সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে তিন ফসলি কৃষিজমির মাটি কেটে বালু ভরাটের হিড়িক পড়েছে। এ ছাড়া জমির মাটি কেটেও বিক্রি করা হচ্ছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন আইন না মেনেই একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে দিনদুপুরে এ কাজ করছে।
উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর ও খাসকান্দি গ্রামের কবরস্থানসংলগ্ন এলাকায় এই অবস্থা দেখে গেছে। এতে কৃষিজমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
কৃষক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার মদিনাপাড়ার আব্দুস সালামসহ তাঁর সহযোগী চক্র দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করছে। এর মধ্যে রেকর্ড করা সম্পত্তির পাশাপাশি খাসজমিও রয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে দেখা গেছে, বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর ও খাসকান্দি গ্রামের খাসকান্দি মৌজার তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বালু ভরাটের জন্য পকেট বানানো হচ্ছে। এক পাশে আলুসহ বিভিন্ন শাকসবজি রোপণ করা হচ্ছে, অন্য পাশে এক্সকাভেটর (ভেকু) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে।
খাসকান্দি গ্রামের কৃষক মো. আতাউর বলেন, ‘আমাদের এলাকার জমিগুলো হাউজিং কোম্পানি জবরদখল ও জোরপূর্বক কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তারা শ্রেণি পরিবর্তন না করে তিন ফসলি জমিগুলো ভরাট করছে। এ রকম চলতে থাকে একসময় কৃষিজমি আর থাকবে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক কৃষক জানান, প্রথমে একটি জমি থেকে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হয়। পরে জমির চারপাশ ভেঙে পড়ে। এতে পাশের জমিতেও চাষ করা সম্ভব হয় না।
খাসকান্দি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ইয়াসমিন বলেন, ‘বালুচর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের খাসকান্দি, চান্দেরচরসহ কয়েকটি গ্রামে ৬৫৫ হেক্টর তিন ফসলি জমি ছিল। বর্তমানে ৫৪০ হেক্টর জমি রয়েছে। রেললাইন, হাউজিং এবং ইটভাটার কারণে ১১০ হেক্টর তিন ফসলি জমি কমে গেছে। এতে করে কৃষিজমি দিন দিন কমে যাচ্ছে।’
অভিযুক্ত মদিনাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমি জমি কেনাবেচা করি। আমার কাছ থেকে যাঁরা জমি কিনে নেন, তাঁরা বাড়ি বানানোর জন্য জমি কাটেন হয়তো। আমি মাটি কেটে বিক্রি করি না, এখন কারা জমি কেটে ভরাটের কাজ করছে তাও জানি না।’
বালুচর ইউপির সদস্য আলেকচান সজীব বলেন, ‘শুক্রবার নায়েব (সহকারী ভূমি কর্মকর্তা) আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। পরে তাঁরা এসে মাটি কাটা বন্ধ করেছেন কি না, সে বিষয়ে আমি জানি না। তবে গতকালও মাটি কেটেছে। আজ (শনিবার) কাটছে কি না, বলতে পারছি না।’
বালুচর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) মো. অয়াহিদ বলেন, ‘কেউ জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করে অথবা অনুমোদন না নিয়ে ফসলি জমি কাটতে পারে না। আমরা বিষয়টি অবগত আছি। ছুটির দিন বলে পরিদর্শনে যেতে পারিনি। তবে আগামীকাল (রোববার) সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে মাটি কাটা বন্দে ওই স্থানে নায়েককে পাঠিয়েছি। যদি আজও (শনিবার) মাটি কাটা শুরু করে, তবে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে তিন ফসলি কৃষিজমির মাটি কেটে বালু ভরাটের হিড়িক পড়েছে। এ ছাড়া জমির মাটি কেটেও বিক্রি করা হচ্ছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন আইন না মেনেই একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে দিনদুপুরে এ কাজ করছে।
উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর ও খাসকান্দি গ্রামের কবরস্থানসংলগ্ন এলাকায় এই অবস্থা দেখে গেছে। এতে কৃষিজমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
কৃষক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার মদিনাপাড়ার আব্দুস সালামসহ তাঁর সহযোগী চক্র দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করছে। এর মধ্যে রেকর্ড করা সম্পত্তির পাশাপাশি খাসজমিও রয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে দেখা গেছে, বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর ও খাসকান্দি গ্রামের খাসকান্দি মৌজার তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বালু ভরাটের জন্য পকেট বানানো হচ্ছে। এক পাশে আলুসহ বিভিন্ন শাকসবজি রোপণ করা হচ্ছে, অন্য পাশে এক্সকাভেটর (ভেকু) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে।
খাসকান্দি গ্রামের কৃষক মো. আতাউর বলেন, ‘আমাদের এলাকার জমিগুলো হাউজিং কোম্পানি জবরদখল ও জোরপূর্বক কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তারা শ্রেণি পরিবর্তন না করে তিন ফসলি জমিগুলো ভরাট করছে। এ রকম চলতে থাকে একসময় কৃষিজমি আর থাকবে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক কৃষক জানান, প্রথমে একটি জমি থেকে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হয়। পরে জমির চারপাশ ভেঙে পড়ে। এতে পাশের জমিতেও চাষ করা সম্ভব হয় না।
খাসকান্দি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ইয়াসমিন বলেন, ‘বালুচর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের খাসকান্দি, চান্দেরচরসহ কয়েকটি গ্রামে ৬৫৫ হেক্টর তিন ফসলি জমি ছিল। বর্তমানে ৫৪০ হেক্টর জমি রয়েছে। রেললাইন, হাউজিং এবং ইটভাটার কারণে ১১০ হেক্টর তিন ফসলি জমি কমে গেছে। এতে করে কৃষিজমি দিন দিন কমে যাচ্ছে।’
অভিযুক্ত মদিনাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমি জমি কেনাবেচা করি। আমার কাছ থেকে যাঁরা জমি কিনে নেন, তাঁরা বাড়ি বানানোর জন্য জমি কাটেন হয়তো। আমি মাটি কেটে বিক্রি করি না, এখন কারা জমি কেটে ভরাটের কাজ করছে তাও জানি না।’
বালুচর ইউপির সদস্য আলেকচান সজীব বলেন, ‘শুক্রবার নায়েব (সহকারী ভূমি কর্মকর্তা) আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। পরে তাঁরা এসে মাটি কাটা বন্ধ করেছেন কি না, সে বিষয়ে আমি জানি না। তবে গতকালও মাটি কেটেছে। আজ (শনিবার) কাটছে কি না, বলতে পারছি না।’
বালুচর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) মো. অয়াহিদ বলেন, ‘কেউ জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করে অথবা অনুমোদন না নিয়ে ফসলি জমি কাটতে পারে না। আমরা বিষয়টি অবগত আছি। ছুটির দিন বলে পরিদর্শনে যেতে পারিনি। তবে আগামীকাল (রোববার) সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে মাটি কাটা বন্দে ওই স্থানে নায়েককে পাঠিয়েছি। যদি আজও (শনিবার) মাটি কাটা শুরু করে, তবে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে