শাপলা খন্দকার, বগুড়া

চারপাশে শত শত অপরাধের মধ্যে যৌন হয়রানি নৈমিত্তিক ঘটনা। ভিড়ের মধ্যে অমনোযোগিতার সুযোগে স্পর্শ-ধাক্কা, গণপরিবহনে গাঘেঁষে বসা, প্রেমের ছলে জোরজবরদস্তি, আপত্তিকর ভিডিওধারণ করে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা, এমনকি মাদকের নেশায় আসক্ত করেও চলে নারীর যৌন নিপীড়ন। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে জেলার কোনো না কোনো প্রান্তে। এর মধ্যে সব অভিযোগ থানায় আসে না। এলে হয়তো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তবু এধরনের অপরাধ ঘটেই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌনশিক্ষার অভাবে ছোট বয়সেই এমন নিপীড়নের প্রবণতা বাসা বাঁধছে কিশোর মনে। তার সঙ্গে এক্ষেত্রে আইনি প্রতিকার জোরদার না হওয়ায় এগুলো স্বাভাবিক আচরণে পরিণত হচ্ছে।
ধুনট উপজেলার অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে রাসেল (২১)। এরপর কৌশলে ওই স্কুলছাত্রীর গোসলের নগ্ন ভিডিওধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে সে। কিন্তু ওই স্কুলছাত্রী রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ রাসেল গোসলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় গত ১৪ নভেম্বর। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার বন্ধু জিয়াম সরদার (২০) ও সজিব মণ্ডল (১৯)।
চলতি বছর জুন মাসে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঘটে একটি রোমহর্ষক ঘটনা। ১৪ বছরের এক কিশোর তার সমবয়সী আরেক কিশোর নওফেলকে খুন করে। কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ খুঁজে পায়, টাকার বিনিময়ে নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিল ওই কিশোর। কিন্তু তার কাছে টাকা না থাকায় সে বন্ধু নওফেলকে খুন করে তার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেয়। তারপর সেই মোবাইল ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে ২ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে একটি হোটেল রুম। সেখানে মেয়েটির সঙ্গে মিলিত হয় সে। মেয়েটিকে ভাড়া দেয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এসব বর্ণনা দেয় ১৪ বছরের ওই কিশোর।
মে মাসে ঘটে আরেকটি কিশোর অপরাধের ঘটনা। টাকার বিনিময়ে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এক মেয়েকে ভাড়া করে গাইবান্ধার তিন কিশোর। মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুড়ার সোনাতলার এক নির্জন মাঠে। তারপর রাতে সবাই সেখানে পৌঁছে কে আগে মেয়েটির সঙ্গে মিলিত হবে-এই নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় তাদের মধ্যে। এরই একপর্যায়ে ১৪ বছরের কিশোর রাকিব হোসেনকে খুন করে আহসান হাবিব সজীব (২০) নামের অপর কিশোর। মাসুম বিল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে সেই লাশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে এক ডোবায় ফেলে দেয়। পিবিআই এর অনুসন্ধানে উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বগুড়া পিবিআই পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড ঘটনা যতটা না ফৌজদারি অপরাধ তার চেয়ে বেশি সামাজিক অবক্ষয়ের নমুনা। সামাজিক, ধর্মীয় এবং পারিবারিক শিক্ষার অভাবে কিশোররা অতিআগ্রহী হয়ে খারাপ কাজে যুক্ত হচ্ছে এবং একপর্যায়ে বড় বড় অপরাধ ঘটাচ্ছে।’
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে একদিকে যৌনতাবিষয়ক অসচেতনতা আছে, অপরদিকে আছে অপশিক্ষা। যৌনশিক্ষার পরিবর্তে যৌন কুশিক্ষা লাভ করছে কিশোররা। অনিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যবহার, নেশা এই কুশিক্ষার খোরাক জোগাচ্ছে। এসব মানুষের কুচিন্তাকে প্রভাবিত করছে এবং মানসিক বৈকল্য তৈরি করছে। অসুস্থ, অস্বাভাবিক যৌনতা এক ধরনের মানসিক রোগ যা সারতে কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসা প্রয়োজন ৷ সেই সাথে সার্বিকভাবে প্রয়োজন শিক্ষা, সংস্কৃতির উন্নয়ন।’
আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদক ১৪-১৭ বছর বয়সী ৫ জন কিশোর, ১৮-২১ বছর বয়সী ৫ জন তরুণ এবং ২২-৪২ বছর বয়সী ৫ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। এদের মধ্যে ১২ জন জানান, বয়ঃসন্ধিকালে নারীদেহের প্রতি তীব্র আকর্ষণ এবং কৌতূহল ছিল তাদের। আর এরই জেরে ৮ জন কৈশোরে নানা ছলে বিভিন্ন বয়সের নারীর শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ করে। ৪ জন জানায়, তারা তাদের নিকট আত্মীয়দের শরীরে স্পর্শ করে এক ধরনের পুলক অনুভব করে।
আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ২১ বছর বয়সী তরুণ জুলফিকারের (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকালে আমার খুব কৌতূহল তৈরি হয় নারী শরীরের প্রতি, শারীরিক ইচ্ছাও বেড়ে যায় অনেক। একদিন কৌশলে আমার এক কাজিনের শরীরে বাজেভাবে স্পর্শ করি। পরবর্তীতে এটা ভেবে আমি ভীষণ অনুতপ্ত হই। কয়েক বছর পর হিউম্যান বডি এবং যৌনতা বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে স্টাডি করি নিজ উদ্যোগে। এরপর আমার মধ্যে আর কখনো এমন আগ্রহ জন্মায়নি।’
বগুড়ার ১২টি থানায় ২০২১ ও ২০২২ সালের দায়ের করা অভিযোগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুই বছরে ৭৩৮টি মামলা দায়ের হয়েছে ধর্ষণ, কিশোরী অপহরণ, নারী নিপীড়ন, পর্নোগ্রাফি এবং যৌন হয়রানি বিষয়ে। এর মধ্যে ১৩৫টি মামলাই যৌন হয়রানি বিষয়ক।
২০২১ সালে জেলায় ১২২টি ধর্ষণ, ১২৯টি অপহরণ, ৪৬টি যৌতুকের জন্য নিপীড়ন এবং ৬২টি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১১২টি ধর্ষণ, ১৩৭ টি অপহরণ, ৫৭টি যৌতুক এবং ৭৩টি যৌন হয়রানির মামলা লিপিবদ্ধ হয়।
জেলা পুলিশ জানায়, এসব অভিযোগের আসামিরা বেশির ভাগই একাধিকবার যৌন হয়রানি-নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছেন তারা।
বগুড়া সদর থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে দায়িত্বরত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) জেবুন্নেসা জানান, চলতি বছরে তার ডেস্কে ২১৬৩ জন নারী ভিকটিমের অভিযোগ রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ ১৬৮টি। তিনি বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ বেশির ভাগই এসেছে কিশোরদের বিরুদ্ধে। করোনাকালে মুঠোফোনে আসক্ত হওয়ায় যৌন হয়রানির মাত্রা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন জেবুন্নেসা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শ্যামলী শীল বলেন, ‘আমাদের দেশে যথাযথ যৌন শিক্ষার অভাবে যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ছোটবেলা থেকে মানুষের শারীরিক শিক্ষা এবং যৌনতার ক্ষেত্রে সঠিক নৈতিক দর্শন শিখতে হবে। শারীরিক প্রয়োজনীয়তাকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমেই পশু এবং মানুষের পার্থক্য তৈরি হয়। এই শিক্ষাটা পাঠ্যপুস্তকে এবং দেশের সংস্কৃতিতে চর্চা করতে হবে ৷ আমি মনে করি, শুধু কিশোর-কিশোরীদের জন্য নয়, সমগ্র জাতিকেই যৌনতা বিষয়ক একটি পাঠ নেওয়া প্রয়োজন যেন শরীরকে কেবলমাত্র সেক্স অবজেক্ট মনে করা না হয়।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অশোক কুমার সাহা বলেন, ‘অস্বাভাবিক যৌন আচরণ এক ধরনের মানসিক বৈকল্য। শিক্ষার অভাবে এটা কিশোর মনে গেঁথে যায়। যৌনতা সম্পর্কে স্বাভাবিক ধারণা না থাকায় মানুষ বিকৃত আচরণ করে। যত দিন যৌনশিক্ষাকে গোপনীয় বিষয় হিসেবে রাখা হবে তত দিন এর অপব্যবহার চলতে থাকবে। যৌনশিক্ষাকে উন্মুক্ত শিক্ষার বিষয় করতে হবে।’
জাতিসংঘের ইউএনএফপিএ এর জেন্ডার বিশেষজ্ঞ মাসুদা ইসলাম বলেন, ‘যৌন হয়রানি কমাতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়েও বেশি জরুরি সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধ। বাংলাদেশে সাধারণত পরিবারগুলো একজন মেয়ে সন্তানকে যেভাবে মূল্যবোধ শেখায়, শাসন করে ছেলে সন্তানদের সেভাবে শেখায় না, শাসনে রাখে না। ফলে, ছেলেরা পরিবার এবং সমাজ থেকে এটা শিখে বড় হয় যে তারা চাইলেই নারীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে পারে।’
বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আইনের ভাষায় অপরাধকে অপরাধই মনে করি। এটাকে মানসিক রোগ বিবেচনা করে আসামির প্রতি নমনীয়তা দেখানোর সুযোগ নেই। তবে একজন অপরাধী তৈরি হয়ে ওঠার পেছনে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানামুখী ভূমিকা থাকে। শুধু আইন প্রয়োগ করে অপরাধ কমানো সম্ভব হলেও নির্মূল করা সম্ভব নয়৷’

চারপাশে শত শত অপরাধের মধ্যে যৌন হয়রানি নৈমিত্তিক ঘটনা। ভিড়ের মধ্যে অমনোযোগিতার সুযোগে স্পর্শ-ধাক্কা, গণপরিবহনে গাঘেঁষে বসা, প্রেমের ছলে জোরজবরদস্তি, আপত্তিকর ভিডিওধারণ করে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা, এমনকি মাদকের নেশায় আসক্ত করেও চলে নারীর যৌন নিপীড়ন। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে জেলার কোনো না কোনো প্রান্তে। এর মধ্যে সব অভিযোগ থানায় আসে না। এলে হয়তো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তবু এধরনের অপরাধ ঘটেই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌনশিক্ষার অভাবে ছোট বয়সেই এমন নিপীড়নের প্রবণতা বাসা বাঁধছে কিশোর মনে। তার সঙ্গে এক্ষেত্রে আইনি প্রতিকার জোরদার না হওয়ায় এগুলো স্বাভাবিক আচরণে পরিণত হচ্ছে।
ধুনট উপজেলার অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে রাসেল (২১)। এরপর কৌশলে ওই স্কুলছাত্রীর গোসলের নগ্ন ভিডিওধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে সে। কিন্তু ওই স্কুলছাত্রী রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ রাসেল গোসলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় গত ১৪ নভেম্বর। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার বন্ধু জিয়াম সরদার (২০) ও সজিব মণ্ডল (১৯)।
চলতি বছর জুন মাসে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঘটে একটি রোমহর্ষক ঘটনা। ১৪ বছরের এক কিশোর তার সমবয়সী আরেক কিশোর নওফেলকে খুন করে। কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ খুঁজে পায়, টাকার বিনিময়ে নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিল ওই কিশোর। কিন্তু তার কাছে টাকা না থাকায় সে বন্ধু নওফেলকে খুন করে তার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেয়। তারপর সেই মোবাইল ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে ২ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে একটি হোটেল রুম। সেখানে মেয়েটির সঙ্গে মিলিত হয় সে। মেয়েটিকে ভাড়া দেয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এসব বর্ণনা দেয় ১৪ বছরের ওই কিশোর।
মে মাসে ঘটে আরেকটি কিশোর অপরাধের ঘটনা। টাকার বিনিময়ে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এক মেয়েকে ভাড়া করে গাইবান্ধার তিন কিশোর। মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুড়ার সোনাতলার এক নির্জন মাঠে। তারপর রাতে সবাই সেখানে পৌঁছে কে আগে মেয়েটির সঙ্গে মিলিত হবে-এই নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় তাদের মধ্যে। এরই একপর্যায়ে ১৪ বছরের কিশোর রাকিব হোসেনকে খুন করে আহসান হাবিব সজীব (২০) নামের অপর কিশোর। মাসুম বিল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে সেই লাশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে এক ডোবায় ফেলে দেয়। পিবিআই এর অনুসন্ধানে উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বগুড়া পিবিআই পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড ঘটনা যতটা না ফৌজদারি অপরাধ তার চেয়ে বেশি সামাজিক অবক্ষয়ের নমুনা। সামাজিক, ধর্মীয় এবং পারিবারিক শিক্ষার অভাবে কিশোররা অতিআগ্রহী হয়ে খারাপ কাজে যুক্ত হচ্ছে এবং একপর্যায়ে বড় বড় অপরাধ ঘটাচ্ছে।’
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে একদিকে যৌনতাবিষয়ক অসচেতনতা আছে, অপরদিকে আছে অপশিক্ষা। যৌনশিক্ষার পরিবর্তে যৌন কুশিক্ষা লাভ করছে কিশোররা। অনিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যবহার, নেশা এই কুশিক্ষার খোরাক জোগাচ্ছে। এসব মানুষের কুচিন্তাকে প্রভাবিত করছে এবং মানসিক বৈকল্য তৈরি করছে। অসুস্থ, অস্বাভাবিক যৌনতা এক ধরনের মানসিক রোগ যা সারতে কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসা প্রয়োজন ৷ সেই সাথে সার্বিকভাবে প্রয়োজন শিক্ষা, সংস্কৃতির উন্নয়ন।’
আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদক ১৪-১৭ বছর বয়সী ৫ জন কিশোর, ১৮-২১ বছর বয়সী ৫ জন তরুণ এবং ২২-৪২ বছর বয়সী ৫ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। এদের মধ্যে ১২ জন জানান, বয়ঃসন্ধিকালে নারীদেহের প্রতি তীব্র আকর্ষণ এবং কৌতূহল ছিল তাদের। আর এরই জেরে ৮ জন কৈশোরে নানা ছলে বিভিন্ন বয়সের নারীর শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ করে। ৪ জন জানায়, তারা তাদের নিকট আত্মীয়দের শরীরে স্পর্শ করে এক ধরনের পুলক অনুভব করে।
আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ২১ বছর বয়সী তরুণ জুলফিকারের (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকালে আমার খুব কৌতূহল তৈরি হয় নারী শরীরের প্রতি, শারীরিক ইচ্ছাও বেড়ে যায় অনেক। একদিন কৌশলে আমার এক কাজিনের শরীরে বাজেভাবে স্পর্শ করি। পরবর্তীতে এটা ভেবে আমি ভীষণ অনুতপ্ত হই। কয়েক বছর পর হিউম্যান বডি এবং যৌনতা বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে স্টাডি করি নিজ উদ্যোগে। এরপর আমার মধ্যে আর কখনো এমন আগ্রহ জন্মায়নি।’
বগুড়ার ১২টি থানায় ২০২১ ও ২০২২ সালের দায়ের করা অভিযোগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুই বছরে ৭৩৮টি মামলা দায়ের হয়েছে ধর্ষণ, কিশোরী অপহরণ, নারী নিপীড়ন, পর্নোগ্রাফি এবং যৌন হয়রানি বিষয়ে। এর মধ্যে ১৩৫টি মামলাই যৌন হয়রানি বিষয়ক।
২০২১ সালে জেলায় ১২২টি ধর্ষণ, ১২৯টি অপহরণ, ৪৬টি যৌতুকের জন্য নিপীড়ন এবং ৬২টি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১১২টি ধর্ষণ, ১৩৭ টি অপহরণ, ৫৭টি যৌতুক এবং ৭৩টি যৌন হয়রানির মামলা লিপিবদ্ধ হয়।
জেলা পুলিশ জানায়, এসব অভিযোগের আসামিরা বেশির ভাগই একাধিকবার যৌন হয়রানি-নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছেন তারা।
বগুড়া সদর থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে দায়িত্বরত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) জেবুন্নেসা জানান, চলতি বছরে তার ডেস্কে ২১৬৩ জন নারী ভিকটিমের অভিযোগ রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ ১৬৮টি। তিনি বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ বেশির ভাগই এসেছে কিশোরদের বিরুদ্ধে। করোনাকালে মুঠোফোনে আসক্ত হওয়ায় যৌন হয়রানির মাত্রা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন জেবুন্নেসা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শ্যামলী শীল বলেন, ‘আমাদের দেশে যথাযথ যৌন শিক্ষার অভাবে যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ছোটবেলা থেকে মানুষের শারীরিক শিক্ষা এবং যৌনতার ক্ষেত্রে সঠিক নৈতিক দর্শন শিখতে হবে। শারীরিক প্রয়োজনীয়তাকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমেই পশু এবং মানুষের পার্থক্য তৈরি হয়। এই শিক্ষাটা পাঠ্যপুস্তকে এবং দেশের সংস্কৃতিতে চর্চা করতে হবে ৷ আমি মনে করি, শুধু কিশোর-কিশোরীদের জন্য নয়, সমগ্র জাতিকেই যৌনতা বিষয়ক একটি পাঠ নেওয়া প্রয়োজন যেন শরীরকে কেবলমাত্র সেক্স অবজেক্ট মনে করা না হয়।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অশোক কুমার সাহা বলেন, ‘অস্বাভাবিক যৌন আচরণ এক ধরনের মানসিক বৈকল্য। শিক্ষার অভাবে এটা কিশোর মনে গেঁথে যায়। যৌনতা সম্পর্কে স্বাভাবিক ধারণা না থাকায় মানুষ বিকৃত আচরণ করে। যত দিন যৌনশিক্ষাকে গোপনীয় বিষয় হিসেবে রাখা হবে তত দিন এর অপব্যবহার চলতে থাকবে। যৌনশিক্ষাকে উন্মুক্ত শিক্ষার বিষয় করতে হবে।’
জাতিসংঘের ইউএনএফপিএ এর জেন্ডার বিশেষজ্ঞ মাসুদা ইসলাম বলেন, ‘যৌন হয়রানি কমাতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়েও বেশি জরুরি সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধ। বাংলাদেশে সাধারণত পরিবারগুলো একজন মেয়ে সন্তানকে যেভাবে মূল্যবোধ শেখায়, শাসন করে ছেলে সন্তানদের সেভাবে শেখায় না, শাসনে রাখে না। ফলে, ছেলেরা পরিবার এবং সমাজ থেকে এটা শিখে বড় হয় যে তারা চাইলেই নারীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে পারে।’
বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আইনের ভাষায় অপরাধকে অপরাধই মনে করি। এটাকে মানসিক রোগ বিবেচনা করে আসামির প্রতি নমনীয়তা দেখানোর সুযোগ নেই। তবে একজন অপরাধী তৈরি হয়ে ওঠার পেছনে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানামুখী ভূমিকা থাকে। শুধু আইন প্রয়োগ করে অপরাধ কমানো সম্ভব হলেও নির্মূল করা সম্ভব নয়৷’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

চারপাশে শত শত অপরাধের মধ্যে যৌন হয়রানি নৈমিত্তিক ঘটনা। ভিড়ের মধ্যে অমনোযোগিতার সুযোগে স্পর্শ-ধাক্কা, গণপরিবহনে গাঘেঁষে বসা, প্রেমের ছলে জোরজবরদস্তি, আপত্তিকর ভিডিওধারণ করে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা, এমনকি মাদকের নেশায় আসক্ত করেও চলে নারীর যৌন নিপীড়ন। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে জেলার কোনো না কোনো প্রান
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

চারপাশে শত শত অপরাধের মধ্যে যৌন হয়রানি নৈমিত্তিক ঘটনা। ভিড়ের মধ্যে অমনোযোগিতার সুযোগে স্পর্শ-ধাক্কা, গণপরিবহনে গাঘেঁষে বসা, প্রেমের ছলে জোরজবরদস্তি, আপত্তিকর ভিডিওধারণ করে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা, এমনকি মাদকের নেশায় আসক্ত করেও চলে নারীর যৌন নিপীড়ন। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে জেলার কোনো না কোনো প্রান
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

চারপাশে শত শত অপরাধের মধ্যে যৌন হয়রানি নৈমিত্তিক ঘটনা। ভিড়ের মধ্যে অমনোযোগিতার সুযোগে স্পর্শ-ধাক্কা, গণপরিবহনে গাঘেঁষে বসা, প্রেমের ছলে জোরজবরদস্তি, আপত্তিকর ভিডিওধারণ করে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা, এমনকি মাদকের নেশায় আসক্ত করেও চলে নারীর যৌন নিপীড়ন। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে জেলার কোনো না কোনো প্রান
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

চারপাশে শত শত অপরাধের মধ্যে যৌন হয়রানি নৈমিত্তিক ঘটনা। ভিড়ের মধ্যে অমনোযোগিতার সুযোগে স্পর্শ-ধাক্কা, গণপরিবহনে গাঘেঁষে বসা, প্রেমের ছলে জোরজবরদস্তি, আপত্তিকর ভিডিওধারণ করে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা, এমনকি মাদকের নেশায় আসক্ত করেও চলে নারীর যৌন নিপীড়ন। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে জেলার কোনো না কোনো প্রান
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে