কামরুল হাসান

নানা ধরনের খবর আসছিল চারদিক থেকে, সঙ্গে গুজবের ডালপালা। গণমাধ্যম অফিসগুলোতে প্রতিদিনের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল ঢাকা সেনানিবাসে কী হচ্ছে। খবর যা আসছিল সবই আধাখেচড়া, খোলাসা করে কেউ কিছু বলতে পারছিলেন না। তবে সবকিছু পরিষ্কার হলো কিছুদিন পর, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারির বিকেলে, সেনাসদরের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে।
আমরা সংবাদকর্মীরা দলেবলে হাজির হলাম সেনা অফিসার্স ক্লাবের খোলা চত্বরে। শীতের বিকেল। মাঠের ভেতরে মঞ্চ করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। প্রথমে এলেন সেনাবাহিনীর পার্সোনাল সার্ভিসেস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক, সঙ্গে সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাজ্জাদ সিদ্দিক। সবশেষে এলেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম।
সেনা কর্মকর্তারা জানালেন এক ভয়ংকর খবর, যা শোনার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁরা বললেন, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য মিলে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছে। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সেই পরিকল্পনা তাঁরা জানতে পারেন। এরপর ওই চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়। যাঁরা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা ছিলেন সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা। সংখ্যায় ১৪ থেকে ১৬ জনের বেশি নয়। এদের তিনজনকে শনাক্ত করা হয় আর চাকরিরত একজন কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যান। পালানো ওই কর্মকর্তা হলেন সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি এই অভ্যুত্থানচেষ্টায় ইশরাক নামে এক প্রবাসীর সঙ্গে হাত মেলান।
পাঠক, এবার নিশ্চয়ই চিনতে পেরেছেন জিয়া নামের এই লোকটিকে, যাকে ধরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে। টাকার হিসাবে এই পুরস্কারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পুরস্কারের কথায় পরে আসি, তার আগে বলি, সেই অভ্যুত্থানচেষ্টার পর আর কী কী হয়েছিল।
অভ্যুত্থানচেষ্টার পর একটি সামরিক তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। সেই আদালত ১৫ কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করে। আটজন ফৌজদারি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। রায়ে বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু জিয়া থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ ঘটনার পর সৌদি দূতাবাসের একটি কূটনৈতিক বার্তা ফাঁস করে উইকিলিকস। তাতে সৌদি দূতাবাস রিয়াদে তাদের মন্ত্রণালয়কে ওই ঘটনার পর যে বিবরণ পাঠায় তাতে বলা হয়েছিল, অভ্যুত্থানকারীরা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধানসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল।
ওই অভ্যুত্থানচেষ্টার পরিকল্পনা তিনটি দেশে বসে ঘটেছে।
একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা প্রথম আমাকে জানিয়েছিলেন, পলাতক জিয়ার সঙ্গে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। অভ্যুত্থানচেষ্টার কিছুদিন আগে সেনানিবাসে হিযবুত তাহরীরের একটি লিফলেট বিতরণে জড়িত ছিলেন জিয়া।
সেনানিবাস থেকে পালানোর পর জিয়া আর থেমে থাকেননি। আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে আল-কায়েদাপন্থী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামকে সংগঠিত করেছেন। এই সংস্থার সামরিক শাখার প্রধানও তিনি। তাঁর নির্দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জিয়া আন্ডারগ্রাউন্ডে যাওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে নয়জন মুক্তমনা ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, অধিকারকর্মী ও নাট্যকর্মী খুন হয়েছেন। পুলিশ এসব মামলা তদন্ত করে আদালতকে বলেছে, নয়টি হত্যাকাণ্ডের আটটিতেই জড়িত ছিলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলামের সদস্যরা। ছয়টি খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের রায়েও আদালত বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল মাথা হলেন চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। এই খুনসহ ছয়টি খুনের মামলায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, জিয়া একাই এত কিছু করে বেড়ালেও প্রথম দিকে পুলিশ তার কোনো কিনারা করতে পারেনি। জিয়ার সংশ্লিষ্টতার কথা প্রথম জানতে পারে আনসার আল ইসলামের তাত্ত্বিক গুরু জসীমউদ্দীন রাহমানী গ্রেপ্তারের পর। ২০১৩ সালে গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, জিয়াউল হকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। জিয়া মোহাম্মদপুরের বছিলায় মসজিদে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁকে মাঝেমধ্যে ই-মেইলও করতেন। ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে সাতারকুলে অভিযানের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় জিয়াই হলেন আনসার আল ইসলামের সামরিক প্রধান। তিনি দীর্ঘ সময় বাড্ডার সাতারকুলে আত্মগোপন করে ছিলেন। কিন্তু কেউই বুঝতে পারেননি।
অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, জিয়াকে ধরতে তাঁরা সব সময় তৎপর ছিলেন। কিন্তু কখনো নাগালে পাননি। পুলিশ সদর দপ্তর ২০১৬ সালের ২ আগস্ট জিয়াকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে। যদিও পুরস্কার ঘোষণার পর আসামি গ্রেপ্তারের নজির দেশে নেই বললেই চলে।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, জিয়াকে ধরতে তাঁরা কমপক্ষে চার দফা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই ফসকে গেছেন তিনি। একবার খুব নাগালে থেকেই ধরতে পারেননি তাঁকে। জিয়া বিভিন্ন সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহে থেকেছেন। ২০১৯ সালের ঈদুল ফিতরের আগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় আসার টিকিট কাটতে গিয়েছিলেন তিনি। টিকিট না পেয়ে স্টেশনেই হট্টগোল করেন। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সায়মনের ময়মনসিংহের বাসায়ও ছিলেন জিয়া। টঙ্গীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশি তল্লাশি শুরুর আগেই তিনি কেটে পড়েন সেখান থেকে।
মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সৈয়দ জিলুল হকের ছেলে জিয়া। পড়াশোনা করেন সিলেট ক্যাডেটে। সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ৪১তম দীর্ঘ কোর্সের মাধ্যমে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর কিছুদিন পরই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই ঘরে দুটি সন্তান আছে। শ্বশুর একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। পুলিশ বিভিন্ন সময়ে সেখানেও খোঁজ নিয়েছে জিয়ার। কিন্তু ফল শূন্য।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম সেদিন বললেন, জিয়াকে ধরা এখন সত্যিই কঠিন। কারণ, যে পদ্ধতি ব্যবহার করে পুলিশ আসামি ধরে, তার সবই জিয়ার নখদর্পণে। তিনি এখন আর কোনো ডিভাইস ব্যবহার করেন না। এতে করে তাঁকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে আন্ডারগ্রাউন্ডে তাঁর তৎপরতা বোঝা যাচ্ছে।
পুলিশ কমিশনারের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে হয়তো জিয়া সব সময়ই থাকবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, সবার আতঙ্ক হয়ে।
আরও পড়ুন:

নানা ধরনের খবর আসছিল চারদিক থেকে, সঙ্গে গুজবের ডালপালা। গণমাধ্যম অফিসগুলোতে প্রতিদিনের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল ঢাকা সেনানিবাসে কী হচ্ছে। খবর যা আসছিল সবই আধাখেচড়া, খোলাসা করে কেউ কিছু বলতে পারছিলেন না। তবে সবকিছু পরিষ্কার হলো কিছুদিন পর, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারির বিকেলে, সেনাসদরের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে।
আমরা সংবাদকর্মীরা দলেবলে হাজির হলাম সেনা অফিসার্স ক্লাবের খোলা চত্বরে। শীতের বিকেল। মাঠের ভেতরে মঞ্চ করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। প্রথমে এলেন সেনাবাহিনীর পার্সোনাল সার্ভিসেস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক, সঙ্গে সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাজ্জাদ সিদ্দিক। সবশেষে এলেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম।
সেনা কর্মকর্তারা জানালেন এক ভয়ংকর খবর, যা শোনার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁরা বললেন, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য মিলে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছে। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সেই পরিকল্পনা তাঁরা জানতে পারেন। এরপর ওই চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়। যাঁরা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা ছিলেন সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা। সংখ্যায় ১৪ থেকে ১৬ জনের বেশি নয়। এদের তিনজনকে শনাক্ত করা হয় আর চাকরিরত একজন কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যান। পালানো ওই কর্মকর্তা হলেন সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি এই অভ্যুত্থানচেষ্টায় ইশরাক নামে এক প্রবাসীর সঙ্গে হাত মেলান।
পাঠক, এবার নিশ্চয়ই চিনতে পেরেছেন জিয়া নামের এই লোকটিকে, যাকে ধরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে। টাকার হিসাবে এই পুরস্কারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পুরস্কারের কথায় পরে আসি, তার আগে বলি, সেই অভ্যুত্থানচেষ্টার পর আর কী কী হয়েছিল।
অভ্যুত্থানচেষ্টার পর একটি সামরিক তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। সেই আদালত ১৫ কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করে। আটজন ফৌজদারি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। রায়ে বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু জিয়া থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ ঘটনার পর সৌদি দূতাবাসের একটি কূটনৈতিক বার্তা ফাঁস করে উইকিলিকস। তাতে সৌদি দূতাবাস রিয়াদে তাদের মন্ত্রণালয়কে ওই ঘটনার পর যে বিবরণ পাঠায় তাতে বলা হয়েছিল, অভ্যুত্থানকারীরা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধানসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল।
ওই অভ্যুত্থানচেষ্টার পরিকল্পনা তিনটি দেশে বসে ঘটেছে।
একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা প্রথম আমাকে জানিয়েছিলেন, পলাতক জিয়ার সঙ্গে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। অভ্যুত্থানচেষ্টার কিছুদিন আগে সেনানিবাসে হিযবুত তাহরীরের একটি লিফলেট বিতরণে জড়িত ছিলেন জিয়া।
সেনানিবাস থেকে পালানোর পর জিয়া আর থেমে থাকেননি। আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে আল-কায়েদাপন্থী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামকে সংগঠিত করেছেন। এই সংস্থার সামরিক শাখার প্রধানও তিনি। তাঁর নির্দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জিয়া আন্ডারগ্রাউন্ডে যাওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে নয়জন মুক্তমনা ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, অধিকারকর্মী ও নাট্যকর্মী খুন হয়েছেন। পুলিশ এসব মামলা তদন্ত করে আদালতকে বলেছে, নয়টি হত্যাকাণ্ডের আটটিতেই জড়িত ছিলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলামের সদস্যরা। ছয়টি খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের রায়েও আদালত বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল মাথা হলেন চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। এই খুনসহ ছয়টি খুনের মামলায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, জিয়া একাই এত কিছু করে বেড়ালেও প্রথম দিকে পুলিশ তার কোনো কিনারা করতে পারেনি। জিয়ার সংশ্লিষ্টতার কথা প্রথম জানতে পারে আনসার আল ইসলামের তাত্ত্বিক গুরু জসীমউদ্দীন রাহমানী গ্রেপ্তারের পর। ২০১৩ সালে গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, জিয়াউল হকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। জিয়া মোহাম্মদপুরের বছিলায় মসজিদে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁকে মাঝেমধ্যে ই-মেইলও করতেন। ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে সাতারকুলে অভিযানের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় জিয়াই হলেন আনসার আল ইসলামের সামরিক প্রধান। তিনি দীর্ঘ সময় বাড্ডার সাতারকুলে আত্মগোপন করে ছিলেন। কিন্তু কেউই বুঝতে পারেননি।
অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, জিয়াকে ধরতে তাঁরা সব সময় তৎপর ছিলেন। কিন্তু কখনো নাগালে পাননি। পুলিশ সদর দপ্তর ২০১৬ সালের ২ আগস্ট জিয়াকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে। যদিও পুরস্কার ঘোষণার পর আসামি গ্রেপ্তারের নজির দেশে নেই বললেই চলে।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, জিয়াকে ধরতে তাঁরা কমপক্ষে চার দফা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই ফসকে গেছেন তিনি। একবার খুব নাগালে থেকেই ধরতে পারেননি তাঁকে। জিয়া বিভিন্ন সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহে থেকেছেন। ২০১৯ সালের ঈদুল ফিতরের আগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় আসার টিকিট কাটতে গিয়েছিলেন তিনি। টিকিট না পেয়ে স্টেশনেই হট্টগোল করেন। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সায়মনের ময়মনসিংহের বাসায়ও ছিলেন জিয়া। টঙ্গীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশি তল্লাশি শুরুর আগেই তিনি কেটে পড়েন সেখান থেকে।
মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সৈয়দ জিলুল হকের ছেলে জিয়া। পড়াশোনা করেন সিলেট ক্যাডেটে। সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ৪১তম দীর্ঘ কোর্সের মাধ্যমে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর কিছুদিন পরই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই ঘরে দুটি সন্তান আছে। শ্বশুর একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। পুলিশ বিভিন্ন সময়ে সেখানেও খোঁজ নিয়েছে জিয়ার। কিন্তু ফল শূন্য।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম সেদিন বললেন, জিয়াকে ধরা এখন সত্যিই কঠিন। কারণ, যে পদ্ধতি ব্যবহার করে পুলিশ আসামি ধরে, তার সবই জিয়ার নখদর্পণে। তিনি এখন আর কোনো ডিভাইস ব্যবহার করেন না। এতে করে তাঁকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে আন্ডারগ্রাউন্ডে তাঁর তৎপরতা বোঝা যাচ্ছে।
পুলিশ কমিশনারের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে হয়তো জিয়া সব সময়ই থাকবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, সবার আতঙ্ক হয়ে।
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

নানা ধরনের খবর আসছিল চারদিক থেকে, সঙ্গে গুজবের ডালপালা। গণমাধ্যম অফিসগুলোতে প্রতিদিনের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল ঢাকা সেনানিবাসে কী হচ্ছে। খবর যা আসছিল সবই আধাখেচড়া, খোলাসা করে কেউ কিছু বলতে পারছিলেন না। তবে সবকিছু পরিষ্কার হলো কিছুদিন পর, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারির বিকেলে, সেনাসদরের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে।
আমরা সংবাদকর্মীরা দলেবলে হাজির হলাম সেনা অফিসার্স ক্লাবের খোলা চত্বরে। শীতের বিকেল। মাঠের ভেতরে মঞ্চ করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। প্রথমে এলেন সেনাবাহিনীর পার্সোনাল সার্ভিসেস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক, সঙ্গে সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাজ্জাদ সিদ্দিক। সবশেষে এলেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম।
সেনা কর্মকর্তারা জানালেন এক ভয়ংকর খবর, যা শোনার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁরা বললেন, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য মিলে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছে। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সেই পরিকল্পনা তাঁরা জানতে পারেন। এরপর ওই চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়। যাঁরা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা ছিলেন সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা। সংখ্যায় ১৪ থেকে ১৬ জনের বেশি নয়। এদের তিনজনকে শনাক্ত করা হয় আর চাকরিরত একজন কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যান। পালানো ওই কর্মকর্তা হলেন সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি এই অভ্যুত্থানচেষ্টায় ইশরাক নামে এক প্রবাসীর সঙ্গে হাত মেলান।
পাঠক, এবার নিশ্চয়ই চিনতে পেরেছেন জিয়া নামের এই লোকটিকে, যাকে ধরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে। টাকার হিসাবে এই পুরস্কারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পুরস্কারের কথায় পরে আসি, তার আগে বলি, সেই অভ্যুত্থানচেষ্টার পর আর কী কী হয়েছিল।
অভ্যুত্থানচেষ্টার পর একটি সামরিক তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। সেই আদালত ১৫ কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করে। আটজন ফৌজদারি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। রায়ে বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু জিয়া থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ ঘটনার পর সৌদি দূতাবাসের একটি কূটনৈতিক বার্তা ফাঁস করে উইকিলিকস। তাতে সৌদি দূতাবাস রিয়াদে তাদের মন্ত্রণালয়কে ওই ঘটনার পর যে বিবরণ পাঠায় তাতে বলা হয়েছিল, অভ্যুত্থানকারীরা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধানসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল।
ওই অভ্যুত্থানচেষ্টার পরিকল্পনা তিনটি দেশে বসে ঘটেছে।
একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা প্রথম আমাকে জানিয়েছিলেন, পলাতক জিয়ার সঙ্গে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। অভ্যুত্থানচেষ্টার কিছুদিন আগে সেনানিবাসে হিযবুত তাহরীরের একটি লিফলেট বিতরণে জড়িত ছিলেন জিয়া।
সেনানিবাস থেকে পালানোর পর জিয়া আর থেমে থাকেননি। আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে আল-কায়েদাপন্থী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামকে সংগঠিত করেছেন। এই সংস্থার সামরিক শাখার প্রধানও তিনি। তাঁর নির্দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জিয়া আন্ডারগ্রাউন্ডে যাওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে নয়জন মুক্তমনা ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, অধিকারকর্মী ও নাট্যকর্মী খুন হয়েছেন। পুলিশ এসব মামলা তদন্ত করে আদালতকে বলেছে, নয়টি হত্যাকাণ্ডের আটটিতেই জড়িত ছিলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলামের সদস্যরা। ছয়টি খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের রায়েও আদালত বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল মাথা হলেন চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। এই খুনসহ ছয়টি খুনের মামলায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, জিয়া একাই এত কিছু করে বেড়ালেও প্রথম দিকে পুলিশ তার কোনো কিনারা করতে পারেনি। জিয়ার সংশ্লিষ্টতার কথা প্রথম জানতে পারে আনসার আল ইসলামের তাত্ত্বিক গুরু জসীমউদ্দীন রাহমানী গ্রেপ্তারের পর। ২০১৩ সালে গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, জিয়াউল হকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। জিয়া মোহাম্মদপুরের বছিলায় মসজিদে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁকে মাঝেমধ্যে ই-মেইলও করতেন। ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে সাতারকুলে অভিযানের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় জিয়াই হলেন আনসার আল ইসলামের সামরিক প্রধান। তিনি দীর্ঘ সময় বাড্ডার সাতারকুলে আত্মগোপন করে ছিলেন। কিন্তু কেউই বুঝতে পারেননি।
অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, জিয়াকে ধরতে তাঁরা সব সময় তৎপর ছিলেন। কিন্তু কখনো নাগালে পাননি। পুলিশ সদর দপ্তর ২০১৬ সালের ২ আগস্ট জিয়াকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে। যদিও পুরস্কার ঘোষণার পর আসামি গ্রেপ্তারের নজির দেশে নেই বললেই চলে।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, জিয়াকে ধরতে তাঁরা কমপক্ষে চার দফা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই ফসকে গেছেন তিনি। একবার খুব নাগালে থেকেই ধরতে পারেননি তাঁকে। জিয়া বিভিন্ন সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহে থেকেছেন। ২০১৯ সালের ঈদুল ফিতরের আগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় আসার টিকিট কাটতে গিয়েছিলেন তিনি। টিকিট না পেয়ে স্টেশনেই হট্টগোল করেন। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সায়মনের ময়মনসিংহের বাসায়ও ছিলেন জিয়া। টঙ্গীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশি তল্লাশি শুরুর আগেই তিনি কেটে পড়েন সেখান থেকে।
মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সৈয়দ জিলুল হকের ছেলে জিয়া। পড়াশোনা করেন সিলেট ক্যাডেটে। সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ৪১তম দীর্ঘ কোর্সের মাধ্যমে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর কিছুদিন পরই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই ঘরে দুটি সন্তান আছে। শ্বশুর একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। পুলিশ বিভিন্ন সময়ে সেখানেও খোঁজ নিয়েছে জিয়ার। কিন্তু ফল শূন্য।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম সেদিন বললেন, জিয়াকে ধরা এখন সত্যিই কঠিন। কারণ, যে পদ্ধতি ব্যবহার করে পুলিশ আসামি ধরে, তার সবই জিয়ার নখদর্পণে। তিনি এখন আর কোনো ডিভাইস ব্যবহার করেন না। এতে করে তাঁকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে আন্ডারগ্রাউন্ডে তাঁর তৎপরতা বোঝা যাচ্ছে।
পুলিশ কমিশনারের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে হয়তো জিয়া সব সময়ই থাকবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, সবার আতঙ্ক হয়ে।
আরও পড়ুন:

নানা ধরনের খবর আসছিল চারদিক থেকে, সঙ্গে গুজবের ডালপালা। গণমাধ্যম অফিসগুলোতে প্রতিদিনের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল ঢাকা সেনানিবাসে কী হচ্ছে। খবর যা আসছিল সবই আধাখেচড়া, খোলাসা করে কেউ কিছু বলতে পারছিলেন না। তবে সবকিছু পরিষ্কার হলো কিছুদিন পর, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারির বিকেলে, সেনাসদরের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে।
আমরা সংবাদকর্মীরা দলেবলে হাজির হলাম সেনা অফিসার্স ক্লাবের খোলা চত্বরে। শীতের বিকেল। মাঠের ভেতরে মঞ্চ করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। প্রথমে এলেন সেনাবাহিনীর পার্সোনাল সার্ভিসেস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রাজ্জাক, সঙ্গে সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাজ্জাদ সিদ্দিক। সবশেষে এলেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম।
সেনা কর্মকর্তারা জানালেন এক ভয়ংকর খবর, যা শোনার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁরা বললেন, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য মিলে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছে। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সেই পরিকল্পনা তাঁরা জানতে পারেন। এরপর ওই চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়। যাঁরা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা ছিলেন সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা। সংখ্যায় ১৪ থেকে ১৬ জনের বেশি নয়। এদের তিনজনকে শনাক্ত করা হয় আর চাকরিরত একজন কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যান। পালানো ওই কর্মকর্তা হলেন সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি এই অভ্যুত্থানচেষ্টায় ইশরাক নামে এক প্রবাসীর সঙ্গে হাত মেলান।
পাঠক, এবার নিশ্চয়ই চিনতে পেরেছেন জিয়া নামের এই লোকটিকে, যাকে ধরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে। টাকার হিসাবে এই পুরস্কারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পুরস্কারের কথায় পরে আসি, তার আগে বলি, সেই অভ্যুত্থানচেষ্টার পর আর কী কী হয়েছিল।
অভ্যুত্থানচেষ্টার পর একটি সামরিক তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। সেই আদালত ১৫ কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করে। আটজন ফৌজদারি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। রায়ে বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু জিয়া থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ ঘটনার পর সৌদি দূতাবাসের একটি কূটনৈতিক বার্তা ফাঁস করে উইকিলিকস। তাতে সৌদি দূতাবাস রিয়াদে তাদের মন্ত্রণালয়কে ওই ঘটনার পর যে বিবরণ পাঠায় তাতে বলা হয়েছিল, অভ্যুত্থানকারীরা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধানসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল।
ওই অভ্যুত্থানচেষ্টার পরিকল্পনা তিনটি দেশে বসে ঘটেছে।
একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা প্রথম আমাকে জানিয়েছিলেন, পলাতক জিয়ার সঙ্গে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। অভ্যুত্থানচেষ্টার কিছুদিন আগে সেনানিবাসে হিযবুত তাহরীরের একটি লিফলেট বিতরণে জড়িত ছিলেন জিয়া।
সেনানিবাস থেকে পালানোর পর জিয়া আর থেমে থাকেননি। আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে আল-কায়েদাপন্থী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামকে সংগঠিত করেছেন। এই সংস্থার সামরিক শাখার প্রধানও তিনি। তাঁর নির্দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জিয়া আন্ডারগ্রাউন্ডে যাওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে নয়জন মুক্তমনা ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, অধিকারকর্মী ও নাট্যকর্মী খুন হয়েছেন। পুলিশ এসব মামলা তদন্ত করে আদালতকে বলেছে, নয়টি হত্যাকাণ্ডের আটটিতেই জড়িত ছিলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলামের সদস্যরা। ছয়টি খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের রায়েও আদালত বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল মাথা হলেন চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। এই খুনসহ ছয়টি খুনের মামলায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, জিয়া একাই এত কিছু করে বেড়ালেও প্রথম দিকে পুলিশ তার কোনো কিনারা করতে পারেনি। জিয়ার সংশ্লিষ্টতার কথা প্রথম জানতে পারে আনসার আল ইসলামের তাত্ত্বিক গুরু জসীমউদ্দীন রাহমানী গ্রেপ্তারের পর। ২০১৩ সালে গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, জিয়াউল হকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। জিয়া মোহাম্মদপুরের বছিলায় মসজিদে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁকে মাঝেমধ্যে ই-মেইলও করতেন। ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে সাতারকুলে অভিযানের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় জিয়াই হলেন আনসার আল ইসলামের সামরিক প্রধান। তিনি দীর্ঘ সময় বাড্ডার সাতারকুলে আত্মগোপন করে ছিলেন। কিন্তু কেউই বুঝতে পারেননি।
অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, জিয়াকে ধরতে তাঁরা সব সময় তৎপর ছিলেন। কিন্তু কখনো নাগালে পাননি। পুলিশ সদর দপ্তর ২০১৬ সালের ২ আগস্ট জিয়াকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে। যদিও পুরস্কার ঘোষণার পর আসামি গ্রেপ্তারের নজির দেশে নেই বললেই চলে।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, জিয়াকে ধরতে তাঁরা কমপক্ষে চার দফা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই ফসকে গেছেন তিনি। একবার খুব নাগালে থেকেই ধরতে পারেননি তাঁকে। জিয়া বিভিন্ন সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহে থেকেছেন। ২০১৯ সালের ঈদুল ফিতরের আগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় আসার টিকিট কাটতে গিয়েছিলেন তিনি। টিকিট না পেয়ে স্টেশনেই হট্টগোল করেন। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সায়মনের ময়মনসিংহের বাসায়ও ছিলেন জিয়া। টঙ্গীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশি তল্লাশি শুরুর আগেই তিনি কেটে পড়েন সেখান থেকে।
মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সৈয়দ জিলুল হকের ছেলে জিয়া। পড়াশোনা করেন সিলেট ক্যাডেটে। সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ৪১তম দীর্ঘ কোর্সের মাধ্যমে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর কিছুদিন পরই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই ঘরে দুটি সন্তান আছে। শ্বশুর একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। পুলিশ বিভিন্ন সময়ে সেখানেও খোঁজ নিয়েছে জিয়ার। কিন্তু ফল শূন্য।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম সেদিন বললেন, জিয়াকে ধরা এখন সত্যিই কঠিন। কারণ, যে পদ্ধতি ব্যবহার করে পুলিশ আসামি ধরে, তার সবই জিয়ার নখদর্পণে। তিনি এখন আর কোনো ডিভাইস ব্যবহার করেন না। এতে করে তাঁকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে আন্ডারগ্রাউন্ডে তাঁর তৎপরতা বোঝা যাচ্ছে।
পুলিশ কমিশনারের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে হয়তো জিয়া সব সময়ই থাকবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, সবার আতঙ্ক হয়ে।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

নানা ধরনের খবর আসছিল চারদিক থেকে, সঙ্গে গুজবের ডালপালা। গণমাধ্যম অফিসগুলোতে প্রতিদিনের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল ঢাকা সেনানিবাসে কী হচ্ছে। খবর যা আসছিল সবই আধাখেচড়া, খোলাসা করে কেউ কিছু বলতে পারছিলেন না। তবে সবকিছু পরিষ্কার হলো কিছুদিন পর, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারির বিকেলে, সেনাসদরের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নানা ধরনের খবর আসছিল চারদিক থেকে, সঙ্গে গুজবের ডালপালা। গণমাধ্যম অফিসগুলোতে প্রতিদিনের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল ঢাকা সেনানিবাসে কী হচ্ছে। খবর যা আসছিল সবই আধাখেচড়া, খোলাসা করে কেউ কিছু বলতে পারছিলেন না। তবে সবকিছু পরিষ্কার হলো কিছুদিন পর, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারির বিকেলে, সেনাসদরের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

নানা ধরনের খবর আসছিল চারদিক থেকে, সঙ্গে গুজবের ডালপালা। গণমাধ্যম অফিসগুলোতে প্রতিদিনের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল ঢাকা সেনানিবাসে কী হচ্ছে। খবর যা আসছিল সবই আধাখেচড়া, খোলাসা করে কেউ কিছু বলতে পারছিলেন না। তবে সবকিছু পরিষ্কার হলো কিছুদিন পর, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারির বিকেলে, সেনাসদরের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নানা ধরনের খবর আসছিল চারদিক থেকে, সঙ্গে গুজবের ডালপালা। গণমাধ্যম অফিসগুলোতে প্রতিদিনের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল ঢাকা সেনানিবাসে কী হচ্ছে। খবর যা আসছিল সবই আধাখেচড়া, খোলাসা করে কেউ কিছু বলতে পারছিলেন না। তবে সবকিছু পরিষ্কার হলো কিছুদিন পর, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারির বিকেলে, সেনাসদরের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে