ট, যেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। বাঁয়ে ঢুকলেই বাহারছড়া ইউনিয়ন, সেখানেই জাহাজপুরা পাহাড়। ওই পাহাড় পেরিয়ে পূর্ব দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং পাহাড়। এ দুই পাহাড়ের
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ধরে গেলে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্ট, যেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। বাঁয়ে ঢুকলেই বাহারছড়া ইউনিয়ন, সেখানেই জাহাজপুরা পাহাড়। ওই পাহাড় পেরিয়ে পূর্ব দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং পাহাড়। এ দুই পাহাড়ের
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ধরে গেলে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্ট, যেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। বাঁয়ে ঢুকলেই বাহারছড়া ইউনিয়ন, সেখানেই জাহাজপুরা পাহাড়। ওই পাহাড় পেরিয়ে পূর্ব দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং পাহাড়। এ দুই পাহাড়ের
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ধরে গেলে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্ট, যেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। বাঁয়ে ঢুকলেই বাহারছড়া ইউনিয়ন, সেখানেই জাহাজপুরা পাহাড়। ওই পাহাড় পেরিয়ে পূর্ব দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং পাহাড়। এ দুই পাহাড়ের
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৪ দিন আগে