কামরুল হাসান

ভালো একটা নিউজের গন্ধ পেয়ে গেলাম চট্টগ্রামে। দুই দিন বেশ ঘোরাঘুরি করলাম, কিন্তু জুতসই কোনো কিছু দাঁড়াল না। বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে আসব বলে ঠিক করে বিকেলের দিকে ব্যাগ গুছিয়ে ফেললাম। গোধূলি নামের যে গেস্টহাউসে উঠেছি, দেখি আমার পাশের কক্ষে পরিচিত এক পুলিশ কর্মকর্তা। সেই যে কথায় আছে, ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’। ব্যস, শুরু হয়ে গেল গল্পগুজব। আমার মতো তিনিও রাতে ঢাকায় ফিরবেন। হাতে এখনো অনেক সময়। আমার আপাতত কোনো কাজ নেই। তিনি যাবেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক প্রবাসী বন্ধুকে দেখতে। তাঁর প্রস্তাবে সম্মত হয়ে সওয়ারি হয়ে গেলাম।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পশ্চিম দিকের পাঁচতলায় বিশাল এলাকা নিয়ে কেবিন ব্লক, তাঁর সেই বন্ধু সেখানেই ভর্তি। সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলে আমি বাইরে এলাম, তিনি বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে গল্প জুড়ে দিলেন। হাসপাতালের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত টানা বারান্দা। সেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস। সেই খোলা বারান্দায় হাওয়া খেতে খেতে দেখি, একটা কেবিনের দরজার সামনের চেয়ারে খুব আয়েশি ভঙ্গিতে একজন কারারক্ষী বসে আছেন। আরেকজন তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। তাঁরা কথা বলছেন আর একটু পরপর হেসে উঠছেন। এভাবে সাত-আট মিনিট যেতে না যেতেই এক বয়স্ক লোক খাবারভর্তি ক্যারিয়ার নিয়ে সেখানে এলেন। তিনি কারও সঙ্গে কথা না বলে সোজা ভেতরে ঢুকে গেলেন। কারারক্ষীরা যেভাবে গল্প করছিলেন, সেভাবেই করতে থাকলেন। দুই-তিন মিনিট পর খাবার নিয়ে আসা লোকটা কেবিন থেকে বেরিয়ে এলেন। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে নিচে নামার সিঁড়ি। লোকটি সিঁড়ির মুখে আসতেই তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, আপনি কি কোনো আসামির জন্য খাবার নিয়ে এসেছিলেন? তিনি কোনো কথা না বলে সিঁড়ি ধরে নিচে নামতে লাগলেন।
আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, তিনি নিচে নামলেন না। অর্ধেক সিঁড়ি নেমে আবার ওপরে উঠে এলেন। এরপর সোজা চলে গেলেন সেই কেবিনের দুই কারারক্ষীর কাছে। তাঁদের কাছে গিয়ে কী যেন বলে হনহন করে হাঁটা দিলেন। লোকটার গতিবিধি আমার কাছে খুব অবাক লাগল।
লোকটা চলে যাওয়ার পর আমি দুই কারারক্ষীর কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম, এই কেবিনে কি কোনো আসামি থাকেন? দুই কারারক্ষী আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে বললেন, আপনার পরিচয় কী? কেন এসব জানতে চান? অগত্যা সাংবাদিক পরিচয় দিলে তাঁরা বললেন, আপনার কোনো কিছু জানার থাকলে কারাগারের জেলার বা সুপারকে ফোন দেন। আমরা কিছু জানি না। আমি আসামির নাম জানতে চাইলে তাঁরা বললেন, তাঁরা নাম জানেন না। আমার সঙ্গে কারারক্ষীদের কথা বলার সময় কেবিনের সব আলো নিভে গেল।
আমার পরিচিত সেই পুলিশ কর্মকর্তা ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁকে বললাম, আপনি চলে যেতে পারেন, আমার একটু দেরি হবে। আমাদের দুজনের একসঙ্গে ফেরার কথা ছিল, কিন্তু আমার কথা শুনে তিনি বললেন, আপনি কি রাতে ঢাকায় যাচ্ছেন না? আমি বললাম, একটু পরে বলতে পারব। তিনি কিছু না বলে চলে গেলেন।
সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর হদিস বের করা ক্রাইম রিপোর্টারদের কাছে কোনো কাজই না। সেই সব টেকনিক কাজে লাগাতে শুরু করলাম। সোজা চলে গেলাম কেবিনের নার্সদের রুমে। জানতে চাইলাম ১৭ নম্বর কেবিনের রোগীর নাম কী? নার্স ১৭ নম্বর কেবিনের ফাইলটা হাতে নিয়ে চোখ বুলিয়ে কোনো উত্তর না দিয়ে আমার দিকে চেয়ে বললেন, তিনি আগে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২২ নম্বর কেবিনে ছিলেন। কয়েক দিন হলো এই কেবিনে। আমি আবারও জানতে চাইলাম, নাম কী? তিনি কিছুটা আমতা-আমতা করে বললেন, ইয়াসিন রহমান টিটো। তিনি কার অধীনে ভর্তি জানতে চাইলে নার্স বললেন, নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান কামাল উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক আনিসুল ইসলাম খান তাঁকে দেখছেন। রোগ কী? বললেন, পিঠে ব্যথা।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে এটাই আমার প্রথম আসা। খুঁজে বের করলাম নিউরোসার্জারি বিভাগ। কিন্তু দুজন চিকিৎসকের কেউই হাসপাতালে নেই। কয়েকজনের কাছে ফোন নম্বর চাইলাম, কেউ দিতে রাজি হলেন না। আবার ফিরে এলাম কেবিনের সামনে। দেখি ১৭ নম্বর কেবিনের মুখোমুখি যে কেবিন, সেই কেবিন থেকে দুই ব্যক্তি বের হয়ে যাচ্ছেন। দেখে মনে হলো তাঁরা স্থানীয়। তাঁদের একজনের কাছে জানতে চাইলাম, ১৭ নম্বর কেবিন সম্পর্কে কিছু জানেন? দুজন কিছু বলতে চাইছিলেন, আমি সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তাঁরা আমার সঙ্গে বারান্দার দিকে এলেন। একজন বললেন, এই বন্দী হলেন চট্টগ্রামের শিল্পপতি ও কেডিএস গ্রুপের মালিক খলিলুর রহমানের ছেলে টিটো। জিবরান তায়েবি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন বললেন, ‘উনি যে বন্দী, তা বোঝার উপায় নেই। একটু কেবিনের ভেতরে ঢুকে দেখেন, কী নেই—ল্যাপটপ, ফোন—সবই আছে। রাতে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডাও জমান। বড়লোক বাবা আছেন, সবকিছু ম্যানেজ করছেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারের কেবিনে ভিআইপি হয়ে আছেন।’ তাঁদের কথা শুনে উত্তেজনা বেড়ে গেল। গোধূলি গেস্টহাউসের ম্যানেজারকে ফোন করে বললাম, আজ রাতে ঢাকায় যাচ্ছি না, রুম থাকবে।
ইনডিপেনডেন্ট টিভির বার্তাপ্রধান মামুন আবদুল্লাহ তখন চট্টগ্রাম ব্যুরোর দায়িত্বে। তাঁকে ফোন করে টিটোর কথা বলতেই তিনি অফিসে যেতে বলেন। গেলাম ইনডিপেনডেন্ট টিভির লাভ লেনের অফিসে। মামুন আবদুল্লাহ সবকিছু শুনে দুই মিনিটের মধ্যে কয়েকটি লিংক মেইল করে দিয়ে বললেন, এর ভেতরে ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। আবার ছুটলাম গরিবুল্লাহ মাজারের কাছে গেস্টহাউসে।
রুমে ফিরে লিংকগুলো খুলে দেখি, জিবরান তায়েবি হলেন জাহাজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট্রান্স মেরিটাইম (বিডি) লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা টি এ খানের একমাত্র ছেলে। ১৯৯৯ সালের ৯ জুন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের কার্যালয় থেকে খুলশীর বাসায় ফেরার পথে তিনি খুন হন। সেই মামলায় পুলিশ শিল্পপতির পুত্রসহ আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রামের আরেক শিল্পপতির মেয়ের সঙ্গে প্রেমের ঘটনা নিয়ে ইয়াসিন রহমান টিটো ও তাঁর সঙ্গীরা জিবরানকে খুন করেন। কিন্তু নিম্ন আদালতে বিচারে শিল্পপতির পুত্রকে বেকসুর খালাস দিয়ে অন্য ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। উচ্চ আদালত শিল্পপতির পুত্রকেও যাবজ্জীবন সাজা দেন। হাইকোর্টের রায় ঘোষণা পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর শিল্পপতির পুত্র আত্মগোপনে থাকেন। ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ নিয়ে আপিলও হয়েছিল, কিন্তু রায় আর নড়চড় হয়নি।
আত্মসমর্পণ করে শিল্পপতির পুত্র কারাগারে গেলেও মাত্র তিন দিন কারাগারে ছিলেন। বাকি এক বছর আড়াই মাস বা ৪৪০ দিন তিনি হাসপাতালেই আছেন। ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি আমি সেখানে গিয়ে শুনেছিলাম, তাঁর রোগ বলতে ছিল ‘পিঠে ব্যথা’।
গেস্টহাউস থেকে পরদিন সকালে নাশতা করেই দৌড় দিলাম হাসপাতালে। হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে পেয়ে গেলাম সহকারী অধ্যাপক আনিসুল ইসলাম খানকে। তাঁর কাছে রোগী ও রোগ সম্পর্কে জানতে চাইতেই তিনি বললেন, ‘সবই তো বোঝেন, ভাই’। গেলাম পরিচালকের কাছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তখন পরিচালক ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল গনি। তিনি বললেন, ‘আরে ভাই, রোগীর চিকিৎসা করেন চিকিৎসক, পরিচালক তো নয়।’ এভাবে যত কথা বলছি, মনে হচ্ছে কোনো এক অদৃশ্য কারণে সবাই সবকিছু জেনেও এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমার উৎসাহ আরও বেড়ে গেল।
হাসপাতাল থেকে একটা সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গেলাম চট্টগ্রাম কারাগারে। সেখানকার জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগীর মিয়া আমার পরিচিত। তিনি রোগীর সব তথ্য দিয়ে বললেন, ‘হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে রোগীর ছাড়পত্র দিতে বলেছেন। দফায় দফায় চিঠি দিয়েছেন, কিন্তু বন্দী আর কারাগারে ফিরে আসেননি।’ তাঁর কথা শুনে মনে হলো, শিল্পপতির পুত্রের এভাবে মাসের পর মাস হাসপাতালে অবস্থানের ঘটনা নিয়ে বিব্রত কারা প্রশাসন। কিন্তু তাদের কিছু করার নেই।
আমার সব কাজ শেষ, এবার ফোন দিলাম কারাবন্দী টিটোর বাবা শিল্পপতি খলিলুর রহমানকে। তিনি আমার কাছ থেকে সবকিছু শুনে কোনো মন্তব্য না করে ফোন রেখে দিলেন। ভেবে নিলাম, আমার কাজ শেষ। এবার নিউজ লিখে পাঠাতে যত দেরি। কিন্তু তাঁর ফোন রাখতেই শুরু হলো তদবির। একের পর এক ফোন আসতে লাগল। সবার আবদার—নিউজ যেন না করা হয়। পরদিন লিড হলো, ‘যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১৪ মাস হাসপাতালে’।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারির সকাল। তখনো পত্রিকা দেখিনি। কারাগার থেকে জেলারের ফোন। বলেন, কারা অধিদপ্তরে হুলুস্থুল পড়ে গেছে। দ্রুত হাসপাতালে আসেন, আসামিকে এখনই কারাগারে ফিরিয়ে আনা হবে।
গেলাম হাসপাতালে। আবার আমি হাসপাতালের বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। সকালের মিষ্টি রোদ গায়ে এসে লাগছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখলাম, ক্ষমতার সকল দর্প চূর্ণ করে মহাক্ষমতাধর এক আসামিকে কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সেদিন মনে হয়েছিল, খবরের অনেক শক্তি। সেই শক্তির কাছে মহাক্ষমতাধরেরা পরাজিত হয়। কিন্তু আজ মনে হয়, সেটা একেবারেই ঠিক নয়। আজকের বদলে যাওয়া সময়ের মুখে খবরের মানুষগুলো সত্যিই বড় অসহায়।
আরও পড়ুন:

ভালো একটা নিউজের গন্ধ পেয়ে গেলাম চট্টগ্রামে। দুই দিন বেশ ঘোরাঘুরি করলাম, কিন্তু জুতসই কোনো কিছু দাঁড়াল না। বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে আসব বলে ঠিক করে বিকেলের দিকে ব্যাগ গুছিয়ে ফেললাম। গোধূলি নামের যে গেস্টহাউসে উঠেছি, দেখি আমার পাশের কক্ষে পরিচিত এক পুলিশ কর্মকর্তা। সেই যে কথায় আছে, ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’। ব্যস, শুরু হয়ে গেল গল্পগুজব। আমার মতো তিনিও রাতে ঢাকায় ফিরবেন। হাতে এখনো অনেক সময়। আমার আপাতত কোনো কাজ নেই। তিনি যাবেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক প্রবাসী বন্ধুকে দেখতে। তাঁর প্রস্তাবে সম্মত হয়ে সওয়ারি হয়ে গেলাম।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পশ্চিম দিকের পাঁচতলায় বিশাল এলাকা নিয়ে কেবিন ব্লক, তাঁর সেই বন্ধু সেখানেই ভর্তি। সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলে আমি বাইরে এলাম, তিনি বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে গল্প জুড়ে দিলেন। হাসপাতালের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত টানা বারান্দা। সেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস। সেই খোলা বারান্দায় হাওয়া খেতে খেতে দেখি, একটা কেবিনের দরজার সামনের চেয়ারে খুব আয়েশি ভঙ্গিতে একজন কারারক্ষী বসে আছেন। আরেকজন তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। তাঁরা কথা বলছেন আর একটু পরপর হেসে উঠছেন। এভাবে সাত-আট মিনিট যেতে না যেতেই এক বয়স্ক লোক খাবারভর্তি ক্যারিয়ার নিয়ে সেখানে এলেন। তিনি কারও সঙ্গে কথা না বলে সোজা ভেতরে ঢুকে গেলেন। কারারক্ষীরা যেভাবে গল্প করছিলেন, সেভাবেই করতে থাকলেন। দুই-তিন মিনিট পর খাবার নিয়ে আসা লোকটা কেবিন থেকে বেরিয়ে এলেন। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে নিচে নামার সিঁড়ি। লোকটি সিঁড়ির মুখে আসতেই তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, আপনি কি কোনো আসামির জন্য খাবার নিয়ে এসেছিলেন? তিনি কোনো কথা না বলে সিঁড়ি ধরে নিচে নামতে লাগলেন।
আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, তিনি নিচে নামলেন না। অর্ধেক সিঁড়ি নেমে আবার ওপরে উঠে এলেন। এরপর সোজা চলে গেলেন সেই কেবিনের দুই কারারক্ষীর কাছে। তাঁদের কাছে গিয়ে কী যেন বলে হনহন করে হাঁটা দিলেন। লোকটার গতিবিধি আমার কাছে খুব অবাক লাগল।
লোকটা চলে যাওয়ার পর আমি দুই কারারক্ষীর কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম, এই কেবিনে কি কোনো আসামি থাকেন? দুই কারারক্ষী আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে বললেন, আপনার পরিচয় কী? কেন এসব জানতে চান? অগত্যা সাংবাদিক পরিচয় দিলে তাঁরা বললেন, আপনার কোনো কিছু জানার থাকলে কারাগারের জেলার বা সুপারকে ফোন দেন। আমরা কিছু জানি না। আমি আসামির নাম জানতে চাইলে তাঁরা বললেন, তাঁরা নাম জানেন না। আমার সঙ্গে কারারক্ষীদের কথা বলার সময় কেবিনের সব আলো নিভে গেল।
আমার পরিচিত সেই পুলিশ কর্মকর্তা ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁকে বললাম, আপনি চলে যেতে পারেন, আমার একটু দেরি হবে। আমাদের দুজনের একসঙ্গে ফেরার কথা ছিল, কিন্তু আমার কথা শুনে তিনি বললেন, আপনি কি রাতে ঢাকায় যাচ্ছেন না? আমি বললাম, একটু পরে বলতে পারব। তিনি কিছু না বলে চলে গেলেন।
সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর হদিস বের করা ক্রাইম রিপোর্টারদের কাছে কোনো কাজই না। সেই সব টেকনিক কাজে লাগাতে শুরু করলাম। সোজা চলে গেলাম কেবিনের নার্সদের রুমে। জানতে চাইলাম ১৭ নম্বর কেবিনের রোগীর নাম কী? নার্স ১৭ নম্বর কেবিনের ফাইলটা হাতে নিয়ে চোখ বুলিয়ে কোনো উত্তর না দিয়ে আমার দিকে চেয়ে বললেন, তিনি আগে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২২ নম্বর কেবিনে ছিলেন। কয়েক দিন হলো এই কেবিনে। আমি আবারও জানতে চাইলাম, নাম কী? তিনি কিছুটা আমতা-আমতা করে বললেন, ইয়াসিন রহমান টিটো। তিনি কার অধীনে ভর্তি জানতে চাইলে নার্স বললেন, নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান কামাল উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক আনিসুল ইসলাম খান তাঁকে দেখছেন। রোগ কী? বললেন, পিঠে ব্যথা।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে এটাই আমার প্রথম আসা। খুঁজে বের করলাম নিউরোসার্জারি বিভাগ। কিন্তু দুজন চিকিৎসকের কেউই হাসপাতালে নেই। কয়েকজনের কাছে ফোন নম্বর চাইলাম, কেউ দিতে রাজি হলেন না। আবার ফিরে এলাম কেবিনের সামনে। দেখি ১৭ নম্বর কেবিনের মুখোমুখি যে কেবিন, সেই কেবিন থেকে দুই ব্যক্তি বের হয়ে যাচ্ছেন। দেখে মনে হলো তাঁরা স্থানীয়। তাঁদের একজনের কাছে জানতে চাইলাম, ১৭ নম্বর কেবিন সম্পর্কে কিছু জানেন? দুজন কিছু বলতে চাইছিলেন, আমি সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তাঁরা আমার সঙ্গে বারান্দার দিকে এলেন। একজন বললেন, এই বন্দী হলেন চট্টগ্রামের শিল্পপতি ও কেডিএস গ্রুপের মালিক খলিলুর রহমানের ছেলে টিটো। জিবরান তায়েবি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন বললেন, ‘উনি যে বন্দী, তা বোঝার উপায় নেই। একটু কেবিনের ভেতরে ঢুকে দেখেন, কী নেই—ল্যাপটপ, ফোন—সবই আছে। রাতে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডাও জমান। বড়লোক বাবা আছেন, সবকিছু ম্যানেজ করছেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারের কেবিনে ভিআইপি হয়ে আছেন।’ তাঁদের কথা শুনে উত্তেজনা বেড়ে গেল। গোধূলি গেস্টহাউসের ম্যানেজারকে ফোন করে বললাম, আজ রাতে ঢাকায় যাচ্ছি না, রুম থাকবে।
ইনডিপেনডেন্ট টিভির বার্তাপ্রধান মামুন আবদুল্লাহ তখন চট্টগ্রাম ব্যুরোর দায়িত্বে। তাঁকে ফোন করে টিটোর কথা বলতেই তিনি অফিসে যেতে বলেন। গেলাম ইনডিপেনডেন্ট টিভির লাভ লেনের অফিসে। মামুন আবদুল্লাহ সবকিছু শুনে দুই মিনিটের মধ্যে কয়েকটি লিংক মেইল করে দিয়ে বললেন, এর ভেতরে ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। আবার ছুটলাম গরিবুল্লাহ মাজারের কাছে গেস্টহাউসে।
রুমে ফিরে লিংকগুলো খুলে দেখি, জিবরান তায়েবি হলেন জাহাজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট্রান্স মেরিটাইম (বিডি) লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা টি এ খানের একমাত্র ছেলে। ১৯৯৯ সালের ৯ জুন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের কার্যালয় থেকে খুলশীর বাসায় ফেরার পথে তিনি খুন হন। সেই মামলায় পুলিশ শিল্পপতির পুত্রসহ আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রামের আরেক শিল্পপতির মেয়ের সঙ্গে প্রেমের ঘটনা নিয়ে ইয়াসিন রহমান টিটো ও তাঁর সঙ্গীরা জিবরানকে খুন করেন। কিন্তু নিম্ন আদালতে বিচারে শিল্পপতির পুত্রকে বেকসুর খালাস দিয়ে অন্য ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। উচ্চ আদালত শিল্পপতির পুত্রকেও যাবজ্জীবন সাজা দেন। হাইকোর্টের রায় ঘোষণা পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর শিল্পপতির পুত্র আত্মগোপনে থাকেন। ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ নিয়ে আপিলও হয়েছিল, কিন্তু রায় আর নড়চড় হয়নি।
আত্মসমর্পণ করে শিল্পপতির পুত্র কারাগারে গেলেও মাত্র তিন দিন কারাগারে ছিলেন। বাকি এক বছর আড়াই মাস বা ৪৪০ দিন তিনি হাসপাতালেই আছেন। ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি আমি সেখানে গিয়ে শুনেছিলাম, তাঁর রোগ বলতে ছিল ‘পিঠে ব্যথা’।
গেস্টহাউস থেকে পরদিন সকালে নাশতা করেই দৌড় দিলাম হাসপাতালে। হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে পেয়ে গেলাম সহকারী অধ্যাপক আনিসুল ইসলাম খানকে। তাঁর কাছে রোগী ও রোগ সম্পর্কে জানতে চাইতেই তিনি বললেন, ‘সবই তো বোঝেন, ভাই’। গেলাম পরিচালকের কাছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তখন পরিচালক ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল গনি। তিনি বললেন, ‘আরে ভাই, রোগীর চিকিৎসা করেন চিকিৎসক, পরিচালক তো নয়।’ এভাবে যত কথা বলছি, মনে হচ্ছে কোনো এক অদৃশ্য কারণে সবাই সবকিছু জেনেও এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমার উৎসাহ আরও বেড়ে গেল।
হাসপাতাল থেকে একটা সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গেলাম চট্টগ্রাম কারাগারে। সেখানকার জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগীর মিয়া আমার পরিচিত। তিনি রোগীর সব তথ্য দিয়ে বললেন, ‘হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে রোগীর ছাড়পত্র দিতে বলেছেন। দফায় দফায় চিঠি দিয়েছেন, কিন্তু বন্দী আর কারাগারে ফিরে আসেননি।’ তাঁর কথা শুনে মনে হলো, শিল্পপতির পুত্রের এভাবে মাসের পর মাস হাসপাতালে অবস্থানের ঘটনা নিয়ে বিব্রত কারা প্রশাসন। কিন্তু তাদের কিছু করার নেই।
আমার সব কাজ শেষ, এবার ফোন দিলাম কারাবন্দী টিটোর বাবা শিল্পপতি খলিলুর রহমানকে। তিনি আমার কাছ থেকে সবকিছু শুনে কোনো মন্তব্য না করে ফোন রেখে দিলেন। ভেবে নিলাম, আমার কাজ শেষ। এবার নিউজ লিখে পাঠাতে যত দেরি। কিন্তু তাঁর ফোন রাখতেই শুরু হলো তদবির। একের পর এক ফোন আসতে লাগল। সবার আবদার—নিউজ যেন না করা হয়। পরদিন লিড হলো, ‘যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১৪ মাস হাসপাতালে’।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারির সকাল। তখনো পত্রিকা দেখিনি। কারাগার থেকে জেলারের ফোন। বলেন, কারা অধিদপ্তরে হুলুস্থুল পড়ে গেছে। দ্রুত হাসপাতালে আসেন, আসামিকে এখনই কারাগারে ফিরিয়ে আনা হবে।
গেলাম হাসপাতালে। আবার আমি হাসপাতালের বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। সকালের মিষ্টি রোদ গায়ে এসে লাগছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখলাম, ক্ষমতার সকল দর্প চূর্ণ করে মহাক্ষমতাধর এক আসামিকে কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সেদিন মনে হয়েছিল, খবরের অনেক শক্তি। সেই শক্তির কাছে মহাক্ষমতাধরেরা পরাজিত হয়। কিন্তু আজ মনে হয়, সেটা একেবারেই ঠিক নয়। আজকের বদলে যাওয়া সময়ের মুখে খবরের মানুষগুলো সত্যিই বড় অসহায়।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ভালো একটা নিউজের গন্ধ পেয়ে গেলাম চট্টগ্রামে। দুদিন বেশ ঘোরাঘুরি করলাম, কিন্তু জুতসই কোনো কিছু দাঁড়াল না। বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে আসব বলে ঠিক করে বিকেলের দিকে ব্যাগ গুছিয়ে ফেললাম। গোধূলি নামের যে গেস্টহাউসে
০১ অক্টোবর ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ভালো একটা নিউজের গন্ধ পেয়ে গেলাম চট্টগ্রামে। দুদিন বেশ ঘোরাঘুরি করলাম, কিন্তু জুতসই কোনো কিছু দাঁড়াল না। বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে আসব বলে ঠিক করে বিকেলের দিকে ব্যাগ গুছিয়ে ফেললাম। গোধূলি নামের যে গেস্টহাউসে
০১ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ভালো একটা নিউজের গন্ধ পেয়ে গেলাম চট্টগ্রামে। দুদিন বেশ ঘোরাঘুরি করলাম, কিন্তু জুতসই কোনো কিছু দাঁড়াল না। বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে আসব বলে ঠিক করে বিকেলের দিকে ব্যাগ গুছিয়ে ফেললাম। গোধূলি নামের যে গেস্টহাউসে
০১ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ভালো একটা নিউজের গন্ধ পেয়ে গেলাম চট্টগ্রামে। দুদিন বেশ ঘোরাঘুরি করলাম, কিন্তু জুতসই কোনো কিছু দাঁড়াল না। বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে আসব বলে ঠিক করে বিকেলের দিকে ব্যাগ গুছিয়ে ফেললাম। গোধূলি নামের যে গেস্টহাউসে
০১ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে