মো. আসাদুজ্জামান, গাজীপুর

উত্তরে গাছপালাবেষ্টিত সবুজ গ্রাম, দক্ষিণে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলধারা। নদী থেকে গ্রামের মাঝের কিছু অংশ ধূসর। মূলত বালু ভরাট করে এই ভূমিকে ধূসর রং দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর মৌজায় স্থানীয়দের কাছ থেকে কেনা ৩২ বিঘা জমিতে সেখানে একটি ওয়্যারহাউস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড। কিন্তু পরিবেশবিদদের আপত্তিটা অন্য জায়গায়; তা হলো, এই ওয়্যারহাউসের মালপত্র পরিবহনে ক্রেন স্থাপন ও জেটি নির্মাণের জন্য নদীর তীরভূমি (ফোরশোর) দখল করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন সেখানে বালু ভরাট করে তোলা হচ্ছে পিলার, চলছে বেসিন তৈরির কাজ।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের এই তীরভূমি ব্যবহার ও বালু ভরাটের অনুমতি দিয়েছে স্বয়ং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। পরিবেশবিদ ও নদী গবেষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিআইডব্লিউটিএ তীরভূমি এভাবে ব্যবহারের অনুমতি কীভাবে দিতে পারে?
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩, পোর্ট আইন, ১৯০৮ অনুযায়ী, কেউ তীরভূমিতে স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা করতে পারবে না এবং ভরাটও করা যাবে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীর পাড় জনগণের সম্পদ। এটি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দখল করতে পারে না। যদি আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড জমি কিনে থাকে, সেই জমির মধ্যে তারা তাদের কাজ করতে পারে, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোনোভাবে নদী বা নদীতীর দখল বা ভরাট করতে পারবে না। এ মুহূর্তে আমাদের যে দাবি, নদীর পাড় দিয়ে যেন সাধারণ জনগণ হাঁটতে পারে, চলতে পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। নদীতীর চিহ্নিত করার আগে এখানে সব কাজ বন্ধ রাখতে হবে। আর বিআইডব্লিউটিএ যদি নদীতীর ভরাটের অনুমতি দিয়ে থাকে, তাহলে তাদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যাতীরে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নিজস্ব ৩২ বিঘা জমিতে বালু ভরাটের পাশাপাশি নদীর তীরভূমিতেও বালু ভরাট করেছে।
তারা ৭৫ ফুট তীরভূমি বালু দিয়ে ভরাট করছে, আরও ৭৫ ফুট তীরভূমি বেসিন তৈরি করার জন্য সরাসরি ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। সেই বালু দিয়ে নদীতীর ও পাশের কৃষিজমি ভরাট করছে। পাশেই গোহালট দিয়ে নদীতে নোঙর করা বড় বড় নৌকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ কাভার্ড ভ্যানে তুলে অন্যত্র নেওয়া হচ্ছে। এ জন্যও পাশের দস্যু নারায়ণপুর-লতিফপুর সড়ক থেকে নদীর জলধারা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও দেখা যায়, তীরভূমির বালু ভরাট করা জায়গায় বড় বড় পিলার করার জন্য বেস ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জোত জমির পরে নদীর সীমানায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে আলাদা করা হয়েছে। তীরভূমির মধ্যে প্রথমে মাটি দিয়ে আয়তাকার বাঁধ দিয়ে পলিথিন বিছিয়ে তাতে নদী থেকে সরাসরি ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে।
আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নদী থেকে বালু উত্তোলন, কৃষিজমি ভরাট করলেও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে নেয়নি পূর্বানুমতি। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও নেয়নি কোনো ছাড়পত্র। এই অবস্থায় সম্প্রতি সেখানে অভিযান চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরই মধ্যে সেখানে অভিযান চালিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আদায় করেছে। আমরা আপাতত এই কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছি। পরে কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড লতিফপুরে শীতলক্ষ্যাতীরে স্থাপনা নির্মাণের জন্য কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মো. মাসুদ হাসান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো স্থাপনা করতে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। কেউ যদি না নিয়ে থাকে, তাহলে কোনো অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদীর তীরভূমি ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সজিব হোসেন বলেন, ‘আমরা এ কাজের জন্য বন বিভাগ ও বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা এখানে তাদের নির্দেশনা ও শর্ত মেনে কাজ করছি। এ জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে ৩২ বিঘা জমি ক্রয় করে বালু ভরাটের মাধ্যমে তার উন্নয়ন করছি।’
প্রকল্প পরিচালকের কথার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লতিফপুর মৌজায় একটি ওয়্যারহাউস করার জন্য শীতলক্ষ্যার তীরভূমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে বিআইডব্লিউটিএ কাছে আবেদন করেছিল আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড। গত আগস্ট মাসে বিআইডব্লিউটিএ কিছু শর্ত ও নির্দেশনা সাপেক্ষে তাদের অনুমতি দেয়।
অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (সম্পত্তি ও আইন) এ কে এম আরিফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। কীভাবে কী অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা সরেজমিনে না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। শিগগির এ বিষয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর) সাইফুল ইসলাম বলেন, নদীতীর দখল করে কীভাবে? কাউকে নদীতীর দখলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নদীতীর কেউ দখল করতে পারবে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নদীতীরে বালু ভরাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের কেউ কেউ। গোসিঙ্গা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের প্রয়াত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে কারিমা আক্তারের দাবি, বালু ভরাটের সময় তাঁর কিছু জমিও বেদখল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘রাতের আঁধারে বালু দিয়ে ভরাট করে আমার জমি দখলে নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। ইতিমধ্যে আমার জায়গায় বালু ভরাট করার পর কংক্রিটের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজ করছে।’
লতিফপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, ‘এক রাতেই আমার বাবার জমিতে বালু ভরাট হয়ে যায়। এরপর শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ঘটনার কয়েক মাস চলে গেলেও কোনো সমাধান হয়নি। নিজের জমিতে আজ যেতে পারছি না মোর্শেদ আর জামশেদের ভয়ে। এ ছাড়া আমি চাকরির কারণে দূরে থাকি। এখন আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে শক্তি, টাকা—কোনোটা দিয়েই পারব না।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার শ্রীপুর প্রতিনিধি]

উত্তরে গাছপালাবেষ্টিত সবুজ গ্রাম, দক্ষিণে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলধারা। নদী থেকে গ্রামের মাঝের কিছু অংশ ধূসর। মূলত বালু ভরাট করে এই ভূমিকে ধূসর রং দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর মৌজায় স্থানীয়দের কাছ থেকে কেনা ৩২ বিঘা জমিতে সেখানে একটি ওয়্যারহাউস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড। কিন্তু পরিবেশবিদদের আপত্তিটা অন্য জায়গায়; তা হলো, এই ওয়্যারহাউসের মালপত্র পরিবহনে ক্রেন স্থাপন ও জেটি নির্মাণের জন্য নদীর তীরভূমি (ফোরশোর) দখল করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন সেখানে বালু ভরাট করে তোলা হচ্ছে পিলার, চলছে বেসিন তৈরির কাজ।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের এই তীরভূমি ব্যবহার ও বালু ভরাটের অনুমতি দিয়েছে স্বয়ং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। পরিবেশবিদ ও নদী গবেষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিআইডব্লিউটিএ তীরভূমি এভাবে ব্যবহারের অনুমতি কীভাবে দিতে পারে?
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩, পোর্ট আইন, ১৯০৮ অনুযায়ী, কেউ তীরভূমিতে স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা করতে পারবে না এবং ভরাটও করা যাবে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীর পাড় জনগণের সম্পদ। এটি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দখল করতে পারে না। যদি আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড জমি কিনে থাকে, সেই জমির মধ্যে তারা তাদের কাজ করতে পারে, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোনোভাবে নদী বা নদীতীর দখল বা ভরাট করতে পারবে না। এ মুহূর্তে আমাদের যে দাবি, নদীর পাড় দিয়ে যেন সাধারণ জনগণ হাঁটতে পারে, চলতে পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। নদীতীর চিহ্নিত করার আগে এখানে সব কাজ বন্ধ রাখতে হবে। আর বিআইডব্লিউটিএ যদি নদীতীর ভরাটের অনুমতি দিয়ে থাকে, তাহলে তাদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যাতীরে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নিজস্ব ৩২ বিঘা জমিতে বালু ভরাটের পাশাপাশি নদীর তীরভূমিতেও বালু ভরাট করেছে।
তারা ৭৫ ফুট তীরভূমি বালু দিয়ে ভরাট করছে, আরও ৭৫ ফুট তীরভূমি বেসিন তৈরি করার জন্য সরাসরি ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। সেই বালু দিয়ে নদীতীর ও পাশের কৃষিজমি ভরাট করছে। পাশেই গোহালট দিয়ে নদীতে নোঙর করা বড় বড় নৌকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ কাভার্ড ভ্যানে তুলে অন্যত্র নেওয়া হচ্ছে। এ জন্যও পাশের দস্যু নারায়ণপুর-লতিফপুর সড়ক থেকে নদীর জলধারা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও দেখা যায়, তীরভূমির বালু ভরাট করা জায়গায় বড় বড় পিলার করার জন্য বেস ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জোত জমির পরে নদীর সীমানায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে আলাদা করা হয়েছে। তীরভূমির মধ্যে প্রথমে মাটি দিয়ে আয়তাকার বাঁধ দিয়ে পলিথিন বিছিয়ে তাতে নদী থেকে সরাসরি ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে।
আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নদী থেকে বালু উত্তোলন, কৃষিজমি ভরাট করলেও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে নেয়নি পূর্বানুমতি। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও নেয়নি কোনো ছাড়পত্র। এই অবস্থায় সম্প্রতি সেখানে অভিযান চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরই মধ্যে সেখানে অভিযান চালিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আদায় করেছে। আমরা আপাতত এই কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছি। পরে কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড লতিফপুরে শীতলক্ষ্যাতীরে স্থাপনা নির্মাণের জন্য কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মো. মাসুদ হাসান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো স্থাপনা করতে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। কেউ যদি না নিয়ে থাকে, তাহলে কোনো অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদীর তীরভূমি ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সজিব হোসেন বলেন, ‘আমরা এ কাজের জন্য বন বিভাগ ও বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা এখানে তাদের নির্দেশনা ও শর্ত মেনে কাজ করছি। এ জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে ৩২ বিঘা জমি ক্রয় করে বালু ভরাটের মাধ্যমে তার উন্নয়ন করছি।’
প্রকল্প পরিচালকের কথার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লতিফপুর মৌজায় একটি ওয়্যারহাউস করার জন্য শীতলক্ষ্যার তীরভূমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে বিআইডব্লিউটিএ কাছে আবেদন করেছিল আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড। গত আগস্ট মাসে বিআইডব্লিউটিএ কিছু শর্ত ও নির্দেশনা সাপেক্ষে তাদের অনুমতি দেয়।
অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (সম্পত্তি ও আইন) এ কে এম আরিফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। কীভাবে কী অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা সরেজমিনে না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। শিগগির এ বিষয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর) সাইফুল ইসলাম বলেন, নদীতীর দখল করে কীভাবে? কাউকে নদীতীর দখলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নদীতীর কেউ দখল করতে পারবে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নদীতীরে বালু ভরাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের কেউ কেউ। গোসিঙ্গা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের প্রয়াত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে কারিমা আক্তারের দাবি, বালু ভরাটের সময় তাঁর কিছু জমিও বেদখল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘রাতের আঁধারে বালু দিয়ে ভরাট করে আমার জমি দখলে নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। ইতিমধ্যে আমার জায়গায় বালু ভরাট করার পর কংক্রিটের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজ করছে।’
লতিফপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, ‘এক রাতেই আমার বাবার জমিতে বালু ভরাট হয়ে যায়। এরপর শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ঘটনার কয়েক মাস চলে গেলেও কোনো সমাধান হয়নি। নিজের জমিতে আজ যেতে পারছি না মোর্শেদ আর জামশেদের ভয়ে। এ ছাড়া আমি চাকরির কারণে দূরে থাকি। এখন আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে শক্তি, টাকা—কোনোটা দিয়েই পারব না।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার শ্রীপুর প্রতিনিধি]
মো. আসাদুজ্জামান, গাজীপুর

উত্তরে গাছপালাবেষ্টিত সবুজ গ্রাম, দক্ষিণে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলধারা। নদী থেকে গ্রামের মাঝের কিছু অংশ ধূসর। মূলত বালু ভরাট করে এই ভূমিকে ধূসর রং দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর মৌজায় স্থানীয়দের কাছ থেকে কেনা ৩২ বিঘা জমিতে সেখানে একটি ওয়্যারহাউস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড। কিন্তু পরিবেশবিদদের আপত্তিটা অন্য জায়গায়; তা হলো, এই ওয়্যারহাউসের মালপত্র পরিবহনে ক্রেন স্থাপন ও জেটি নির্মাণের জন্য নদীর তীরভূমি (ফোরশোর) দখল করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন সেখানে বালু ভরাট করে তোলা হচ্ছে পিলার, চলছে বেসিন তৈরির কাজ।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের এই তীরভূমি ব্যবহার ও বালু ভরাটের অনুমতি দিয়েছে স্বয়ং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। পরিবেশবিদ ও নদী গবেষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিআইডব্লিউটিএ তীরভূমি এভাবে ব্যবহারের অনুমতি কীভাবে দিতে পারে?
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩, পোর্ট আইন, ১৯০৮ অনুযায়ী, কেউ তীরভূমিতে স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা করতে পারবে না এবং ভরাটও করা যাবে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীর পাড় জনগণের সম্পদ। এটি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দখল করতে পারে না। যদি আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড জমি কিনে থাকে, সেই জমির মধ্যে তারা তাদের কাজ করতে পারে, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোনোভাবে নদী বা নদীতীর দখল বা ভরাট করতে পারবে না। এ মুহূর্তে আমাদের যে দাবি, নদীর পাড় দিয়ে যেন সাধারণ জনগণ হাঁটতে পারে, চলতে পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। নদীতীর চিহ্নিত করার আগে এখানে সব কাজ বন্ধ রাখতে হবে। আর বিআইডব্লিউটিএ যদি নদীতীর ভরাটের অনুমতি দিয়ে থাকে, তাহলে তাদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যাতীরে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নিজস্ব ৩২ বিঘা জমিতে বালু ভরাটের পাশাপাশি নদীর তীরভূমিতেও বালু ভরাট করেছে।
তারা ৭৫ ফুট তীরভূমি বালু দিয়ে ভরাট করছে, আরও ৭৫ ফুট তীরভূমি বেসিন তৈরি করার জন্য সরাসরি ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। সেই বালু দিয়ে নদীতীর ও পাশের কৃষিজমি ভরাট করছে। পাশেই গোহালট দিয়ে নদীতে নোঙর করা বড় বড় নৌকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ কাভার্ড ভ্যানে তুলে অন্যত্র নেওয়া হচ্ছে। এ জন্যও পাশের দস্যু নারায়ণপুর-লতিফপুর সড়ক থেকে নদীর জলধারা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও দেখা যায়, তীরভূমির বালু ভরাট করা জায়গায় বড় বড় পিলার করার জন্য বেস ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জোত জমির পরে নদীর সীমানায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে আলাদা করা হয়েছে। তীরভূমির মধ্যে প্রথমে মাটি দিয়ে আয়তাকার বাঁধ দিয়ে পলিথিন বিছিয়ে তাতে নদী থেকে সরাসরি ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে।
আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নদী থেকে বালু উত্তোলন, কৃষিজমি ভরাট করলেও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে নেয়নি পূর্বানুমতি। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও নেয়নি কোনো ছাড়পত্র। এই অবস্থায় সম্প্রতি সেখানে অভিযান চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরই মধ্যে সেখানে অভিযান চালিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আদায় করেছে। আমরা আপাতত এই কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছি। পরে কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড লতিফপুরে শীতলক্ষ্যাতীরে স্থাপনা নির্মাণের জন্য কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মো. মাসুদ হাসান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো স্থাপনা করতে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। কেউ যদি না নিয়ে থাকে, তাহলে কোনো অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদীর তীরভূমি ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সজিব হোসেন বলেন, ‘আমরা এ কাজের জন্য বন বিভাগ ও বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা এখানে তাদের নির্দেশনা ও শর্ত মেনে কাজ করছি। এ জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে ৩২ বিঘা জমি ক্রয় করে বালু ভরাটের মাধ্যমে তার উন্নয়ন করছি।’
প্রকল্প পরিচালকের কথার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লতিফপুর মৌজায় একটি ওয়্যারহাউস করার জন্য শীতলক্ষ্যার তীরভূমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে বিআইডব্লিউটিএ কাছে আবেদন করেছিল আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড। গত আগস্ট মাসে বিআইডব্লিউটিএ কিছু শর্ত ও নির্দেশনা সাপেক্ষে তাদের অনুমতি দেয়।
অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (সম্পত্তি ও আইন) এ কে এম আরিফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। কীভাবে কী অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা সরেজমিনে না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। শিগগির এ বিষয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর) সাইফুল ইসলাম বলেন, নদীতীর দখল করে কীভাবে? কাউকে নদীতীর দখলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নদীতীর কেউ দখল করতে পারবে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নদীতীরে বালু ভরাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের কেউ কেউ। গোসিঙ্গা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের প্রয়াত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে কারিমা আক্তারের দাবি, বালু ভরাটের সময় তাঁর কিছু জমিও বেদখল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘রাতের আঁধারে বালু দিয়ে ভরাট করে আমার জমি দখলে নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। ইতিমধ্যে আমার জায়গায় বালু ভরাট করার পর কংক্রিটের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজ করছে।’
লতিফপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, ‘এক রাতেই আমার বাবার জমিতে বালু ভরাট হয়ে যায়। এরপর শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ঘটনার কয়েক মাস চলে গেলেও কোনো সমাধান হয়নি। নিজের জমিতে আজ যেতে পারছি না মোর্শেদ আর জামশেদের ভয়ে। এ ছাড়া আমি চাকরির কারণে দূরে থাকি। এখন আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে শক্তি, টাকা—কোনোটা দিয়েই পারব না।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার শ্রীপুর প্রতিনিধি]

উত্তরে গাছপালাবেষ্টিত সবুজ গ্রাম, দক্ষিণে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলধারা। নদী থেকে গ্রামের মাঝের কিছু অংশ ধূসর। মূলত বালু ভরাট করে এই ভূমিকে ধূসর রং দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর মৌজায় স্থানীয়দের কাছ থেকে কেনা ৩২ বিঘা জমিতে সেখানে একটি ওয়্যারহাউস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড। কিন্তু পরিবেশবিদদের আপত্তিটা অন্য জায়গায়; তা হলো, এই ওয়্যারহাউসের মালপত্র পরিবহনে ক্রেন স্থাপন ও জেটি নির্মাণের জন্য নদীর তীরভূমি (ফোরশোর) দখল করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন সেখানে বালু ভরাট করে তোলা হচ্ছে পিলার, চলছে বেসিন তৈরির কাজ।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের এই তীরভূমি ব্যবহার ও বালু ভরাটের অনুমতি দিয়েছে স্বয়ং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। পরিবেশবিদ ও নদী গবেষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিআইডব্লিউটিএ তীরভূমি এভাবে ব্যবহারের অনুমতি কীভাবে দিতে পারে?
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩, পোর্ট আইন, ১৯০৮ অনুযায়ী, কেউ তীরভূমিতে স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা করতে পারবে না এবং ভরাটও করা যাবে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীর পাড় জনগণের সম্পদ। এটি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দখল করতে পারে না। যদি আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড জমি কিনে থাকে, সেই জমির মধ্যে তারা তাদের কাজ করতে পারে, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোনোভাবে নদী বা নদীতীর দখল বা ভরাট করতে পারবে না। এ মুহূর্তে আমাদের যে দাবি, নদীর পাড় দিয়ে যেন সাধারণ জনগণ হাঁটতে পারে, চলতে পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। নদীতীর চিহ্নিত করার আগে এখানে সব কাজ বন্ধ রাখতে হবে। আর বিআইডব্লিউটিএ যদি নদীতীর ভরাটের অনুমতি দিয়ে থাকে, তাহলে তাদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যাতীরে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নিজস্ব ৩২ বিঘা জমিতে বালু ভরাটের পাশাপাশি নদীর তীরভূমিতেও বালু ভরাট করেছে।
তারা ৭৫ ফুট তীরভূমি বালু দিয়ে ভরাট করছে, আরও ৭৫ ফুট তীরভূমি বেসিন তৈরি করার জন্য সরাসরি ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। সেই বালু দিয়ে নদীতীর ও পাশের কৃষিজমি ভরাট করছে। পাশেই গোহালট দিয়ে নদীতে নোঙর করা বড় বড় নৌকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ কাভার্ড ভ্যানে তুলে অন্যত্র নেওয়া হচ্ছে। এ জন্যও পাশের দস্যু নারায়ণপুর-লতিফপুর সড়ক থেকে নদীর জলধারা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও দেখা যায়, তীরভূমির বালু ভরাট করা জায়গায় বড় বড় পিলার করার জন্য বেস ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জোত জমির পরে নদীর সীমানায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে আলাদা করা হয়েছে। তীরভূমির মধ্যে প্রথমে মাটি দিয়ে আয়তাকার বাঁধ দিয়ে পলিথিন বিছিয়ে তাতে নদী থেকে সরাসরি ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছে।
আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নদী থেকে বালু উত্তোলন, কৃষিজমি ভরাট করলেও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে নেয়নি পূর্বানুমতি। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও নেয়নি কোনো ছাড়পত্র। এই অবস্থায় সম্প্রতি সেখানে অভিযান চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরই মধ্যে সেখানে অভিযান চালিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আদায় করেছে। আমরা আপাতত এই কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছি। পরে কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড লতিফপুরে শীতলক্ষ্যাতীরে স্থাপনা নির্মাণের জন্য কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মো. মাসুদ হাসান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো স্থাপনা করতে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। কেউ যদি না নিয়ে থাকে, তাহলে কোনো অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদীর তীরভূমি ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সজিব হোসেন বলেন, ‘আমরা এ কাজের জন্য বন বিভাগ ও বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা এখানে তাদের নির্দেশনা ও শর্ত মেনে কাজ করছি। এ জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে ৩২ বিঘা জমি ক্রয় করে বালু ভরাটের মাধ্যমে তার উন্নয়ন করছি।’
প্রকল্প পরিচালকের কথার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লতিফপুর মৌজায় একটি ওয়্যারহাউস করার জন্য শীতলক্ষ্যার তীরভূমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে বিআইডব্লিউটিএ কাছে আবেদন করেছিল আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড। গত আগস্ট মাসে বিআইডব্লিউটিএ কিছু শর্ত ও নির্দেশনা সাপেক্ষে তাদের অনুমতি দেয়।
অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (সম্পত্তি ও আইন) এ কে এম আরিফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। কীভাবে কী অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা সরেজমিনে না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। শিগগির এ বিষয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর) সাইফুল ইসলাম বলেন, নদীতীর দখল করে কীভাবে? কাউকে নদীতীর দখলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নদীতীর কেউ দখল করতে পারবে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নদীতীরে বালু ভরাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের কেউ কেউ। গোসিঙ্গা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের প্রয়াত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে কারিমা আক্তারের দাবি, বালু ভরাটের সময় তাঁর কিছু জমিও বেদখল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘রাতের আঁধারে বালু দিয়ে ভরাট করে আমার জমি দখলে নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। ইতিমধ্যে আমার জায়গায় বালু ভরাট করার পর কংক্রিটের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজ করছে।’
লতিফপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, ‘এক রাতেই আমার বাবার জমিতে বালু ভরাট হয়ে যায়। এরপর শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ঘটনার কয়েক মাস চলে গেলেও কোনো সমাধান হয়নি। নিজের জমিতে আজ যেতে পারছি না মোর্শেদ আর জামশেদের ভয়ে। এ ছাড়া আমি চাকরির কারণে দূরে থাকি। এখন আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে শক্তি, টাকা—কোনোটা দিয়েই পারব না।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার শ্রীপুর প্রতিনিধি]

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

উত্তরে গাছপালাবেষ্টিত সবুজ গ্রাম, দক্ষিণে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলধারা। নদী থেকে গ্রামের মাঝের কিছু অংশ ধূসর। মূলত বালু ভরাট করে এই ভূমিকে ধূসর রং দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ।
১৩ নভেম্বর ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উত্তরে গাছপালাবেষ্টিত সবুজ গ্রাম, দক্ষিণে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলধারা। নদী থেকে গ্রামের মাঝের কিছু অংশ ধূসর। মূলত বালু ভরাট করে এই ভূমিকে ধূসর রং দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ।
১৩ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

উত্তরে গাছপালাবেষ্টিত সবুজ গ্রাম, দক্ষিণে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলধারা। নদী থেকে গ্রামের মাঝের কিছু অংশ ধূসর। মূলত বালু ভরাট করে এই ভূমিকে ধূসর রং দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ।
১৩ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

উত্তরে গাছপালাবেষ্টিত সবুজ গ্রাম, দক্ষিণে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলধারা। নদী থেকে গ্রামের মাঝের কিছু অংশ ধূসর। মূলত বালু ভরাট করে এই ভূমিকে ধূসর রং দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বশির গ্রুপ।
১৩ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে