ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় হাটবাজার উন্নয়নের নামে ২০টি প্রকল্পের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বেশির ভাগ প্রকল্পের কোনো কাজ হয়নি। অথচ কাজ শেষ হয়েছে দাবি করে বরাদ্দকৃত টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে হাটবাজারের ইজারা থেকে আয়ের শতকরা ১০ ও ১৫ টাকা হারে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়। গত অর্থবছরই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। যথাসময়ে ১৯টি প্রকল্পের কাজ শেষ দেখিয়ে ৬১ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়। সালথা বাজারের ৯টি প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকা, গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া হাটে ২টি প্রকল্পে ১২ লাখ, ঠেনঠেনিয়া হাটে ৩টি প্রকল্পে ৬ লাখ, সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে ১টি প্রকল্পে ২ লাখ, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া হাটে ১টি প্রকল্পে ২ লাখ, কাগদী হাটে ২টি প্রকল্পে ৩ লাখ, আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি ১টি প্রকল্পে ৫ লাখ ও জয়কালীতে ১টি প্রকল্পে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সালথা বাজারে ৯টি প্রকল্পের আওতায় মহিলা মার্কেটের পেছনে সরকারি জায়গায় বালু ভরাটকরণ, একই মার্কেটের পেছনে জোসনা কর্মকারের ঘরের পূর্বপার্শে সরকারি জায়গায় বালু ভরাটকরণ, সালথা-ইউসুফদিয়া সড়কের সরকারি জায়গায় বালু ভরাট, সালথা-ইউসুফদিয়া সড়কের হাঁটা রাস্তায় ইটের সলিং, সালথা বাজারের মাংস ও মাছবাজার সংস্কার, পেঁয়াজের গলির রাস্তা সংস্কার, কাঁচাবাজারের গলি, মাছ-মাংস বাজার গলি বালু ভরাট ও রাস্তা নির্মাণ এবং পাট বাজারের রাস্তা এইচবিবিকরণ।
সালথা বাজারের প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাজারের মহিলা মার্কেটের পেছনে বালু ভরাট ছাড়াই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে বিসি রোজ জয়নুদ্দিনের দোকান থেকে পান-সুপারির হাট পর্যন্ত এইচবিবিকরণের কথা থাকলেও তা হয়নি। একই বাজারে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাজারের আরএইচডি রোড থেকে মাছবাজার পর্যন্ত এইচবিবিকরণের কথা থাকলেও কোনো কাজ না করে প্রকল্প দুটির ১২ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়। একই ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া বাজারে ৩টি প্রকল্পের ৬ লাখ টাকা কোনো কাজ ছাড়াই সংশ্লিষ্টরা আত্মসাৎ করেছেন বলে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি হাটে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন গলি উন্নয়ন ও জয়কালী হাটে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন গলি উন্নয়ন প্রকল্পের কোনো কাজ না করেই ১০ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
নকুলহাটি বাজারের সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, ‘নকুলহাটি বাজারে দু-তিন বছর ধরে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। প্রকল্পের নামে উপজেলা চেয়ারম্যান টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে শুনেছি।’
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘হাটবাজার উন্নয়ন প্রকল্প-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই। বিষয়টি উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর ভালো বলতে পারবেন।’
তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকার বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজ না করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন; যা কাজ হয়েছে, তার প্রমাণ অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বর্তমানে জেলহাজতে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তাছলিমা আকতার এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি যোগদানের আগে হাটের উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হয়েছে। যেহেতু ওই প্রকল্পগুলো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেহেতু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় হাটবাজার উন্নয়নের নামে ২০টি প্রকল্পের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বেশির ভাগ প্রকল্পের কোনো কাজ হয়নি। অথচ কাজ শেষ হয়েছে দাবি করে বরাদ্দকৃত টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে হাটবাজারের ইজারা থেকে আয়ের শতকরা ১০ ও ১৫ টাকা হারে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়। গত অর্থবছরই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। যথাসময়ে ১৯টি প্রকল্পের কাজ শেষ দেখিয়ে ৬১ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়। সালথা বাজারের ৯টি প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকা, গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া হাটে ২টি প্রকল্পে ১২ লাখ, ঠেনঠেনিয়া হাটে ৩টি প্রকল্পে ৬ লাখ, সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে ১টি প্রকল্পে ২ লাখ, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া হাটে ১টি প্রকল্পে ২ লাখ, কাগদী হাটে ২টি প্রকল্পে ৩ লাখ, আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি ১টি প্রকল্পে ৫ লাখ ও জয়কালীতে ১টি প্রকল্পে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সালথা বাজারে ৯টি প্রকল্পের আওতায় মহিলা মার্কেটের পেছনে সরকারি জায়গায় বালু ভরাটকরণ, একই মার্কেটের পেছনে জোসনা কর্মকারের ঘরের পূর্বপার্শে সরকারি জায়গায় বালু ভরাটকরণ, সালথা-ইউসুফদিয়া সড়কের সরকারি জায়গায় বালু ভরাট, সালথা-ইউসুফদিয়া সড়কের হাঁটা রাস্তায় ইটের সলিং, সালথা বাজারের মাংস ও মাছবাজার সংস্কার, পেঁয়াজের গলির রাস্তা সংস্কার, কাঁচাবাজারের গলি, মাছ-মাংস বাজার গলি বালু ভরাট ও রাস্তা নির্মাণ এবং পাট বাজারের রাস্তা এইচবিবিকরণ।
সালথা বাজারের প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাজারের মহিলা মার্কেটের পেছনে বালু ভরাট ছাড়াই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে বিসি রোজ জয়নুদ্দিনের দোকান থেকে পান-সুপারির হাট পর্যন্ত এইচবিবিকরণের কথা থাকলেও তা হয়নি। একই বাজারে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাজারের আরএইচডি রোড থেকে মাছবাজার পর্যন্ত এইচবিবিকরণের কথা থাকলেও কোনো কাজ না করে প্রকল্প দুটির ১২ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়। একই ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া বাজারে ৩টি প্রকল্পের ৬ লাখ টাকা কোনো কাজ ছাড়াই সংশ্লিষ্টরা আত্মসাৎ করেছেন বলে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি হাটে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন গলি উন্নয়ন ও জয়কালী হাটে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন গলি উন্নয়ন প্রকল্পের কোনো কাজ না করেই ১০ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
নকুলহাটি বাজারের সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, ‘নকুলহাটি বাজারে দু-তিন বছর ধরে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। প্রকল্পের নামে উপজেলা চেয়ারম্যান টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে শুনেছি।’
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘হাটবাজার উন্নয়ন প্রকল্প-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই। বিষয়টি উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর ভালো বলতে পারবেন।’
তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকার বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজ না করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন; যা কাজ হয়েছে, তার প্রমাণ অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বর্তমানে জেলহাজতে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তাছলিমা আকতার এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি যোগদানের আগে হাটের উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হয়েছে। যেহেতু ওই প্রকল্পগুলো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেহেতু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪