শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

করোনা অতিমারিতে এক বছর পরে শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। ২৪ দলের লড়াইয়ে কোন দল শেষ হাসি হাসবে, সে উত্তর পাওয়া যাবে ১১ জুলাই। তবে ফুটবলপ্রেমীদের এই উত্তেজনাকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে রাশিয়াকে। আন্তর্জাতিক চক্র এ জন্য ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচারণাও চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরো ফুটবল প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রাশিয়ান ও ইউরোপীয় দালালদের সঙ্গে বাংলাদেশি দালালেরা একজোট হয়েছে। এই জোট ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক যুবককে রাশিয়া ও ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছে। পাচারের সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে অনেককে আটকও করা হয়েছে। পুলিশ যাঁদের আটক করেছে, তাঁদের বেশির ভাগই নিজেদের বেকার জীবনের অবসান ঘটনাতে এই পথ বেছে নিয়েছেন।
বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হওয়া এইসব ব্যক্তির বয়স ৩০-৫০ বছরের মধ্যে। এরা হলেন নাইমুল আলম ও ফারুক দিদার (নোয়াখালী), আশরাফুর রহমান পিয়াস (ফেনী), রব জলিল (লক্ষ্মীপুর) আজিজুর রহমান, নুসরাত জাহান রাকা, তাসলিম উদ দৌলা, মোস্তফা রনি, ফারুক, নজরুল ইসলাম, অপু পাটোয়ারি, মানিক মিয়া, তারেক আজিজ ও ইউসুফ (ঢাকা), শরিফ হোসাইন (নারায়ণগঞ্জ), আনোয়ার মাদবর (শরীয়তপুর), জাকির হোসেন প্রাধানিয়া (চাঁদপুর) ও জসিম (কক্সবাজার)।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ১১ জুন রাশিয়া যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮ জনের যাত্রা স্থগিত করে পুলিশ। এরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছিলেন। তাঁদের অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই, তাঁরা কীভাবে, কোথায় ও কেন যাচ্ছেন। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ‘ফ্যান আইডি’ দিয়ে তাঁরা ইউরো ২০২০ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা দেখার জন্য বিদেশে যাচ্ছিলেন। কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় সবাইকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দালাল আবদুল আওয়ালের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মানব পাচারের মামলা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা বলেছেন, এই দালাল চক্র তাঁদের রাশিয়ায় পৌঁছে দেবে। এ জন্য তাঁরা জনপ্রতি নেবে ৬-৮ লাখ টাকা। এই মধ্যে আছে ‘ফ্যান আইডি’ তৈরি করা, বিমান ভাড়া, হোটেল, বিমা খরচ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীর মগবাজারে মিজান টাওয়ারে ফিউচার ওয়ার্ল্ড নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি ফ্যান আইডিসহ যাবতীয় কাজ করে দিচ্ছে। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপনও আছে।
একজন আগ্রহী হিসেবে গত সোমবার দুপুরে এই প্রতিনিধি সেখানে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আশিকুর রহমান জানান, রাশিয়ায় যেতে চাইলে ফ্যান আইডি তৈরি, ফুটবল ম্যাচের টিকিট, বিমানবন্দর ম্যানেজসহ সবকিছু মিলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। সব কাগজ তৈরি হলে টাকা নেওয়া হবে। যাঁরা যাবেন তাঁদের কেউ চাইলে বৈধভাবে রাশিয়াতে থেকেও যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দর ‘ম্যানেজ’–এর জন্য একটু বেশি খরচ পড়বে। প্রতিষ্ঠানটির অন্য এক কর্মকর্তা স্বীকার করেন, রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক যুবক তাঁদের কাছে আবেদন করেছেন।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধুই ইউরো কাপ নয়, ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের সময়ও এ ধরনের প্রবণতা ছিল। তখন সিলেট থেকে বেশ কিছু যুবক রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের পথে যাত্রা করেছিলেন। এই যাত্রাকে স্বপ্নযাত্রা বললেও এটা আসলে মরণফাঁদ।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরো কাপ উপলক্ষে অনেকে ফিফার ‘ফ্যান আইডি’ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যাচ্ছেন। ইমিগ্রেশনে সব যাত্রীর নাম-পরিচয় আলাদা করে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, পাচারের শিকার ভুক্তভোগীরা বলছেন, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের যেকোনো ম্যাচ স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখতে টিকিটের পাশাপাশি ফ্যান আইডি থাকতে হবে। এই ফ্যান আইডি দিয়ে রাশিয়াতে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যাবে। যা দিয়ে প্রায় এক মাস পর্যন্ত রাশিয়ায় বৈধভাবে অবস্থান করা যাবে। এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে মানব পাচারকারীরা।
সিআইডির প্রধান মাহবুব রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানব পাচারকারী চক্রের জাল এতটাই বিস্তৃত যে, তাদের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তবু আমরা পাচারকারী চক্র ও দালালদের তালিকা করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাচারকারী চক্রের একজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, খেলা দেখার নামে কেউ যদি রাশিয়া গিয়ে আর ফিরতে না চান, তাহলে কিছু খরচ বেশি করতে হয়। এসব সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে আলাদা চুক্তি করতে হয়। তাতে ৬০ থেকে ৮০ হাজার বেশি লাগে।
পাচারকারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার এই খবর ইমিগ্রেশন পুলিশ যে জানে না, তা নয়। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভিজিট, টুরিস্ট ভিসায় বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রীদের এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের নামে অতি মুনাফালোভী টিকিট বিক্রেতা বা দালালেরা অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে–এমন অভিযোগ তাঁদের কাছেও আছে।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিআইজি মনিরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা টিকিট বিক্রি করে বা দালালি করে, তারাই ইমিগ্রেশনের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে। ইমিগ্রেশন পুলিশ এসবের সঙ্গে জড়িত নয়।
দেশ থেকে কত মানুষ পাচার হচ্ছে, আর এর বিপরীতে কত দালাল আছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব কারও কাছে নেই। তবে সিআইডি বলছে, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৩২৪ জন পাচার হয়েছে। এই পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল ২৭ হাজার ৩৬৩ জনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে ১২ হাজার ২৮২ জনকে বিভিন্ন সময় আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সিআইডির মানব পাচার শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ সাইদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাশিয়া ছাড়াও ভারত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক, ইরানসহ লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে মানব পাচার হচ্ছে। সব সময় যে জোর করে পাচার হয়, এমনও না। অনেকে স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন।
সিআইডি বলছে, দুই ধরনের ভুক্তভোগী দেশ থেকে পাচার হচ্ছেন। এর একটি হলো গৃহকর্মী হিসেবে নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা যাচ্ছেন। আর অন্যটি যুবকদের এক দেশের কথা বলে অন্য দেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পাচারকারীদের এই চক্রের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তা, ট্রাভেল এজেন্সি, দালাল–সবাই জড়িত।
যোগাযোগ করা হলে অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে অনেকে এই অবৈধ সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন। আসলে এই দায় শুধু সরকারি-বেসরকারি একটা বা দুইটা প্রতিষ্ঠানের নয়। এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের।

করোনা অতিমারিতে এক বছর পরে শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। ২৪ দলের লড়াইয়ে কোন দল শেষ হাসি হাসবে, সে উত্তর পাওয়া যাবে ১১ জুলাই। তবে ফুটবলপ্রেমীদের এই উত্তেজনাকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে রাশিয়াকে। আন্তর্জাতিক চক্র এ জন্য ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচারণাও চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরো ফুটবল প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রাশিয়ান ও ইউরোপীয় দালালদের সঙ্গে বাংলাদেশি দালালেরা একজোট হয়েছে। এই জোট ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক যুবককে রাশিয়া ও ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছে। পাচারের সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে অনেককে আটকও করা হয়েছে। পুলিশ যাঁদের আটক করেছে, তাঁদের বেশির ভাগই নিজেদের বেকার জীবনের অবসান ঘটনাতে এই পথ বেছে নিয়েছেন।
বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হওয়া এইসব ব্যক্তির বয়স ৩০-৫০ বছরের মধ্যে। এরা হলেন নাইমুল আলম ও ফারুক দিদার (নোয়াখালী), আশরাফুর রহমান পিয়াস (ফেনী), রব জলিল (লক্ষ্মীপুর) আজিজুর রহমান, নুসরাত জাহান রাকা, তাসলিম উদ দৌলা, মোস্তফা রনি, ফারুক, নজরুল ইসলাম, অপু পাটোয়ারি, মানিক মিয়া, তারেক আজিজ ও ইউসুফ (ঢাকা), শরিফ হোসাইন (নারায়ণগঞ্জ), আনোয়ার মাদবর (শরীয়তপুর), জাকির হোসেন প্রাধানিয়া (চাঁদপুর) ও জসিম (কক্সবাজার)।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ১১ জুন রাশিয়া যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮ জনের যাত্রা স্থগিত করে পুলিশ। এরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছিলেন। তাঁদের অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই, তাঁরা কীভাবে, কোথায় ও কেন যাচ্ছেন। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ‘ফ্যান আইডি’ দিয়ে তাঁরা ইউরো ২০২০ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা দেখার জন্য বিদেশে যাচ্ছিলেন। কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় সবাইকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দালাল আবদুল আওয়ালের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মানব পাচারের মামলা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা বলেছেন, এই দালাল চক্র তাঁদের রাশিয়ায় পৌঁছে দেবে। এ জন্য তাঁরা জনপ্রতি নেবে ৬-৮ লাখ টাকা। এই মধ্যে আছে ‘ফ্যান আইডি’ তৈরি করা, বিমান ভাড়া, হোটেল, বিমা খরচ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীর মগবাজারে মিজান টাওয়ারে ফিউচার ওয়ার্ল্ড নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি ফ্যান আইডিসহ যাবতীয় কাজ করে দিচ্ছে। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপনও আছে।
একজন আগ্রহী হিসেবে গত সোমবার দুপুরে এই প্রতিনিধি সেখানে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আশিকুর রহমান জানান, রাশিয়ায় যেতে চাইলে ফ্যান আইডি তৈরি, ফুটবল ম্যাচের টিকিট, বিমানবন্দর ম্যানেজসহ সবকিছু মিলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। সব কাগজ তৈরি হলে টাকা নেওয়া হবে। যাঁরা যাবেন তাঁদের কেউ চাইলে বৈধভাবে রাশিয়াতে থেকেও যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দর ‘ম্যানেজ’–এর জন্য একটু বেশি খরচ পড়বে। প্রতিষ্ঠানটির অন্য এক কর্মকর্তা স্বীকার করেন, রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক যুবক তাঁদের কাছে আবেদন করেছেন।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধুই ইউরো কাপ নয়, ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের সময়ও এ ধরনের প্রবণতা ছিল। তখন সিলেট থেকে বেশ কিছু যুবক রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের পথে যাত্রা করেছিলেন। এই যাত্রাকে স্বপ্নযাত্রা বললেও এটা আসলে মরণফাঁদ।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরো কাপ উপলক্ষে অনেকে ফিফার ‘ফ্যান আইডি’ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যাচ্ছেন। ইমিগ্রেশনে সব যাত্রীর নাম-পরিচয় আলাদা করে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, পাচারের শিকার ভুক্তভোগীরা বলছেন, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের যেকোনো ম্যাচ স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখতে টিকিটের পাশাপাশি ফ্যান আইডি থাকতে হবে। এই ফ্যান আইডি দিয়ে রাশিয়াতে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যাবে। যা দিয়ে প্রায় এক মাস পর্যন্ত রাশিয়ায় বৈধভাবে অবস্থান করা যাবে। এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে মানব পাচারকারীরা।
সিআইডির প্রধান মাহবুব রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানব পাচারকারী চক্রের জাল এতটাই বিস্তৃত যে, তাদের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তবু আমরা পাচারকারী চক্র ও দালালদের তালিকা করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাচারকারী চক্রের একজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, খেলা দেখার নামে কেউ যদি রাশিয়া গিয়ে আর ফিরতে না চান, তাহলে কিছু খরচ বেশি করতে হয়। এসব সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে আলাদা চুক্তি করতে হয়। তাতে ৬০ থেকে ৮০ হাজার বেশি লাগে।
পাচারকারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার এই খবর ইমিগ্রেশন পুলিশ যে জানে না, তা নয়। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভিজিট, টুরিস্ট ভিসায় বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রীদের এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের নামে অতি মুনাফালোভী টিকিট বিক্রেতা বা দালালেরা অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে–এমন অভিযোগ তাঁদের কাছেও আছে।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিআইজি মনিরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা টিকিট বিক্রি করে বা দালালি করে, তারাই ইমিগ্রেশনের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে। ইমিগ্রেশন পুলিশ এসবের সঙ্গে জড়িত নয়।
দেশ থেকে কত মানুষ পাচার হচ্ছে, আর এর বিপরীতে কত দালাল আছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব কারও কাছে নেই। তবে সিআইডি বলছে, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৩২৪ জন পাচার হয়েছে। এই পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল ২৭ হাজার ৩৬৩ জনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে ১২ হাজার ২৮২ জনকে বিভিন্ন সময় আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সিআইডির মানব পাচার শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ সাইদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাশিয়া ছাড়াও ভারত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক, ইরানসহ লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে মানব পাচার হচ্ছে। সব সময় যে জোর করে পাচার হয়, এমনও না। অনেকে স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন।
সিআইডি বলছে, দুই ধরনের ভুক্তভোগী দেশ থেকে পাচার হচ্ছেন। এর একটি হলো গৃহকর্মী হিসেবে নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা যাচ্ছেন। আর অন্যটি যুবকদের এক দেশের কথা বলে অন্য দেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পাচারকারীদের এই চক্রের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তা, ট্রাভেল এজেন্সি, দালাল–সবাই জড়িত।
যোগাযোগ করা হলে অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে অনেকে এই অবৈধ সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন। আসলে এই দায় শুধু সরকারি-বেসরকারি একটা বা দুইটা প্রতিষ্ঠানের নয়। এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

করোনা অতিমারিতে এক বছর পরে শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। ২৪ দলের লড়াইয়ে কোন দল শেষ হাসি হাসবে, সে উত্তর পাওয়া যাবে ১১ জুলাই। তবে ফুটবলপ্রেমীদের এই উত্তেজনাকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে রাশিয়াকে। আন্তর্জাতিক চক্র এ জন্য ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচারণাও চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরো ফুটবল প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রাশিয়ান ও ইউরোপীয় দালালদের সঙ্গে বাংলাদেশি দালালেরা একজোট হয়েছে। এই জোট ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক যুবককে রাশিয়া ও ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছে। পাচারের সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে অনেককে আটকও করা হয়েছে। পুলিশ যাঁদের আটক করেছে, তাঁদের বেশির ভাগই নিজেদের বেকার জীবনের অবসান ঘটনাতে এই পথ বেছে নিয়েছেন।
বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হওয়া এইসব ব্যক্তির বয়স ৩০-৫০ বছরের মধ্যে। এরা হলেন নাইমুল আলম ও ফারুক দিদার (নোয়াখালী), আশরাফুর রহমান পিয়াস (ফেনী), রব জলিল (লক্ষ্মীপুর) আজিজুর রহমান, নুসরাত জাহান রাকা, তাসলিম উদ দৌলা, মোস্তফা রনি, ফারুক, নজরুল ইসলাম, অপু পাটোয়ারি, মানিক মিয়া, তারেক আজিজ ও ইউসুফ (ঢাকা), শরিফ হোসাইন (নারায়ণগঞ্জ), আনোয়ার মাদবর (শরীয়তপুর), জাকির হোসেন প্রাধানিয়া (চাঁদপুর) ও জসিম (কক্সবাজার)।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ১১ জুন রাশিয়া যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮ জনের যাত্রা স্থগিত করে পুলিশ। এরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছিলেন। তাঁদের অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই, তাঁরা কীভাবে, কোথায় ও কেন যাচ্ছেন। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ‘ফ্যান আইডি’ দিয়ে তাঁরা ইউরো ২০২০ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা দেখার জন্য বিদেশে যাচ্ছিলেন। কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় সবাইকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দালাল আবদুল আওয়ালের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মানব পাচারের মামলা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা বলেছেন, এই দালাল চক্র তাঁদের রাশিয়ায় পৌঁছে দেবে। এ জন্য তাঁরা জনপ্রতি নেবে ৬-৮ লাখ টাকা। এই মধ্যে আছে ‘ফ্যান আইডি’ তৈরি করা, বিমান ভাড়া, হোটেল, বিমা খরচ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীর মগবাজারে মিজান টাওয়ারে ফিউচার ওয়ার্ল্ড নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি ফ্যান আইডিসহ যাবতীয় কাজ করে দিচ্ছে। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপনও আছে।
একজন আগ্রহী হিসেবে গত সোমবার দুপুরে এই প্রতিনিধি সেখানে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আশিকুর রহমান জানান, রাশিয়ায় যেতে চাইলে ফ্যান আইডি তৈরি, ফুটবল ম্যাচের টিকিট, বিমানবন্দর ম্যানেজসহ সবকিছু মিলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। সব কাগজ তৈরি হলে টাকা নেওয়া হবে। যাঁরা যাবেন তাঁদের কেউ চাইলে বৈধভাবে রাশিয়াতে থেকেও যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দর ‘ম্যানেজ’–এর জন্য একটু বেশি খরচ পড়বে। প্রতিষ্ঠানটির অন্য এক কর্মকর্তা স্বীকার করেন, রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক যুবক তাঁদের কাছে আবেদন করেছেন।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধুই ইউরো কাপ নয়, ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের সময়ও এ ধরনের প্রবণতা ছিল। তখন সিলেট থেকে বেশ কিছু যুবক রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের পথে যাত্রা করেছিলেন। এই যাত্রাকে স্বপ্নযাত্রা বললেও এটা আসলে মরণফাঁদ।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরো কাপ উপলক্ষে অনেকে ফিফার ‘ফ্যান আইডি’ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যাচ্ছেন। ইমিগ্রেশনে সব যাত্রীর নাম-পরিচয় আলাদা করে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, পাচারের শিকার ভুক্তভোগীরা বলছেন, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের যেকোনো ম্যাচ স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখতে টিকিটের পাশাপাশি ফ্যান আইডি থাকতে হবে। এই ফ্যান আইডি দিয়ে রাশিয়াতে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যাবে। যা দিয়ে প্রায় এক মাস পর্যন্ত রাশিয়ায় বৈধভাবে অবস্থান করা যাবে। এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে মানব পাচারকারীরা।
সিআইডির প্রধান মাহবুব রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানব পাচারকারী চক্রের জাল এতটাই বিস্তৃত যে, তাদের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তবু আমরা পাচারকারী চক্র ও দালালদের তালিকা করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাচারকারী চক্রের একজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, খেলা দেখার নামে কেউ যদি রাশিয়া গিয়ে আর ফিরতে না চান, তাহলে কিছু খরচ বেশি করতে হয়। এসব সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে আলাদা চুক্তি করতে হয়। তাতে ৬০ থেকে ৮০ হাজার বেশি লাগে।
পাচারকারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার এই খবর ইমিগ্রেশন পুলিশ যে জানে না, তা নয়। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভিজিট, টুরিস্ট ভিসায় বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রীদের এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের নামে অতি মুনাফালোভী টিকিট বিক্রেতা বা দালালেরা অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে–এমন অভিযোগ তাঁদের কাছেও আছে।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিআইজি মনিরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা টিকিট বিক্রি করে বা দালালি করে, তারাই ইমিগ্রেশনের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে। ইমিগ্রেশন পুলিশ এসবের সঙ্গে জড়িত নয়।
দেশ থেকে কত মানুষ পাচার হচ্ছে, আর এর বিপরীতে কত দালাল আছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব কারও কাছে নেই। তবে সিআইডি বলছে, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৩২৪ জন পাচার হয়েছে। এই পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল ২৭ হাজার ৩৬৩ জনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে ১২ হাজার ২৮২ জনকে বিভিন্ন সময় আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সিআইডির মানব পাচার শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ সাইদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাশিয়া ছাড়াও ভারত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক, ইরানসহ লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে মানব পাচার হচ্ছে। সব সময় যে জোর করে পাচার হয়, এমনও না। অনেকে স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন।
সিআইডি বলছে, দুই ধরনের ভুক্তভোগী দেশ থেকে পাচার হচ্ছেন। এর একটি হলো গৃহকর্মী হিসেবে নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা যাচ্ছেন। আর অন্যটি যুবকদের এক দেশের কথা বলে অন্য দেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পাচারকারীদের এই চক্রের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তা, ট্রাভেল এজেন্সি, দালাল–সবাই জড়িত।
যোগাযোগ করা হলে অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে অনেকে এই অবৈধ সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন। আসলে এই দায় শুধু সরকারি-বেসরকারি একটা বা দুইটা প্রতিষ্ঠানের নয়। এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের।

করোনা অতিমারিতে এক বছর পরে শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। ২৪ দলের লড়াইয়ে কোন দল শেষ হাসি হাসবে, সে উত্তর পাওয়া যাবে ১১ জুলাই। তবে ফুটবলপ্রেমীদের এই উত্তেজনাকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে রাশিয়াকে। আন্তর্জাতিক চক্র এ জন্য ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচারণাও চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরো ফুটবল প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রাশিয়ান ও ইউরোপীয় দালালদের সঙ্গে বাংলাদেশি দালালেরা একজোট হয়েছে। এই জোট ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক যুবককে রাশিয়া ও ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছে। পাচারের সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে অনেককে আটকও করা হয়েছে। পুলিশ যাঁদের আটক করেছে, তাঁদের বেশির ভাগই নিজেদের বেকার জীবনের অবসান ঘটনাতে এই পথ বেছে নিয়েছেন।
বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হওয়া এইসব ব্যক্তির বয়স ৩০-৫০ বছরের মধ্যে। এরা হলেন নাইমুল আলম ও ফারুক দিদার (নোয়াখালী), আশরাফুর রহমান পিয়াস (ফেনী), রব জলিল (লক্ষ্মীপুর) আজিজুর রহমান, নুসরাত জাহান রাকা, তাসলিম উদ দৌলা, মোস্তফা রনি, ফারুক, নজরুল ইসলাম, অপু পাটোয়ারি, মানিক মিয়া, তারেক আজিজ ও ইউসুফ (ঢাকা), শরিফ হোসাইন (নারায়ণগঞ্জ), আনোয়ার মাদবর (শরীয়তপুর), জাকির হোসেন প্রাধানিয়া (চাঁদপুর) ও জসিম (কক্সবাজার)।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ১১ জুন রাশিয়া যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮ জনের যাত্রা স্থগিত করে পুলিশ। এরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছিলেন। তাঁদের অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই, তাঁরা কীভাবে, কোথায় ও কেন যাচ্ছেন। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ‘ফ্যান আইডি’ দিয়ে তাঁরা ইউরো ২০২০ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা দেখার জন্য বিদেশে যাচ্ছিলেন। কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় সবাইকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দালাল আবদুল আওয়ালের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মানব পাচারের মামলা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা বলেছেন, এই দালাল চক্র তাঁদের রাশিয়ায় পৌঁছে দেবে। এ জন্য তাঁরা জনপ্রতি নেবে ৬-৮ লাখ টাকা। এই মধ্যে আছে ‘ফ্যান আইডি’ তৈরি করা, বিমান ভাড়া, হোটেল, বিমা খরচ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীর মগবাজারে মিজান টাওয়ারে ফিউচার ওয়ার্ল্ড নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি ফ্যান আইডিসহ যাবতীয় কাজ করে দিচ্ছে। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপনও আছে।
একজন আগ্রহী হিসেবে গত সোমবার দুপুরে এই প্রতিনিধি সেখানে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আশিকুর রহমান জানান, রাশিয়ায় যেতে চাইলে ফ্যান আইডি তৈরি, ফুটবল ম্যাচের টিকিট, বিমানবন্দর ম্যানেজসহ সবকিছু মিলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। সব কাগজ তৈরি হলে টাকা নেওয়া হবে। যাঁরা যাবেন তাঁদের কেউ চাইলে বৈধভাবে রাশিয়াতে থেকেও যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দর ‘ম্যানেজ’–এর জন্য একটু বেশি খরচ পড়বে। প্রতিষ্ঠানটির অন্য এক কর্মকর্তা স্বীকার করেন, রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক যুবক তাঁদের কাছে আবেদন করেছেন।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধুই ইউরো কাপ নয়, ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের সময়ও এ ধরনের প্রবণতা ছিল। তখন সিলেট থেকে বেশ কিছু যুবক রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের পথে যাত্রা করেছিলেন। এই যাত্রাকে স্বপ্নযাত্রা বললেও এটা আসলে মরণফাঁদ।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরো কাপ উপলক্ষে অনেকে ফিফার ‘ফ্যান আইডি’ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যাচ্ছেন। ইমিগ্রেশনে সব যাত্রীর নাম-পরিচয় আলাদা করে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, পাচারের শিকার ভুক্তভোগীরা বলছেন, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের যেকোনো ম্যাচ স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখতে টিকিটের পাশাপাশি ফ্যান আইডি থাকতে হবে। এই ফ্যান আইডি দিয়ে রাশিয়াতে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যাবে। যা দিয়ে প্রায় এক মাস পর্যন্ত রাশিয়ায় বৈধভাবে অবস্থান করা যাবে। এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে মানব পাচারকারীরা।
সিআইডির প্রধান মাহবুব রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানব পাচারকারী চক্রের জাল এতটাই বিস্তৃত যে, তাদের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তবু আমরা পাচারকারী চক্র ও দালালদের তালিকা করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাচারকারী চক্রের একজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, খেলা দেখার নামে কেউ যদি রাশিয়া গিয়ে আর ফিরতে না চান, তাহলে কিছু খরচ বেশি করতে হয়। এসব সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে আলাদা চুক্তি করতে হয়। তাতে ৬০ থেকে ৮০ হাজার বেশি লাগে।
পাচারকারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার এই খবর ইমিগ্রেশন পুলিশ যে জানে না, তা নয়। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভিজিট, টুরিস্ট ভিসায় বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রীদের এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টের নামে অতি মুনাফালোভী টিকিট বিক্রেতা বা দালালেরা অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে–এমন অভিযোগ তাঁদের কাছেও আছে।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিআইজি মনিরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা টিকিট বিক্রি করে বা দালালি করে, তারাই ইমিগ্রেশনের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে। ইমিগ্রেশন পুলিশ এসবের সঙ্গে জড়িত নয়।
দেশ থেকে কত মানুষ পাচার হচ্ছে, আর এর বিপরীতে কত দালাল আছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব কারও কাছে নেই। তবে সিআইডি বলছে, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৩২৪ জন পাচার হয়েছে। এই পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল ২৭ হাজার ৩৬৩ জনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে ১২ হাজার ২৮২ জনকে বিভিন্ন সময় আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সিআইডির মানব পাচার শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ সাইদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাশিয়া ছাড়াও ভারত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক, ইরানসহ লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে মানব পাচার হচ্ছে। সব সময় যে জোর করে পাচার হয়, এমনও না। অনেকে স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন।
সিআইডি বলছে, দুই ধরনের ভুক্তভোগী দেশ থেকে পাচার হচ্ছেন। এর একটি হলো গৃহকর্মী হিসেবে নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা যাচ্ছেন। আর অন্যটি যুবকদের এক দেশের কথা বলে অন্য দেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পাচারকারীদের এই চক্রের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তা, ট্রাভেল এজেন্সি, দালাল–সবাই জড়িত।
যোগাযোগ করা হলে অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে অনেকে এই অবৈধ সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন। আসলে এই দায় শুধু সরকারি-বেসরকারি একটা বা দুইটা প্রতিষ্ঠানের নয়। এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

করোনা অতিমারিতে এক বছর পরে শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। ২৪ দলের লড়াইয়ে কোন দল শেষ হাসি হাসবে, সে উত্তর পাওয়া যাবে ১১ জুলাই। তবে ফুটবলপ্রেমীদের এই উত্তেজনাকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে রাশিয়াকে। আন্তর্জাতিক চক্র এ জন্য ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচারণাও চালাচ্ছে
০৭ জুলাই ২০২১
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

করোনা অতিমারিতে এক বছর পরে শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। ২৪ দলের লড়াইয়ে কোন দল শেষ হাসি হাসবে, সে উত্তর পাওয়া যাবে ১১ জুলাই। তবে ফুটবলপ্রেমীদের এই উত্তেজনাকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে রাশিয়াকে। আন্তর্জাতিক চক্র এ জন্য ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচারণাও চালাচ্ছে
০৭ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

করোনা অতিমারিতে এক বছর পরে শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। ২৪ দলের লড়াইয়ে কোন দল শেষ হাসি হাসবে, সে উত্তর পাওয়া যাবে ১১ জুলাই। তবে ফুটবলপ্রেমীদের এই উত্তেজনাকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে রাশিয়াকে। আন্তর্জাতিক চক্র এ জন্য ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচারণাও চালাচ্ছে
০৭ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

করোনা অতিমারিতে এক বছর পরে শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। ২৪ দলের লড়াইয়ে কোন দল শেষ হাসি হাসবে, সে উত্তর পাওয়া যাবে ১১ জুলাই। তবে ফুটবলপ্রেমীদের এই উত্তেজনাকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে রাশিয়াকে। আন্তর্জাতিক চক্র এ জন্য ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচারণাও চালাচ্ছে
০৭ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে