বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা পল্লির বাসিন্দারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই দুর্ভোগচিত্র তুলে ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. খালেক বলেন, ‘নামমাত্র মুক্তিযোদ্ধা পল্লি এটি। এখানে বসবাস করার থেকে নদীতে ভেসে যাওয়াও ভালো। মনে হচ্ছে কোনো অপরাধের শাস্তি ভোগ করছি।’
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিজেদের জীবন মানের তুলনা করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার বহুতল ভবন নির্মাণ করে দেয়। আর আমরা একটি নলকূপ পাই না। বেড়িবাঁধ পাই না। একটি ড্রেন পাই না। এমনকি একটা ইটের রাস্তাও পাই না। মশার জ্বালায় অস্থির আমাদের জীবন। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। পাকিস্তানিরা লুট করে বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই কারণে আমাদের ঠাঁই হয়েছে এই পল্লিতে। আর এখন এখানে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছি।’
সদর উপজেলার খাজুরতলা গ্রামে ২০০০ সালে মুক্তিযোদ্ধা পল্লির উদ্বোধন করা হয়। সেখানে পুনর্বাসন করা হয় ৩৪টি যুদ্ধাহত ও অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে। সুপেয় পানির জন্য বসানো হয় ছয়টি গভীর নলকূপ। বাসিন্দাদের সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয় একটি ড্রেন। এত দিনে ব্যবধানে পাল্টে গেছে পুরো পল্লির চিত্র।
এক সময়ের আনন্দের পল্লি এখন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য দুর্ভোগের আরেক নাম। মেরামত না করায় বিকল হয়ে গেছে ছয়টি নলকূপই। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ নির্মাণ করায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। নেই পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। ময়লা-পানি জমে জন্ম নিচ্ছে মশা। সুপেয় পানির তীব্র সংকট, খারাপ ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যায় দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা পল্লির বাসিন্দারা।
পল্লিতে ঢুকলেই দেখা যায়, অকেজো নলকূপ। ময়লা-আবর্জনায় ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। মশার উপদ্রব। পল্লির রাস্তায়ও ভাঙা। বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি ওঠে এই পল্লির ঘরবাড়িতে।
এই পল্লির বাসিন্দাদের দুর্বিষহ জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল মণ্ডল বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, তাই সরকারের দেওয়া এই পল্লিতে বসবাস করছি। আমরা অসহায়, তাই পড়ে আছি। আমাদের সামর্থ্য থাকলে এই পল্লি থেকে চলে যেতাম। প্রতিবার জোয়ারের পানিতে পুরো পল্লি প্লাবিত হয়। গোসলের জন্য কোনো ব্যবস্থা নাই। খাবার পানি আনতে যেতে হয় পল্লির বাইরে। এতে বিভিন্ন জনের কটু শুনতে হয়। আমরা এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের সমস্যা দেখার কেউ নেই।’
একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘পল্লির উদ্বোধন হওয়ার পর মাঝে মাঝে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন এখানে আসত আর ছবি তুলে চলে যেত। এখন আর কেউ আসেও না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিয়া শারমিন বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধা পল্লি পরিদর্শন করে সার্বিক অবস্থা দেখেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসস্থলের সমস্যা সমাধানে আমি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি, শিগগিরই আমরা অবকাঠামোগত সংস্কার ও অন্য সমস্যার সমাধান করতে পারব।’
বরগুনা সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা পল্লির বাসিন্দারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই দুর্ভোগচিত্র তুলে ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. খালেক বলেন, ‘নামমাত্র মুক্তিযোদ্ধা পল্লি এটি। এখানে বসবাস করার থেকে নদীতে ভেসে যাওয়াও ভালো। মনে হচ্ছে কোনো অপরাধের শাস্তি ভোগ করছি।’
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিজেদের জীবন মানের তুলনা করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার বহুতল ভবন নির্মাণ করে দেয়। আর আমরা একটি নলকূপ পাই না। বেড়িবাঁধ পাই না। একটি ড্রেন পাই না। এমনকি একটা ইটের রাস্তাও পাই না। মশার জ্বালায় অস্থির আমাদের জীবন। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। পাকিস্তানিরা লুট করে বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই কারণে আমাদের ঠাঁই হয়েছে এই পল্লিতে। আর এখন এখানে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছি।’
সদর উপজেলার খাজুরতলা গ্রামে ২০০০ সালে মুক্তিযোদ্ধা পল্লির উদ্বোধন করা হয়। সেখানে পুনর্বাসন করা হয় ৩৪টি যুদ্ধাহত ও অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে। সুপেয় পানির জন্য বসানো হয় ছয়টি গভীর নলকূপ। বাসিন্দাদের সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয় একটি ড্রেন। এত দিনে ব্যবধানে পাল্টে গেছে পুরো পল্লির চিত্র।
এক সময়ের আনন্দের পল্লি এখন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য দুর্ভোগের আরেক নাম। মেরামত না করায় বিকল হয়ে গেছে ছয়টি নলকূপই। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ নির্মাণ করায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। নেই পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। ময়লা-পানি জমে জন্ম নিচ্ছে মশা। সুপেয় পানির তীব্র সংকট, খারাপ ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যায় দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা পল্লির বাসিন্দারা।
পল্লিতে ঢুকলেই দেখা যায়, অকেজো নলকূপ। ময়লা-আবর্জনায় ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। মশার উপদ্রব। পল্লির রাস্তায়ও ভাঙা। বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি ওঠে এই পল্লির ঘরবাড়িতে।
এই পল্লির বাসিন্দাদের দুর্বিষহ জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল মণ্ডল বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, তাই সরকারের দেওয়া এই পল্লিতে বসবাস করছি। আমরা অসহায়, তাই পড়ে আছি। আমাদের সামর্থ্য থাকলে এই পল্লি থেকে চলে যেতাম। প্রতিবার জোয়ারের পানিতে পুরো পল্লি প্লাবিত হয়। গোসলের জন্য কোনো ব্যবস্থা নাই। খাবার পানি আনতে যেতে হয় পল্লির বাইরে। এতে বিভিন্ন জনের কটু শুনতে হয়। আমরা এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের সমস্যা দেখার কেউ নেই।’
একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘পল্লির উদ্বোধন হওয়ার পর মাঝে মাঝে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন এখানে আসত আর ছবি তুলে চলে যেত। এখন আর কেউ আসেও না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিয়া শারমিন বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধা পল্লি পরিদর্শন করে সার্বিক অবস্থা দেখেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসস্থলের সমস্যা সমাধানে আমি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি, শিগগিরই আমরা অবকাঠামোগত সংস্কার ও অন্য সমস্যার সমাধান করতে পারব।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৬ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৮ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৯ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১২ দিন আগে