নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের ৬৮ শতাংশ নারী সাইবার জগতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া এই নারীদের বেশির ভাগই তরুণী। ১৮-২৪ বছর বয়সী এসব তরুণীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ঘটছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভুক্তভোগী তরুণীরা বলছেন, এটা এমন একটি ফাঁদ, এখানে হয়রানির শিকার হলে বোঝা যায়, জীবনের ওপর কী ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। আর পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সচেতন না হয়ে সাইবার জগতে বিচরণ করা উচিত নয় কারও।
সাইবার জগতে নারীদের হয়রানি প্রতিরোধে গত বছর ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ নামের একটি সেবা চালু করে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৪১ জন ভুক্তভোগী নারী সাইবার জগতে হয়রানিসংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন এ সেবায়। তাঁদের মধ্যে সেবা পেয়েছেন ৮ হাজার ২২১ জন। কিন্তু অভিযোগকারীদের বেশির ভাগই মামলা বা জিডি করতে চান না। শুধু হয়রানি করা ফেক আইডি কিংবা কনটেন্ট ডিলিটের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পারিবারিক বা সামাজিক কারণে ভুক্তভোগী নারীদের ফেক আইডি বা কনটেন্ট ডিলিটের মাধ্যমে আপসে খুশি না হয়ে আইনগতভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে সাইবার অপরাধীরা বেপরোয়া হতে পারবে না। এতে নারীদের সাইবার হয়রানির হারও অনেক কমে আসবে।
এদিকে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিসের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘সাইবার জগৎ আমাদের জীবন সহজতর করেছে। পাশাপাশি এ কথাও সত্য, প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা নানা অপরাধ করছে।’ তিনি বলেন, এখন শুধু শহরের মানুষ নয়, গ্রামের মানুষও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন। এতে অনেকে সাইবার বুলিং বা সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। শুধু ব্যক্তি বা সমাজ নয়, অনেক সময় রাষ্ট্রও এর ভিকটিম হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, নারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এটা দিন দিন বাড়ছে। একজন নারী যখন সাইবার হামলার শিকার হন, তখন ওই নারী ও তাঁর পরিবারে কী বিপর্যয় নেমে আসে, তা শুধু ভুক্তভোগীই জানেন। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত কিংবা পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বল্প পরিচয়ের সূত্র ধরে কারও সঙ্গে বাইরে বের হলে ঝুঁকিও রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সেবা পাওয়া ভুক্তভোগী নারীরা তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিসে সহায়তার জন্য যোগাযোগের পর তাঁরা অনেক দ্রুত সেবা পেয়েছেন এবং তাঁদের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এ সার্ভিস থেকে শুধু আইনি সহায়তাই নয়, তাঁদের মানসিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার পর ১৭ হাজার ২৮০ জন সেবাপ্রত্যাশী যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে হয়রানিসংক্রান্ত ১২ হাজার ৬৪১ অভিযোগের মধ্যে ৮ হাজার ২২১ জনকে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তিগত ও আইনগত পরামর্শ এবং সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ করা ১২ হাজার ৬৪১ জন ভুক্তভোগীর মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ জিডি বা মামলা করেছেন। অর্থাৎ ৮৮ শতাংশ ভুক্তভোগী মামলা করেননি। যে ১২ শতাংশ ভুক্তভোগী মামলা করেছেন, তাঁদের মধ্যে আবার ৮৭ শতাংশ ভুক্তভোগী অভিযুক্তের পরিচয় ও অবস্থান শনাক্তের পর তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সহযোগিতায় আগ্রহী ছিলেন না।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (এলআইসি) মীর আবু তৌহিদ বলেন, প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক অভিযোগ আসছে। সেলে নারী-শিশু ও বয়স্ক ডেস্ক রয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগাযোগ করা ভুক্তভোগীকে সেবা দিয়ে থাকে। সেবা দিতে গিয়ে থানা-পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হয়।
দেশের ৬৮ শতাংশ নারী সাইবার জগতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া এই নারীদের বেশির ভাগই তরুণী। ১৮-২৪ বছর বয়সী এসব তরুণীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ঘটছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভুক্তভোগী তরুণীরা বলছেন, এটা এমন একটি ফাঁদ, এখানে হয়রানির শিকার হলে বোঝা যায়, জীবনের ওপর কী ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। আর পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সচেতন না হয়ে সাইবার জগতে বিচরণ করা উচিত নয় কারও।
সাইবার জগতে নারীদের হয়রানি প্রতিরোধে গত বছর ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ নামের একটি সেবা চালু করে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৪১ জন ভুক্তভোগী নারী সাইবার জগতে হয়রানিসংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন এ সেবায়। তাঁদের মধ্যে সেবা পেয়েছেন ৮ হাজার ২২১ জন। কিন্তু অভিযোগকারীদের বেশির ভাগই মামলা বা জিডি করতে চান না। শুধু হয়রানি করা ফেক আইডি কিংবা কনটেন্ট ডিলিটের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পারিবারিক বা সামাজিক কারণে ভুক্তভোগী নারীদের ফেক আইডি বা কনটেন্ট ডিলিটের মাধ্যমে আপসে খুশি না হয়ে আইনগতভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে সাইবার অপরাধীরা বেপরোয়া হতে পারবে না। এতে নারীদের সাইবার হয়রানির হারও অনেক কমে আসবে।
এদিকে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিসের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘সাইবার জগৎ আমাদের জীবন সহজতর করেছে। পাশাপাশি এ কথাও সত্য, প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা নানা অপরাধ করছে।’ তিনি বলেন, এখন শুধু শহরের মানুষ নয়, গ্রামের মানুষও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন। এতে অনেকে সাইবার বুলিং বা সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। শুধু ব্যক্তি বা সমাজ নয়, অনেক সময় রাষ্ট্রও এর ভিকটিম হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, নারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এটা দিন দিন বাড়ছে। একজন নারী যখন সাইবার হামলার শিকার হন, তখন ওই নারী ও তাঁর পরিবারে কী বিপর্যয় নেমে আসে, তা শুধু ভুক্তভোগীই জানেন। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত কিংবা পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বল্প পরিচয়ের সূত্র ধরে কারও সঙ্গে বাইরে বের হলে ঝুঁকিও রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সেবা পাওয়া ভুক্তভোগী নারীরা তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিসে সহায়তার জন্য যোগাযোগের পর তাঁরা অনেক দ্রুত সেবা পেয়েছেন এবং তাঁদের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এ সার্ভিস থেকে শুধু আইনি সহায়তাই নয়, তাঁদের মানসিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার পর ১৭ হাজার ২৮০ জন সেবাপ্রত্যাশী যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে হয়রানিসংক্রান্ত ১২ হাজার ৬৪১ অভিযোগের মধ্যে ৮ হাজার ২২১ জনকে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তিগত ও আইনগত পরামর্শ এবং সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ করা ১২ হাজার ৬৪১ জন ভুক্তভোগীর মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ জিডি বা মামলা করেছেন। অর্থাৎ ৮৮ শতাংশ ভুক্তভোগী মামলা করেননি। যে ১২ শতাংশ ভুক্তভোগী মামলা করেছেন, তাঁদের মধ্যে আবার ৮৭ শতাংশ ভুক্তভোগী অভিযুক্তের পরিচয় ও অবস্থান শনাক্তের পর তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সহযোগিতায় আগ্রহী ছিলেন না।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (এলআইসি) মীর আবু তৌহিদ বলেন, প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক অভিযোগ আসছে। সেলে নারী-শিশু ও বয়স্ক ডেস্ক রয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগাযোগ করা ভুক্তভোগীকে সেবা দিয়ে থাকে। সেবা দিতে গিয়ে থানা-পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হয়।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
২ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
৩ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
০৯ মার্চ ২০২৫