
ক্রিমিনোলজি বিষয়টি সমকালীন সময়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি বিষয়টি প্রায়োগিক গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—এই তিন ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা তাঁদের পছন্দের তালিকায় রাখছেন বিষয়টিকে। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন।
বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেই দেশে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৩ সাল থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে বিভাগটিতে কঠোর শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
পরবর্তীকালে বিভাগটির প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের আওতাধীন ক্রিমিনোলজি ও ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়। প্রোগ্রামটিতে ব্যাপক সাড়া পড়ায় স্বতন্ত্র হিসেবে ক্রিমিনোলজি বিভাগ চালু হয়। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশন থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিষয়ে চার বছরমেয়াদি অনার্স কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সও চালু রয়েছে।
পঠন-পাঠন
মূলত ক্রিমিনোলজির মৌলিক বিষয়, আইন, সোসিওলজি, ক্রিমিনাল সাইকোলজি, পরিসংখ্যান, জেনোসাইড স্টাডি, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট, পুলিশিং, পলিটিক্যাল ইকোনমি অ্যান্ড ক্রাইম, ফরেনসিক, অপরাধ তদন্ত, মানবাধিকার, পুলিশ লিডারশিপ ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করে ক্রিমিনোলজি অধ্যয়ন করানো হয়। মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট হওয়ায় বায়োলজি, ইকোনমিকস, সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রি, সেরোলজি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পলিটিকস অ্যান্ড গভর্নেন্স, রিসার্চ মেথডোলজিও পড়ানো হয়।
তা ছাড়া ইন্ট্রোডাকশন টু পুলিশিং, ফান্ডামেন্টাল অব ল, ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম, মিডিয়া অ্যান্ড ক্রাইম, ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন, ফরেনসিক সাইকোলজি এবং সাইকিয়াট্রি, ফরেনসিক সেরোলজি, জেন্ডার অ্যান্ড ক্রাইম-ক্রিমিনাল জাস্টিস, টেররিজম অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ, ফরেনসিক অ্যান্ড ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন, এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইম, ক্রাইম প্রিভেনশন, পলিটিকস অ্যান্ড ক্রাইম, সাইবার ক্রাইম ইত্যাদি বিষয়ও রয়েছে পাঠ্যসূচিতে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা
ক্রিমিনোলজি ব্যাচেলরস ডিগ্রি পেয়ে একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যেতে পারেন এবং মাস্টার্স বা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। এ বিষয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার অবারিত সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ইত্যাদি বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, কুইন্সল্যান্ড, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কানাডার টরন্টো, অটোয়া, লন্ডনের ভিক্টরিয়া এবং ভারতের মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন দেশে এ বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
ক্রিমিনোলজি বিষয়ে পড়ে চাকরির ক্ষেত্রে প্রথমে যেটি আসে তা হলো, পুলিশ ক্যাডার। বিসিএস পুলিশ ক্যাডার যাঁদের প্রথম পছন্দ, তাঁরা এই বিভাগে পড়তে পারেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, যেমন এনএসআই, ডিজিএফআই, জেলার, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রসহ নানা ক্ষেত্রে চাকরির অবারিত সুযোগ রয়েছে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু সরকারি যেকোনো চাকরি, গবেষণা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যবস্থাপনা খাতে ক্রাইম অ্যানালাইসিস, ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট এবং গবেষণায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বেসরকারি চাকরি, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওতে কাজ করার থাকছে বিশাল সুবিধা। টিআইবি, ব্র্যাক, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট, সিপিডিসহ বিদেশি গবেষণা সংস্থায় এই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সফলতা অগ্রগণ্য।
উল্লেখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলো পড়ে যে ধরনের কর্মক্ষেত্র রয়েছে তার প্রায় সবগুলোতেই কাজ করতে পারবেন ক্রিমিনোলজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
মো. সাখাওয়াত হোসেন, চেয়ারম্যান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

ক্রিমিনোলজি বিষয়টি সমকালীন সময়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি বিষয়টি প্রায়োগিক গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—এই তিন ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা তাঁদের পছন্দের তালিকায় রাখছেন বিষয়টিকে। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন।
বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেই দেশে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৩ সাল থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে বিভাগটিতে কঠোর শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
পরবর্তীকালে বিভাগটির প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের আওতাধীন ক্রিমিনোলজি ও ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়। প্রোগ্রামটিতে ব্যাপক সাড়া পড়ায় স্বতন্ত্র হিসেবে ক্রিমিনোলজি বিভাগ চালু হয়। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশন থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিষয়ে চার বছরমেয়াদি অনার্স কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সও চালু রয়েছে।
পঠন-পাঠন
মূলত ক্রিমিনোলজির মৌলিক বিষয়, আইন, সোসিওলজি, ক্রিমিনাল সাইকোলজি, পরিসংখ্যান, জেনোসাইড স্টাডি, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট, পুলিশিং, পলিটিক্যাল ইকোনমি অ্যান্ড ক্রাইম, ফরেনসিক, অপরাধ তদন্ত, মানবাধিকার, পুলিশ লিডারশিপ ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করে ক্রিমিনোলজি অধ্যয়ন করানো হয়। মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট হওয়ায় বায়োলজি, ইকোনমিকস, সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রি, সেরোলজি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পলিটিকস অ্যান্ড গভর্নেন্স, রিসার্চ মেথডোলজিও পড়ানো হয়।
তা ছাড়া ইন্ট্রোডাকশন টু পুলিশিং, ফান্ডামেন্টাল অব ল, ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম, মিডিয়া অ্যান্ড ক্রাইম, ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন, ফরেনসিক সাইকোলজি এবং সাইকিয়াট্রি, ফরেনসিক সেরোলজি, জেন্ডার অ্যান্ড ক্রাইম-ক্রিমিনাল জাস্টিস, টেররিজম অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ, ফরেনসিক অ্যান্ড ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন, এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইম, ক্রাইম প্রিভেনশন, পলিটিকস অ্যান্ড ক্রাইম, সাইবার ক্রাইম ইত্যাদি বিষয়ও রয়েছে পাঠ্যসূচিতে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা
ক্রিমিনোলজি ব্যাচেলরস ডিগ্রি পেয়ে একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যেতে পারেন এবং মাস্টার্স বা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। এ বিষয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার অবারিত সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ইত্যাদি বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, কুইন্সল্যান্ড, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কানাডার টরন্টো, অটোয়া, লন্ডনের ভিক্টরিয়া এবং ভারতের মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন দেশে এ বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
ক্রিমিনোলজি বিষয়ে পড়ে চাকরির ক্ষেত্রে প্রথমে যেটি আসে তা হলো, পুলিশ ক্যাডার। বিসিএস পুলিশ ক্যাডার যাঁদের প্রথম পছন্দ, তাঁরা এই বিভাগে পড়তে পারেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, যেমন এনএসআই, ডিজিএফআই, জেলার, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রসহ নানা ক্ষেত্রে চাকরির অবারিত সুযোগ রয়েছে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু সরকারি যেকোনো চাকরি, গবেষণা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যবস্থাপনা খাতে ক্রাইম অ্যানালাইসিস, ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট এবং গবেষণায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বেসরকারি চাকরি, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওতে কাজ করার থাকছে বিশাল সুবিধা। টিআইবি, ব্র্যাক, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট, সিপিডিসহ বিদেশি গবেষণা সংস্থায় এই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সফলতা অগ্রগণ্য।
উল্লেখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলো পড়ে যে ধরনের কর্মক্ষেত্র রয়েছে তার প্রায় সবগুলোতেই কাজ করতে পারবেন ক্রিমিনোলজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
মো. সাখাওয়াত হোসেন, চেয়ারম্যান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

ক্রিমিনোলজি বিষয়টি সমকালীন সময়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি বিষয়টি প্রায়োগিক গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—এই তিন ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা তাঁদের পছন্দের তালিকায় রাখছেন বিষয়টিকে। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন।
বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেই দেশে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৩ সাল থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে বিভাগটিতে কঠোর শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
পরবর্তীকালে বিভাগটির প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের আওতাধীন ক্রিমিনোলজি ও ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়। প্রোগ্রামটিতে ব্যাপক সাড়া পড়ায় স্বতন্ত্র হিসেবে ক্রিমিনোলজি বিভাগ চালু হয়। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশন থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিষয়ে চার বছরমেয়াদি অনার্স কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সও চালু রয়েছে।
পঠন-পাঠন
মূলত ক্রিমিনোলজির মৌলিক বিষয়, আইন, সোসিওলজি, ক্রিমিনাল সাইকোলজি, পরিসংখ্যান, জেনোসাইড স্টাডি, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট, পুলিশিং, পলিটিক্যাল ইকোনমি অ্যান্ড ক্রাইম, ফরেনসিক, অপরাধ তদন্ত, মানবাধিকার, পুলিশ লিডারশিপ ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করে ক্রিমিনোলজি অধ্যয়ন করানো হয়। মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট হওয়ায় বায়োলজি, ইকোনমিকস, সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রি, সেরোলজি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পলিটিকস অ্যান্ড গভর্নেন্স, রিসার্চ মেথডোলজিও পড়ানো হয়।
তা ছাড়া ইন্ট্রোডাকশন টু পুলিশিং, ফান্ডামেন্টাল অব ল, ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম, মিডিয়া অ্যান্ড ক্রাইম, ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন, ফরেনসিক সাইকোলজি এবং সাইকিয়াট্রি, ফরেনসিক সেরোলজি, জেন্ডার অ্যান্ড ক্রাইম-ক্রিমিনাল জাস্টিস, টেররিজম অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ, ফরেনসিক অ্যান্ড ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন, এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইম, ক্রাইম প্রিভেনশন, পলিটিকস অ্যান্ড ক্রাইম, সাইবার ক্রাইম ইত্যাদি বিষয়ও রয়েছে পাঠ্যসূচিতে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা
ক্রিমিনোলজি ব্যাচেলরস ডিগ্রি পেয়ে একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যেতে পারেন এবং মাস্টার্স বা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। এ বিষয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার অবারিত সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ইত্যাদি বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, কুইন্সল্যান্ড, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কানাডার টরন্টো, অটোয়া, লন্ডনের ভিক্টরিয়া এবং ভারতের মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন দেশে এ বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
ক্রিমিনোলজি বিষয়ে পড়ে চাকরির ক্ষেত্রে প্রথমে যেটি আসে তা হলো, পুলিশ ক্যাডার। বিসিএস পুলিশ ক্যাডার যাঁদের প্রথম পছন্দ, তাঁরা এই বিভাগে পড়তে পারেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, যেমন এনএসআই, ডিজিএফআই, জেলার, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রসহ নানা ক্ষেত্রে চাকরির অবারিত সুযোগ রয়েছে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু সরকারি যেকোনো চাকরি, গবেষণা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যবস্থাপনা খাতে ক্রাইম অ্যানালাইসিস, ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট এবং গবেষণায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বেসরকারি চাকরি, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওতে কাজ করার থাকছে বিশাল সুবিধা। টিআইবি, ব্র্যাক, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট, সিপিডিসহ বিদেশি গবেষণা সংস্থায় এই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সফলতা অগ্রগণ্য।
উল্লেখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলো পড়ে যে ধরনের কর্মক্ষেত্র রয়েছে তার প্রায় সবগুলোতেই কাজ করতে পারবেন ক্রিমিনোলজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
মো. সাখাওয়াত হোসেন, চেয়ারম্যান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

ক্রিমিনোলজি বিষয়টি সমকালীন সময়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি বিষয়টি প্রায়োগিক গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—এই তিন ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা তাঁদের পছন্দের তালিকায় রাখছেন বিষয়টিকে। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন।
বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেই দেশে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৩ সাল থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে বিভাগটিতে কঠোর শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
পরবর্তীকালে বিভাগটির প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের আওতাধীন ক্রিমিনোলজি ও ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়। প্রোগ্রামটিতে ব্যাপক সাড়া পড়ায় স্বতন্ত্র হিসেবে ক্রিমিনোলজি বিভাগ চালু হয়। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশন থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিষয়ে চার বছরমেয়াদি অনার্স কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সও চালু রয়েছে।
পঠন-পাঠন
মূলত ক্রিমিনোলজির মৌলিক বিষয়, আইন, সোসিওলজি, ক্রিমিনাল সাইকোলজি, পরিসংখ্যান, জেনোসাইড স্টাডি, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট, পুলিশিং, পলিটিক্যাল ইকোনমি অ্যান্ড ক্রাইম, ফরেনসিক, অপরাধ তদন্ত, মানবাধিকার, পুলিশ লিডারশিপ ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করে ক্রিমিনোলজি অধ্যয়ন করানো হয়। মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট হওয়ায় বায়োলজি, ইকোনমিকস, সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রি, সেরোলজি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পলিটিকস অ্যান্ড গভর্নেন্স, রিসার্চ মেথডোলজিও পড়ানো হয়।
তা ছাড়া ইন্ট্রোডাকশন টু পুলিশিং, ফান্ডামেন্টাল অব ল, ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম, মিডিয়া অ্যান্ড ক্রাইম, ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন, ফরেনসিক সাইকোলজি এবং সাইকিয়াট্রি, ফরেনসিক সেরোলজি, জেন্ডার অ্যান্ড ক্রাইম-ক্রিমিনাল জাস্টিস, টেররিজম অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ, ফরেনসিক অ্যান্ড ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন, এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইম, ক্রাইম প্রিভেনশন, পলিটিকস অ্যান্ড ক্রাইম, সাইবার ক্রাইম ইত্যাদি বিষয়ও রয়েছে পাঠ্যসূচিতে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা
ক্রিমিনোলজি ব্যাচেলরস ডিগ্রি পেয়ে একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যেতে পারেন এবং মাস্টার্স বা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। এ বিষয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার অবারিত সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ইত্যাদি বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, কুইন্সল্যান্ড, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কানাডার টরন্টো, অটোয়া, লন্ডনের ভিক্টরিয়া এবং ভারতের মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন দেশে এ বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
ক্রিমিনোলজি বিষয়ে পড়ে চাকরির ক্ষেত্রে প্রথমে যেটি আসে তা হলো, পুলিশ ক্যাডার। বিসিএস পুলিশ ক্যাডার যাঁদের প্রথম পছন্দ, তাঁরা এই বিভাগে পড়তে পারেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, যেমন এনএসআই, ডিজিএফআই, জেলার, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রসহ নানা ক্ষেত্রে চাকরির অবারিত সুযোগ রয়েছে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু সরকারি যেকোনো চাকরি, গবেষণা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যবস্থাপনা খাতে ক্রাইম অ্যানালাইসিস, ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট এবং গবেষণায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বেসরকারি চাকরি, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওতে কাজ করার থাকছে বিশাল সুবিধা। টিআইবি, ব্র্যাক, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট, সিপিডিসহ বিদেশি গবেষণা সংস্থায় এই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সফলতা অগ্রগণ্য।
উল্লেখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলো পড়ে যে ধরনের কর্মক্ষেত্র রয়েছে তার প্রায় সবগুলোতেই কাজ করতে পারবেন ক্রিমিনোলজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
মো. সাখাওয়াত হোসেন, চেয়ারম্যান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ক্রিমিনোলজি বিষয়টি সমকালীন সময়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি বিষয়টি প্রায়োগিক গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—এই তিন ক্যাটাগরির শিক্
০৭ অক্টোবর ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ক্রিমিনোলজি বিষয়টি সমকালীন সময়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি বিষয়টি প্রায়োগিক গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—এই তিন ক্যাটাগরির শিক্
০৭ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ক্রিমিনোলজি বিষয়টি সমকালীন সময়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি বিষয়টি প্রায়োগিক গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—এই তিন ক্যাটাগরির শিক্
০৭ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ক্রিমিনোলজি বিষয়টি সমকালীন সময়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অপরাধের কার্যকারণ নির্ণয়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি বিষয়টি প্রায়োগিক গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—এই তিন ক্যাটাগরির শিক্
০৭ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে