অনলাইন ডেস্ক
ভারতের নির্মাণ খাতের উত্থান, ঝাঁ তকতকে সুউচ্চ ভবন এবং বহু লেন বিশিষ্ট মহাসড়কের ব্যাপক বৃদ্ধির সময়ে দেশটির ঘরোয়া ইস্পাত বিক্রি বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু ভারতের ইস্পাত কারখানাগুলোতে এখন বিপুল পরিমাণ পণ্য পড়ে আছে বিক্রির অপেক্ষায়। সস্তা চীনা ইস্পাতের স্রোত ভারতের ছোট ইস্পাত মিলগুলোকে উৎপাদন কমাতে এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ভাবতে বাধ্য করছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি এখন সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে, যারা আমদানি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।
ভারত এক সময় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইস্পাত উৎপাদক দেশ হিসেবে পরিগণিত হলেও গত অর্থবছরে দেশটি বিপুল পরিমাণ ইস্পাত আমদানি করেছে। যা ভবিষ্যতের অবকাঠামোগত প্রকল্প এবং ইস্পাতনির্ভর শিল্পগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নয়া দিল্লিতে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ভারতের মোট ইস্পাত উৎপাদনের ৪১ শতাংশের জোগান দেয় ছোট এবং মাঝারি আকারের ইস্পাত মিলগুলো। এগুলোতে প্রায় ১৫ লাখের বেশি মানুষ কাজ করে। তবে গত ছয় মাসে এসব মিলের উৎপাদন ক্ষমতার ব্যবহার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে বলে এক ডজনেরও বেশি মিলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পাঞ্জাবের মান্ডি গোবিন্দগড়, যা ‘ইস্পাত সিটি’ নামে পরিচিত—সেখানকার মিলগুলো চীনা আমদানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না। চীনা ইস্পাত প্রায়ই ভারতীয় ইস্পাতের তুলনায় ১০ শতাংশ কম দামে বিক্রি হয়।
পাঞ্জাবের ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জোগিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর আদর্শ গর্গ বলেন, ‘যদি আমরা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে না পারি, তাহলে আমাদের কারখানা পূর্ণ সক্ষমতায় পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হব আমরা।’ পণ্যে মূল্যছাড় দিয়েও জোগিন্দ্রা গ্রুপের বিক্রি গত ছয় মাসে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমে গেছে। ফলে উৎপাদনও এক-তৃতীয়াংশ কমাতে হয়েছে বলে জানান গর্গ।
বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার মহাপরিচালক রাজু জন বলেন, ‘নির্মাণ ও প্রকৌশল কোম্পানিগুলো সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য চীনা ইস্পাতের দিকে ঝুঁকছে। চীনা ইস্পাত প্রতি মেট্রিক টনে ২৫ থেকে ৫০ ডলার কম দামে বিক্রি হয়, কখনো কখনো ৭০ ডলার পর্যন্ত কম।’
চীন থেকে সমাপ্ত ইস্পাত আমদানি এই বছর রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে, যা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে নির্মাণ খাতে ব্যবহৃত হট-রোলড ইস্পাত এবং অটোমোবাইল শিল্পে ব্যবহৃত গ্যালভানাইজড ইস্পাতও রয়েছে। এই আমদানি দেশীয় বিক্রয়কে ধাক্কা দিয়েছে এবং চীনের নিম্ন দামের কারণে ভারতীয় রপ্তানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে যত ইস্পাত উৎপাদন হয় তার চেয়েও বেশি ইস্পাত একা উৎপাদন করে চীন এবং বিশ্ববাজারে কম দামে ইস্পাত সরবরাহের কারণে বিভিন্ন দেশে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে দেশটির বিরুদ্ধে। এই উৎপাদন ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের আবাসন খাতে সংকটের ফলে অভ্যন্তরীণ নির্মাণ শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিদেশি ইস্পাতের বাজারকে অস্থির করে তুলেছে, এমনকি শক্তিশালী স্থানীয় শিল্প থাকা দেশগুলোকেও।
ভারতীয় ইস্পাত অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, কম দামে বাড়তে থাকা আমদানি এবং রপ্তানি সুযোগ কমে যাওয়া বর্তমানে ভারতীয় ইস্পাত শিল্পের টিকে থাকার জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে মুনাফা মার্জিন ৬৮ শতাংশ থেকে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ায় ইস্পাত কোম্পানিগুলো সম্প্রসারণ পরিকল্পনা শুরু করতে হিমশিম খাচ্ছে। দামও কমেছে, নির্মাণে ব্যবহৃত হট-রোলড কয়েলের দাম এ বছরের শুরুতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে।
ছোট ইস্পাত কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বড় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান যেমন জেএসডব্লিউ ইস্পাত এবং টাটা ইস্পাতও উদ্বিগ্ন। তারা চীনা আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে।
আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া—যা চার থেকে ছয় মাস সময় নিতে পারে—শিল্পের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা এবং পরবর্তী সময়ে সরকারের তদন্তের ওপর নির্ভরশীল। এই তদন্তে নির্ধারণ করা হবে যে, চীনা আমদানি ভারতীয় ইস্পাত মিলগুলোর ক্ষতি করছে কিনা। ভারত ২৫ লাখ কর্মীর এই শিল্পে ব্যাপক ছাঁটাই এড়াতে আগ্রহী। কারণ, দেশের বাড়তে থাকা জনসংখ্যার কর্মসংস্থানে ইতিমধ্যেই চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দেশটি।
ভারতের দ্রুত উন্নয়নের জন্য ইস্পাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—নতুন আবাসন প্রকল্প থেকে শুরু করে বিশাল অবকাঠামোগত প্রকল্প পর্যন্ত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বড় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ইস্পাত কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে, যেন ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানো যায়।
চীন থেকে আমদানির কারণে ভারতের ইস্পাত মিলগুলো চাপে রয়েছে। উত্তর প্রদেশের গুডলাক ইন্ডিয়া ইস্পাত মিলের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সাগর যাদব বলেন, ‘জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা যে রপ্তানি আদেশের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তা পাইনি কারণ আমরা চীনের সঙ্গে ব্যবসায় প্রতিযোগিতায় হেরে গেছি।’
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পুনের নিও মেগা ইস্পাত চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে গাড়ি শিল্পের ক্রয়াদেশ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেদান্ত গোয়েল। আর পশ্চিম মহারাষ্ট্রে ভাগ্যলক্ষ্মী রোলিং মিল রপ্তানিতে তীব্র পতনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিলটির পরিচালক নিতিন কবরা জানিয়েছেন, তিনি আগামী বছরের শুরুতে উৎপাদন কমানোর পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, ‘চীনা আমদানির কারণে আমাদের মুনাফা এবং মনোবল উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দাম এতটাই কমে গেছে যে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
ভারতের নির্মাণ খাতের উত্থান, ঝাঁ তকতকে সুউচ্চ ভবন এবং বহু লেন বিশিষ্ট মহাসড়কের ব্যাপক বৃদ্ধির সময়ে দেশটির ঘরোয়া ইস্পাত বিক্রি বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু ভারতের ইস্পাত কারখানাগুলোতে এখন বিপুল পরিমাণ পণ্য পড়ে আছে বিক্রির অপেক্ষায়। সস্তা চীনা ইস্পাতের স্রোত ভারতের ছোট ইস্পাত মিলগুলোকে উৎপাদন কমাতে এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ভাবতে বাধ্য করছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি এখন সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে, যারা আমদানি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।
ভারত এক সময় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইস্পাত উৎপাদক দেশ হিসেবে পরিগণিত হলেও গত অর্থবছরে দেশটি বিপুল পরিমাণ ইস্পাত আমদানি করেছে। যা ভবিষ্যতের অবকাঠামোগত প্রকল্প এবং ইস্পাতনির্ভর শিল্পগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নয়া দিল্লিতে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ভারতের মোট ইস্পাত উৎপাদনের ৪১ শতাংশের জোগান দেয় ছোট এবং মাঝারি আকারের ইস্পাত মিলগুলো। এগুলোতে প্রায় ১৫ লাখের বেশি মানুষ কাজ করে। তবে গত ছয় মাসে এসব মিলের উৎপাদন ক্ষমতার ব্যবহার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে বলে এক ডজনেরও বেশি মিলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পাঞ্জাবের মান্ডি গোবিন্দগড়, যা ‘ইস্পাত সিটি’ নামে পরিচিত—সেখানকার মিলগুলো চীনা আমদানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না। চীনা ইস্পাত প্রায়ই ভারতীয় ইস্পাতের তুলনায় ১০ শতাংশ কম দামে বিক্রি হয়।
পাঞ্জাবের ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জোগিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর আদর্শ গর্গ বলেন, ‘যদি আমরা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে না পারি, তাহলে আমাদের কারখানা পূর্ণ সক্ষমতায় পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হব আমরা।’ পণ্যে মূল্যছাড় দিয়েও জোগিন্দ্রা গ্রুপের বিক্রি গত ছয় মাসে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমে গেছে। ফলে উৎপাদনও এক-তৃতীয়াংশ কমাতে হয়েছে বলে জানান গর্গ।
বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার মহাপরিচালক রাজু জন বলেন, ‘নির্মাণ ও প্রকৌশল কোম্পানিগুলো সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য চীনা ইস্পাতের দিকে ঝুঁকছে। চীনা ইস্পাত প্রতি মেট্রিক টনে ২৫ থেকে ৫০ ডলার কম দামে বিক্রি হয়, কখনো কখনো ৭০ ডলার পর্যন্ত কম।’
চীন থেকে সমাপ্ত ইস্পাত আমদানি এই বছর রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে, যা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে নির্মাণ খাতে ব্যবহৃত হট-রোলড ইস্পাত এবং অটোমোবাইল শিল্পে ব্যবহৃত গ্যালভানাইজড ইস্পাতও রয়েছে। এই আমদানি দেশীয় বিক্রয়কে ধাক্কা দিয়েছে এবং চীনের নিম্ন দামের কারণে ভারতীয় রপ্তানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে যত ইস্পাত উৎপাদন হয় তার চেয়েও বেশি ইস্পাত একা উৎপাদন করে চীন এবং বিশ্ববাজারে কম দামে ইস্পাত সরবরাহের কারণে বিভিন্ন দেশে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে দেশটির বিরুদ্ধে। এই উৎপাদন ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের আবাসন খাতে সংকটের ফলে অভ্যন্তরীণ নির্মাণ শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিদেশি ইস্পাতের বাজারকে অস্থির করে তুলেছে, এমনকি শক্তিশালী স্থানীয় শিল্প থাকা দেশগুলোকেও।
ভারতীয় ইস্পাত অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, কম দামে বাড়তে থাকা আমদানি এবং রপ্তানি সুযোগ কমে যাওয়া বর্তমানে ভারতীয় ইস্পাত শিল্পের টিকে থাকার জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে মুনাফা মার্জিন ৬৮ শতাংশ থেকে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ায় ইস্পাত কোম্পানিগুলো সম্প্রসারণ পরিকল্পনা শুরু করতে হিমশিম খাচ্ছে। দামও কমেছে, নির্মাণে ব্যবহৃত হট-রোলড কয়েলের দাম এ বছরের শুরুতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে।
ছোট ইস্পাত কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বড় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান যেমন জেএসডব্লিউ ইস্পাত এবং টাটা ইস্পাতও উদ্বিগ্ন। তারা চীনা আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে।
আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া—যা চার থেকে ছয় মাস সময় নিতে পারে—শিল্পের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা এবং পরবর্তী সময়ে সরকারের তদন্তের ওপর নির্ভরশীল। এই তদন্তে নির্ধারণ করা হবে যে, চীনা আমদানি ভারতীয় ইস্পাত মিলগুলোর ক্ষতি করছে কিনা। ভারত ২৫ লাখ কর্মীর এই শিল্পে ব্যাপক ছাঁটাই এড়াতে আগ্রহী। কারণ, দেশের বাড়তে থাকা জনসংখ্যার কর্মসংস্থানে ইতিমধ্যেই চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দেশটি।
ভারতের দ্রুত উন্নয়নের জন্য ইস্পাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—নতুন আবাসন প্রকল্প থেকে শুরু করে বিশাল অবকাঠামোগত প্রকল্প পর্যন্ত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বড় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ইস্পাত কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে, যেন ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানো যায়।
চীন থেকে আমদানির কারণে ভারতের ইস্পাত মিলগুলো চাপে রয়েছে। উত্তর প্রদেশের গুডলাক ইন্ডিয়া ইস্পাত মিলের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সাগর যাদব বলেন, ‘জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা যে রপ্তানি আদেশের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তা পাইনি কারণ আমরা চীনের সঙ্গে ব্যবসায় প্রতিযোগিতায় হেরে গেছি।’
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পুনের নিও মেগা ইস্পাত চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে গাড়ি শিল্পের ক্রয়াদেশ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেদান্ত গোয়েল। আর পশ্চিম মহারাষ্ট্রে ভাগ্যলক্ষ্মী রোলিং মিল রপ্তানিতে তীব্র পতনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিলটির পরিচালক নিতিন কবরা জানিয়েছেন, তিনি আগামী বছরের শুরুতে উৎপাদন কমানোর পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, ‘চীনা আমদানির কারণে আমাদের মুনাফা এবং মনোবল উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দাম এতটাই কমে গেছে যে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
পশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১৮ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১৮ ঘণ্টা আগেসরকারের ব্যাপক চাল আমদানি এবং দেশের ৬৪ জেলায় ওএমএসের (খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়) মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির ঘোষণার প্রভাব বাজারে ইতিবাচকভাবে পড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখন নিম্নমুখী।
১৮ ঘণ্টা আগে