কামরুল হাসান

রিকশাটি এসে থামল থানার ফটকের সামনে। দুই যাত্রীর একজন যুবক, অন্যজন ষাটোর্ধ্ব। যুবকের একটি হাত আলগোছে ধরে আছেন বয়স্ক লোকটি। কোনো রকম জোর-জবরদস্তি নেই। রিকশা থেকে নেমে দুজনে হেঁটে ভেতরে ঢুকলেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি তখন মুখ গুঁজে একটি ফাইল পড়ছিলেন। জিনসের প্যান্ট আর টি-শার্ট পরা যুবককে ওসির সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে লোকটি বললেন, এই নিন আপনার আসামি, শীর্ষ সন্ত্রাসী। ওসি চোখ কপালে তুলে যুবকের কাছে জানতে চাইলেন, কী নাম? যুবক নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন, কামাল পাশা। ওসি একবার বৃদ্ধের দিকে, আরেকবার যুবকের দিকে তাকালেন। কিছুই বলতে পারছেন না। ততক্ষণে ঝোড়ো গতিতে থানায় রটে গেছে, সরকারের পুরস্কারঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কামাল পাশা ‘সারেন্ডার’ করেছেন।
আগের দিনের পুলিশ কর্মকর্তারা বলতেন, থানা আর খেয়াঘাটে কোনো কথা গোপন থাকে না। মোহাম্মদপুর থানাতেও শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো, নিমেষে খবর পৌঁছে গেল ক্রাইম রিপোর্টারদের কানে। আমি যখন থানায় এলাম, ততক্ষণে কামাল পাশাকে হাজতে ঢোকানো হয়েছে। আর তাঁর বাবা লিয়াকত আলী ডিউটি অফিসারের সামনে নির্বিকার বসে আছেন।
ডিউটি অফিসার আর লিয়াকত আলীর মুখ থেকে আমি পুরো ঘটনা শুনলাম। মনে হলো, তাঁরা কিছুই গোপন করেননি। কিন্তু ওসির রুমে গিয়ে শুনি, এরই মধ্যে দৃশ্যপট বদলে গেছে। ওসি এখন বলছেন, তিনি বৃদ্ধকে চাপ দিয়ে তাঁর সন্ত্রাসী ছেলে কামাল পাশাকে আত্মসমর্পণ করাতে বাধ্য করেছেন। আরও বললেন, এটা নাকি আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ কৌশল। এ ঘটনার যাবতীয় কৃতিত্ব ওসির। তাঁর সঙ্গে আর তর্কে জড়ালাম না, পাছে তিক্ততা বাড়ে! ওসি আমাকে কামাল পাশার সঙ্গে কথার বলার অনুমতি দিলেন।
থানাহাজতের দিকে একটু উঁকি দিয়ে দেখি, কামাল পাশা দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, কেন আত্মসমর্পণ করলেন? তিনি চুপ করে থাকলেন। আবার একই প্রশ্ন করলাম। এবার তিনি বললেন, ‘ভাই, এটা না করলে আমার মা-বাবা সুইসাইড করবে। বলেন, আপনি হলে কী করতেন?’ আমি তাঁর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে একটার পর একটা প্রশ্ন করছি। মনে আছে, সেদিন তিনি প্রায় সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন।
এটা ছিল ২০০২ সালের ২০ মের বিকেল। ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে তখন কামাল পাশার অনেক নামডাক। সব সময় অস্ত্রধারী সহযোগী নিয়ে চলাফেরা করেন। তবে তাঁর পরিচিতির আরেকটি কারণ ছিল, তিনি সব খুনই করেছিলেন দিনের বেলায়। শত শত লোকের উপস্থিতিতে। খুন করার পরমুহূর্তেই হাওয়া হয়ে যেতেন। সম্ভবত প্রথমে তিনি একজন ঠিকাদারকে খুন করেছিলেন। ১৯৯৭ সালের ২২ মে শাহবাগে পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ঠিকাদার আশিক ইকবালকে গুলি করে খুন করেন।
এ সময় কামালের সঙ্গে তাঁর সহযোগী রাশেদ মোস্তফা রতনও ছিলেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় শেরাটন হোটেলের সামনে এক সার্জেন্ট জীবনবাজি রেখে তাঁদের গতিরোধ করে আটক করেন। পরে কামাল পাশা জামিনে বেরিয়ে আসেন।
২০০০ সালের প্রথম দিকে উত্তরায় আরেক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলেন কামাল পাশা ও তাঁর লোকজন। বনানীর একজন ডিশ ব্যবসায়ীও তাঁর হাতে খুন হন।
২০০০ সালের মে মাসে মোহাম্মদপুরে আশরাফ হোসেন জুয়েল ও মোহাম্মদ আলী রিভেল নামের দুই ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেন কামাল। এরপরই পত্রপত্রিকায় তাঁর নাম বেশি বেশি আসতে থাকে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে কামাল পাশার নাম ছিল। তাঁকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সরকার।
সেদিন থানায় কামাল পাশার সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, তিনি কীভাবে সন্ত্রাসী হলেন। কামাল পাশা বলছিলেন, ঢাকা কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে কিছুদিন একমি ল্যাবরেটরিজে চাকরি করেন। সেখানে এক সন্ত্রাসীর সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। কিছুদিন পর সেই সন্ত্রাসী খুন হয়। এরপর তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা বন্ধ করে দেন।
জানতে চাইলাম, এত দিন গোপনে থাকতেন কোথায়? তিনি বললেন, মোহাম্মদপুরের গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে। এটা ছিল মোহাম্মদপুর থানার পাঁচ শ গজের মধ্যে। বললেন, আজ সকাল পর্যন্ত ওই হোস্টেলেই ছিলেন। কার রুমে থাকতেন? তিনি বললেন, এটা বলা ঠিক হবে না।
কামাল পাশা বলছিলেন, তিনি ছিলেন জোট সরকারের প্রয়াত এমপি নাসিরউদ্দীন পিন্টুর ঘনিষ্ঠ। বিএনপির পুরো সময়ে তিনি পিন্টুর সহযোগিতা নিয়েই ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ভারতে পালিয়ে যান। কিছুদিন বাস করেন কলকাতায়। সেখানে থাকার সময় জানতে পারেন, আরেক সন্ত্রাসী ইমনকে সে দেশের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরপর তিনি কলকাতা ছেড়ে আজমির শরিফে চলে যান। সেখানে আরও কিছুদিন কাটান। পরে পিন্টুর সঙ্গে কথা বলে ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় এসে পিন্টুর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছিলেন। আমাকে বললেন, টেলিফোনে পিন্টু ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হতো। ঢাকায় আসার পর নিরাপদ জায়গা না পেয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ঝাপড়াজানে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। পরে ঢাকায় ফিরে আসেন। এবার মোহাম্মদপুর থানার উল্টো দিকে গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট হোস্টেলের একটি রুমে পাকাপাকি আস্তানা গাড়েন। তাঁর কাছে জায়গাটি ছিল খুব নিরাপদ। সহজে কেউ সন্দেহ করত না।
বললাম, তাহলে আপনি ধরা দিতে রাজি হলেন কেন? কামাল বললেন, কয়েক দিন আগে বড় ভাই পারভেজ আহমেদকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। বাবার চাকরি নেই। পারভেজ ভাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি না থাকলে বাসার সবাই না খেয়ে থাকবে। এই অবস্থায় আব্বা ওসির কাছে কথা দিয়ে যান, আমি এলে তিনি পুলিশকে খবর দেবেন। সম্ভবত এ ধরনের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েই তিনি ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এরপর একদিন ভোরে আমি বাড়ি এলাম। সেদিন সবাই আমাকে নিয়ে বসলেন। তাঁরা আমাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিলেন। আমি প্রথমে রাজি হইনি। পরে মা-বাবা অনেক কান্নাকাটি করলেন। একপর্যায়ে মা বললেন, তিনি আত্মহত্যা করবেন। মায়ের এই কান্না আমার সহ্য হলো না। মনে হলো, মায়ের জন্য কিছু একটা করি। রাজি হয়ে গেলাম, দেখি কী আছে কপালে। আমি কামাল পাশার দিকে তাকালাম, তিনি হাজতের মেঝের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাঁর গলা ধরে এসেছে।
আত্মসমর্পণের পর কামাল পাশাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দেশের সব কাগজে তা ফলাও করে ছাপাও হয়। তিনটি খুনের মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নেয়। এভাবে একের পর এক মামলায় তাঁকে আসামি হিসেবে দেখানো হতে থাকে। এগুলোর মধ্যে ছিল রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ও রমনা থানার দুটি পৃথক হত্যা মামলা এবং তেজগাঁও থানার একটি অস্ত্র মামলা। এসব মামলায় তাঁর ৯০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। ২০০৫ সালের ২৬ আগস্ট তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
এরপর দিনে দিনে কামাল পাশা হারিয়ে যান। অনেক দিন তাঁর আর খোঁজ করিনি। ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই শুনলাম, কামাল পাশা মারা গেছেন। কাশিমপুরের জেলার বলেছিলেন, কারাগারে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কামাল পাশাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রচিত হয় জীবনকাহিনির শেষ অধ্যায়।
অনেক দিন পর পুরোনো ডায়েরি খুঁজতে গিয়ে কামাল পাশার ইন্টারভিউর সেই নোটটা পেয়ে গেলাম। পড়তে গিয়ে মনে হলো, সেদিন থানা থেকে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। বের হওয়ার পথে ডিউটি অফিসারের রুমে উঁকি দিয়ে দেখি, কামাল পাশার বাবা লিয়াকত আলী তখনো বসে আছেন। আমি আবার তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। এবার আর তিনি কিছুই বললেন না। আমার দিকে তাকালেনও না। টলমল চোখে শূন্যের দিকে চেয়ে আছেন। আমার খুব ইচ্ছে করছিল, অসহায় এই বাবার সঙ্গে আরেকটু কথা বলি। কিন্তু অফিস থেকে বারবার ফোন আসছে, তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। বেরিয়ে এলাম থানা থেকে। ‘সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।’
আরও পড়ুন:

রিকশাটি এসে থামল থানার ফটকের সামনে। দুই যাত্রীর একজন যুবক, অন্যজন ষাটোর্ধ্ব। যুবকের একটি হাত আলগোছে ধরে আছেন বয়স্ক লোকটি। কোনো রকম জোর-জবরদস্তি নেই। রিকশা থেকে নেমে দুজনে হেঁটে ভেতরে ঢুকলেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি তখন মুখ গুঁজে একটি ফাইল পড়ছিলেন। জিনসের প্যান্ট আর টি-শার্ট পরা যুবককে ওসির সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে লোকটি বললেন, এই নিন আপনার আসামি, শীর্ষ সন্ত্রাসী। ওসি চোখ কপালে তুলে যুবকের কাছে জানতে চাইলেন, কী নাম? যুবক নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন, কামাল পাশা। ওসি একবার বৃদ্ধের দিকে, আরেকবার যুবকের দিকে তাকালেন। কিছুই বলতে পারছেন না। ততক্ষণে ঝোড়ো গতিতে থানায় রটে গেছে, সরকারের পুরস্কারঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কামাল পাশা ‘সারেন্ডার’ করেছেন।
আগের দিনের পুলিশ কর্মকর্তারা বলতেন, থানা আর খেয়াঘাটে কোনো কথা গোপন থাকে না। মোহাম্মদপুর থানাতেও শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো, নিমেষে খবর পৌঁছে গেল ক্রাইম রিপোর্টারদের কানে। আমি যখন থানায় এলাম, ততক্ষণে কামাল পাশাকে হাজতে ঢোকানো হয়েছে। আর তাঁর বাবা লিয়াকত আলী ডিউটি অফিসারের সামনে নির্বিকার বসে আছেন।
ডিউটি অফিসার আর লিয়াকত আলীর মুখ থেকে আমি পুরো ঘটনা শুনলাম। মনে হলো, তাঁরা কিছুই গোপন করেননি। কিন্তু ওসির রুমে গিয়ে শুনি, এরই মধ্যে দৃশ্যপট বদলে গেছে। ওসি এখন বলছেন, তিনি বৃদ্ধকে চাপ দিয়ে তাঁর সন্ত্রাসী ছেলে কামাল পাশাকে আত্মসমর্পণ করাতে বাধ্য করেছেন। আরও বললেন, এটা নাকি আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ কৌশল। এ ঘটনার যাবতীয় কৃতিত্ব ওসির। তাঁর সঙ্গে আর তর্কে জড়ালাম না, পাছে তিক্ততা বাড়ে! ওসি আমাকে কামাল পাশার সঙ্গে কথার বলার অনুমতি দিলেন।
থানাহাজতের দিকে একটু উঁকি দিয়ে দেখি, কামাল পাশা দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, কেন আত্মসমর্পণ করলেন? তিনি চুপ করে থাকলেন। আবার একই প্রশ্ন করলাম। এবার তিনি বললেন, ‘ভাই, এটা না করলে আমার মা-বাবা সুইসাইড করবে। বলেন, আপনি হলে কী করতেন?’ আমি তাঁর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে একটার পর একটা প্রশ্ন করছি। মনে আছে, সেদিন তিনি প্রায় সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন।
এটা ছিল ২০০২ সালের ২০ মের বিকেল। ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে তখন কামাল পাশার অনেক নামডাক। সব সময় অস্ত্রধারী সহযোগী নিয়ে চলাফেরা করেন। তবে তাঁর পরিচিতির আরেকটি কারণ ছিল, তিনি সব খুনই করেছিলেন দিনের বেলায়। শত শত লোকের উপস্থিতিতে। খুন করার পরমুহূর্তেই হাওয়া হয়ে যেতেন। সম্ভবত প্রথমে তিনি একজন ঠিকাদারকে খুন করেছিলেন। ১৯৯৭ সালের ২২ মে শাহবাগে পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ঠিকাদার আশিক ইকবালকে গুলি করে খুন করেন।
এ সময় কামালের সঙ্গে তাঁর সহযোগী রাশেদ মোস্তফা রতনও ছিলেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় শেরাটন হোটেলের সামনে এক সার্জেন্ট জীবনবাজি রেখে তাঁদের গতিরোধ করে আটক করেন। পরে কামাল পাশা জামিনে বেরিয়ে আসেন।
২০০০ সালের প্রথম দিকে উত্তরায় আরেক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলেন কামাল পাশা ও তাঁর লোকজন। বনানীর একজন ডিশ ব্যবসায়ীও তাঁর হাতে খুন হন।
২০০০ সালের মে মাসে মোহাম্মদপুরে আশরাফ হোসেন জুয়েল ও মোহাম্মদ আলী রিভেল নামের দুই ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেন কামাল। এরপরই পত্রপত্রিকায় তাঁর নাম বেশি বেশি আসতে থাকে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে কামাল পাশার নাম ছিল। তাঁকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সরকার।
সেদিন থানায় কামাল পাশার সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, তিনি কীভাবে সন্ত্রাসী হলেন। কামাল পাশা বলছিলেন, ঢাকা কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে কিছুদিন একমি ল্যাবরেটরিজে চাকরি করেন। সেখানে এক সন্ত্রাসীর সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। কিছুদিন পর সেই সন্ত্রাসী খুন হয়। এরপর তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা বন্ধ করে দেন।
জানতে চাইলাম, এত দিন গোপনে থাকতেন কোথায়? তিনি বললেন, মোহাম্মদপুরের গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে। এটা ছিল মোহাম্মদপুর থানার পাঁচ শ গজের মধ্যে। বললেন, আজ সকাল পর্যন্ত ওই হোস্টেলেই ছিলেন। কার রুমে থাকতেন? তিনি বললেন, এটা বলা ঠিক হবে না।
কামাল পাশা বলছিলেন, তিনি ছিলেন জোট সরকারের প্রয়াত এমপি নাসিরউদ্দীন পিন্টুর ঘনিষ্ঠ। বিএনপির পুরো সময়ে তিনি পিন্টুর সহযোগিতা নিয়েই ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ভারতে পালিয়ে যান। কিছুদিন বাস করেন কলকাতায়। সেখানে থাকার সময় জানতে পারেন, আরেক সন্ত্রাসী ইমনকে সে দেশের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরপর তিনি কলকাতা ছেড়ে আজমির শরিফে চলে যান। সেখানে আরও কিছুদিন কাটান। পরে পিন্টুর সঙ্গে কথা বলে ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় এসে পিন্টুর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছিলেন। আমাকে বললেন, টেলিফোনে পিন্টু ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হতো। ঢাকায় আসার পর নিরাপদ জায়গা না পেয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ঝাপড়াজানে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। পরে ঢাকায় ফিরে আসেন। এবার মোহাম্মদপুর থানার উল্টো দিকে গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট হোস্টেলের একটি রুমে পাকাপাকি আস্তানা গাড়েন। তাঁর কাছে জায়গাটি ছিল খুব নিরাপদ। সহজে কেউ সন্দেহ করত না।
বললাম, তাহলে আপনি ধরা দিতে রাজি হলেন কেন? কামাল বললেন, কয়েক দিন আগে বড় ভাই পারভেজ আহমেদকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। বাবার চাকরি নেই। পারভেজ ভাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি না থাকলে বাসার সবাই না খেয়ে থাকবে। এই অবস্থায় আব্বা ওসির কাছে কথা দিয়ে যান, আমি এলে তিনি পুলিশকে খবর দেবেন। সম্ভবত এ ধরনের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েই তিনি ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এরপর একদিন ভোরে আমি বাড়ি এলাম। সেদিন সবাই আমাকে নিয়ে বসলেন। তাঁরা আমাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিলেন। আমি প্রথমে রাজি হইনি। পরে মা-বাবা অনেক কান্নাকাটি করলেন। একপর্যায়ে মা বললেন, তিনি আত্মহত্যা করবেন। মায়ের এই কান্না আমার সহ্য হলো না। মনে হলো, মায়ের জন্য কিছু একটা করি। রাজি হয়ে গেলাম, দেখি কী আছে কপালে। আমি কামাল পাশার দিকে তাকালাম, তিনি হাজতের মেঝের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাঁর গলা ধরে এসেছে।
আত্মসমর্পণের পর কামাল পাশাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দেশের সব কাগজে তা ফলাও করে ছাপাও হয়। তিনটি খুনের মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নেয়। এভাবে একের পর এক মামলায় তাঁকে আসামি হিসেবে দেখানো হতে থাকে। এগুলোর মধ্যে ছিল রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ও রমনা থানার দুটি পৃথক হত্যা মামলা এবং তেজগাঁও থানার একটি অস্ত্র মামলা। এসব মামলায় তাঁর ৯০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। ২০০৫ সালের ২৬ আগস্ট তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
এরপর দিনে দিনে কামাল পাশা হারিয়ে যান। অনেক দিন তাঁর আর খোঁজ করিনি। ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই শুনলাম, কামাল পাশা মারা গেছেন। কাশিমপুরের জেলার বলেছিলেন, কারাগারে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কামাল পাশাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রচিত হয় জীবনকাহিনির শেষ অধ্যায়।
অনেক দিন পর পুরোনো ডায়েরি খুঁজতে গিয়ে কামাল পাশার ইন্টারভিউর সেই নোটটা পেয়ে গেলাম। পড়তে গিয়ে মনে হলো, সেদিন থানা থেকে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। বের হওয়ার পথে ডিউটি অফিসারের রুমে উঁকি দিয়ে দেখি, কামাল পাশার বাবা লিয়াকত আলী তখনো বসে আছেন। আমি আবার তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। এবার আর তিনি কিছুই বললেন না। আমার দিকে তাকালেনও না। টলমল চোখে শূন্যের দিকে চেয়ে আছেন। আমার খুব ইচ্ছে করছিল, অসহায় এই বাবার সঙ্গে আরেকটু কথা বলি। কিন্তু অফিস থেকে বারবার ফোন আসছে, তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। বেরিয়ে এলাম থানা থেকে। ‘সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।’
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

রিকশাটি এসে থামল থানার ফটকের সামনে। দুই যাত্রীর একজন যুবক, অন্যজন ষাটোর্ধ্ব। যুবকের একটি হাত আলগোছে ধরে আছেন বয়স্ক লোকটি। কোনো রকম জোর-জবরদস্তি নেই। রিকশা থেকে নেমে দুজনে হেঁটে ভেতরে ঢুকলেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি তখন মুখ গুঁজে একটি ফাইল পড়ছিলেন। জিনসের প্যান্ট আর টি-শার্ট পরা যুবককে ওসির সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে লোকটি বললেন, এই নিন আপনার আসামি, শীর্ষ সন্ত্রাসী। ওসি চোখ কপালে তুলে যুবকের কাছে জানতে চাইলেন, কী নাম? যুবক নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন, কামাল পাশা। ওসি একবার বৃদ্ধের দিকে, আরেকবার যুবকের দিকে তাকালেন। কিছুই বলতে পারছেন না। ততক্ষণে ঝোড়ো গতিতে থানায় রটে গেছে, সরকারের পুরস্কারঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কামাল পাশা ‘সারেন্ডার’ করেছেন।
আগের দিনের পুলিশ কর্মকর্তারা বলতেন, থানা আর খেয়াঘাটে কোনো কথা গোপন থাকে না। মোহাম্মদপুর থানাতেও শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো, নিমেষে খবর পৌঁছে গেল ক্রাইম রিপোর্টারদের কানে। আমি যখন থানায় এলাম, ততক্ষণে কামাল পাশাকে হাজতে ঢোকানো হয়েছে। আর তাঁর বাবা লিয়াকত আলী ডিউটি অফিসারের সামনে নির্বিকার বসে আছেন।
ডিউটি অফিসার আর লিয়াকত আলীর মুখ থেকে আমি পুরো ঘটনা শুনলাম। মনে হলো, তাঁরা কিছুই গোপন করেননি। কিন্তু ওসির রুমে গিয়ে শুনি, এরই মধ্যে দৃশ্যপট বদলে গেছে। ওসি এখন বলছেন, তিনি বৃদ্ধকে চাপ দিয়ে তাঁর সন্ত্রাসী ছেলে কামাল পাশাকে আত্মসমর্পণ করাতে বাধ্য করেছেন। আরও বললেন, এটা নাকি আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ কৌশল। এ ঘটনার যাবতীয় কৃতিত্ব ওসির। তাঁর সঙ্গে আর তর্কে জড়ালাম না, পাছে তিক্ততা বাড়ে! ওসি আমাকে কামাল পাশার সঙ্গে কথার বলার অনুমতি দিলেন।
থানাহাজতের দিকে একটু উঁকি দিয়ে দেখি, কামাল পাশা দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, কেন আত্মসমর্পণ করলেন? তিনি চুপ করে থাকলেন। আবার একই প্রশ্ন করলাম। এবার তিনি বললেন, ‘ভাই, এটা না করলে আমার মা-বাবা সুইসাইড করবে। বলেন, আপনি হলে কী করতেন?’ আমি তাঁর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে একটার পর একটা প্রশ্ন করছি। মনে আছে, সেদিন তিনি প্রায় সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন।
এটা ছিল ২০০২ সালের ২০ মের বিকেল। ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে তখন কামাল পাশার অনেক নামডাক। সব সময় অস্ত্রধারী সহযোগী নিয়ে চলাফেরা করেন। তবে তাঁর পরিচিতির আরেকটি কারণ ছিল, তিনি সব খুনই করেছিলেন দিনের বেলায়। শত শত লোকের উপস্থিতিতে। খুন করার পরমুহূর্তেই হাওয়া হয়ে যেতেন। সম্ভবত প্রথমে তিনি একজন ঠিকাদারকে খুন করেছিলেন। ১৯৯৭ সালের ২২ মে শাহবাগে পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ঠিকাদার আশিক ইকবালকে গুলি করে খুন করেন।
এ সময় কামালের সঙ্গে তাঁর সহযোগী রাশেদ মোস্তফা রতনও ছিলেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় শেরাটন হোটেলের সামনে এক সার্জেন্ট জীবনবাজি রেখে তাঁদের গতিরোধ করে আটক করেন। পরে কামাল পাশা জামিনে বেরিয়ে আসেন।
২০০০ সালের প্রথম দিকে উত্তরায় আরেক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলেন কামাল পাশা ও তাঁর লোকজন। বনানীর একজন ডিশ ব্যবসায়ীও তাঁর হাতে খুন হন।
২০০০ সালের মে মাসে মোহাম্মদপুরে আশরাফ হোসেন জুয়েল ও মোহাম্মদ আলী রিভেল নামের দুই ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেন কামাল। এরপরই পত্রপত্রিকায় তাঁর নাম বেশি বেশি আসতে থাকে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে কামাল পাশার নাম ছিল। তাঁকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সরকার।
সেদিন থানায় কামাল পাশার সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, তিনি কীভাবে সন্ত্রাসী হলেন। কামাল পাশা বলছিলেন, ঢাকা কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে কিছুদিন একমি ল্যাবরেটরিজে চাকরি করেন। সেখানে এক সন্ত্রাসীর সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। কিছুদিন পর সেই সন্ত্রাসী খুন হয়। এরপর তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা বন্ধ করে দেন।
জানতে চাইলাম, এত দিন গোপনে থাকতেন কোথায়? তিনি বললেন, মোহাম্মদপুরের গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে। এটা ছিল মোহাম্মদপুর থানার পাঁচ শ গজের মধ্যে। বললেন, আজ সকাল পর্যন্ত ওই হোস্টেলেই ছিলেন। কার রুমে থাকতেন? তিনি বললেন, এটা বলা ঠিক হবে না।
কামাল পাশা বলছিলেন, তিনি ছিলেন জোট সরকারের প্রয়াত এমপি নাসিরউদ্দীন পিন্টুর ঘনিষ্ঠ। বিএনপির পুরো সময়ে তিনি পিন্টুর সহযোগিতা নিয়েই ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ভারতে পালিয়ে যান। কিছুদিন বাস করেন কলকাতায়। সেখানে থাকার সময় জানতে পারেন, আরেক সন্ত্রাসী ইমনকে সে দেশের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরপর তিনি কলকাতা ছেড়ে আজমির শরিফে চলে যান। সেখানে আরও কিছুদিন কাটান। পরে পিন্টুর সঙ্গে কথা বলে ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় এসে পিন্টুর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছিলেন। আমাকে বললেন, টেলিফোনে পিন্টু ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হতো। ঢাকায় আসার পর নিরাপদ জায়গা না পেয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ঝাপড়াজানে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। পরে ঢাকায় ফিরে আসেন। এবার মোহাম্মদপুর থানার উল্টো দিকে গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট হোস্টেলের একটি রুমে পাকাপাকি আস্তানা গাড়েন। তাঁর কাছে জায়গাটি ছিল খুব নিরাপদ। সহজে কেউ সন্দেহ করত না।
বললাম, তাহলে আপনি ধরা দিতে রাজি হলেন কেন? কামাল বললেন, কয়েক দিন আগে বড় ভাই পারভেজ আহমেদকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। বাবার চাকরি নেই। পারভেজ ভাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি না থাকলে বাসার সবাই না খেয়ে থাকবে। এই অবস্থায় আব্বা ওসির কাছে কথা দিয়ে যান, আমি এলে তিনি পুলিশকে খবর দেবেন। সম্ভবত এ ধরনের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েই তিনি ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এরপর একদিন ভোরে আমি বাড়ি এলাম। সেদিন সবাই আমাকে নিয়ে বসলেন। তাঁরা আমাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিলেন। আমি প্রথমে রাজি হইনি। পরে মা-বাবা অনেক কান্নাকাটি করলেন। একপর্যায়ে মা বললেন, তিনি আত্মহত্যা করবেন। মায়ের এই কান্না আমার সহ্য হলো না। মনে হলো, মায়ের জন্য কিছু একটা করি। রাজি হয়ে গেলাম, দেখি কী আছে কপালে। আমি কামাল পাশার দিকে তাকালাম, তিনি হাজতের মেঝের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাঁর গলা ধরে এসেছে।
আত্মসমর্পণের পর কামাল পাশাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দেশের সব কাগজে তা ফলাও করে ছাপাও হয়। তিনটি খুনের মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নেয়। এভাবে একের পর এক মামলায় তাঁকে আসামি হিসেবে দেখানো হতে থাকে। এগুলোর মধ্যে ছিল রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ও রমনা থানার দুটি পৃথক হত্যা মামলা এবং তেজগাঁও থানার একটি অস্ত্র মামলা। এসব মামলায় তাঁর ৯০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। ২০০৫ সালের ২৬ আগস্ট তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
এরপর দিনে দিনে কামাল পাশা হারিয়ে যান। অনেক দিন তাঁর আর খোঁজ করিনি। ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই শুনলাম, কামাল পাশা মারা গেছেন। কাশিমপুরের জেলার বলেছিলেন, কারাগারে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কামাল পাশাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রচিত হয় জীবনকাহিনির শেষ অধ্যায়।
অনেক দিন পর পুরোনো ডায়েরি খুঁজতে গিয়ে কামাল পাশার ইন্টারভিউর সেই নোটটা পেয়ে গেলাম। পড়তে গিয়ে মনে হলো, সেদিন থানা থেকে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। বের হওয়ার পথে ডিউটি অফিসারের রুমে উঁকি দিয়ে দেখি, কামাল পাশার বাবা লিয়াকত আলী তখনো বসে আছেন। আমি আবার তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। এবার আর তিনি কিছুই বললেন না। আমার দিকে তাকালেনও না। টলমল চোখে শূন্যের দিকে চেয়ে আছেন। আমার খুব ইচ্ছে করছিল, অসহায় এই বাবার সঙ্গে আরেকটু কথা বলি। কিন্তু অফিস থেকে বারবার ফোন আসছে, তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। বেরিয়ে এলাম থানা থেকে। ‘সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।’
আরও পড়ুন:

রিকশাটি এসে থামল থানার ফটকের সামনে। দুই যাত্রীর একজন যুবক, অন্যজন ষাটোর্ধ্ব। যুবকের একটি হাত আলগোছে ধরে আছেন বয়স্ক লোকটি। কোনো রকম জোর-জবরদস্তি নেই। রিকশা থেকে নেমে দুজনে হেঁটে ভেতরে ঢুকলেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি তখন মুখ গুঁজে একটি ফাইল পড়ছিলেন। জিনসের প্যান্ট আর টি-শার্ট পরা যুবককে ওসির সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে লোকটি বললেন, এই নিন আপনার আসামি, শীর্ষ সন্ত্রাসী। ওসি চোখ কপালে তুলে যুবকের কাছে জানতে চাইলেন, কী নাম? যুবক নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন, কামাল পাশা। ওসি একবার বৃদ্ধের দিকে, আরেকবার যুবকের দিকে তাকালেন। কিছুই বলতে পারছেন না। ততক্ষণে ঝোড়ো গতিতে থানায় রটে গেছে, সরকারের পুরস্কারঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কামাল পাশা ‘সারেন্ডার’ করেছেন।
আগের দিনের পুলিশ কর্মকর্তারা বলতেন, থানা আর খেয়াঘাটে কোনো কথা গোপন থাকে না। মোহাম্মদপুর থানাতেও শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো, নিমেষে খবর পৌঁছে গেল ক্রাইম রিপোর্টারদের কানে। আমি যখন থানায় এলাম, ততক্ষণে কামাল পাশাকে হাজতে ঢোকানো হয়েছে। আর তাঁর বাবা লিয়াকত আলী ডিউটি অফিসারের সামনে নির্বিকার বসে আছেন।
ডিউটি অফিসার আর লিয়াকত আলীর মুখ থেকে আমি পুরো ঘটনা শুনলাম। মনে হলো, তাঁরা কিছুই গোপন করেননি। কিন্তু ওসির রুমে গিয়ে শুনি, এরই মধ্যে দৃশ্যপট বদলে গেছে। ওসি এখন বলছেন, তিনি বৃদ্ধকে চাপ দিয়ে তাঁর সন্ত্রাসী ছেলে কামাল পাশাকে আত্মসমর্পণ করাতে বাধ্য করেছেন। আরও বললেন, এটা নাকি আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ কৌশল। এ ঘটনার যাবতীয় কৃতিত্ব ওসির। তাঁর সঙ্গে আর তর্কে জড়ালাম না, পাছে তিক্ততা বাড়ে! ওসি আমাকে কামাল পাশার সঙ্গে কথার বলার অনুমতি দিলেন।
থানাহাজতের দিকে একটু উঁকি দিয়ে দেখি, কামাল পাশা দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, কেন আত্মসমর্পণ করলেন? তিনি চুপ করে থাকলেন। আবার একই প্রশ্ন করলাম। এবার তিনি বললেন, ‘ভাই, এটা না করলে আমার মা-বাবা সুইসাইড করবে। বলেন, আপনি হলে কী করতেন?’ আমি তাঁর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে একটার পর একটা প্রশ্ন করছি। মনে আছে, সেদিন তিনি প্রায় সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন।
এটা ছিল ২০০২ সালের ২০ মের বিকেল। ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে তখন কামাল পাশার অনেক নামডাক। সব সময় অস্ত্রধারী সহযোগী নিয়ে চলাফেরা করেন। তবে তাঁর পরিচিতির আরেকটি কারণ ছিল, তিনি সব খুনই করেছিলেন দিনের বেলায়। শত শত লোকের উপস্থিতিতে। খুন করার পরমুহূর্তেই হাওয়া হয়ে যেতেন। সম্ভবত প্রথমে তিনি একজন ঠিকাদারকে খুন করেছিলেন। ১৯৯৭ সালের ২২ মে শাহবাগে পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ঠিকাদার আশিক ইকবালকে গুলি করে খুন করেন।
এ সময় কামালের সঙ্গে তাঁর সহযোগী রাশেদ মোস্তফা রতনও ছিলেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় শেরাটন হোটেলের সামনে এক সার্জেন্ট জীবনবাজি রেখে তাঁদের গতিরোধ করে আটক করেন। পরে কামাল পাশা জামিনে বেরিয়ে আসেন।
২০০০ সালের প্রথম দিকে উত্তরায় আরেক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলেন কামাল পাশা ও তাঁর লোকজন। বনানীর একজন ডিশ ব্যবসায়ীও তাঁর হাতে খুন হন।
২০০০ সালের মে মাসে মোহাম্মদপুরে আশরাফ হোসেন জুয়েল ও মোহাম্মদ আলী রিভেল নামের দুই ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেন কামাল। এরপরই পত্রপত্রিকায় তাঁর নাম বেশি বেশি আসতে থাকে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে কামাল পাশার নাম ছিল। তাঁকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সরকার।
সেদিন থানায় কামাল পাশার সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, তিনি কীভাবে সন্ত্রাসী হলেন। কামাল পাশা বলছিলেন, ঢাকা কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে কিছুদিন একমি ল্যাবরেটরিজে চাকরি করেন। সেখানে এক সন্ত্রাসীর সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। কিছুদিন পর সেই সন্ত্রাসী খুন হয়। এরপর তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা বন্ধ করে দেন।
জানতে চাইলাম, এত দিন গোপনে থাকতেন কোথায়? তিনি বললেন, মোহাম্মদপুরের গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে। এটা ছিল মোহাম্মদপুর থানার পাঁচ শ গজের মধ্যে। বললেন, আজ সকাল পর্যন্ত ওই হোস্টেলেই ছিলেন। কার রুমে থাকতেন? তিনি বললেন, এটা বলা ঠিক হবে না।
কামাল পাশা বলছিলেন, তিনি ছিলেন জোট সরকারের প্রয়াত এমপি নাসিরউদ্দীন পিন্টুর ঘনিষ্ঠ। বিএনপির পুরো সময়ে তিনি পিন্টুর সহযোগিতা নিয়েই ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ভারতে পালিয়ে যান। কিছুদিন বাস করেন কলকাতায়। সেখানে থাকার সময় জানতে পারেন, আরেক সন্ত্রাসী ইমনকে সে দেশের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরপর তিনি কলকাতা ছেড়ে আজমির শরিফে চলে যান। সেখানে আরও কিছুদিন কাটান। পরে পিন্টুর সঙ্গে কথা বলে ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় এসে পিন্টুর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছিলেন। আমাকে বললেন, টেলিফোনে পিন্টু ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হতো। ঢাকায় আসার পর নিরাপদ জায়গা না পেয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ঝাপড়াজানে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। পরে ঢাকায় ফিরে আসেন। এবার মোহাম্মদপুর থানার উল্টো দিকে গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট হোস্টেলের একটি রুমে পাকাপাকি আস্তানা গাড়েন। তাঁর কাছে জায়গাটি ছিল খুব নিরাপদ। সহজে কেউ সন্দেহ করত না।
বললাম, তাহলে আপনি ধরা দিতে রাজি হলেন কেন? কামাল বললেন, কয়েক দিন আগে বড় ভাই পারভেজ আহমেদকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। বাবার চাকরি নেই। পারভেজ ভাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি না থাকলে বাসার সবাই না খেয়ে থাকবে। এই অবস্থায় আব্বা ওসির কাছে কথা দিয়ে যান, আমি এলে তিনি পুলিশকে খবর দেবেন। সম্ভবত এ ধরনের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েই তিনি ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এরপর একদিন ভোরে আমি বাড়ি এলাম। সেদিন সবাই আমাকে নিয়ে বসলেন। তাঁরা আমাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিলেন। আমি প্রথমে রাজি হইনি। পরে মা-বাবা অনেক কান্নাকাটি করলেন। একপর্যায়ে মা বললেন, তিনি আত্মহত্যা করবেন। মায়ের এই কান্না আমার সহ্য হলো না। মনে হলো, মায়ের জন্য কিছু একটা করি। রাজি হয়ে গেলাম, দেখি কী আছে কপালে। আমি কামাল পাশার দিকে তাকালাম, তিনি হাজতের মেঝের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাঁর গলা ধরে এসেছে।
আত্মসমর্পণের পর কামাল পাশাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দেশের সব কাগজে তা ফলাও করে ছাপাও হয়। তিনটি খুনের মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নেয়। এভাবে একের পর এক মামলায় তাঁকে আসামি হিসেবে দেখানো হতে থাকে। এগুলোর মধ্যে ছিল রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ও রমনা থানার দুটি পৃথক হত্যা মামলা এবং তেজগাঁও থানার একটি অস্ত্র মামলা। এসব মামলায় তাঁর ৯০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। ২০০৫ সালের ২৬ আগস্ট তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
এরপর দিনে দিনে কামাল পাশা হারিয়ে যান। অনেক দিন তাঁর আর খোঁজ করিনি। ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই শুনলাম, কামাল পাশা মারা গেছেন। কাশিমপুরের জেলার বলেছিলেন, কারাগারে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কামাল পাশাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রচিত হয় জীবনকাহিনির শেষ অধ্যায়।
অনেক দিন পর পুরোনো ডায়েরি খুঁজতে গিয়ে কামাল পাশার ইন্টারভিউর সেই নোটটা পেয়ে গেলাম। পড়তে গিয়ে মনে হলো, সেদিন থানা থেকে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। বের হওয়ার পথে ডিউটি অফিসারের রুমে উঁকি দিয়ে দেখি, কামাল পাশার বাবা লিয়াকত আলী তখনো বসে আছেন। আমি আবার তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। এবার আর তিনি কিছুই বললেন না। আমার দিকে তাকালেনও না। টলমল চোখে শূন্যের দিকে চেয়ে আছেন। আমার খুব ইচ্ছে করছিল, অসহায় এই বাবার সঙ্গে আরেকটু কথা বলি। কিন্তু অফিস থেকে বারবার ফোন আসছে, তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। বেরিয়ে এলাম থানা থেকে। ‘সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।’
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রিকশাটি এসে থামল থানার ফটকের সামনে। দুই যাত্রীর একজন যুবক, অন্যজন ষাটোর্ধ্ব। যুবকের একটি হাত আলগোছে ধরে আছেন বয়স্ক লোকটি। কোনো রকম জোর-জবরদস্তি নেই। রিকশা থেকে নেমে দুজনে হেঁটে ভেতরে ঢুকলেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি তখন মুখ গুঁজে একটি
২১ জানুয়ারি ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

রিকশাটি এসে থামল থানার ফটকের সামনে। দুই যাত্রীর একজন যুবক, অন্যজন ষাটোর্ধ্ব। যুবকের একটি হাত আলগোছে ধরে আছেন বয়স্ক লোকটি। কোনো রকম জোর-জবরদস্তি নেই। রিকশা থেকে নেমে দুজনে হেঁটে ভেতরে ঢুকলেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি তখন মুখ গুঁজে একটি
২১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

রিকশাটি এসে থামল থানার ফটকের সামনে। দুই যাত্রীর একজন যুবক, অন্যজন ষাটোর্ধ্ব। যুবকের একটি হাত আলগোছে ধরে আছেন বয়স্ক লোকটি। কোনো রকম জোর-জবরদস্তি নেই। রিকশা থেকে নেমে দুজনে হেঁটে ভেতরে ঢুকলেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি তখন মুখ গুঁজে একটি
২১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রিকশাটি এসে থামল থানার ফটকের সামনে। দুই যাত্রীর একজন যুবক, অন্যজন ষাটোর্ধ্ব। যুবকের একটি হাত আলগোছে ধরে আছেন বয়স্ক লোকটি। কোনো রকম জোর-জবরদস্তি নেই। রিকশা থেকে নেমে দুজনে হেঁটে ভেতরে ঢুকলেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি তখন মুখ গুঁজে একটি
২১ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে