পরাগ মাঝি

মূল্যবান ধাতুর খোঁজে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়ান জিম বেইলি। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রোড আইল্যান্ডের একটি ফলের বাগানে তিনি এমন এক পয়সা খুঁজে পান, যার মধ্যে লুকিয়ে ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ডাকাতির রহস্য। সোয়া তিন শ বছর আগে ১৬৯৫ সালে সেই ডাকাতি সংঘটিত হয়েছিল ভারত মহাসাগরে।
ডাকাতির শিকার জাহাজটিতে ছিলেন বেশ কিছু মুসলিম তীর্থযাত্রী, যারা সৌদি আরবের মক্কায় হজ পালন করে ভারতবর্ষে ফিরছিলেন। অসংখ্য হজ যাত্রীকে হত্যা করে জাহাজের সমস্ত সম্পদ লুট করেছিল ডাকাতেরা। যার নেতৃত্বে ওই নির্মম ডাকাতি সংঘটিত হয়, তিনি আর কেউ নন, খুনেচড়া এক ইংরেজ জলদস্যু হেনরি এভরি।
সেই ডাকাতির ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ও বহু বছরের পুরোনো একটি অমীমাংসিত মামলা। নির্মম এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই সময়ই পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড খুনিতে পরিণত হন এভরি। ডাকাতির পর সঙ্গী–সাথিসহ বেমালুম হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
মোস্ট ওয়ান্টেড খুনি
ইতিহাসে আছে—১৬৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ফেন্সি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে গভীর সমুদ্রে ওত পেতেছিলেন ক্যাপ্টেন হেনরি এভরি। আর এ পথেই ভারতবর্ষে ফিরছিল গাঞ্জ–ই–স্বোয়ামি নামের একটি রাজকীয় জাহাজ। জাহাজটির মালিক ছিলেন স্বয়ং মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। সেই আমলে শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসক বলা হতো তাঁকে। হজযাত্রী ছাড়াও ওই জাহাজে ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা আর রুপা। সেই সময়ের হিসাবেই ওই সম্পদের মূল্যমান ছিল ১ কোটি ডলারেরও বেশি! হেনরি এভরির নেতৃত্বে এই জাহাজেই সংঘটিত হয় পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সেরা লাভজনক, একই সঙ্গে জঘন্যতম ডাকাতির ঘটনাটি।
ইতিহাসবিদদের কারও কারও মতে, জলদস্যুরা সেদিন জাহাজে থাকা সব পুরুষকে হত্যা করেছিল এবং নারীদের ধর্ষণ করে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের দিকে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই আমলে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ছিল জলদস্যুদের স্বর্গরাজ্য।
আলোচিত ওই ডাকাতির ঘটনা রাতারাতি দিগ্বিদিক ছড়িয়ে যায়। ইংল্যান্ডের রাজা ছিলেন তখন তৃতীয় উইলিয়াম। ডাকাতির মূল হোতাকে ধরে দিতে তাঁর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে ভারতবর্ষের অধিপতি সম্রাট আওরঙ্গজেব ও ট্রেডিং জায়ান্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাতদের মাথার জন্য বিপুল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেন তৃতীয় উইলিয়াম।
গুগলে যদি ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড ম্যানহান্ট’ (পৃথিবীজুড়ে প্রথম মানুষ অনুসন্ধান) দিয়ে সার্চ দেওয়া হয় তবে সবার আগেই আসবে হেনরি এভরির নাম। বলা যায়, পৃথিবীর সব মানুষ তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
এখন পর্যন্ত ইতিহাসবিদেরা এটাই জানেন যে, বহু পথ ঘুরে ১৬৯৬ সালে হেনরি এভরি আয়ারল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেও তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়েছিল তাঁকে। কোথাও পাওয়া যায়নি দুর্ধর্ষ ওই খুনিকে।
জিম বেইলি দাবি করছেন—তিনি এবং তার সঙ্গীরা যে মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন, তার সূত্র ধরে বিস্তর অনুসন্ধানের পর এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, দুর্ধর্ষ ওই খুনি আয়ারল্যান্ড নয়, বরং আমেরিকার দিকেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। আমেরিকায় সে সময় ব্রিটিশ উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল। আমেরিকার বিস্তীর্ণ ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, রোড আইল্যান্ড ও নিউ হ্যাম্পশায়ার—এই এলাকাগুলোতে ব্রিটিশরা নিউ ইংল্যান্ড নামে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। লুকিয়ে থাকার জন্য এই অঞ্চলটিকেই বেছে নিয়েছিলেন হেনরি এভরি। আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় এই অঞ্চলে লুণ্ঠিত সম্পদ খরচ করেছিলেন এভরি ও তাঁর সঙ্গী জলদস্যুরা।
যেভাবে চলে বেইলির অনুসন্ধান
জানা গেছে, ২০১২ সালে রোড আইল্যান্ডের মিডলটাউনে একটি বেরি ফলের বাগানে জিম বেইলির খোঁড়াখুঁড়িতে অষ্টাদশ শতকে তৈরি একটি জুতার বকলেস ও কয়েকটি গাদাবন্দুক মাটির ওপরে উঠে এসেছিল। তার পর থেকে সেখানে আরও অনুসন্ধান চালানোর জন্য ব্যাকুল ছিলেন বেইলি। দুই বছর পর ২০১৪ সালে সেখানেই মাটির উপরিভাগ থেকে একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে অনুসন্ধান চালালে সংকেত পান তিনি। পরে মাটি খুঁড়তে শুরু করেন। খুঁড়তে খুঁড়তে রুপার তৈরি পুরোনো একটি পয়সা খুঁজে পান। ময়লা ও ক্ষয় হয়ে যাওয়া ওই পয়সাটিকে প্রথমে স্প্যানিশ মুদ্রা ভেবেছিলেন বেইলি। কিন্তু পয়সাটিকে আরও সূক্ষ্মভাবে দেখতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন—এর ওপরে আরবিতে কিছু লেখা আছে!
অনেক পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর জানা যায়—বিদেশি ওই মুদ্রা গলিয়ে পয়সায় রূপ দেওয়া হয়েছিল ১৬৯৩ সালে ইয়েমেনে। কিন্তু এই তথ্য বড় একটি প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়ায় যখন বেইলি জানতে পারেন—এক শতাব্দী আগেও নিউ ইংল্যান্ডের সঙ্গে আরব বিশ্বের বাণিজ্য সম্পর্ক দূরে থাক, অন্য কোনো সম্পর্কও ছিল না।
২০১৪ সালের পর বিভিন্ন সময়ে খোঁড়াখুঁড়িতে সেই একই আমলের আরও অন্তত ১৫টি আরব্য মুদ্রার সন্ধান পাওয়া যায়, যার মধ্যে ১০টি পাওয়া যায় ম্যাসাচুসেটসে, তিনটি রোড আইল্যান্ড, আর দুটি কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে। আরও একটি মুদ্রা পাওয়া যায় নর্থ ক্যারোলাইনায়। নথি ঘেঁটে দেখা যায়, এই নর্থ ক্যারোলাইনার উপকূলে হেনরি এভরির সহযোগী কয়েক জলদস্যু একসময় গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সাল থেকে বিরামহীন গবেষণার পর কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের প্রত্নতত্ত্ববিদ সারাহ স্পোর্টম্যান দাবি করেন, হেনরি এভরির সঙ্গীদের অনেকেই নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী বসবাস শুরু করেছিলেন। আর আমেরিকার মাটিতে পা রেখে ক্রীতদাস ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন এভরি। নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে এই ব্যবসা তখন রমরমা হতে শুরু করেছিল। ক্রীতদাস ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশকে পাকাপোক্ত করতে আমেরিকায় যাওয়ার পথে ‘ফ্রেঞ্চ আইল্যান্ড অব রিইউনিয়ন’ থেকে কিছু কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকেও জাহাজে তুলে নিয়েছিলেন এভরি। আরও একটি কাজ করেছিলেন—যে জাহাজে করে ডাকাতি করেছিলেন, সেই ফেন্সি নামের জাহাজটি ত্যাগ করে সঙ্গী–সাথিসহ সি ফ্লাওয়ার নামে আরেকটি জাহাজে চড়ে বসেছিলেন। এই জাহাজে করেই অন্তত চার ডজন ক্রীতদাস নিয়ে ১৬৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রোড আইল্যান্ডের নিউ পোর্টে গিয়ে হাজির হন এভরি। অষ্টাদশ শতকে এই রোড আইল্যান্ড ক্রীতদাস ব্যবসার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। ৩০০ বছরেরও বেশি সময় পর এভাবেই জট খুলেছে পৃথিবীর প্রথম মোস্ট ওয়ান্টেড খুনির অন্তর্ধান রহস্যের।

মূল্যবান ধাতুর খোঁজে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়ান জিম বেইলি। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রোড আইল্যান্ডের একটি ফলের বাগানে তিনি এমন এক পয়সা খুঁজে পান, যার মধ্যে লুকিয়ে ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ডাকাতির রহস্য। সোয়া তিন শ বছর আগে ১৬৯৫ সালে সেই ডাকাতি সংঘটিত হয়েছিল ভারত মহাসাগরে।
ডাকাতির শিকার জাহাজটিতে ছিলেন বেশ কিছু মুসলিম তীর্থযাত্রী, যারা সৌদি আরবের মক্কায় হজ পালন করে ভারতবর্ষে ফিরছিলেন। অসংখ্য হজ যাত্রীকে হত্যা করে জাহাজের সমস্ত সম্পদ লুট করেছিল ডাকাতেরা। যার নেতৃত্বে ওই নির্মম ডাকাতি সংঘটিত হয়, তিনি আর কেউ নন, খুনেচড়া এক ইংরেজ জলদস্যু হেনরি এভরি।
সেই ডাকাতির ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ও বহু বছরের পুরোনো একটি অমীমাংসিত মামলা। নির্মম এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই সময়ই পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড খুনিতে পরিণত হন এভরি। ডাকাতির পর সঙ্গী–সাথিসহ বেমালুম হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
মোস্ট ওয়ান্টেড খুনি
ইতিহাসে আছে—১৬৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ফেন্সি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে গভীর সমুদ্রে ওত পেতেছিলেন ক্যাপ্টেন হেনরি এভরি। আর এ পথেই ভারতবর্ষে ফিরছিল গাঞ্জ–ই–স্বোয়ামি নামের একটি রাজকীয় জাহাজ। জাহাজটির মালিক ছিলেন স্বয়ং মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। সেই আমলে শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসক বলা হতো তাঁকে। হজযাত্রী ছাড়াও ওই জাহাজে ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা আর রুপা। সেই সময়ের হিসাবেই ওই সম্পদের মূল্যমান ছিল ১ কোটি ডলারেরও বেশি! হেনরি এভরির নেতৃত্বে এই জাহাজেই সংঘটিত হয় পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সেরা লাভজনক, একই সঙ্গে জঘন্যতম ডাকাতির ঘটনাটি।
ইতিহাসবিদদের কারও কারও মতে, জলদস্যুরা সেদিন জাহাজে থাকা সব পুরুষকে হত্যা করেছিল এবং নারীদের ধর্ষণ করে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের দিকে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই আমলে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ছিল জলদস্যুদের স্বর্গরাজ্য।
আলোচিত ওই ডাকাতির ঘটনা রাতারাতি দিগ্বিদিক ছড়িয়ে যায়। ইংল্যান্ডের রাজা ছিলেন তখন তৃতীয় উইলিয়াম। ডাকাতির মূল হোতাকে ধরে দিতে তাঁর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে ভারতবর্ষের অধিপতি সম্রাট আওরঙ্গজেব ও ট্রেডিং জায়ান্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাতদের মাথার জন্য বিপুল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেন তৃতীয় উইলিয়াম।
গুগলে যদি ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড ম্যানহান্ট’ (পৃথিবীজুড়ে প্রথম মানুষ অনুসন্ধান) দিয়ে সার্চ দেওয়া হয় তবে সবার আগেই আসবে হেনরি এভরির নাম। বলা যায়, পৃথিবীর সব মানুষ তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
এখন পর্যন্ত ইতিহাসবিদেরা এটাই জানেন যে, বহু পথ ঘুরে ১৬৯৬ সালে হেনরি এভরি আয়ারল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেও তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়েছিল তাঁকে। কোথাও পাওয়া যায়নি দুর্ধর্ষ ওই খুনিকে।
জিম বেইলি দাবি করছেন—তিনি এবং তার সঙ্গীরা যে মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন, তার সূত্র ধরে বিস্তর অনুসন্ধানের পর এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, দুর্ধর্ষ ওই খুনি আয়ারল্যান্ড নয়, বরং আমেরিকার দিকেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। আমেরিকায় সে সময় ব্রিটিশ উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল। আমেরিকার বিস্তীর্ণ ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, রোড আইল্যান্ড ও নিউ হ্যাম্পশায়ার—এই এলাকাগুলোতে ব্রিটিশরা নিউ ইংল্যান্ড নামে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। লুকিয়ে থাকার জন্য এই অঞ্চলটিকেই বেছে নিয়েছিলেন হেনরি এভরি। আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় এই অঞ্চলে লুণ্ঠিত সম্পদ খরচ করেছিলেন এভরি ও তাঁর সঙ্গী জলদস্যুরা।
যেভাবে চলে বেইলির অনুসন্ধান
জানা গেছে, ২০১২ সালে রোড আইল্যান্ডের মিডলটাউনে একটি বেরি ফলের বাগানে জিম বেইলির খোঁড়াখুঁড়িতে অষ্টাদশ শতকে তৈরি একটি জুতার বকলেস ও কয়েকটি গাদাবন্দুক মাটির ওপরে উঠে এসেছিল। তার পর থেকে সেখানে আরও অনুসন্ধান চালানোর জন্য ব্যাকুল ছিলেন বেইলি। দুই বছর পর ২০১৪ সালে সেখানেই মাটির উপরিভাগ থেকে একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে অনুসন্ধান চালালে সংকেত পান তিনি। পরে মাটি খুঁড়তে শুরু করেন। খুঁড়তে খুঁড়তে রুপার তৈরি পুরোনো একটি পয়সা খুঁজে পান। ময়লা ও ক্ষয় হয়ে যাওয়া ওই পয়সাটিকে প্রথমে স্প্যানিশ মুদ্রা ভেবেছিলেন বেইলি। কিন্তু পয়সাটিকে আরও সূক্ষ্মভাবে দেখতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন—এর ওপরে আরবিতে কিছু লেখা আছে!
অনেক পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর জানা যায়—বিদেশি ওই মুদ্রা গলিয়ে পয়সায় রূপ দেওয়া হয়েছিল ১৬৯৩ সালে ইয়েমেনে। কিন্তু এই তথ্য বড় একটি প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়ায় যখন বেইলি জানতে পারেন—এক শতাব্দী আগেও নিউ ইংল্যান্ডের সঙ্গে আরব বিশ্বের বাণিজ্য সম্পর্ক দূরে থাক, অন্য কোনো সম্পর্কও ছিল না।
২০১৪ সালের পর বিভিন্ন সময়ে খোঁড়াখুঁড়িতে সেই একই আমলের আরও অন্তত ১৫টি আরব্য মুদ্রার সন্ধান পাওয়া যায়, যার মধ্যে ১০টি পাওয়া যায় ম্যাসাচুসেটসে, তিনটি রোড আইল্যান্ড, আর দুটি কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে। আরও একটি মুদ্রা পাওয়া যায় নর্থ ক্যারোলাইনায়। নথি ঘেঁটে দেখা যায়, এই নর্থ ক্যারোলাইনার উপকূলে হেনরি এভরির সহযোগী কয়েক জলদস্যু একসময় গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সাল থেকে বিরামহীন গবেষণার পর কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের প্রত্নতত্ত্ববিদ সারাহ স্পোর্টম্যান দাবি করেন, হেনরি এভরির সঙ্গীদের অনেকেই নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী বসবাস শুরু করেছিলেন। আর আমেরিকার মাটিতে পা রেখে ক্রীতদাস ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন এভরি। নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে এই ব্যবসা তখন রমরমা হতে শুরু করেছিল। ক্রীতদাস ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশকে পাকাপোক্ত করতে আমেরিকায় যাওয়ার পথে ‘ফ্রেঞ্চ আইল্যান্ড অব রিইউনিয়ন’ থেকে কিছু কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকেও জাহাজে তুলে নিয়েছিলেন এভরি। আরও একটি কাজ করেছিলেন—যে জাহাজে করে ডাকাতি করেছিলেন, সেই ফেন্সি নামের জাহাজটি ত্যাগ করে সঙ্গী–সাথিসহ সি ফ্লাওয়ার নামে আরেকটি জাহাজে চড়ে বসেছিলেন। এই জাহাজে করেই অন্তত চার ডজন ক্রীতদাস নিয়ে ১৬৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রোড আইল্যান্ডের নিউ পোর্টে গিয়ে হাজির হন এভরি। অষ্টাদশ শতকে এই রোড আইল্যান্ড ক্রীতদাস ব্যবসার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। ৩০০ বছরেরও বেশি সময় পর এভাবেই জট খুলেছে পৃথিবীর প্রথম মোস্ট ওয়ান্টেড খুনির অন্তর্ধান রহস্যের।
পরাগ মাঝি

মূল্যবান ধাতুর খোঁজে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়ান জিম বেইলি। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রোড আইল্যান্ডের একটি ফলের বাগানে তিনি এমন এক পয়সা খুঁজে পান, যার মধ্যে লুকিয়ে ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ডাকাতির রহস্য। সোয়া তিন শ বছর আগে ১৬৯৫ সালে সেই ডাকাতি সংঘটিত হয়েছিল ভারত মহাসাগরে।
ডাকাতির শিকার জাহাজটিতে ছিলেন বেশ কিছু মুসলিম তীর্থযাত্রী, যারা সৌদি আরবের মক্কায় হজ পালন করে ভারতবর্ষে ফিরছিলেন। অসংখ্য হজ যাত্রীকে হত্যা করে জাহাজের সমস্ত সম্পদ লুট করেছিল ডাকাতেরা। যার নেতৃত্বে ওই নির্মম ডাকাতি সংঘটিত হয়, তিনি আর কেউ নন, খুনেচড়া এক ইংরেজ জলদস্যু হেনরি এভরি।
সেই ডাকাতির ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ও বহু বছরের পুরোনো একটি অমীমাংসিত মামলা। নির্মম এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই সময়ই পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড খুনিতে পরিণত হন এভরি। ডাকাতির পর সঙ্গী–সাথিসহ বেমালুম হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
মোস্ট ওয়ান্টেড খুনি
ইতিহাসে আছে—১৬৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ফেন্সি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে গভীর সমুদ্রে ওত পেতেছিলেন ক্যাপ্টেন হেনরি এভরি। আর এ পথেই ভারতবর্ষে ফিরছিল গাঞ্জ–ই–স্বোয়ামি নামের একটি রাজকীয় জাহাজ। জাহাজটির মালিক ছিলেন স্বয়ং মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। সেই আমলে শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসক বলা হতো তাঁকে। হজযাত্রী ছাড়াও ওই জাহাজে ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা আর রুপা। সেই সময়ের হিসাবেই ওই সম্পদের মূল্যমান ছিল ১ কোটি ডলারেরও বেশি! হেনরি এভরির নেতৃত্বে এই জাহাজেই সংঘটিত হয় পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সেরা লাভজনক, একই সঙ্গে জঘন্যতম ডাকাতির ঘটনাটি।
ইতিহাসবিদদের কারও কারও মতে, জলদস্যুরা সেদিন জাহাজে থাকা সব পুরুষকে হত্যা করেছিল এবং নারীদের ধর্ষণ করে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের দিকে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই আমলে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ছিল জলদস্যুদের স্বর্গরাজ্য।
আলোচিত ওই ডাকাতির ঘটনা রাতারাতি দিগ্বিদিক ছড়িয়ে যায়। ইংল্যান্ডের রাজা ছিলেন তখন তৃতীয় উইলিয়াম। ডাকাতির মূল হোতাকে ধরে দিতে তাঁর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে ভারতবর্ষের অধিপতি সম্রাট আওরঙ্গজেব ও ট্রেডিং জায়ান্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাতদের মাথার জন্য বিপুল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেন তৃতীয় উইলিয়াম।
গুগলে যদি ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড ম্যানহান্ট’ (পৃথিবীজুড়ে প্রথম মানুষ অনুসন্ধান) দিয়ে সার্চ দেওয়া হয় তবে সবার আগেই আসবে হেনরি এভরির নাম। বলা যায়, পৃথিবীর সব মানুষ তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
এখন পর্যন্ত ইতিহাসবিদেরা এটাই জানেন যে, বহু পথ ঘুরে ১৬৯৬ সালে হেনরি এভরি আয়ারল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেও তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়েছিল তাঁকে। কোথাও পাওয়া যায়নি দুর্ধর্ষ ওই খুনিকে।
জিম বেইলি দাবি করছেন—তিনি এবং তার সঙ্গীরা যে মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন, তার সূত্র ধরে বিস্তর অনুসন্ধানের পর এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, দুর্ধর্ষ ওই খুনি আয়ারল্যান্ড নয়, বরং আমেরিকার দিকেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। আমেরিকায় সে সময় ব্রিটিশ উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল। আমেরিকার বিস্তীর্ণ ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, রোড আইল্যান্ড ও নিউ হ্যাম্পশায়ার—এই এলাকাগুলোতে ব্রিটিশরা নিউ ইংল্যান্ড নামে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। লুকিয়ে থাকার জন্য এই অঞ্চলটিকেই বেছে নিয়েছিলেন হেনরি এভরি। আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় এই অঞ্চলে লুণ্ঠিত সম্পদ খরচ করেছিলেন এভরি ও তাঁর সঙ্গী জলদস্যুরা।
যেভাবে চলে বেইলির অনুসন্ধান
জানা গেছে, ২০১২ সালে রোড আইল্যান্ডের মিডলটাউনে একটি বেরি ফলের বাগানে জিম বেইলির খোঁড়াখুঁড়িতে অষ্টাদশ শতকে তৈরি একটি জুতার বকলেস ও কয়েকটি গাদাবন্দুক মাটির ওপরে উঠে এসেছিল। তার পর থেকে সেখানে আরও অনুসন্ধান চালানোর জন্য ব্যাকুল ছিলেন বেইলি। দুই বছর পর ২০১৪ সালে সেখানেই মাটির উপরিভাগ থেকে একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে অনুসন্ধান চালালে সংকেত পান তিনি। পরে মাটি খুঁড়তে শুরু করেন। খুঁড়তে খুঁড়তে রুপার তৈরি পুরোনো একটি পয়সা খুঁজে পান। ময়লা ও ক্ষয় হয়ে যাওয়া ওই পয়সাটিকে প্রথমে স্প্যানিশ মুদ্রা ভেবেছিলেন বেইলি। কিন্তু পয়সাটিকে আরও সূক্ষ্মভাবে দেখতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন—এর ওপরে আরবিতে কিছু লেখা আছে!
অনেক পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর জানা যায়—বিদেশি ওই মুদ্রা গলিয়ে পয়সায় রূপ দেওয়া হয়েছিল ১৬৯৩ সালে ইয়েমেনে। কিন্তু এই তথ্য বড় একটি প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়ায় যখন বেইলি জানতে পারেন—এক শতাব্দী আগেও নিউ ইংল্যান্ডের সঙ্গে আরব বিশ্বের বাণিজ্য সম্পর্ক দূরে থাক, অন্য কোনো সম্পর্কও ছিল না।
২০১৪ সালের পর বিভিন্ন সময়ে খোঁড়াখুঁড়িতে সেই একই আমলের আরও অন্তত ১৫টি আরব্য মুদ্রার সন্ধান পাওয়া যায়, যার মধ্যে ১০টি পাওয়া যায় ম্যাসাচুসেটসে, তিনটি রোড আইল্যান্ড, আর দুটি কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে। আরও একটি মুদ্রা পাওয়া যায় নর্থ ক্যারোলাইনায়। নথি ঘেঁটে দেখা যায়, এই নর্থ ক্যারোলাইনার উপকূলে হেনরি এভরির সহযোগী কয়েক জলদস্যু একসময় গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সাল থেকে বিরামহীন গবেষণার পর কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের প্রত্নতত্ত্ববিদ সারাহ স্পোর্টম্যান দাবি করেন, হেনরি এভরির সঙ্গীদের অনেকেই নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী বসবাস শুরু করেছিলেন। আর আমেরিকার মাটিতে পা রেখে ক্রীতদাস ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন এভরি। নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে এই ব্যবসা তখন রমরমা হতে শুরু করেছিল। ক্রীতদাস ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশকে পাকাপোক্ত করতে আমেরিকায় যাওয়ার পথে ‘ফ্রেঞ্চ আইল্যান্ড অব রিইউনিয়ন’ থেকে কিছু কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকেও জাহাজে তুলে নিয়েছিলেন এভরি। আরও একটি কাজ করেছিলেন—যে জাহাজে করে ডাকাতি করেছিলেন, সেই ফেন্সি নামের জাহাজটি ত্যাগ করে সঙ্গী–সাথিসহ সি ফ্লাওয়ার নামে আরেকটি জাহাজে চড়ে বসেছিলেন। এই জাহাজে করেই অন্তত চার ডজন ক্রীতদাস নিয়ে ১৬৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রোড আইল্যান্ডের নিউ পোর্টে গিয়ে হাজির হন এভরি। অষ্টাদশ শতকে এই রোড আইল্যান্ড ক্রীতদাস ব্যবসার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। ৩০০ বছরেরও বেশি সময় পর এভাবেই জট খুলেছে পৃথিবীর প্রথম মোস্ট ওয়ান্টেড খুনির অন্তর্ধান রহস্যের।

মূল্যবান ধাতুর খোঁজে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়ান জিম বেইলি। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রোড আইল্যান্ডের একটি ফলের বাগানে তিনি এমন এক পয়সা খুঁজে পান, যার মধ্যে লুকিয়ে ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ডাকাতির রহস্য। সোয়া তিন শ বছর আগে ১৬৯৫ সালে সেই ডাকাতি সংঘটিত হয়েছিল ভারত মহাসাগরে।
ডাকাতির শিকার জাহাজটিতে ছিলেন বেশ কিছু মুসলিম তীর্থযাত্রী, যারা সৌদি আরবের মক্কায় হজ পালন করে ভারতবর্ষে ফিরছিলেন। অসংখ্য হজ যাত্রীকে হত্যা করে জাহাজের সমস্ত সম্পদ লুট করেছিল ডাকাতেরা। যার নেতৃত্বে ওই নির্মম ডাকাতি সংঘটিত হয়, তিনি আর কেউ নন, খুনেচড়া এক ইংরেজ জলদস্যু হেনরি এভরি।
সেই ডাকাতির ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ও বহু বছরের পুরোনো একটি অমীমাংসিত মামলা। নির্মম এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই সময়ই পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড খুনিতে পরিণত হন এভরি। ডাকাতির পর সঙ্গী–সাথিসহ বেমালুম হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
মোস্ট ওয়ান্টেড খুনি
ইতিহাসে আছে—১৬৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ফেন্সি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে গভীর সমুদ্রে ওত পেতেছিলেন ক্যাপ্টেন হেনরি এভরি। আর এ পথেই ভারতবর্ষে ফিরছিল গাঞ্জ–ই–স্বোয়ামি নামের একটি রাজকীয় জাহাজ। জাহাজটির মালিক ছিলেন স্বয়ং মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। সেই আমলে শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসক বলা হতো তাঁকে। হজযাত্রী ছাড়াও ওই জাহাজে ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা আর রুপা। সেই সময়ের হিসাবেই ওই সম্পদের মূল্যমান ছিল ১ কোটি ডলারেরও বেশি! হেনরি এভরির নেতৃত্বে এই জাহাজেই সংঘটিত হয় পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সেরা লাভজনক, একই সঙ্গে জঘন্যতম ডাকাতির ঘটনাটি।
ইতিহাসবিদদের কারও কারও মতে, জলদস্যুরা সেদিন জাহাজে থাকা সব পুরুষকে হত্যা করেছিল এবং নারীদের ধর্ষণ করে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের দিকে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই আমলে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ছিল জলদস্যুদের স্বর্গরাজ্য।
আলোচিত ওই ডাকাতির ঘটনা রাতারাতি দিগ্বিদিক ছড়িয়ে যায়। ইংল্যান্ডের রাজা ছিলেন তখন তৃতীয় উইলিয়াম। ডাকাতির মূল হোতাকে ধরে দিতে তাঁর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে ভারতবর্ষের অধিপতি সম্রাট আওরঙ্গজেব ও ট্রেডিং জায়ান্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাতদের মাথার জন্য বিপুল অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেন তৃতীয় উইলিয়াম।
গুগলে যদি ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড ম্যানহান্ট’ (পৃথিবীজুড়ে প্রথম মানুষ অনুসন্ধান) দিয়ে সার্চ দেওয়া হয় তবে সবার আগেই আসবে হেনরি এভরির নাম। বলা যায়, পৃথিবীর সব মানুষ তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
এখন পর্যন্ত ইতিহাসবিদেরা এটাই জানেন যে, বহু পথ ঘুরে ১৬৯৬ সালে হেনরি এভরি আয়ারল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেও তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়েছিল তাঁকে। কোথাও পাওয়া যায়নি দুর্ধর্ষ ওই খুনিকে।
জিম বেইলি দাবি করছেন—তিনি এবং তার সঙ্গীরা যে মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন, তার সূত্র ধরে বিস্তর অনুসন্ধানের পর এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, দুর্ধর্ষ ওই খুনি আয়ারল্যান্ড নয়, বরং আমেরিকার দিকেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। আমেরিকায় সে সময় ব্রিটিশ উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল। আমেরিকার বিস্তীর্ণ ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, রোড আইল্যান্ড ও নিউ হ্যাম্পশায়ার—এই এলাকাগুলোতে ব্রিটিশরা নিউ ইংল্যান্ড নামে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। লুকিয়ে থাকার জন্য এই অঞ্চলটিকেই বেছে নিয়েছিলেন হেনরি এভরি। আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় এই অঞ্চলে লুণ্ঠিত সম্পদ খরচ করেছিলেন এভরি ও তাঁর সঙ্গী জলদস্যুরা।
যেভাবে চলে বেইলির অনুসন্ধান
জানা গেছে, ২০১২ সালে রোড আইল্যান্ডের মিডলটাউনে একটি বেরি ফলের বাগানে জিম বেইলির খোঁড়াখুঁড়িতে অষ্টাদশ শতকে তৈরি একটি জুতার বকলেস ও কয়েকটি গাদাবন্দুক মাটির ওপরে উঠে এসেছিল। তার পর থেকে সেখানে আরও অনুসন্ধান চালানোর জন্য ব্যাকুল ছিলেন বেইলি। দুই বছর পর ২০১৪ সালে সেখানেই মাটির উপরিভাগ থেকে একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে অনুসন্ধান চালালে সংকেত পান তিনি। পরে মাটি খুঁড়তে শুরু করেন। খুঁড়তে খুঁড়তে রুপার তৈরি পুরোনো একটি পয়সা খুঁজে পান। ময়লা ও ক্ষয় হয়ে যাওয়া ওই পয়সাটিকে প্রথমে স্প্যানিশ মুদ্রা ভেবেছিলেন বেইলি। কিন্তু পয়সাটিকে আরও সূক্ষ্মভাবে দেখতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন—এর ওপরে আরবিতে কিছু লেখা আছে!
অনেক পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর জানা যায়—বিদেশি ওই মুদ্রা গলিয়ে পয়সায় রূপ দেওয়া হয়েছিল ১৬৯৩ সালে ইয়েমেনে। কিন্তু এই তথ্য বড় একটি প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়ায় যখন বেইলি জানতে পারেন—এক শতাব্দী আগেও নিউ ইংল্যান্ডের সঙ্গে আরব বিশ্বের বাণিজ্য সম্পর্ক দূরে থাক, অন্য কোনো সম্পর্কও ছিল না।
২০১৪ সালের পর বিভিন্ন সময়ে খোঁড়াখুঁড়িতে সেই একই আমলের আরও অন্তত ১৫টি আরব্য মুদ্রার সন্ধান পাওয়া যায়, যার মধ্যে ১০টি পাওয়া যায় ম্যাসাচুসেটসে, তিনটি রোড আইল্যান্ড, আর দুটি কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে। আরও একটি মুদ্রা পাওয়া যায় নর্থ ক্যারোলাইনায়। নথি ঘেঁটে দেখা যায়, এই নর্থ ক্যারোলাইনার উপকূলে হেনরি এভরির সহযোগী কয়েক জলদস্যু একসময় গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সাল থেকে বিরামহীন গবেষণার পর কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের প্রত্নতত্ত্ববিদ সারাহ স্পোর্টম্যান দাবি করেন, হেনরি এভরির সঙ্গীদের অনেকেই নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী বসবাস শুরু করেছিলেন। আর আমেরিকার মাটিতে পা রেখে ক্রীতদাস ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন এভরি। নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে এই ব্যবসা তখন রমরমা হতে শুরু করেছিল। ক্রীতদাস ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশকে পাকাপোক্ত করতে আমেরিকায় যাওয়ার পথে ‘ফ্রেঞ্চ আইল্যান্ড অব রিইউনিয়ন’ থেকে কিছু কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকেও জাহাজে তুলে নিয়েছিলেন এভরি। আরও একটি কাজ করেছিলেন—যে জাহাজে করে ডাকাতি করেছিলেন, সেই ফেন্সি নামের জাহাজটি ত্যাগ করে সঙ্গী–সাথিসহ সি ফ্লাওয়ার নামে আরেকটি জাহাজে চড়ে বসেছিলেন। এই জাহাজে করেই অন্তত চার ডজন ক্রীতদাস নিয়ে ১৬৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রোড আইল্যান্ডের নিউ পোর্টে গিয়ে হাজির হন এভরি। অষ্টাদশ শতকে এই রোড আইল্যান্ড ক্রীতদাস ব্যবসার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। ৩০০ বছরেরও বেশি সময় পর এভাবেই জট খুলেছে পৃথিবীর প্রথম মোস্ট ওয়ান্টেড খুনির অন্তর্ধান রহস্যের।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ইতিহাসে আছে—১৬৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ফেন্সি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে গভীর সমুদ্রে ওত পেতেছিলেন ক্যাপ্টেন হেনরি এভরি। আর এ পথেই ভারতবর্ষে ফিরছিল গাঞ্জ–ই–স্বোয়ামি নামের একটি রাজকীয় জাহাজ। জাহাজটির মালিক ছিলেন স্বয়ং মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। হজযাত্রী ছাড়াও ওই জাহাজে ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা আর রুপা। সেই সময়ের হ
১৯ জুলাই ২০২১
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ইতিহাসে আছে—১৬৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ফেন্সি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে গভীর সমুদ্রে ওত পেতেছিলেন ক্যাপ্টেন হেনরি এভরি। আর এ পথেই ভারতবর্ষে ফিরছিল গাঞ্জ–ই–স্বোয়ামি নামের একটি রাজকীয় জাহাজ। জাহাজটির মালিক ছিলেন স্বয়ং মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। হজযাত্রী ছাড়াও ওই জাহাজে ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা আর রুপা। সেই সময়ের হ
১৯ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ইতিহাসে আছে—১৬৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ফেন্সি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে গভীর সমুদ্রে ওত পেতেছিলেন ক্যাপ্টেন হেনরি এভরি। আর এ পথেই ভারতবর্ষে ফিরছিল গাঞ্জ–ই–স্বোয়ামি নামের একটি রাজকীয় জাহাজ। জাহাজটির মালিক ছিলেন স্বয়ং মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। হজযাত্রী ছাড়াও ওই জাহাজে ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা আর রুপা। সেই সময়ের হ
১৯ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ইতিহাসে আছে—১৬৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ফেন্সি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে গভীর সমুদ্রে ওত পেতেছিলেন ক্যাপ্টেন হেনরি এভরি। আর এ পথেই ভারতবর্ষে ফিরছিল গাঞ্জ–ই–স্বোয়ামি নামের একটি রাজকীয় জাহাজ। জাহাজটির মালিক ছিলেন স্বয়ং মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। হজযাত্রী ছাড়াও ওই জাহাজে ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা আর রুপা। সেই সময়ের হ
১৯ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে