তাপস মজুমদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক

কয়েক দিন হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আবু বকরের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সময়ের ভাষায় বক্তব্যটি ‘ভাইরাল’ হয়েছে বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী অধ্যাপকদের এক সংবর্ধনা সভায় তিনি এই বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শিক্ষার্থী বলে কিছু নেই, সব হয়ে গেছে পরীক্ষার্থী।’ তিনি আরও বলছেন, ‘যদি শিক্ষাকে পূর্ণ করতে চান, তাহলে তার চিত্তের বিকাশ দরকার। সকাল থেকে বেলা আড়াইটা-তিনটা পর্যন্ত একটানা ক্লাস। কোনো বিরতি নেই।...যত সময় চিত্তের বিকাশ না হচ্ছে, তত সময় হল দখল চলবে; ঠেকাতে পারবেন না; কয়জনকে বহিষ্কার করবেন! সিট দখল চলবে; ডাইনিংয়ে খেয়ে পয়সা দেবে না, এগুলো মানুষ করার দায়িত্ব শিক্ষকের না!... ’
কথাগুলো ভাবাচ্ছে। নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, প্রাসঙ্গিক এবং প্রণিধানযোগ্য কথা। তার মানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব সময় পরীক্ষা লেগেই থাকে! ভাইরাল বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা অনেক মন্তব্য থেকে এ কথার সত্যতা পাওয়া যায়। আর এই ‘পরীক্ষা’ একজন ছাত্রের জন্য রীতিমতো ভয়ানক দুর্ভোগ। তাঁর এই বক্তব্যে মন্তব্য করতে গিয়ে একজন ছাত্র লিখেছেন, তিনি ২০২৩ সালে তিনটি সেমিস্টার ফাইনাল, বারোটি মিড টার্ম ও বারোটি ইনকোর্স পরীক্ষা দিয়েছেন। এর সঙ্গে তাঁর অ্যাসাইনমেন্টও ছিল। কী ভয়াবহ অবস্থা!
উপর্যুপরি পরীক্ষার ফলে ছাত্রদের শারীরিক ক্লান্তি ও মানসিক শ্রান্তি এসে যাওয়া স্বাভাবিক। এর ফলে তাঁদের চিন্তা করার সময় ও সুযোগ থাকছে না। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল চেহারা হতে পারে না। শিক্ষার সঙ্গে আনন্দ না থাকলে সেটা কোনো শিক্ষাই নয়। এমন কথা প্রায়ই শোনা যায় যে কোনো কোনো শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস নেন না। অবশেষে তাঁর জমে যাওয়া একাধিক ক্লাস একটি ক্লাসে শেষ করে দেন। দুই সপ্তাহ বা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষার খাতা নিরীক্ষা করে ডিপার্টমেন্টে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও অনেক শিক্ষকই তা পরিপালন না করে মাসের পর মাস ফেলে রাখেন। ফলে সময়মতো রেজাল্ট দেওয়া সম্ভব হয় না। আমরা এ-ও জানি, একটি সেমিস্টারের রেজাল্ট হয়নি অথচ পরের সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। ফলে এমনও ঘটে, পরীক্ষায় খারাপ ফল করা ছাত্রটি ‘ইমপ্রুভমেন্ট’ দেওয়ার সুযোগ পান না। রেজাল্ট কেন হয় না? কোনো না কোনো শিক্ষকের গাফিলতি; মূল কাজের চেয়ে অন্য কাজে মনোযোগ; প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস, শিক্ষক রাজনীতি, ব্যবসা, পদোন্নতি ইত্যাদি! এস এম আবু বকর এবং তাঁর মতো কিছু শিক্ষকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ছাত্রদের জীবন নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার কোনো অধিকার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের থাকতে পারে না। এটা রীতিমতো অপরাধ।
কিন্তু এগুলো হচ্ছে কেন? শিক্ষকের সচেতনতার অভাব, জবাবদিহির অভাব, প্রশাসনিক দুর্বলতা, নাকি অন্য কিছু? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের আওতায় লিখিত ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যালেন্ডার’র দ্বিতীয় চ্যাপ্টারে শিক্ষকের দায়িত্ব সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা এ রকম—তাঁরা ছাত্রদের শিক্ষা দেবেন, গবেষণা পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করবেন, ছাত্রদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সংযোগ রেখে নির্দেশনা দেবেন ও ‘এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস’ পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করবেন। এখানে দুটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়—শিক্ষকেরা শিক্ষা দেবেন (শুধু ক্লাস নেওয়ার কথা বলা হয়নি) এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ রেখে পথনির্দেশ ও এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম দেখভাল করবেন। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের একাডেমিক কমিটির দায়িত্বের মধ্যেও কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের কথা বলা হয়েছে (এখানে এক্সট্রা না বলে কো-বলা হয়েছে)। প্রফেসর আবু বকর যে চিত্তের বিকাশের কথা বলেছেন, বোধ করি তিনি এই এক্সট্রা-কারিকুলার এবং কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের দিকেই বিশেষভাবে অঙ্গুলিনির্দেশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন ঘুরলে দুটো জিনিস সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। একটা হলো পোস্টার-ব্যানারসহ রাজনৈতিক সক্রিয়তা, আরেকটি হলো বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি। আমি দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা শুরু করেন; কোচিং শুরু করেন। তাহলে তিনি কি আর শিক্ষার্থী থাকেন! তিনি হয়ে যান পরীক্ষার্থী। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পড়ছিলাম। সেখানে দেখলাম, লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করার জন্য ভোররাত থেকে লাইন পড়ে যায়। ৮টায় লাইব্রেরি খুলবে। ছেলেমেয়েদের লাইন ধরে লাইব্রেরিতে যাওয়ার ভিড়। কিন্তু শিক্ষার্থী হিসেবে শিখতে নয়; বিসিএস পরীক্ষার পরীক্ষার্থী হিসেবে প্রস্তুতি নিতে। এই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার চিত্র হয়, তাহলে ছাত্ররা শিখবেন কখন। কীভাবেই বা শিখবেন। আমরা বিশ্বমানব হওয়ার প্রতিযোগিতায় দাঁড়াব কী করে?
এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব কার। প্রফেসর আবু বকর প্রশ্ন রেখেছেন এই দায়িত্ব কি শিক্ষকের নয়? অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, আমরা যারা সাংস্কৃতিক সংগঠন করছি, তারা সংগঠনের জন্য সদস্য পাই না। স্কুলের ছেলেমেয়েদের কোচিং আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের বিসিএস প্রস্তুতি এবং নানা রকম স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণের হিড়িকে সাংস্কৃতিক কর্মীর উৎসের জায়গায় শুষ্ক বিরানভূমি তৈরি হয়েছে। মানবিক ও সাংগঠনিক কাজের কিছুই তাদের শেখা হচ্ছে না। অথচ এগুলো সুশিক্ষার পরিপূরক।
সম্ভবত স্বামী বিবেকানন্দের কথা—শিক্ষা মানে অন্তর্নিহিত গুণাবলির বহিঃপ্রকাশ। কারিগরি শিক্ষায় মানবিক বিষয় পড়ানো হয় না। কোথাও কোথাও মানবিক বিষয় সিলেবাসে থাকলেও তার উদ্দেশ্য এবং চেতনা সম্পর্কে সচেতন না থেকেই শুধু পরীক্ষায় পাসের জন্য পড়ে যাওয়া হয়। তাহলে কীভাবে মানবিক মানুষ সৃষ্টি হবে? কীভাবে আলোকিত মানুষ পাওয়া যাবে? অতএব অন্তর্নিহিত গুণাবলি অপ্রকাশিতই থেকে যাচ্ছে।
যথার্থ শিক্ষা না হলে স্বাধীন চিন্তা করা যায় না। একজন শিক্ষককে জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান হতে হবে। রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে আমরা জানি, রুচির পরিবর্তন না হলে সে শিক্ষা কোনো শিক্ষা নয়। শিক্ষক হিসেবে মনোযোগ থাকতে হবে সত্যে, অবশ্যই তোষামোদে নয়। ফল কী হচ্ছে? আজকাল অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে লক্ষ করছি, শিক্ষক নন্দিত না হয়ে নিন্দিত হচ্ছেন। এতে ব্যক্তিগতভাবে যেমন কষ্ট পাচ্ছি, তেমনি সামগ্রিকভাবে সমাজ নিয়েও আমাদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। ক্ষুদ্র দলাদলি, ভোট পলিটিকস, অর্থলিপ্সা—এসব কখনো চিত্তের বিকাশ ঘটাতে পারে না।
গত শতাব্দীর আশির দশকে দেখেছি, এমনকি নব্বইয়ের দশকেও, বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন অনুষ্ঠানে ভরপুর থাকত। গান, আবৃত্তি, নৃত্য, ছবি আঁকা, নাটক যেমন নিয়মিত হতো, তেমনি তার দর্শকসংখ্যাও ছিল প্রচুর। এখন সেসব আর নেই। নেই বলেই চিত্তের সংকট দেখা দিচ্ছে। আবার সেই চর্চা ফিরিয়ে আনা জরুরি। আরেকটি কথা। ছেলেমেয়েরা শুধু পারফর্ম করে তাদের দায়িত্ব শেষ করুক, এটাও কাম্য নয়। প্রকৃতপক্ষে সংগঠন করুক। দায়িত্ববোধসম্পন্ন মুক্তচিন্তার মানুষ হতে তা ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করছে? আলোচ্য ভিডিওটির লাখ লাখ ভিউয়ার এবং হাজার হাজার শেয়ার দেখে এটা অনুভব করা যাচ্ছে যে মানুষের মধ্যে ভালো কিছু পাওয়ার অধিকারবোধ এখনো যথেষ্ট প্রখর। আপাতত আমরা যে বলি, মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে, সেই ধারণাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা পরিণত করে আমাদের প্রচণ্ডভাবে জাগ্রত হতে নির্দেশ করছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি কাম্য নয়। অথচ যোগ্য-অযোগ্যনির্বিশেষে উপাচার্য হওয়ার জন্য শিক্ষকেরা (অবশ্যই সবাই নন) লাইন দিচ্ছেন রাজনীতির নাম ধরে। দেখা যায়, আদর্শবাদ, জ্ঞানচর্চা, স্বচ্ছতাবোধ, সততা ও প্রজ্ঞার অভাব আছে এমন অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন অথবা হওয়ার দৌড়ে শামিল রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নির্বাচন হচ্ছে অথচ শিক্ষার্থীদের নির্বাচন বন্ধ রয়েছে দীর্ঘকাল।
এ অবস্থায় কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমে প্রাণ ফিরিয়ে আনা যায়, কীভাবে ‘চিত্তের বিকাশ’ ঘটানো যায়, তা গভীরভাবে অত্যন্ত দ্রততার সঙ্গে ভেবে কাজ শুরু করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি এই দায়িত্ব প্রধানত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণধারদের এবং বলা যেতেই পারে এখন পর্যন্ত শিক্ষককুলই কর্ণধার।
তাপস মজুমদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক

কয়েক দিন হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আবু বকরের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সময়ের ভাষায় বক্তব্যটি ‘ভাইরাল’ হয়েছে বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী অধ্যাপকদের এক সংবর্ধনা সভায় তিনি এই বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শিক্ষার্থী বলে কিছু নেই, সব হয়ে গেছে পরীক্ষার্থী।’ তিনি আরও বলছেন, ‘যদি শিক্ষাকে পূর্ণ করতে চান, তাহলে তার চিত্তের বিকাশ দরকার। সকাল থেকে বেলা আড়াইটা-তিনটা পর্যন্ত একটানা ক্লাস। কোনো বিরতি নেই।...যত সময় চিত্তের বিকাশ না হচ্ছে, তত সময় হল দখল চলবে; ঠেকাতে পারবেন না; কয়জনকে বহিষ্কার করবেন! সিট দখল চলবে; ডাইনিংয়ে খেয়ে পয়সা দেবে না, এগুলো মানুষ করার দায়িত্ব শিক্ষকের না!... ’
কথাগুলো ভাবাচ্ছে। নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, প্রাসঙ্গিক এবং প্রণিধানযোগ্য কথা। তার মানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব সময় পরীক্ষা লেগেই থাকে! ভাইরাল বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা অনেক মন্তব্য থেকে এ কথার সত্যতা পাওয়া যায়। আর এই ‘পরীক্ষা’ একজন ছাত্রের জন্য রীতিমতো ভয়ানক দুর্ভোগ। তাঁর এই বক্তব্যে মন্তব্য করতে গিয়ে একজন ছাত্র লিখেছেন, তিনি ২০২৩ সালে তিনটি সেমিস্টার ফাইনাল, বারোটি মিড টার্ম ও বারোটি ইনকোর্স পরীক্ষা দিয়েছেন। এর সঙ্গে তাঁর অ্যাসাইনমেন্টও ছিল। কী ভয়াবহ অবস্থা!
উপর্যুপরি পরীক্ষার ফলে ছাত্রদের শারীরিক ক্লান্তি ও মানসিক শ্রান্তি এসে যাওয়া স্বাভাবিক। এর ফলে তাঁদের চিন্তা করার সময় ও সুযোগ থাকছে না। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল চেহারা হতে পারে না। শিক্ষার সঙ্গে আনন্দ না থাকলে সেটা কোনো শিক্ষাই নয়। এমন কথা প্রায়ই শোনা যায় যে কোনো কোনো শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস নেন না। অবশেষে তাঁর জমে যাওয়া একাধিক ক্লাস একটি ক্লাসে শেষ করে দেন। দুই সপ্তাহ বা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষার খাতা নিরীক্ষা করে ডিপার্টমেন্টে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও অনেক শিক্ষকই তা পরিপালন না করে মাসের পর মাস ফেলে রাখেন। ফলে সময়মতো রেজাল্ট দেওয়া সম্ভব হয় না। আমরা এ-ও জানি, একটি সেমিস্টারের রেজাল্ট হয়নি অথচ পরের সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। ফলে এমনও ঘটে, পরীক্ষায় খারাপ ফল করা ছাত্রটি ‘ইমপ্রুভমেন্ট’ দেওয়ার সুযোগ পান না। রেজাল্ট কেন হয় না? কোনো না কোনো শিক্ষকের গাফিলতি; মূল কাজের চেয়ে অন্য কাজে মনোযোগ; প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস, শিক্ষক রাজনীতি, ব্যবসা, পদোন্নতি ইত্যাদি! এস এম আবু বকর এবং তাঁর মতো কিছু শিক্ষকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ছাত্রদের জীবন নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার কোনো অধিকার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের থাকতে পারে না। এটা রীতিমতো অপরাধ।
কিন্তু এগুলো হচ্ছে কেন? শিক্ষকের সচেতনতার অভাব, জবাবদিহির অভাব, প্রশাসনিক দুর্বলতা, নাকি অন্য কিছু? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের আওতায় লিখিত ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যালেন্ডার’র দ্বিতীয় চ্যাপ্টারে শিক্ষকের দায়িত্ব সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা এ রকম—তাঁরা ছাত্রদের শিক্ষা দেবেন, গবেষণা পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করবেন, ছাত্রদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সংযোগ রেখে নির্দেশনা দেবেন ও ‘এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস’ পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করবেন। এখানে দুটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়—শিক্ষকেরা শিক্ষা দেবেন (শুধু ক্লাস নেওয়ার কথা বলা হয়নি) এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ রেখে পথনির্দেশ ও এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম দেখভাল করবেন। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের একাডেমিক কমিটির দায়িত্বের মধ্যেও কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের কথা বলা হয়েছে (এখানে এক্সট্রা না বলে কো-বলা হয়েছে)। প্রফেসর আবু বকর যে চিত্তের বিকাশের কথা বলেছেন, বোধ করি তিনি এই এক্সট্রা-কারিকুলার এবং কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের দিকেই বিশেষভাবে অঙ্গুলিনির্দেশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন ঘুরলে দুটো জিনিস সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। একটা হলো পোস্টার-ব্যানারসহ রাজনৈতিক সক্রিয়তা, আরেকটি হলো বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি। আমি দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা শুরু করেন; কোচিং শুরু করেন। তাহলে তিনি কি আর শিক্ষার্থী থাকেন! তিনি হয়ে যান পরীক্ষার্থী। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পড়ছিলাম। সেখানে দেখলাম, লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করার জন্য ভোররাত থেকে লাইন পড়ে যায়। ৮টায় লাইব্রেরি খুলবে। ছেলেমেয়েদের লাইন ধরে লাইব্রেরিতে যাওয়ার ভিড়। কিন্তু শিক্ষার্থী হিসেবে শিখতে নয়; বিসিএস পরীক্ষার পরীক্ষার্থী হিসেবে প্রস্তুতি নিতে। এই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার চিত্র হয়, তাহলে ছাত্ররা শিখবেন কখন। কীভাবেই বা শিখবেন। আমরা বিশ্বমানব হওয়ার প্রতিযোগিতায় দাঁড়াব কী করে?
এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব কার। প্রফেসর আবু বকর প্রশ্ন রেখেছেন এই দায়িত্ব কি শিক্ষকের নয়? অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, আমরা যারা সাংস্কৃতিক সংগঠন করছি, তারা সংগঠনের জন্য সদস্য পাই না। স্কুলের ছেলেমেয়েদের কোচিং আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের বিসিএস প্রস্তুতি এবং নানা রকম স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণের হিড়িকে সাংস্কৃতিক কর্মীর উৎসের জায়গায় শুষ্ক বিরানভূমি তৈরি হয়েছে। মানবিক ও সাংগঠনিক কাজের কিছুই তাদের শেখা হচ্ছে না। অথচ এগুলো সুশিক্ষার পরিপূরক।
সম্ভবত স্বামী বিবেকানন্দের কথা—শিক্ষা মানে অন্তর্নিহিত গুণাবলির বহিঃপ্রকাশ। কারিগরি শিক্ষায় মানবিক বিষয় পড়ানো হয় না। কোথাও কোথাও মানবিক বিষয় সিলেবাসে থাকলেও তার উদ্দেশ্য এবং চেতনা সম্পর্কে সচেতন না থেকেই শুধু পরীক্ষায় পাসের জন্য পড়ে যাওয়া হয়। তাহলে কীভাবে মানবিক মানুষ সৃষ্টি হবে? কীভাবে আলোকিত মানুষ পাওয়া যাবে? অতএব অন্তর্নিহিত গুণাবলি অপ্রকাশিতই থেকে যাচ্ছে।
যথার্থ শিক্ষা না হলে স্বাধীন চিন্তা করা যায় না। একজন শিক্ষককে জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান হতে হবে। রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে আমরা জানি, রুচির পরিবর্তন না হলে সে শিক্ষা কোনো শিক্ষা নয়। শিক্ষক হিসেবে মনোযোগ থাকতে হবে সত্যে, অবশ্যই তোষামোদে নয়। ফল কী হচ্ছে? আজকাল অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে লক্ষ করছি, শিক্ষক নন্দিত না হয়ে নিন্দিত হচ্ছেন। এতে ব্যক্তিগতভাবে যেমন কষ্ট পাচ্ছি, তেমনি সামগ্রিকভাবে সমাজ নিয়েও আমাদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। ক্ষুদ্র দলাদলি, ভোট পলিটিকস, অর্থলিপ্সা—এসব কখনো চিত্তের বিকাশ ঘটাতে পারে না।
গত শতাব্দীর আশির দশকে দেখেছি, এমনকি নব্বইয়ের দশকেও, বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন অনুষ্ঠানে ভরপুর থাকত। গান, আবৃত্তি, নৃত্য, ছবি আঁকা, নাটক যেমন নিয়মিত হতো, তেমনি তার দর্শকসংখ্যাও ছিল প্রচুর। এখন সেসব আর নেই। নেই বলেই চিত্তের সংকট দেখা দিচ্ছে। আবার সেই চর্চা ফিরিয়ে আনা জরুরি। আরেকটি কথা। ছেলেমেয়েরা শুধু পারফর্ম করে তাদের দায়িত্ব শেষ করুক, এটাও কাম্য নয়। প্রকৃতপক্ষে সংগঠন করুক। দায়িত্ববোধসম্পন্ন মুক্তচিন্তার মানুষ হতে তা ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করছে? আলোচ্য ভিডিওটির লাখ লাখ ভিউয়ার এবং হাজার হাজার শেয়ার দেখে এটা অনুভব করা যাচ্ছে যে মানুষের মধ্যে ভালো কিছু পাওয়ার অধিকারবোধ এখনো যথেষ্ট প্রখর। আপাতত আমরা যে বলি, মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে, সেই ধারণাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা পরিণত করে আমাদের প্রচণ্ডভাবে জাগ্রত হতে নির্দেশ করছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি কাম্য নয়। অথচ যোগ্য-অযোগ্যনির্বিশেষে উপাচার্য হওয়ার জন্য শিক্ষকেরা (অবশ্যই সবাই নন) লাইন দিচ্ছেন রাজনীতির নাম ধরে। দেখা যায়, আদর্শবাদ, জ্ঞানচর্চা, স্বচ্ছতাবোধ, সততা ও প্রজ্ঞার অভাব আছে এমন অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন অথবা হওয়ার দৌড়ে শামিল রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নির্বাচন হচ্ছে অথচ শিক্ষার্থীদের নির্বাচন বন্ধ রয়েছে দীর্ঘকাল।
এ অবস্থায় কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমে প্রাণ ফিরিয়ে আনা যায়, কীভাবে ‘চিত্তের বিকাশ’ ঘটানো যায়, তা গভীরভাবে অত্যন্ত দ্রততার সঙ্গে ভেবে কাজ শুরু করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি এই দায়িত্ব প্রধানত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণধারদের এবং বলা যেতেই পারে এখন পর্যন্ত শিক্ষককুলই কর্ণধার।
তাপস মজুমদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কয়েক দিন হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আবু বকরের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সময়ের ভাষায় বক্তব্যটি ‘ভাইরাল’ হয়েছে বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী অধ্যাপকদের এক সংবর্ধনা সভায় তিনি এই বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্য
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

কয়েক দিন হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আবু বকরের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সময়ের ভাষায় বক্তব্যটি ‘ভাইরাল’ হয়েছে বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী অধ্যাপকদের এক সংবর্ধনা সভায় তিনি এই বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্য
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কয়েক দিন হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আবু বকরের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সময়ের ভাষায় বক্তব্যটি ‘ভাইরাল’ হয়েছে বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী অধ্যাপকদের এক সংবর্ধনা সভায় তিনি এই বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্য
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

কয়েক দিন হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আবু বকরের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সময়ের ভাষায় বক্তব্যটি ‘ভাইরাল’ হয়েছে বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী অধ্যাপকদের এক সংবর্ধনা সভায় তিনি এই বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্য
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে