Ajker Patrika

মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্ক—২০২৫ সালে তিন চ্যালেঞ্জের মুখে বিশ্ব অর্থনীতি

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দেশগুলো। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দেশগুলো। ছবি: এএফপি

মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির কৌতূহলোদ্দীপক বছর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। এটা স্থিতিশীল হার হলেও আশাপ্রদ নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দিকে তাকালে বিষয়টি সহজে বোঝা যাবে। বড়দিনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে লাখো আমেরিকান ঋণগ্রহীতারা এক উপহার পেয়েছিল, তা ছিল টানা তৃতীয়বার সুদের হার কমানো। কিন্তু মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের এক কথার কারণে সেই উপহার তেমন কাজে দেয়নি। তখন শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে।

পাওয়েল সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, সুদের হার আরও কমানোর যে আশা জেগেছে, তা ২০২৫ সালে সম্ভব না-ও হতে পারে। কারণ, মূল্যস্ফীতি ঠেকানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। তাই নতুন বছরে সুদের হার কমানোর বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। এই মন্তব্য দ্রুতই বাজারে হতাশা ছড়িয়ে দেয়।

এদিকে মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপেরও অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোজোন এবং যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যথাক্রমে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, ২ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। তাদের সবারই লক্ষ্য মূল্যস্ফীতিকে ২ শতাংশে বেঁধে রাখা।

জেপি মরগান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের বিশ্ব অর্থনীতি গবেষণা শাখার প্রধান লুইস ওগানেস বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো অনিশ্চয়তা। এর কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজনীতি। বিশেষ করে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কী ঘটতে পারে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই।

গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার দেশ চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

লুইস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক বেশি “একলা চলো” অবস্থান নিয়েছে। শিল্প খাত রক্ষায় অতিরিক্ত রক্ষণশীল হচ্ছে, শুল্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব নীতি স্বল্প মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর জন্য নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর হবে।’

নতুন শুল্ক আরোপ মেক্সিকো ও কানাডার জন্য ভয়াবহ পরিণতি আনতে পারে বলে মনে করছেন পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের মরিস অবস্টফেল্ড। তিনি আইএমএফের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এই শুল্ক আরোপের কারণে কেবল মেক্সিকো ও কানাডা নয়, যুক্তরাষ্ট্রকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

উদাহরণ হিসেবে গাড়ি নির্মাণ শিল্পের কথা তুলে ধরেন মরিস। তিনি বলেন, গাড়ি শিল্পের বিস্তৃত সরবরাহ ব্যবস্থার অংশ এই তিন দেশ। শুল্ক আরোপসহ নানা বাণিজ্যিক বিধিনিষেধের মুখে এই ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এর ফলে গাড়ির বিশ্ববাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

মরিস বলেন, নতুন শুল্ক আরোপ পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে ভোক্তাদের চাহিদা কমে যেতে পারে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগও কমতে থাকবে।

তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় এ ধরনের শুল্ক আরোপ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য বেশ ক্ষতিকর। এর ফলে বিশ্ব মন্দার মধ্যে পড়তে পারে।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি এরই মধ্যে এ দেশগুলোতে প্রভাব ফেলেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পেছনেও এর ভূমিকা রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। অন্যদিকে চীনও নিজেদের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অধিকাংশ পণ্য বাণিজ্য শুল্কের আওতায় এনেছিলেন। এবারও নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যা আগামী বছরগুলোতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। নতুন বছরের ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেছেন। তবে দেশের অর্থনীতি ‘ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়’ আছে বলে দাবি করেন তিনি।

চীনের কারখানাগুলোতে উৎপাদিত সস্তা দামের পণ্য রপ্তানির ওপর দেশটির অর্থনীতি নির্ভরশীল। শুল্ক আরোপের কারণে দাম বেড়ে গেলে এসব পণ্যের চাহিদা কমে যেতে পারে। ফলে নতুন সমস্যার মুখে পড়বে চীন। এমনিতেই দেশটি দুর্বল ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগে ঘাটতির মধ্যে আছে দেশটি।

বিশ্বব্যাংকের মতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চীনের প্রচেষ্টার ইতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গত ডিসেম্বরের পূর্বাভাসে ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ধরেছে বিশ্বব্যাংক। আগের পূর্বাভাসে ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা ছিল। তবে বেইজিং এখনো নতুন বছরের প্রবৃদ্ধির নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। গত বছর নির্ধারিত ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের চেষ্টা করছে এখনো।

বিশ্বব্যাংকের চীনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারা ওয়ারউইক মনে করেন, আবাসন খাতের সংকট কাটিয়ে ওঠা, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় সরকারের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন—এই তিনটি দিক দেশটির টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চীনে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাইকেল হার্ট বলেন, অভ্যন্তরীণ এসব সমস্যার সমাধানের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টানতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে চীন।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং বাইডেন প্রশাসনের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে কিছু প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে চীন থেকে কারখানা অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করছে।

তবে মাইকেল হার্ট বলেন, কোম্পানিগুলো ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা হিসেবে এই উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে ৩০-৪০ বছর সময় নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে চীন। আর কেউ এখনো বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি।

তবে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অন্যতম প্রধান অস্ত্রে পরিণত হয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) শিল্প। গত বছর এক কোটিরও বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করেছে চীন। আর বাজারে এমন আধিপত্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চীনের ওপর কঠোর শুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে এর বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) অভিযোগ করেছে চীন। বেইজিংয়ের দাবি, এই শুল্ক আরোপ অন্যায্য।

চীনকে ছাড়িয়ে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঐতিহ্যগতভাবে ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি দুই দেশ জার্মানি ও ফ্রান্স। তবে, এই দুই দেশে গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে ইইউর সামগ্রিক অর্থনীতিতে। প্রবৃদ্ধির সামান্য উত্থান দেখা গেলেও ইউরোজোনের অর্থনীতি আগামী বছর গতি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ভোক্তাদের ব্যয় ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের এক জরিপে দেখা যায়, দেশটিতে কর ও মজুরি বাড়ার কারণে পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।

দীর্ঘদিন ধরে সুদের হার কমানোর চেষ্টা করে আসছে ইউরোজোন। কিন্তু এ প্রচেষ্টায় বড় বাধা মূল্যস্ফীতি, যা ৪ দশমিক ২ শতাংশে রয়েছে। এটিকে ২ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। মজুরি বৃদ্ধির চাপ বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি বাগে আনা আরও কঠিন হচ্ছে।

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড গত মাসে বলেন, বাণিজ্যে বিধিনিষেধ এবং রক্ষণশীল নীতি প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক নয়। মূল্যস্ফীতিতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও স্বল্প মেয়াদে এটি যে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বাড়াবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি প্রায়ই একই রকম বলে মনে করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিয়োগ প্রতিষ্ঠান রানস্টাডের প্রধান নির্বাহী স্যান্ডার ভ্যানটি নুর্ডেন্ডে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মজুরি বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশের আশপাশেই থাকবে। পশ্চিম ইউরোপের কিছু দেশে এটি আরও বেশি।

তাঁর মতে, এর পেছনে দুটি কারণ আছে। একটি হলো দক্ষ কর্মীর ঘাটতি এবং অন্যটি হলো মূল্যস্ফীতি। কারণ, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কর্মীরাও বেশি বেতন দাবি করছে।

নুর্ডেন্ডে আরও বলেন, অনেক কোম্পানি বেতনের বাড়তি খরচ তাদের গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে, যা সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে।

রানস্টাডের প্রধান নির্বাহী মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে উদ্দীপনার অভাব বিশ্ব শ্রমবাজারে ধীর গতি নিয়ে আসছে। আর গতিশীল শ্রমবাজার তৈরির জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই মূল চাবিকাঠি।

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি যদি ভালো থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়তে থাকে। তারা কর্মী নিয়োগ বাড়িয়ে দেয়। মানুষ কাজের নতুন সুযোগ পেতে শুরু করে। তখন শ্রমবাজারও গতিশীল হয়ে ওঠে।’

২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়েই একগুচ্ছ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন তিনি। এর মধ্যে আছে—কর ছাঁটাই ও নিয়মনীতি শিথিলের পরিকল্পনা। আশা করা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।

জেপি মরগানের লুইস ওগানেস বলেন, ‘সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের একচেটিয়া স্বভাব বজায় থাকবে, আর এর জন্য মূল্য দিতে হবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে।’

লুইসের আশা, এ বছর বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার কমতে পারে। তবে এর অনেকটাই নির্ভর করবে কী ধরনের নীতি প্রয়োগ করা হবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কী করে তা ওপর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ০৩
সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

সর্বশেষ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল পরদিন ২০ অক্টোবর থেকে।

চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।

অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিকেএমইএ প্রাঙ্গণে আইএফআইসি ব্যাংকের নতুন এটিএম বুথ উদ্বোধন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।

আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।

অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।

আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩৫৯৫ কোটির চাল, সার, বই কিনবে সরকার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

চাল ও সার আমদানি

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।

এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।

বাফার গুদাম নির্মাণ

বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।

দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়

অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।

একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।

বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ

খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচিত সরকার এলে কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেবে আইএমএফ: গভর্নর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ডিসেম্বরে নির্ধারিত ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় অংশ নিতে সেখানে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইএমএফ চায় নির্বাচনের পর গঠিত নতুন সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে এখনো সম্মতি বা আপত্তি কোনোটি জানায়নি। আমাদের তেমন আর্থিক চাপ নেই, তাই এটি কোনো সমস্যা নয়।’

গভর্নর আরও বলেন, ‘অর্থ ছাড়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যালোচনা (রিভিউ) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। আমরা চাই নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। সে কারণেই আলোচনা চলছে। নির্বাচন সামনে থাকায় এখন পূর্ণাঙ্গ রিভিউ করা যৌক্তিক নয়। কারণ, রিভিউয়ের সঙ্গে আইএমএফের আর্টিকেল-৪ মিশনও সম্পৃক্ত থাকে। সংস্থাটি চায় নতুন সরকার গঠনের পর তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে চূড়ান্ত রিভিউ সম্পন্ন করতে।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আইএমএফের আর্টিকেল-৪ মিশন অক্টোবরেই আসবে। তারা আংশিকভাবে ঋণ প্যাকেজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে, তবে চূড়ান্ত রিভিউ হবে না। ফেব্রুয়ারিতে বোর্ডের সভায় সেটি উপস্থাপন করা হবে, তখন জাতীয় নির্বাচনও শেষ হয়ে যাবে।

আইএমএফের ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতির মধ্যে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে। ডিসেম্বর মাসে পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের কথা রয়েছে, আর ষষ্ঠ কিস্তি নির্ধারিত আছে আগামী বছরের জুনে। সাধারণত প্রতিটি কিস্তি ছাড়ের আগে আইএমএফ দুই সপ্তাহব্যাপী মূল্যায়ন মিশন পাঠায়, যাতে সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি যাচাই করা হয়। সে অনুযায়ী, পঞ্চম কিস্তির মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু করতে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় আসছে আইএমএফ মিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত