কামরুল হাসান

এক তরুণীর মুখের ওপর আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। তিনি যা যা বলছেন, সবাই শুনছি আর একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছি। এত মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তরুণীটির কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি খুব আস্থার সঙ্গে অবলীলায় বলে যাচ্ছেন।
তরুণীর কথা শুনে আমাদের দলের যাঁকে আমরা ‘জ্ঞানী’ সাংবাদিক বলে জানতাম, সে রকম এক সহকর্মী বলে উঠলেন, হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন কেন? এ রকম অবস্থায় সব দলেই দু-একজন সংশয়বাদী থাকেন। তেমন একজন বললেন, এমন অদ্ভুত কথা বাপের জন্মেও শুনিনি। আর আমাদের অগ্রজ সাংবাদিক ফজলুল বারী সমানে নোট নিচ্ছেন, তিনি রিপোর্ট লিখবেন।
জনকণ্ঠে আমাদের প্রতিদিনের রিপোর্টার্স মিটিং ছিল বেলা ১১টায়। সেই মিটিং শেষে নিউজ রুমে নেমেই শুনি, বলিউডের এক নায়িকা এসেছেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে। বলিউডের নায়িকা ঢাকায়, তা-ও আমাদের অফিসে! দৌড়ে গেলাম নিচের অভ্যর্থনায়। দেখি সেখানে কেউ নেই। অভ্যর্থনার এক কর্মী বললেন, তিনি লিফটে ওপরে উঠে গেছেন। আবার পড়িমরি করে এলাম ওপরে। দেখি ফজলুল বারীর সামনে এক তরুণী বসে আছেন, আর তাঁকে ঘিরে আছেন সহকর্মীরা। জ্যেষ্ঠ সহকর্মী আহমেদ নূরে আলম গম্ভীরভাবে তাঁকে দু-একটা করে প্রশ্ন করছেন। তরুণী ঝটপট সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, এতটুকু দেরি করছেন না।
হঠাৎ আমাদের এক সিনিয়র সহকর্মী এসে ভিড়ের মধ্যে গলা বাড়িয়ে দিয়ে জানতে চাইলেন, আপনি যেন কী বললেন আপনার নাম? তরুণী বললেন, বলছি তো আমি মীনা কুমারী। হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী। উপস্থিত সবাই তা শুনে হেসে উঠলেন। তরুণী তাতে দমবার পাত্রী নন। তিনি জোর গলায় বললেন, আমার কথাবার্তাকে আপনারা সিরিয়াসলি নেবেন কিন্তু। ঠাট্টা-মশকরা মনে করবেন না। আমি পাগল বা মানসিক রোগী নই। কোনো গাঁজাখুরি দাবিও করছি না। সত্যি সত্যিই আমি মীনা কুমারী।
এবার শুরু হলো আমাদের প্রশ্নবাণ। তরুণীটির আবদার, তাঁর কথা পত্রিকায় ছাপা হলে তাঁকে নিতে মুম্বাই থেকে লোকজন ছুটে আসবেন ঢাকায়। বললেন, দেখবেন মুম্বাই চলে গেলে আমাকে নিয়ে কী ভীষণ হইচই-না পড়ে যায়! দিলীপ কুমার, সুনীল দত্তসহ পুরোনো বন্ধুরা ছুটে আসবেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। জানেন, রাজ কাপুরকে আমি ভালোবাসতাম। আর নার্গিস আমাকে জীবনে অনেক সাহায্য করেছেন। আমি মুম্বাই ফিরে গিয়ে রাজ কাপুরের স্মরণে একটি মিউজিয়াম করতে চাই। ক্যানসার হাসপাতাল করতে চাই নার্গিসের স্মরণে। কারণ, নার্গিস মারা গেছেন ক্যানসারে।
ফজলুল বারী বললেন, মাস তিনেক আগে একদিন ফোন করে ওই তরুণী বলেছিলেন, তিনি ট্র্যাজিক কুইন নায়িকা মীনা কুমারী। তাঁর পুনর্জন্ম হয়েছে। ধানমন্ডির বাসার ঠিকানা দিয়ে তাঁর ইন্টারভিউ করতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু না যাওয়াতে তিনি নিজেই অফিসে চলে এসেছেন। জনকণ্ঠ ভবনের রিসেপশনে এসেও নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন মীনা কুমারী বলে। যদিও তাঁর নাম আসলে মৌসুমি। তাঁর বাবা একজন প্রকৌশলী। ধানমন্ডিতে নিজেদের বাড়ি আছে। লালমাটিয়া কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বাবা আর বেঁচে নেই। ভাই, বোন আর মাকে নিয়ে চারজনের সংসার। মা গৃহবধূ, ভাই-বোন দুজনই পড়াশোনা করেন।
তরুণীটি তাঁর মীনা কুমারী হিসেবে পুনর্জন্ম সম্পর্কে নিজস্ব একটি গল্প বললেন; তা হলো, টেলিপ্যাথিতে তাঁর মনে হয়েছে, তিনি বাইজি ছিলেন। খুব গরিব ঘরে তাঁর জন্ম হয়েছিল। খুব কষ্ট ও সংগ্রাম করে খ্যাতির শিখরে উঠেছেন। এবং তিনিই সেই মীনা কুমারী।
ওই তরুণী বলেন, যেদিন এটা জানতে পারেন, সেদিন রাতে মা, ভাই-বোনকে তিনি তাঁর নতুন অনুভব, অনুভূতির কথা বলেন। তাঁরা বিষয়টি প্রথমে পাত্তা দিতে চাননি; পরে বলেছেন, ঠিক আছে, তুমিই মীনা কুমারী, তোমাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হবে। তরুণীর আক্ষেপ, মুম্বাই না নিয়ে তাঁকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়া হয়েছে।
ওই তরুণী বারবার বললেন, আসলে আমার তো কোনো অসুখ হয়নি। আমি তো সত্যিকারের মীনা কুমারী। আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। তিনি বললেন, নবম শ্রেণিতে থাকতে একবার তাঁর বাবা মীনা কুমারীর বিখ্যাত ছবি ‘পাকিজা’র ভিডিও ক্যাসেট এনেছিলেন। মীনা কুমারীর এই একটি চলচ্চিত্রই তিনি দেখেছেন। মীনা কুমারীকে নিয়ে কোনো বইও তিনি পড়েননি। বললেন, আমার তো অনেক বয়সে বিয়ে হয়েছিল। ছেলে-পুলে হয়নি। সেই বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। স্বামী মারধর করতেন, আমি তখন দুঃখ ভুলতে ড্রাগ নিতাম। রাজ কাপুর, মধুবালা, বৈজয়ন্তীমালা—এসব জানতেন। রাজ কাপুর আমাকে ভালোবাসতেন। নার্গিসও আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন খুব। আমি মুম্বাই ফিরে গিয়ে তাঁদের স্মৃতিরক্ষায় কিছু করতে চাই।
আমরা একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছি। একজন বললেন, সিনেমায় নতুন করে অভিনয়ের প্রস্তুতি আছে তো? সঙ্গে সঙ্গে বললেন, আমার তো নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার নেই। আমি তো মীনা কুমারী। তারপরও এ যুগের নাচের জন্য যা প্র্যাকটিস-প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সেসব এর মাঝে নিয়েছি। ঘণ্টা দুয়েক পর তরুণী চলে গেলেন। তারপর তাঁর আর মীনা কুমারী হওয়া হয়েছিল কি না জানি না।
ঢাকার এই ‘মীনা কুমারী’কে নিয়ে নিউজ ছাপা হয়েছিল ২০০২ সালের ১ এপ্রিল। সেই প্রতিবেদন পড়ে তখনকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ বলেছিলেন, তরুণীটি ‘সাইকোসিস’ নামের একধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাঁর বর্তমান মানসিক অবস্থাকে বলে ‘ডিলুশন অব পজিশন’ (অবস্থানের বিভ্রম)। এ ধরনের রোগীর মনে সব সময় এ রকম অদ্ভুত বিশ্বাস ভর করে। আর সেটাই তাঁরা বলে বেড়ান।
মীনা কুমারীর এই গল্প লিখতে গিয়ে মনে হলো, আজকাল আমাদের চারপাশে তো অনেক মানুষই নিজেদের নিয়ে এ রকম অদ্ভুত দাবি করে বসেন। এঁরা সবাই কি মানসিক রোগে আক্রান্ত? তাহলে কি মীনা কুমারীদের সংখ্যা দেশে বেড়েই চলেছে? প্রশ্নটা হয়তো কঠিন, উত্তরটা আরও কঠিন।
আরও পড়ুন:

এক তরুণীর মুখের ওপর আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। তিনি যা যা বলছেন, সবাই শুনছি আর একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছি। এত মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তরুণীটির কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি খুব আস্থার সঙ্গে অবলীলায় বলে যাচ্ছেন।
তরুণীর কথা শুনে আমাদের দলের যাঁকে আমরা ‘জ্ঞানী’ সাংবাদিক বলে জানতাম, সে রকম এক সহকর্মী বলে উঠলেন, হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন কেন? এ রকম অবস্থায় সব দলেই দু-একজন সংশয়বাদী থাকেন। তেমন একজন বললেন, এমন অদ্ভুত কথা বাপের জন্মেও শুনিনি। আর আমাদের অগ্রজ সাংবাদিক ফজলুল বারী সমানে নোট নিচ্ছেন, তিনি রিপোর্ট লিখবেন।
জনকণ্ঠে আমাদের প্রতিদিনের রিপোর্টার্স মিটিং ছিল বেলা ১১টায়। সেই মিটিং শেষে নিউজ রুমে নেমেই শুনি, বলিউডের এক নায়িকা এসেছেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে। বলিউডের নায়িকা ঢাকায়, তা-ও আমাদের অফিসে! দৌড়ে গেলাম নিচের অভ্যর্থনায়। দেখি সেখানে কেউ নেই। অভ্যর্থনার এক কর্মী বললেন, তিনি লিফটে ওপরে উঠে গেছেন। আবার পড়িমরি করে এলাম ওপরে। দেখি ফজলুল বারীর সামনে এক তরুণী বসে আছেন, আর তাঁকে ঘিরে আছেন সহকর্মীরা। জ্যেষ্ঠ সহকর্মী আহমেদ নূরে আলম গম্ভীরভাবে তাঁকে দু-একটা করে প্রশ্ন করছেন। তরুণী ঝটপট সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, এতটুকু দেরি করছেন না।
হঠাৎ আমাদের এক সিনিয়র সহকর্মী এসে ভিড়ের মধ্যে গলা বাড়িয়ে দিয়ে জানতে চাইলেন, আপনি যেন কী বললেন আপনার নাম? তরুণী বললেন, বলছি তো আমি মীনা কুমারী। হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী। উপস্থিত সবাই তা শুনে হেসে উঠলেন। তরুণী তাতে দমবার পাত্রী নন। তিনি জোর গলায় বললেন, আমার কথাবার্তাকে আপনারা সিরিয়াসলি নেবেন কিন্তু। ঠাট্টা-মশকরা মনে করবেন না। আমি পাগল বা মানসিক রোগী নই। কোনো গাঁজাখুরি দাবিও করছি না। সত্যি সত্যিই আমি মীনা কুমারী।
এবার শুরু হলো আমাদের প্রশ্নবাণ। তরুণীটির আবদার, তাঁর কথা পত্রিকায় ছাপা হলে তাঁকে নিতে মুম্বাই থেকে লোকজন ছুটে আসবেন ঢাকায়। বললেন, দেখবেন মুম্বাই চলে গেলে আমাকে নিয়ে কী ভীষণ হইচই-না পড়ে যায়! দিলীপ কুমার, সুনীল দত্তসহ পুরোনো বন্ধুরা ছুটে আসবেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। জানেন, রাজ কাপুরকে আমি ভালোবাসতাম। আর নার্গিস আমাকে জীবনে অনেক সাহায্য করেছেন। আমি মুম্বাই ফিরে গিয়ে রাজ কাপুরের স্মরণে একটি মিউজিয়াম করতে চাই। ক্যানসার হাসপাতাল করতে চাই নার্গিসের স্মরণে। কারণ, নার্গিস মারা গেছেন ক্যানসারে।
ফজলুল বারী বললেন, মাস তিনেক আগে একদিন ফোন করে ওই তরুণী বলেছিলেন, তিনি ট্র্যাজিক কুইন নায়িকা মীনা কুমারী। তাঁর পুনর্জন্ম হয়েছে। ধানমন্ডির বাসার ঠিকানা দিয়ে তাঁর ইন্টারভিউ করতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু না যাওয়াতে তিনি নিজেই অফিসে চলে এসেছেন। জনকণ্ঠ ভবনের রিসেপশনে এসেও নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন মীনা কুমারী বলে। যদিও তাঁর নাম আসলে মৌসুমি। তাঁর বাবা একজন প্রকৌশলী। ধানমন্ডিতে নিজেদের বাড়ি আছে। লালমাটিয়া কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বাবা আর বেঁচে নেই। ভাই, বোন আর মাকে নিয়ে চারজনের সংসার। মা গৃহবধূ, ভাই-বোন দুজনই পড়াশোনা করেন।
তরুণীটি তাঁর মীনা কুমারী হিসেবে পুনর্জন্ম সম্পর্কে নিজস্ব একটি গল্প বললেন; তা হলো, টেলিপ্যাথিতে তাঁর মনে হয়েছে, তিনি বাইজি ছিলেন। খুব গরিব ঘরে তাঁর জন্ম হয়েছিল। খুব কষ্ট ও সংগ্রাম করে খ্যাতির শিখরে উঠেছেন। এবং তিনিই সেই মীনা কুমারী।
ওই তরুণী বলেন, যেদিন এটা জানতে পারেন, সেদিন রাতে মা, ভাই-বোনকে তিনি তাঁর নতুন অনুভব, অনুভূতির কথা বলেন। তাঁরা বিষয়টি প্রথমে পাত্তা দিতে চাননি; পরে বলেছেন, ঠিক আছে, তুমিই মীনা কুমারী, তোমাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হবে। তরুণীর আক্ষেপ, মুম্বাই না নিয়ে তাঁকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়া হয়েছে।
ওই তরুণী বারবার বললেন, আসলে আমার তো কোনো অসুখ হয়নি। আমি তো সত্যিকারের মীনা কুমারী। আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। তিনি বললেন, নবম শ্রেণিতে থাকতে একবার তাঁর বাবা মীনা কুমারীর বিখ্যাত ছবি ‘পাকিজা’র ভিডিও ক্যাসেট এনেছিলেন। মীনা কুমারীর এই একটি চলচ্চিত্রই তিনি দেখেছেন। মীনা কুমারীকে নিয়ে কোনো বইও তিনি পড়েননি। বললেন, আমার তো অনেক বয়সে বিয়ে হয়েছিল। ছেলে-পুলে হয়নি। সেই বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। স্বামী মারধর করতেন, আমি তখন দুঃখ ভুলতে ড্রাগ নিতাম। রাজ কাপুর, মধুবালা, বৈজয়ন্তীমালা—এসব জানতেন। রাজ কাপুর আমাকে ভালোবাসতেন। নার্গিসও আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন খুব। আমি মুম্বাই ফিরে গিয়ে তাঁদের স্মৃতিরক্ষায় কিছু করতে চাই।
আমরা একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছি। একজন বললেন, সিনেমায় নতুন করে অভিনয়ের প্রস্তুতি আছে তো? সঙ্গে সঙ্গে বললেন, আমার তো নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার নেই। আমি তো মীনা কুমারী। তারপরও এ যুগের নাচের জন্য যা প্র্যাকটিস-প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সেসব এর মাঝে নিয়েছি। ঘণ্টা দুয়েক পর তরুণী চলে গেলেন। তারপর তাঁর আর মীনা কুমারী হওয়া হয়েছিল কি না জানি না।
ঢাকার এই ‘মীনা কুমারী’কে নিয়ে নিউজ ছাপা হয়েছিল ২০০২ সালের ১ এপ্রিল। সেই প্রতিবেদন পড়ে তখনকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ বলেছিলেন, তরুণীটি ‘সাইকোসিস’ নামের একধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাঁর বর্তমান মানসিক অবস্থাকে বলে ‘ডিলুশন অব পজিশন’ (অবস্থানের বিভ্রম)। এ ধরনের রোগীর মনে সব সময় এ রকম অদ্ভুত বিশ্বাস ভর করে। আর সেটাই তাঁরা বলে বেড়ান।
মীনা কুমারীর এই গল্প লিখতে গিয়ে মনে হলো, আজকাল আমাদের চারপাশে তো অনেক মানুষই নিজেদের নিয়ে এ রকম অদ্ভুত দাবি করে বসেন। এঁরা সবাই কি মানসিক রোগে আক্রান্ত? তাহলে কি মীনা কুমারীদের সংখ্যা দেশে বেড়েই চলেছে? প্রশ্নটা হয়তো কঠিন, উত্তরটা আরও কঠিন।
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

এক তরুণীর মুখের ওপর আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। তিনি যা যা বলছেন, সবাই শুনছি আর একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছি। এত মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তরুণীটির কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি খুব আস্থার সঙ্গে অবলীলায় বলে যাচ্ছেন।
তরুণীর কথা শুনে আমাদের দলের যাঁকে আমরা ‘জ্ঞানী’ সাংবাদিক বলে জানতাম, সে রকম এক সহকর্মী বলে উঠলেন, হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন কেন? এ রকম অবস্থায় সব দলেই দু-একজন সংশয়বাদী থাকেন। তেমন একজন বললেন, এমন অদ্ভুত কথা বাপের জন্মেও শুনিনি। আর আমাদের অগ্রজ সাংবাদিক ফজলুল বারী সমানে নোট নিচ্ছেন, তিনি রিপোর্ট লিখবেন।
জনকণ্ঠে আমাদের প্রতিদিনের রিপোর্টার্স মিটিং ছিল বেলা ১১টায়। সেই মিটিং শেষে নিউজ রুমে নেমেই শুনি, বলিউডের এক নায়িকা এসেছেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে। বলিউডের নায়িকা ঢাকায়, তা-ও আমাদের অফিসে! দৌড়ে গেলাম নিচের অভ্যর্থনায়। দেখি সেখানে কেউ নেই। অভ্যর্থনার এক কর্মী বললেন, তিনি লিফটে ওপরে উঠে গেছেন। আবার পড়িমরি করে এলাম ওপরে। দেখি ফজলুল বারীর সামনে এক তরুণী বসে আছেন, আর তাঁকে ঘিরে আছেন সহকর্মীরা। জ্যেষ্ঠ সহকর্মী আহমেদ নূরে আলম গম্ভীরভাবে তাঁকে দু-একটা করে প্রশ্ন করছেন। তরুণী ঝটপট সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, এতটুকু দেরি করছেন না।
হঠাৎ আমাদের এক সিনিয়র সহকর্মী এসে ভিড়ের মধ্যে গলা বাড়িয়ে দিয়ে জানতে চাইলেন, আপনি যেন কী বললেন আপনার নাম? তরুণী বললেন, বলছি তো আমি মীনা কুমারী। হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী। উপস্থিত সবাই তা শুনে হেসে উঠলেন। তরুণী তাতে দমবার পাত্রী নন। তিনি জোর গলায় বললেন, আমার কথাবার্তাকে আপনারা সিরিয়াসলি নেবেন কিন্তু। ঠাট্টা-মশকরা মনে করবেন না। আমি পাগল বা মানসিক রোগী নই। কোনো গাঁজাখুরি দাবিও করছি না। সত্যি সত্যিই আমি মীনা কুমারী।
এবার শুরু হলো আমাদের প্রশ্নবাণ। তরুণীটির আবদার, তাঁর কথা পত্রিকায় ছাপা হলে তাঁকে নিতে মুম্বাই থেকে লোকজন ছুটে আসবেন ঢাকায়। বললেন, দেখবেন মুম্বাই চলে গেলে আমাকে নিয়ে কী ভীষণ হইচই-না পড়ে যায়! দিলীপ কুমার, সুনীল দত্তসহ পুরোনো বন্ধুরা ছুটে আসবেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। জানেন, রাজ কাপুরকে আমি ভালোবাসতাম। আর নার্গিস আমাকে জীবনে অনেক সাহায্য করেছেন। আমি মুম্বাই ফিরে গিয়ে রাজ কাপুরের স্মরণে একটি মিউজিয়াম করতে চাই। ক্যানসার হাসপাতাল করতে চাই নার্গিসের স্মরণে। কারণ, নার্গিস মারা গেছেন ক্যানসারে।
ফজলুল বারী বললেন, মাস তিনেক আগে একদিন ফোন করে ওই তরুণী বলেছিলেন, তিনি ট্র্যাজিক কুইন নায়িকা মীনা কুমারী। তাঁর পুনর্জন্ম হয়েছে। ধানমন্ডির বাসার ঠিকানা দিয়ে তাঁর ইন্টারভিউ করতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু না যাওয়াতে তিনি নিজেই অফিসে চলে এসেছেন। জনকণ্ঠ ভবনের রিসেপশনে এসেও নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন মীনা কুমারী বলে। যদিও তাঁর নাম আসলে মৌসুমি। তাঁর বাবা একজন প্রকৌশলী। ধানমন্ডিতে নিজেদের বাড়ি আছে। লালমাটিয়া কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বাবা আর বেঁচে নেই। ভাই, বোন আর মাকে নিয়ে চারজনের সংসার। মা গৃহবধূ, ভাই-বোন দুজনই পড়াশোনা করেন।
তরুণীটি তাঁর মীনা কুমারী হিসেবে পুনর্জন্ম সম্পর্কে নিজস্ব একটি গল্প বললেন; তা হলো, টেলিপ্যাথিতে তাঁর মনে হয়েছে, তিনি বাইজি ছিলেন। খুব গরিব ঘরে তাঁর জন্ম হয়েছিল। খুব কষ্ট ও সংগ্রাম করে খ্যাতির শিখরে উঠেছেন। এবং তিনিই সেই মীনা কুমারী।
ওই তরুণী বলেন, যেদিন এটা জানতে পারেন, সেদিন রাতে মা, ভাই-বোনকে তিনি তাঁর নতুন অনুভব, অনুভূতির কথা বলেন। তাঁরা বিষয়টি প্রথমে পাত্তা দিতে চাননি; পরে বলেছেন, ঠিক আছে, তুমিই মীনা কুমারী, তোমাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হবে। তরুণীর আক্ষেপ, মুম্বাই না নিয়ে তাঁকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়া হয়েছে।
ওই তরুণী বারবার বললেন, আসলে আমার তো কোনো অসুখ হয়নি। আমি তো সত্যিকারের মীনা কুমারী। আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। তিনি বললেন, নবম শ্রেণিতে থাকতে একবার তাঁর বাবা মীনা কুমারীর বিখ্যাত ছবি ‘পাকিজা’র ভিডিও ক্যাসেট এনেছিলেন। মীনা কুমারীর এই একটি চলচ্চিত্রই তিনি দেখেছেন। মীনা কুমারীকে নিয়ে কোনো বইও তিনি পড়েননি। বললেন, আমার তো অনেক বয়সে বিয়ে হয়েছিল। ছেলে-পুলে হয়নি। সেই বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। স্বামী মারধর করতেন, আমি তখন দুঃখ ভুলতে ড্রাগ নিতাম। রাজ কাপুর, মধুবালা, বৈজয়ন্তীমালা—এসব জানতেন। রাজ কাপুর আমাকে ভালোবাসতেন। নার্গিসও আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন খুব। আমি মুম্বাই ফিরে গিয়ে তাঁদের স্মৃতিরক্ষায় কিছু করতে চাই।
আমরা একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছি। একজন বললেন, সিনেমায় নতুন করে অভিনয়ের প্রস্তুতি আছে তো? সঙ্গে সঙ্গে বললেন, আমার তো নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার নেই। আমি তো মীনা কুমারী। তারপরও এ যুগের নাচের জন্য যা প্র্যাকটিস-প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সেসব এর মাঝে নিয়েছি। ঘণ্টা দুয়েক পর তরুণী চলে গেলেন। তারপর তাঁর আর মীনা কুমারী হওয়া হয়েছিল কি না জানি না।
ঢাকার এই ‘মীনা কুমারী’কে নিয়ে নিউজ ছাপা হয়েছিল ২০০২ সালের ১ এপ্রিল। সেই প্রতিবেদন পড়ে তখনকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ বলেছিলেন, তরুণীটি ‘সাইকোসিস’ নামের একধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাঁর বর্তমান মানসিক অবস্থাকে বলে ‘ডিলুশন অব পজিশন’ (অবস্থানের বিভ্রম)। এ ধরনের রোগীর মনে সব সময় এ রকম অদ্ভুত বিশ্বাস ভর করে। আর সেটাই তাঁরা বলে বেড়ান।
মীনা কুমারীর এই গল্প লিখতে গিয়ে মনে হলো, আজকাল আমাদের চারপাশে তো অনেক মানুষই নিজেদের নিয়ে এ রকম অদ্ভুত দাবি করে বসেন। এঁরা সবাই কি মানসিক রোগে আক্রান্ত? তাহলে কি মীনা কুমারীদের সংখ্যা দেশে বেড়েই চলেছে? প্রশ্নটা হয়তো কঠিন, উত্তরটা আরও কঠিন।
আরও পড়ুন:

এক তরুণীর মুখের ওপর আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। তিনি যা যা বলছেন, সবাই শুনছি আর একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছি। এত মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তরুণীটির কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি খুব আস্থার সঙ্গে অবলীলায় বলে যাচ্ছেন।
তরুণীর কথা শুনে আমাদের দলের যাঁকে আমরা ‘জ্ঞানী’ সাংবাদিক বলে জানতাম, সে রকম এক সহকর্মী বলে উঠলেন, হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন কেন? এ রকম অবস্থায় সব দলেই দু-একজন সংশয়বাদী থাকেন। তেমন একজন বললেন, এমন অদ্ভুত কথা বাপের জন্মেও শুনিনি। আর আমাদের অগ্রজ সাংবাদিক ফজলুল বারী সমানে নোট নিচ্ছেন, তিনি রিপোর্ট লিখবেন।
জনকণ্ঠে আমাদের প্রতিদিনের রিপোর্টার্স মিটিং ছিল বেলা ১১টায়। সেই মিটিং শেষে নিউজ রুমে নেমেই শুনি, বলিউডের এক নায়িকা এসেছেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে। বলিউডের নায়িকা ঢাকায়, তা-ও আমাদের অফিসে! দৌড়ে গেলাম নিচের অভ্যর্থনায়। দেখি সেখানে কেউ নেই। অভ্যর্থনার এক কর্মী বললেন, তিনি লিফটে ওপরে উঠে গেছেন। আবার পড়িমরি করে এলাম ওপরে। দেখি ফজলুল বারীর সামনে এক তরুণী বসে আছেন, আর তাঁকে ঘিরে আছেন সহকর্মীরা। জ্যেষ্ঠ সহকর্মী আহমেদ নূরে আলম গম্ভীরভাবে তাঁকে দু-একটা করে প্রশ্ন করছেন। তরুণী ঝটপট সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, এতটুকু দেরি করছেন না।
হঠাৎ আমাদের এক সিনিয়র সহকর্মী এসে ভিড়ের মধ্যে গলা বাড়িয়ে দিয়ে জানতে চাইলেন, আপনি যেন কী বললেন আপনার নাম? তরুণী বললেন, বলছি তো আমি মীনা কুমারী। হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী। উপস্থিত সবাই তা শুনে হেসে উঠলেন। তরুণী তাতে দমবার পাত্রী নন। তিনি জোর গলায় বললেন, আমার কথাবার্তাকে আপনারা সিরিয়াসলি নেবেন কিন্তু। ঠাট্টা-মশকরা মনে করবেন না। আমি পাগল বা মানসিক রোগী নই। কোনো গাঁজাখুরি দাবিও করছি না। সত্যি সত্যিই আমি মীনা কুমারী।
এবার শুরু হলো আমাদের প্রশ্নবাণ। তরুণীটির আবদার, তাঁর কথা পত্রিকায় ছাপা হলে তাঁকে নিতে মুম্বাই থেকে লোকজন ছুটে আসবেন ঢাকায়। বললেন, দেখবেন মুম্বাই চলে গেলে আমাকে নিয়ে কী ভীষণ হইচই-না পড়ে যায়! দিলীপ কুমার, সুনীল দত্তসহ পুরোনো বন্ধুরা ছুটে আসবেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। জানেন, রাজ কাপুরকে আমি ভালোবাসতাম। আর নার্গিস আমাকে জীবনে অনেক সাহায্য করেছেন। আমি মুম্বাই ফিরে গিয়ে রাজ কাপুরের স্মরণে একটি মিউজিয়াম করতে চাই। ক্যানসার হাসপাতাল করতে চাই নার্গিসের স্মরণে। কারণ, নার্গিস মারা গেছেন ক্যানসারে।
ফজলুল বারী বললেন, মাস তিনেক আগে একদিন ফোন করে ওই তরুণী বলেছিলেন, তিনি ট্র্যাজিক কুইন নায়িকা মীনা কুমারী। তাঁর পুনর্জন্ম হয়েছে। ধানমন্ডির বাসার ঠিকানা দিয়ে তাঁর ইন্টারভিউ করতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু না যাওয়াতে তিনি নিজেই অফিসে চলে এসেছেন। জনকণ্ঠ ভবনের রিসেপশনে এসেও নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন মীনা কুমারী বলে। যদিও তাঁর নাম আসলে মৌসুমি। তাঁর বাবা একজন প্রকৌশলী। ধানমন্ডিতে নিজেদের বাড়ি আছে। লালমাটিয়া কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বাবা আর বেঁচে নেই। ভাই, বোন আর মাকে নিয়ে চারজনের সংসার। মা গৃহবধূ, ভাই-বোন দুজনই পড়াশোনা করেন।
তরুণীটি তাঁর মীনা কুমারী হিসেবে পুনর্জন্ম সম্পর্কে নিজস্ব একটি গল্প বললেন; তা হলো, টেলিপ্যাথিতে তাঁর মনে হয়েছে, তিনি বাইজি ছিলেন। খুব গরিব ঘরে তাঁর জন্ম হয়েছিল। খুব কষ্ট ও সংগ্রাম করে খ্যাতির শিখরে উঠেছেন। এবং তিনিই সেই মীনা কুমারী।
ওই তরুণী বলেন, যেদিন এটা জানতে পারেন, সেদিন রাতে মা, ভাই-বোনকে তিনি তাঁর নতুন অনুভব, অনুভূতির কথা বলেন। তাঁরা বিষয়টি প্রথমে পাত্তা দিতে চাননি; পরে বলেছেন, ঠিক আছে, তুমিই মীনা কুমারী, তোমাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হবে। তরুণীর আক্ষেপ, মুম্বাই না নিয়ে তাঁকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়া হয়েছে।
ওই তরুণী বারবার বললেন, আসলে আমার তো কোনো অসুখ হয়নি। আমি তো সত্যিকারের মীনা কুমারী। আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। তিনি বললেন, নবম শ্রেণিতে থাকতে একবার তাঁর বাবা মীনা কুমারীর বিখ্যাত ছবি ‘পাকিজা’র ভিডিও ক্যাসেট এনেছিলেন। মীনা কুমারীর এই একটি চলচ্চিত্রই তিনি দেখেছেন। মীনা কুমারীকে নিয়ে কোনো বইও তিনি পড়েননি। বললেন, আমার তো অনেক বয়সে বিয়ে হয়েছিল। ছেলে-পুলে হয়নি। সেই বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। স্বামী মারধর করতেন, আমি তখন দুঃখ ভুলতে ড্রাগ নিতাম। রাজ কাপুর, মধুবালা, বৈজয়ন্তীমালা—এসব জানতেন। রাজ কাপুর আমাকে ভালোবাসতেন। নার্গিসও আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন খুব। আমি মুম্বাই ফিরে গিয়ে তাঁদের স্মৃতিরক্ষায় কিছু করতে চাই।
আমরা একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছি। একজন বললেন, সিনেমায় নতুন করে অভিনয়ের প্রস্তুতি আছে তো? সঙ্গে সঙ্গে বললেন, আমার তো নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার নেই। আমি তো মীনা কুমারী। তারপরও এ যুগের নাচের জন্য যা প্র্যাকটিস-প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সেসব এর মাঝে নিয়েছি। ঘণ্টা দুয়েক পর তরুণী চলে গেলেন। তারপর তাঁর আর মীনা কুমারী হওয়া হয়েছিল কি না জানি না।
ঢাকার এই ‘মীনা কুমারী’কে নিয়ে নিউজ ছাপা হয়েছিল ২০০২ সালের ১ এপ্রিল। সেই প্রতিবেদন পড়ে তখনকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ বলেছিলেন, তরুণীটি ‘সাইকোসিস’ নামের একধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাঁর বর্তমান মানসিক অবস্থাকে বলে ‘ডিলুশন অব পজিশন’ (অবস্থানের বিভ্রম)। এ ধরনের রোগীর মনে সব সময় এ রকম অদ্ভুত বিশ্বাস ভর করে। আর সেটাই তাঁরা বলে বেড়ান।
মীনা কুমারীর এই গল্প লিখতে গিয়ে মনে হলো, আজকাল আমাদের চারপাশে তো অনেক মানুষই নিজেদের নিয়ে এ রকম অদ্ভুত দাবি করে বসেন। এঁরা সবাই কি মানসিক রোগে আক্রান্ত? তাহলে কি মীনা কুমারীদের সংখ্যা দেশে বেড়েই চলেছে? প্রশ্নটা হয়তো কঠিন, উত্তরটা আরও কঠিন।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

এক তরুণীর মুখের ওপর আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। তিনি যা যা বলছেন, সবাই শুনছি আর একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছি। এত মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তরুণীটির কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি খুব আস্থার সঙ্গে অবলীলায়
১৪ জানুয়ারি ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এক তরুণীর মুখের ওপর আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। তিনি যা যা বলছেন, সবাই শুনছি আর একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছি। এত মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তরুণীটির কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি খুব আস্থার সঙ্গে অবলীলায়
১৪ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

এক তরুণীর মুখের ওপর আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। তিনি যা যা বলছেন, সবাই শুনছি আর একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছি। এত মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তরুণীটির কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি খুব আস্থার সঙ্গে অবলীলায়
১৪ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এক তরুণীর মুখের ওপর আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। তিনি যা যা বলছেন, সবাই শুনছি আর একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছি। এত মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তরুণীটির কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি খুব আস্থার সঙ্গে অবলীলায়
১৪ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে